১।
প্রথমেই শুরু করি একটা ঈশপের গল্প দিয়ে।
এক গরীব দম্পত্তির একটা ছেলে হলো। গরীব দম্পত্তি মাথায় ঘাম পায়ে ফেলে তাকে বড় করতে লাগল, গ্রামের স্কুলে পাঠাল যথাসময়ে। স্কুলে গিয়ে ছেলেটা তাক লাগিয়ে দিল সবাইকে, শিক্ষকরা ভাবেন এই ছেলেই এই অজপাড়াগাঁয়ের স্কুলটার নাম উদ্ধার করতে। অসম্ভব মেধাবী আর প্রতিশ্রুতিশীল সে। স্কুল পরিদর্শনে আসেন শিক্ষা অফিসার। তিনি ছেলেটাকে কঠিন সব প্রশ্ন করে সন্তুষ্ট হন উত্তরে, পিঠ চাপড়ে দেন। আশায় বুক বাঁধেন ছেলেটার বাব-মা, তাদের দুর্দিনের শেষ হলো বুঝি। ছেলেটা আস্তে আস্তে বড় হয়, সেই সাথে সবার প্রত্যাশাও। জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে সে একসময়। কিন্তু যখন রেজাল্ট বের হলো, তখন সবার মাথা ঘুরে গেল। কি হাল এই সম্ভাবনাময়ী ছেলের, একদম সাধারণ মানের রেজাল্ট। সে বলল, বাসায় পড়ার পরিবেশ ভালো ছিল না। কিন্তু এসব কাটিয়ে পরের পরীক্ষায় সে ঠিকই ভালো করবে। সবাই ভাবল এরকম পা হড়কানো ঘটনা সবার জীবনেই হতে পারে, তার রেজাল্ট খারাপ হয়েছে তো কি হয়েছে, মেধা তো আর খারাপ হয়ে যায়নি। কিন্তু পরের পরীক্ষায়ও ভালো করতে পারল না ছেলেটা। খুব সাধারণ মানের একটা চাকুরী নিয়ে সে পড়াশোনা ছেড়ে দিল। গরীব বাবা-মায়ের দুঃখ ঘোচানো তার আর হলো না।
২।
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশের যখন খুব খারাপ অবস্থা টেস্ট ক্রিকেটে, যখন ইনিংস ডিফিট না খাওয়ার মরাল ভিক্টোরি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট, তখনই আশরাফুল হাজির হলো তার শতরান নিয়ে। সেঞ্চুরিটা সে করেছিল মুত্তিয়া মুরলিধরন, ভাসদের বিরুদ্ধে। ১৬ বছর বয়েসি একটা ছেলে যখন এমন কান্ড ঘটিয়ে ফেলে, তখন তাকে নিয়ে হইচই হবে এটাই স্বাভাবিক। আশরাফুলকে নিয়েও হয়েছিল, কিন্তু যতোটুকু হওয়া দরকার তার চেয়ে বেশিই হয়েছিল। বাংলাদেশের ক্রিকেট তখন হন্যে হয়ে একটা চেহারা খুঁজছে। আশরাফুল সেই চেহারার যোগান দিল। বয়েসে তরুণ, অপার সম্ভাবনাময়, শুধু একটু সময়ের দরকার- এই ধরনের কথাগুলো বাংলাদেশ ক্রিকেট আর আশরাফুল ব্যাপারে সমান্তরালভাবে বলা যেত তখন। মিডিয়াও এই সুযোগটা নিল, তাদের ক্রীড়া প্রমোট করেই খেতে হয়। আশরাফুলকে বানিয়ে দিল বাংলাদেশের আশা ভরসার প্রতীক, গরীবের ঘরের মেধাবী ছেলে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের ত্রাণকর্তা। শেষ রাত্তিরে আসা মহাপুরুষ, যিনি বাংলাদেশের ধুঁকতে থাকা ক্রিকেটে আশার সঞ্চার করলেন। বাংলাদেশ ইনিংস ডিফিট খেয়েছে? নো প্রব্লেম, বছর দুয়েক পরে আর খাবে না। আশরাফুল আছে না?
ওই সময়টাতে আশরাফুলকেও বাংলাদেশের খুব দরকার ছিল। তার মাঠের পারফর্ম্যান্সের জন্য না যতোটা, আশার সলতেটাকে জ্বালিয়ে রাখার জন্য তার চেয়ে বেশি। ক্রিকেট ফ্যানরা ক্রিকেটেই আগ্রহী রইল, আশায় রইল, বাংলাদেশ অবশ্যই একটা পজিশনে চলে যাবে। আশরাফুল আছে না?
৩।
এরপর প্রায় নয় বছর গত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর কথায় কথায় ইনিংস খায় না। কবে শেষ খেয়েছিল মনে করতে পর্যন্ত পারি না। আশার প্রদীপে সলতে দেয়ার প্রয়োজন ফুরিয়েছে বাংলাদেশের। আশরাফুল গত নয় বছর ধরে আশার সলতেটাকে জ্বালিয়ে ছিল ঠিকই (আমি এখনও এর ব্যতিক্রম না, আশরাফুলে আশা খুঁজি। মুখে হয়তো বলি না।), কিন্তু পুরো ঘর আলো করতে কখনোই পারে নাই। মাঝে মধ্যে হঠাৎ জ্বলে ওঠা, ব্যস ওইটুকুই। আশরাফুল ত্রাণকর্তার চরিত্রে একমাত্র কুশীলব ছিল, চরিত্রটাকে ফুটিয়ে তুলতে পারে নাই। এখন আমাদের ঠিক করতে হবে, চরিত্রটার কোন প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা।
আমার বিনীত মতামত হলো, নেই। আর থাকলেও চরিত্রটার জন্য সে যে যোগ্য লোক না, সেটা সে নিজেই প্রমাণ করে দিয়েছে। আর চরিত্রটার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও আশরাফুলের মতো এতো বড় একটা ডিজএপয়েন্টমেন্টের পর আমরা নিজেরাই সাবধান হয়ে গেছি, এমন দাগা যেন আর না খেতে হয়। আমাদের দরকার এমন কাউকে who can get things done. আশরাফুলের চেয়ে ট্যালেন্টেড হওয়ার দরকার নাই, কিন্তু দলের অন্যান্য পারফর্মিং এন্ড প্রোডাক্টিভ প্লেয়ারদের কমপ্লিমেন্ট করতে পারে এমন কেউ। আশরাফুল নিজেও এই রোল প্লে করতে পারলে করবে।
৪।
আশরাফুল টিমে থাকবে কি থাকবে না এই ব্যাপারে আমি কোন মতামত এই ব্লগে দিচ্ছি না। শুধু এটুকুই বলতে চাচ্ছি, আশরাফুলে আশা করার দিন ফুরিয়েছে আমাদের। আশরাফুলও এর যোগ্য না, বাংলাদেশ টিমেরও সেই অবস্থা নাই। মিডিয়া, ফ্যান সবারই উচিত হবে আশরাফুলকে একটু ছাড় দেয়া, নিজেদের স্বার্থেই। ক্রমাগত আপসেট হতে কারই বা ভালো লাগে? আশরাফুল কখনোই আশার ফুল হওয়ার যোগ্য ছিল না। তবে আশার ফুল একজন দরকার ছিল, ধন্যবাদ আশরাফুলকে এতোদিন আশার ফুল হয়ে থাকার জন্য। আমাদের এখন ফোটা ফুল দরকার, যে নিয়মিত গন্ধ ছড়াবে, রুপ দেখাবে। হোক না তা আশরাফুলের চেয়ে ম্যাড়ম্যাড়ে।
কোনো মিস নাই 😀
:clap:
🙂
:grr: :grr: :grr:
😀 😀 😀
:grr: :khekz:
সবাই খালি ইমো দিতাসে কেন ? :-/
একটা জোক কখন প্যাথেটিক হয়া যায় জানো?
যখন জোকটা ব্যাখ্যাসহ বুঝায়ে দিতে হয় 😀
তৌফিক দেখি পুরা ফর্মে :clap:
এই আরকি, আপনাদের দোয়া 😛
খুবই ভালো লাগলো কথাগুলো .........
ধন্যবাদ মাইনুল ভাই। 🙂
না ভাই, তুমি যে কি লেখো না... মনে হয় নিজের কথাটাই বলে দিচ্ছ :hug:
আজকে এস এ স্পারস আর ডেনভার নাগেটস এর খেলা দেখেছ?
অনেক ধন্যবাদ শহীদ ভাই। :hug:
আপনিও এন বি এ ফলো করেন নাকি? নাহ, আজকে খেলা দেখতে পারি নাই। দেশে আছি, টাইমিং মিলে না। আবার সব খেলা ভান্ডারী ইএসপিএন আর স্টার স্পোর্টসে দেখায় না। ১৯ তারিখ লেকারস আর সেল্টিকসেরটা দেখাবে, লাইভ। ওইটা দেখব।
ম্যাচ রিপোর্ট পড়ছি অবশ্য স্যান এন্টনিও আর ডেনভারের। বেচারারা খুব খারাপ সুটিং করছে, ডেনভার আরকি। স্যান এন্টনিও খুব ব্যালান্সড এফোর্ট দিছে। স্টার্টার সবাই ডবল ফিগার। তবে ওইদিন থ্রি পয়েন্টারের বৃষ্টিতে লেকারসরে যেমনে ডুবাইল... তবে সবদিনই এইরকম রেড হট শুটিং হয় না। সাত গেমের প্লে অফ সিরিজে আমার প্রেডিকশন... (ড্রামাটিক পজ 😀 ) লেকারস ইন ফাইভ। B-)
অবশ্য গতবছর আধখানা রকেটস টিমের সাথে লেকারসের সিরিজ সাত গেম পর্যন্ত গড়াইছিল। রন আর্টেস্ট আর কোবির কি লড়াই... খুব এনজয় করেছি। রন আর্টেস্ট গেম থাইকা ইজেক্ট হইল দুইবার। এখন তারা টিমমেট, একেবারে গলায় গলায় দোস্তি। :))
এন বি এ ফলো করা হয় না। কিন্তু চ্যানেল ঘুরাতে ঘুরাতে সামনে পরে গেলে উঠতেও পারি না। বাস্কেটবলের উন্মাদনা যে কলেজ থেকেই রক্তে মিশে আছে... তাছাড়া আর্মিতে এসে আরো খেলার সুযোগ পাওয়ায় আকর্ষণটা আরো বেড়েছে। তাই বাস্কেটবলের গন্ধ পেলেই উত্তেজিত হয়ে যাই 😉
ভাই খুবই ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে :boss:
অসাধারণ :hatsoff: :thumbup:
সহমত :hug:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation
ধন্যবাদ অনেক। আমার শিবিরে দেখি লোক অনেক। 😛
পারফরমেন্স ভিত্তিক স্যালারী সিস্টেম থাকতো ... বড় একটা প্লেয়ার পুল রাখা হত সবসময়, হ্য়ত প্লেয়ারদের মানসিকতার বদল হতো।
ইফতেখার ভাই, এই ব্যাপারে আপনার ভাবনাগুলা একটা পোস্ট হিসাবে দিয়া দেন। 🙂
আগে বিসিসি'র রাজিকরে আবার কোন গান রিলিজ করতে কওয়া লাগবো, তারপরে যদি ইফতেখার কোন পোস্ট দেয় 😉
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:pira: :khekz: ;;;
আমার পুরা ব্লগ এর চেয়ে এই ডায়ালগ বেশি পছন্দ হইসে................. 😀 😀
আর ব্লগ এর জন্য..................... :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
R@fee
এইটা হইল কাল্ট ব্লগ, কাল্ট মুভির মত। কেউ পছন্দ করলে অনেক করবে, কেউ অপছন্দ করলেও অনেক। মিডল গ্রাউন্ড নাই। 😛
যাউজ্ঞা, একটা গোপন কথা কই। এই ডায়লগটা আমারই কপিরাইট করা। আমার করা অধিকাংশ জোকস প্যাথেটিক হয়া যায় তো... :no:
😀 😀 😀
তৌফিক ভাই,বাংলাদেশ টীমে একজন এডজুট্যান্ট লাগবে,তাহলেই সব ঠিক হইয়া যাইব 🙂 🙂
যেই কথা আমি সবাইরে বলার পর আশরাফুল এর FAN রা আমারে মারতে আসে , সেই কথাটাই সুন্দর ভাবে , ভাল ভাবে বলছ। লেখাটা আমার ভাল লাগছে।
ভালো লিখছ।
বাংলাদেশ দলে কেউ একজন খুব ভালো খেললেই আমার ভয় লাগে, আবার না অতিরিক্ত চাপের কারণে খারাপ খেলতে শুরু করে! মানসিক পরিপক্কতা একটা বড় গুণ, যেটা আমাদের ক্রিকেটে বেশ দরকার হয়ে পড়েছে।
ভাই,সাকিবের পারফরমেন্স দেখে কয়দিন ধরে আমিও এরকম ভাবতেছি 🙁
পুরা পোষ্টের সাথে সহমত... লেখা ও বর্ননার ধরন বিষয়বস্তুকে সুন্দর করে তুলে ধরেছে... :salute:
তৌফিক ভাই,
বহুদিন পর দেখি আপনি তুমুল ফর্মে। 😀
আশার ফুল বহুত আশা ডুবাইছে, তারপরো আশা ছাড়ি নাই।
তবে এখন মনে হয় বাংলাদেশ জাতীয় দলে বেশ কিছু প্রতিভা আছে; আমি তাই আবারো আশান্বিত রইলাম; একদিন আমরাও ধরায়ে দিবানি।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
তৌফিক, খুব সুন্দর লিখসো..আমার মাথা বলতেসে তোমার সাথে সহমত হইতে, কিন্তু মন সায় দিচ্ছে্না।
ম্যাচের পর ম্যাচ আশরাফুল আমাদের দাগা দিয়ে যায়।প্রতিবারই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করি, তবু মনের মধ্যে কোথায় জানি অগাধ বিশ্বাস- একদিন আমাদের আশরাফুল খেলবে! আর আশরাফুল যখন ওর মত খেলে, তার কাছাকাছি রাজসিকতাও আর কোন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানের নাই। রকিবুল, রিয়াদ হয়তো প্রত্যেক ম্যাচেই ৩০-৪০ রান ধারাবাহিক ভাবে করে যাবে, কিন্তু ম্যাচ উইনার হিসাবে ওদের উপর এখনো পুরা আশা রাখা যায়্না। যখন ৩০০প্লাস টার্গেট নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামবে, আমার মনে হয় আশরাফুল ক্রীজে থাকার সময় প্রত্যেক বাংলাদেশীই অবচেতন মনে বিশ্বাস করে যে, আমাদের 'হইলেও হইতে পারে' টাইপের একটা আশা আছে। কিন্তু আশরাফুল আউট হওয়ার পরে রকিবুল-রিয়াদ ম্যাচ জিতাবে - এই বিশ্বাসটুকু জন্মাতে আমাদের আরো সময় লাগব।সেই পর্যন্ত আমি আমাদের আশরাফুলকে সময় দেওয়ার পক্ষপা্তী। আর আমার মনে হয়না যে, আশরাফুল কে রিপ্লেস করার মত এমন কোন কোয়ালিটি প্লেয়ার আমাদের হাতে আছে যে আমরা এখনো ওর উপর বিশ্বাস রাখার মত বিলাসিতা টুকুন দ্যাখাতে পারবোনা।
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
সহমত ভাইয়া।
আমি দ্বিমত, একসময় হয়তো আশরাফুল টিমের জন্য দরকারী ছিল, এখন আর তা নেই। বাংলাদেশে এখন ইন ফর্ম ব্যাটসম্যান অনেক আছে। আশরাফুলের রিপ্লেসমেন্ট কোন ব্যাপারই না। আর আমার জ্ঞান মতে, প্রত্যেক ম্যাচেই ৩০-৪০ রান ধারাবাহিক ভাবে করে যাওয়া প্লেয়ারকে ২০-৩০ ম্যাচ পরপর একটা ভাল ইনিংস (বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা সেঞ্চুরি নয়) খেলা প্লেয়ার থেকে অনেক অনেক বেশি প্রয়োজন, বিশেষ করে বাংলাদেশের মত দলে।
আশরাফুল ক্লাস প্লেয়ার হতে পারে, কিন্তু সে তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের কোন সময়ই ধারাবাহিক খেলতে পারেনি। বাংলাদেশ দলের নাজুক সময়ে (যখন আসলে ধারাবাহিক ভাবে কোন প্লেয়ারই পারফর্ম করতে পারতো না) আশরাফুলের মত প্লেয়ার দলে প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যখন এই দলটা একটা পর্যায়ে চোখে পড়ার মত উন্নতি করেছে তখন কোন অনিয়মিত প্লেয়ারকে পোষার কোন মানে হয় না।
বাজে ফর্মের কারনে একসময় সবার প্রিয়, বাংলাদেশ দলে কান্ডারি হাবিবুল বাসার কেও সবার নিন্দা বাক্য শুনতে শুনতে বিদায় নিতে হয়েছে সেখানে আশরাফুল কেন নয়। প্রতিভাকে প্রকাশ করতে না পারলে যে সেই প্রতিভার কোন মুল্য নেই, এই আবেগী জাতি তা কখনও বুঝতে পারে না।
মেহেদী, লজিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে তোমার সব কথার সাথেই আমি কমবেশী একমত...কিন্তু ঐ যে বললা আবেগের জায়গাটা- সেই জন্যই 'প্যাট্রিয়ট' কবিতার নায়কের মত আশরাফুলকে ছুড়ে ফেলতে এখনো মন সায় দেয়না...
যাইহোক, তুমি কাকে আশরাফুলের যোগ্য রিপ্লেসমেন্ট বলে মনে করো?
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
আমি আসলে বর্তমানে আশরাফুল এর রিপ্লেসমেন্ট হিসাবে কাউকে নির্বাচন করব না তবে আশরাফুলকে বাদ দিয়ে দল নির্বাচন করব। আবেগ টেনে ধরে বসে থাকলে আমাদেরকেও একজায়গায় বসে থাকতে হবে , এগোতে পারব না। এটা আমার একান্ত বাক্তিগত মতামত।
সহমত।ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট,ফর্ম ইজ টেম্পোরারি(যদিও আশরাফুলের ফর্ম... :(( )
ইংল্যান্ড যখন ৩৯৪ করল,তখন আশরাফুলের ৫২ বলে ৯৪ দেখে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ মনে হয় জেতার টার্গেট নিয়ে নেমেছিলো!!!ইংল্যান্ডের বোলাররা বল কোথায় ফেলবে বুঝতে পারছিলোনা-এই রাজসিকতা আশরাফুল ছাড়া আর কারো নাই।
ক্লাস ইজ ভ্যালুলেস হোয়েন দেয়ার ইজ নো ফর্ম। পৃথিবীর কোন দলে এই উদাহরন নেই যে, একজন আউট অফ ফর্ম প্লেয়ার শুধুমাত্র তার ক্লাসিকনেসের কারনে টিমে রয়েছে। অফ ফর্মের কারনে টেন্ডুলকার, গাঙ্গুলি, দ্রাবিড়ের মত প্লেয়ার দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকতে হয়েছে।
:boss: :thumbup:
কথাটা মানি। কিন্তু আশরাফুল এর পারফরম্যান্স দেখে আমি তো কনফিউজড হয়ে যাই- কোনটা ওর ক্লাস আর কোনটা ওর ফর্ম 😕
পড়লাম পুরাটা। ডিফল্ট মন্তব্য করবো কিনা ভাবছিলাম। সেটা করার দরকার নাই মনে হয়। কারণ এই বিষয়ে আমি আর কথা বলবো না ঠিক করেছি। তাই পরে এসে ডিটেইলস বলে যাব এই কথাটা বলা গেলো না।
শুধু একটা কথাই বলি বাংলাদেশের ক্রিকেট চলে জোকার থিউরিতে (ডিটেইলস বলবো না বলে থিউরীটা ব্যাখ্যা করবো না)।
পোস্টের সাথে একমত বা দ্বিমত কোনটাই না আমি। শুধু আমি বলতে পারি জাতিগত ভাবে আমরা বেশি মাত্রায় ক্রেজি। সেটাই সমস্যার গোড়া।যেহেতু আমাদের জাতিগত চরিত্রের বদল হওয়ার সম্ভাবনা আশু নেই সো সমস্যার উত্তরণ কঠিন হয়ে যাবে। একসময় অনেক আশা নিয়ে বাংলাদেশের খেলা দেখতে বসতাম। এখন মনে হয় সে সময় ফুরিয়েছে।