চট্টগ্রাম টেস্টের হতাশাজনক পরিসমাপ্তি (?) পর বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মনবেদনা লাঘবে আইসিসির সর্বক্ষমতাময় শারদ পাওয়ার এক ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। ‘লুইস-মুন্না-কামাল’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে চট্টগ্রাম টেস্টে জয়ী ঘোষণা করেছে আইসিসি।
প্রচলিত ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস’ কেন ব্যবহৃত হল না, তা বোঝার আগে আসুন আমরা জেনে নেই ঐ পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে।
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির প্রধান উপাদান হচ্ছে দলের রিসোর্স বা সম্পদ-অর্থাৎ,
১। একটি দলের নির্দিষ্টসংখ্যক ওভারকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো এবং
২। দলে কয়টি উইকেট বর্তমান রয়েছে।
ইনিংসের যে-কোন সময় দলের রান করার সক্ষমতা নির্ভর করে এ দু’টি বিষয়ের উপর। পূর্বেকার খেলাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে, ওভার এবং উইকেটের সাথে একনিষ্ঠ সম্পর্কের উপর নির্ভর করে দলের মোট রান সংখ্যা নির্ধারিত হয়। এই একনিষ্ঠ সম্পর্ক বা ঐক্যসূত্রের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ডাকওয়ার্থ-লুইসের কার্যাবলী।
-উইকিপিডিয়া
এখন পর্যন্ত সীমিত ওভারের একদিনের ম্যাচ এবং টুয়েন্টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটেই এটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ওভারের আধিক্য এবং রানের চেয়ে ক্রিজে ‘কোয়ালিটি টাইম’ কাটানোর উদ্দেশ্যই মূলত টেস্ট ম্যাচকে অন্যান্য ম্যাচ থেকে আলাদা করে। ফলে টেস্টে ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস’ তার গ্রহনযোগ্যতা হারায় (যদিও এর গ্রহনযোগ্যতা এমনিতেও খুব একটা বেশি নয়)। আর এভাবেই টেস্টে প্রাকৃতিক দূর্যোগজনিত কারনে অসমাপ্ত ম্যাচ নিস্পত্তির জন্য নতুন একটি পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। মোটামুটি এই হচ্ছে ‘লুইস-মুন্না-কামাল’ পদ্ধতির জন্ম ইতিহাস।
আইসিসির রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট প্রধান আলেকজান্ডার ক্রিকেট্টাকি তাইজানিনাবভ এর মতে, ‘ পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ ড্র হওয়াটা দর্শক, সমর্থক, এমনকি খেলোয়ারদের জন্যও দুঃখজনক। বর্তমানে ম্যাচ ড্র হচ্ছে মূলতঃ অতিমাত্রায় ব্যাটিং সহায়ক পিচ এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে। কিছু কিছু ম্যাচ অবশ্য অন্য কারনেও হয়। যেমন সম্প্রতি হওয়া পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি, যেখানে ম্যাচ ড্র হয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের অতি ধীর গতির ব্যাটিং, তাদের বাজে ফিল্ডিং এবং অতি অবশ্যই সাঙ্গাকারা-জয়বর্ধনে জুটির অতিমানবীয় ব্যাটিং এর কারনে। অবশ্য পাকিস্তানের মত মাথাখালি মানুষসম্পন্ন দেশের খেলোয়ারদের কাছে বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেট আশা না করাই ভাল। যা বলছিলাম, ব্যাটিং সহায়ক পিচ এবং বৃষ্টির পর কত দ্রুত মাঠ খেলার উপযুক্ত হবে তা নির্ভর করে ঐ দেশের ক্রিকেট ব্যবস্থাপনার উপর। যারা যতটা চৌকষ তাদের মানও ততটা উন্নত।’
‘লুইস-মুন্না-কামাল’ পদ্ধতিতে ক্রিকেটীয় নৈপূণ্যের চেয়ে ক্রিকেট ব্যবস্থাপনা নৈপূন্যকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এর কারন হিসেবে আইসিসি বলেছে, সকল দেশের ক্রিকেট অবকাঠামো এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলাই আইসিসির প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূর্ণ হলে মানসম্মত ক্রিকেট এমনিতেই নিশ্চিত হবে।
নতুন এই পদ্ধতিতে প্রতিটি ক্রিকেট বোর্ডকে ১০টি ফ্যাক্টর (১০x১)=১০.০০ এর মধ্যে স্কোরিং (পজিটিভ বা নেগেটিভ)করা হয়। ফ্যাক্টরগুলো হচ্ছে-
১। সততা ২। নিষ্ঠা ৩। দায়িত্ববোধ ৪। বোর্ডের ক্ষমতা ৫। সমস্যা মোকাবেলার দক্ষতা ৬। আতিথেয়তা ৭। মিডিয়ার সাথে সম্পর্ক ৮। সঠিক পরিকল্পনা ৯। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ১০। সমর্থকদের সমর্থন।
গত টেস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ বোর্ডের স্কোর ছিল ২.৫৬ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল ২.৪২। স্বাভাবিকভাবেই ‘লুইস-মুন্না-কামাল’ পদ্ধতিতে জয়ী হয় বাংলাদেশ। প্রথম তিন ফ্যাক্টরে নেগেটিভ স্কোর করার পরও বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের এই সাফল্য সত্যিই ঈর্ষনীয়!
আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই প্রাণপুরুষের নামে এই পদ্ধতির নামকরণ করা হয়েছে। একজন বিসিবি সভাপতি মোস্তফা কামাল এবং অন্যজন গ্রাউন্ডস কমিটি প্রধান শফিকুর রহমান মুন্না। আর ‘লুইস’ শব্দটা এমনিতেই রাখা হয়েছে, আইসিসি কিভাবে জানি জেনেছে ‘লুইস’ শব্দটা বাংলা ভাষাতেও ব্যবহৃত হয়! নিঃসন্দেহে প্রতিটি বাংলাদেশীর জন্য এ এক গৌরবান্বিত মুহূর্ত!!
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মূলত ডুবিয়েছে গেইল। বোর্ড কিছুতেই ওকে বাগে আনতে পারছে না, বারবার বলা স্বত্ত্বেও ওকে দিয়ে ক্ষমা চাওয়াতে পারছেনা। অথচ আপনাদের নিশ্চয়ই বিসিবি সভাপতির কাছে সাকিবের সেই ‘ঐতিহাসিক’ ক্ষমা প্রার্থণার কথা মনে আছে? এছাড়া একটার পর একটা বিতর্কের পরও দক্ষতার সাথে মিডিয়াকে সামলানোর ক্ষমতাতে বিসিবি অনেক এগিয়ে আছে। আর সমর্থকদের সমর্থনের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই!
অবশ্য নিন্দুকেরা বলছে শারদ পাওয়ার হস্তক্ষেপ করার কারনে ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে এসেছে। এমনিতেই বাংলদেশীরা নদীর পানি নিয়ে ক্ষেপে আছে। তাই বৃষ্টির পানি নিয়ে আর নতুন করে ক্ষেপার সুযোগ তিনি দিতে চান নি।
যাই হোক, নিন্দুকেরা অনেক কিছুই বলবে…আসুন আমরা ‘লুইস-মুন্না-কামাল’ পদ্ধতির সুন্দর ও সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য শুভ কামনা করি।
:khekz:
রেজু, আছিস কেমন?
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:khekz: :khekz: :khekz:
জুনা, আমি হাসতে হাসতে শ্যাষ। প্রথমে ভাবছিলাম আসলেই জিতছে, ক্রিকইনফোতে ঢুকতে নিছিলাম, পরে জুনা দ্য গ্রেট দেইখা আরেকটু সময় নিছি। লেট খেলছি বইলাই ধরাটা খাইলাম না ।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
ফয়েজ ভাই, মনের দুঃখ এই ভাবে ডাইভার্ট করলাম আর কি... 🙁
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:goragori: :khekz: :)) 😀
😛
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
=)) =)) হাহপিগে =)) =))
😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হাস্তে হাস্তে মিরা গ্লাম! =)) =))
ব্যাটা এত ত্রাত্রি ম্রিস্না... 😛
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হা হা হা।
জুনাদা , সিরাম হইছে বরাবরের মতৈ।
নাম দেইখা আমি একটু কনফিউস হয়া গেছিলাম। মানে কামাল মুন্নার সাথে লুইস সাহেবের সম্পর্ক বের করতএ। বোর্ডের মার্কিং এ আপনার ক্রইটেরিয়া গুলো ব্যাপক। তারো চেয়ে মজা পাইছে দিই বোড়্ডের মার্ক দেইখা 😀 😀
ছোট্ট থ্যাংকু!
পরে আইসা তোরে বড় থ্যাংকু দিমুনে... 😛
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
=)) =)) =))
:pira: :pira: :pira:
:shy:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
ব্যাপক গবেষণার ফল এই প্রবন্ধ! শুনলাম, বিকেএসপিতে খেলাধুলার ওপর গবেষণা বিভাগ খোলা হয়েছে!! জুনা কি ওই বিভাগে যোগ দিছ নাকি?? :grr: :grr: :grr:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
সানা ভাই, ট্রাই করছিলাম...কিন্তু আমারে কইসে সাহিত্যে (!) মাস্টার্স না থাকলে বিকেএসপিতে খেলাধুলার ওপর গবেষণা বিভাগে কোন চান্স হবে না... :((
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আমি কিছুই বুঝলাম না 🙁
তুই বিসিবি 'রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট প্রধান' হিসেবে পার্ফেক্ট!!! জয়েন করে ফেল... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
=)) =))
=)) =)) =))
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ কারিগরী ত্রুটির কারণে পোষ্টটির লেখকের নামের স্থলে জুনায়েদ কবীর (ভাই :P) ছাপা হয়েছে। 😛
পোষ্টের লেখকের নাম দেইখ্যাই আমি তাড়াতাড়ি বাইরে জানালা দিয়ে বাইরে উঁকি দিছি, সূর্য কী উঠছে? উঠলে কুনদিকে উঠছে? :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমিও :grr:
ছোট, ম্যালা ফাঁপড় নিতেছস??
যা, সূর্যের সাথে লং-আপ হয়ে থাক... x-(
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনাদা, সূর্য তো উঠেই নাইক্যা!! নাইলে কী আর আপনি পোষ্টান 😛
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
কতকাল পর... আহারে... :dreamy:
হ মেলা দিন পর...
আছিস কেমন রে???
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনা ভাই..কেমন আছেন?অনেকদিন পর সিসিবিতে ঢুকে লেখাটা পড়ে বিয়াপক মজা পাইলাম...
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
:khekz: =))
😀
জুনা দ্য গ্রেট :boss:
ইশ একটা মিরাকল হইয়া যদি কালকে ওয়ার্ল্ড রেকর্ডটা হইয়া যাইতো :dreamy:
অবশ্য দেখা যাবে চিরাচরিত ভাবে লাঞ্চের আগেই বুকড 🙁
বড় ভাইয়ের 'রিকোয়েস্ট'টা রাখিস কিন্তু :hug:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ুম ভাই, কতকাল পরে সিসিবিতে আপনের পায়ের ধূলা পড়লো।
আপনেরে দেইখা খুবই ভালো লাগলো। ;)) ;))
ওই ব্যাটা, সিসিবিতে পায়ের ধূলা পড়বো ক্যান! দেশের আর মায়ের পর সিসিবি হইলো আরেক জায়গা যেখানে ঠেকাই মাথা :salute: আরও ডিলেইলসে কমেন্ট করমু পরে আইসা ;)) :-B
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ুম ভাই, আপনার মন্তব্যটা খুব ইন্টারেস্টিং ছিলো। নতুন কিছু ভাবনার উদয় হলো এ কমেন্ট পড়ে। এ ব্যাপারে পরে ডিটেইলস মন্তব্য করবো।
মোসাদ্দেক ভাই নাই। তাই আপাতত নিজ দায়িত্বে মিষ্টি খাইয়া লই। 😀 😀
😀 :hug:
আসোস ক্যামন? এখনও কইতে পারোস, চাইলে পরে আইসা ডিটেইলসেও কইতে পারোস 😛
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
হা হা হা।
আসি ভালোই। দেশের মত ব্যস্ততা নাই। তৌফিক দম্পতির ছায়ায় বিদেশে দেশি ফ্লেভারে আছি। চাকরি করার সময় ছাত্রজীবন মিস করতাম আর বিয়ে করার পরে ব্যাচেলর জীবন। দুইটাই ফেরত পাইছি। ডিটেটেইলস বলার মত তেমন কিছু নাই বইলা ঝুলাইতে পারলাম না। 🙂 🙂
আপ্নের খবর কি??
গেলিতো অনেকদিন হয়া গেলো, দেশে আসবি টাসবি না তোরা?
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আমার আসার প্ল্যান ছিলো সেপ্টেম্বরে । অনিবার্য কারণ বশত স্সগিত হয়া গেলো। তৌফিকদের যাওয়ার কথা ছিলো এই মাসের শেষে। ঐটাও অনিবার্য কারণ বশত স্থগিত।
আমার টার্গেট আপাতত আগামী ঈদ (রোজার) পরবর্তী সিসিবি গেট টুগেদারে অংশগ্রহণ। দেশে গিয়া জমায়া আড্ডা দিতে হবে 🙂
আপ্নে কি এখনও আগের ঐ বাসাতেই আছেন ??