নজরুল দ্যাখো চলিয়াছি মোরা, বীর বিক্রমে ফুলে,
“বিদ্রোহী” নাম বুকেতে লাগায়ে,রাজার মতন দুলে।
মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম জানি, তবুও কিসের ভয়ে,
বিধাতার মতো চঞ্চল হয়ে, চলিতেছি ধীর লয়ে।
লজ্জা পেওনা নজরুল তুমি, যদি দেখো চোখ ফাঁড়ি,
ছুটিনা যে মোরা উল্কারও বেগে, হাঁকি শুধু দামি গাড়ি!
আগাইনা মোরা সাহস করিয়া, দুর্গম কোন পথে,
পাঠাওনা কবি “দুরন্ত পথিক”, উঠিব তাহার রথে।
দূর মহাকাশে দৃষ্টি ছোটেনা, ধরিয়াছে চালশে,
অতলে ডুবিব? পাগল তুমি! মোরা খুব আলসে।
একি বল তুমি ! “সকল সময়ে শির রেখ উন্নত”,
কতো ম্যানহোল, কতো ঘোরাতল, সজ্ঞানে হব হত?
নজরুল তুমি তবু জেনে রাখো, তোমাকে আমরা মানি,
“অন্যায়” দ্বারে পদাঘাত নয়, মৃদু “টোকা” মোরা হানি।
যদিবা তখন, “মূর্তি” ভীষণ, দাঁড়ায় আসিয়া দ্বারে,
জান নাকো তুমি? ভীতু মোরা খুব, কটা মাথা কার ঘাড়ে?
লাথি মেরে কভু, ভাঙ্গিনা যে তালা, মোরা খুব শান্ত,
দু-তিন নাড়ায় যদি নাহি খুলে, তবে দেই ক্ষান্ত ।
ডাকি নাকো মোরা গর্জিয়া উঠি, ছাড়ি নাকো কোন হাঁক,
“অসত্য” সব অকাতরে ছোটে, যেখানে যাবার যাক ।
নজরুল তুমি কষ্ট পেওনা, যদি দেখো কভু এসে,
কোনো লোক নেই,এই আঙ্গিনায় যে এ দেশ ভালবাসে!
সত্যের তরে লড়ে নাকো কেহ, সৎ লোক নাহি জোটে,
নেই সে যুবক, যে কিনা সদা, আগুনের মতো ছোটে।
সব দেখো আজ, বিলাসে পূর্ণ, রাজা-রাজড়ার দল!
কোথায় তোমার তরুণ শক্তি, কোথায় ছাত্রবল?
চেয়ে দেখো আজ, এ দেশের তরে, কোথা নেই কোনো বীর,
কর্মী দলেতে কেউ নেই সব, বাক্যে যুধিষ্ঠির!
কাঁদছো তুমি ! আহারে কবি ! কি আর করিব বলো?
“মাথাটা” পাকিছে, কলপে চলছি, “বয়স” কি কম হলো?
“মাথাটাকে” আজ বদলাতে হবে, বদলাতে হবে “চুল”,
দেখো তুমি তবে, সব ঠিক হবে, কেঁদো নাকো নজরুল !
১টি মন্তব্য “নজরুল ! দ্যাখো…”
মন্তব্য করুন
অনেক ভালো লাগলো, চমৎকার হয়েছে।