হৃদয়ের রাজপথে
———————
শহর জুড়ে সে ছড়িয়েছে শপথের ঘ্রাণ,
তপ্ত পথের বুকে উড়িয়েছে ধূলো,
অবাধ্য ঝাঁকড়া চুলে যুবকের অবিনাশী দেহ
রক্ত-আখের বুকে জড়িয়েছে প্রাণ।
সৌর তারা ছাওয়া আকাশের মতো
নূর হোসেন আজও জাগে অনির্বার
স্বদেশের দিনরাত্রি জুড়ে;
বিদীর্ণ সে বুকের রক্তে ভাসে পথ মাঠ নদী
উন্মাদনায় হাসে মাটি বাংলার।
বোনেরা কোত্থেকে ছুটে এসে ওই উদোম, কোমল শরীর
মাখে মমতার রং; প্রণয়ীরা এসে রোজ ভোরে
ছুঁয়ে দেয় বিকশিত দেহ ওই বিনম্র শ্রদ্ধায়;
এমনকি বুলেটেরা ধেয়ে আসে আজও তুমুল বেগে
অমরত্ব বিলিয়ে অহরহ ওই নিরস্ত্র শরীর ছুঁড়ে।
যুবকের বুকে-পিঠে পাঁখা অজর; অমর শব্দাবলী
আমাদের চোখের পানে ভরে খেলা করে;
ঝাপটিয়ে দুর্বৃক্ত ডানা ওরা বুঝি ঢেকে দেবে রক্তচক্ষু,
মুছে দেবে যত স্বৈরাচারী প্রেত আর
দুরাচারী আঁধারের ছায়া।
ফাগুনে আগুন ছড়ানো কৃষ্ণচূড়ার মতো
অথবা ভোরের লালিমাস্নাত আকাশের মতো
নূর হোসেনের বুকের খুন আজও স্পর্ধা চূড়ায়
আমাদের হৃদয়ের রাজপথে।
__________________________________
__________________________________
নূর হোসেন
——————
স্বৈরাচার নিপাত যাক
গণতন্ত্র মুক্তি পাক’
ছয়টি শব্দে পৃথিবীর সব দাবী বেঁধে দিযে
বুক ও পিটের পৃষ্ঠায় ছেপে নিয়ে অমর কবিতা খানি
কোথায় মিশে গেলে কবি?
পৃথিবীর শত মিছিলের যত দৃঢ় নদ, যত প্রতিবাদী হাত
তার গুরুভার ক্ষীণ দেহে তুলে নিয়ে
কোথায় হারিয়ে গেলে বিদ্রোহী?
দেশময় যত সবুজ তোমার ঐ শ্যামল বুকে তুলে নিয়ে
স্বপ্নের জমিনে রুয়ে প্রত্যাশার চারা
কোথায় ঘুমিয়ে গেলে চাষী?
ঘন কালো চুলে মেখে নিয়ে অনন্তের রং
একুশ শতকের যত কথা বিংশ শতাব্দীতে বলে দিয়ে
সময়ের কোন ফাঁদে পড়ে গেলে পথিক?
এখনো কবিতার খাতা, ফসলের ক্ষেত এমনকি
বুকের জমিন জুড়ে, দেখি শুধু শূন্যতা
এখনো রাত-বিরেতে বুলেটের শব্দ, রাজপথে পড়ে লাশ।
আবার হোক না দেখা নূর হোসেন
নূর হোসেন! নূর হোসেন!
হায় হোসেন!
হেলাল,
কবিতাদুটি সত্যি খুব ভালো হয়েছে। একটু পুরনো ধাঁচের হয়েছে, আলাউদ্দিন আল আজদের লেখা মনে পড়লো।
কিন্তু পড়ে সেই উত্তাল সময়ের অনুভূতিটা ফিরে এলো।
ধন্যবাদ।
কবিতা ২টি ভালো লেগেছে। কবির পূর্ণ নাম জানতে চাই।