বিশ্বকাপ নিয়ে আরেক কিস্তি

অনেকেরই ধারনা, ৮২-তে ২৪ দল অন্তর্ভুক্তির পর থেকে বিশ্বকাপটা বদলে গেছে। কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। বিশ্বকাপের প্রতিযোগিতার থিমে সবচেয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে ৮৬ থেকে। ৮২-তে দল বেড়ে কলেবর ও নক আউটের পরিধি (সেমিফাইনাল অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়) খানিকটা বাড়লেও প্রতিযোগিতা মূলতঃ রয়ে গিয়েছিল রাউন্ড রবিন লীগ কেন্দ্রিক। প্রথম ও দ্বিতীয় দুইটা রাইন্ডই হতো রাউন্ড রবিন লিগে। ৭৮ পর্যন্ততো সেমিফাইনালও ছিল না। ৮২-তেই প্রথম সেমি ফাইনাল হয়।

বিস্তারিত»

জ্বরে পুড়ে ফুটবল জ্বরঃ প্রথম প্রেমে পড়িনি।

শেষ বিকেলের রোদ এসে পড়ছে চোখে। বাবার কোল থেকে নেমে দাঁড়ালাম। গাজীপুর সেনানিবাসের ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে বেশখানিকটা গাড়িবারান্দার শেষ প্রান্তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ভাইয়া। লনে হাঁটছে শফিক মামা। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়ে দেখি দোতালার বারান্দায় বসে মা হাসছে। লজ্জায় পা নড়াতে পারছি না। আমার পায়ের সামনে বলটা ছেড়ে দিল বাবা। আজকে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার খেলা হবে। আজকে আমি ব্রাজিল, কারণ গতকাল ভাইয়া ছিল ব্রাজিল। বল নিয়ে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ভাইয়ার সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেললাম।

বিস্তারিত»

একটি পারিবারিক ফুটবলীয় গল্প

বিশ্বকাপ/ফুটবল প্রসঙ্গে আমার লেখাটি কতোটুকু প্রাসঙ্গিক তা জানিনা।বিশ্বকাপ এর শুরুতে প্রচণ্ড ফুটবল প্রেমিক একজন মানুষের কথা শুনতে হয়তো সবার ভালোই লাগবে

ক্যাডেট কলেজের ফুটবলের কথা আশাকরি সবারই মনে আছে। আহ!কি রোমাঞ্চকর দিনগুলি। নভিসেস ড্রিল এর আগে হাড় ভাঙা পরিশ্রমের মধ্যে মাঝে মাঝে যখন বিকেলে ড্রিলের জায়গায় গেমস করার সুযোগ পাওয়া যেত,মনে হতো “এত সুখ কি আমার কপালে সইবে?” নাহ! সুখ বেশীদিন সয়নি।

বিস্তারিত»

প্রথম প্রেমের গল্প

শুনেছি মানুষ নাকি তার প্রথম প্রেমকে ভুলতে পারেনা। আর সেখানে যদি থাকে বেদনার গল্প, তাহলে তো আরো ভুলার কথা না। আজকে প্রথম প্রেম এর গল্প বলতেই বসলাম।

না, কোন মানবীর গল্প বলছিনা। বলছিলাম “রোনাল্ডো-দ্যা ফেনোমেনন আর ব্রাজিল” এর কথা।

গল্পের শুরুটা ১৯৯৮ এর কোন এক পড়ন্ত দুপুরে। পড়ি তখন চতুর্থ শ্রেনীতে। বাড়িওয়ালাদের ছেলে রিমন এর সাথে আমাদের ভাই-বোনের খুব ভালো সম্পর্ক।

বিস্তারিত»

আন্তর্জাতিক ফুটবল অনুসরণ: শুরুর স্মৃতি

জীবনে প্রথম যে আন্তর্জাতিক ফুটবলটা ফলো করেছিলাম, সেটা বিশ্বকাপ না, মিউনিখ অলিম্পিকের ফুটবল।

৭২ সালে ক্লাশ টুতে পড়ি। একটি ক্লাশ টু-এর ছেলে অলিম্পিক ও তার ফুটবল ফলো করেছে, এখনো তা মনে করে রেখেছে, এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবে না। কিন্তু কি করার, আমরা যে স্মৃতিধারী তরুনতম মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। আমাদেরকে পুরনো অনেক কথা কষ্ট করে মনে রাখতে হয়েছে / হচ্ছে ভবিষ্যতে জীবন্ত ফসিল রোল প্লে করার জন্য।

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপ দেখোয়াড়

হোসে মরিনহোর মত নিজেকে স্পেশাল ওয়ানই মনে করি।বিশ্বকাপের নিচে কোন খেলা দেখিনা।সেই হিসেবে আমাকে বিশ্বকাপের খেলোয়াড় থুড়ি দেখোয়াড় বলতে পারেন।আমার মিতা, প্রয়াত টিটো ভিলানোভা বেশ ভাল খেলতেন।আমি যে খুব খারাপ খেলতাম তা কিন্তু নয়।প্রাইমারীতে গোল্লাছুট আর বদন দুই খেলাতেই ছিলাম বাগুন লচপচি! সেইরাম খেলতাম।না হলে কি আর দুই দলেই খেলা যায় ? কালেভদ্রে ফুটবল খেলতাম বটে।সাদা রংয়ের বলটাকে লাথি মারে।বড্ড মায়া হত আমার।হঠাৎ বলে পা লাগলে মনে মনে ছালাম করতাম আর গুনে রাখতাম কয়বার পাপটা করা হলো।

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপ ৯৮ আর কিছু ভোল পাল্টানোর গল্প

১। ‘৯৮ এর বিশ্বকাপ। বয়স দশও হয়নি, তারপরও বিশ্বকাপের আমেজটা পেয়ে বসেছিলো ভালো মতোই। প্লেয়ার বলতে যদিও এক রোনালদোকেই চিনতাম, তারপরও আমার মাথায় খালি বিশ্বকাপই। বিশ্বকাপ বলতে খাতায় সারাদিন একটা বেল মাথা ৯ নম্বরের রোনালদো আর নীল রং এর উডিউড পেকার টাইপের বিশ্বকাপের মাসকট ফুটিক্স আঁকা !

২। বিশ্বকাপ শুরু হলো। বাসার ছাদে ব্রাজিলের পতাকা লাগলো, কারণ ফ্যামিলিগত ভাবেই সবাই ব্রাজিলের কড়া সমর্থক।

বিস্তারিত»

উন্মাদনায় মাতি ফুটবলে বাঁচি

আপডেট: প্রতিযোগিতার সময় সীমা বাড়িয়ে লেখা জমা দেবার শেষ সময় ১০ জুন ২০১৪ করা হলো। এখনো লেখা না দিয়ে থাকলে এই সুযোগে মেতে উঠুন ফুটবল উন্মাদনায়!

ম্যারাডোনার ঈশ্বরের হাতের বা ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা গোল কিংবা তার কান্না ভেজা চোখ, রজার মিলারের কর্ণার ফ্লাগের সামনে নাচ কিংবা ভালদামারো হিগুইতার চুলের বাহার, বেবেতোর সদ্য জন্ম নেয়া শিশুকে উৎসর্গ করা রোমারিও-বেবেতো-মাজিনহোর গোল উদযাপন কিংবা টাইব্রেকার মিস করে ব্যাজিওর নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা,

বিস্তারিত»

৮ বছর, ১১মাস, ২৫ দিন পর…

শুরুটা ১৯৯৮ সাল থেকে। সে বছরই অনেক অনুনয় বিনয়ের পরে পিতা মাতার কাছ থেকে বাসায় ডিস সংযোগের অনুমোদন পাওয়া গেল। শুধুমাত্র বিটিভির দর্শক হয়ে থাকা আমার সামনে হঠাৎ করে হাজির হলো পুরো নতুন এক জগৎ। প্রথম দু এক দিন মনে হয় শুধু চ্যানেল বদলিয়েই সময় পার করেছিলাম, কিন্তু তারপরেই রক্তের টানে পেয়ে গেলাম আমার আসল ঠিকানা, স্পোর্টস চ্যানেল। যে খেলা দেখায় তাই দেখি, গলফ, বোলিং এক্স গেমস কিছুই বাদ যায় না।

বিস্তারিত»

জন্মদিন পোস্টঃ শরীফুর রহমান মজুমদার

যেই ছেলেটাকে নিয়ে লিখব তার সাথে কলেজ জীবনে খুব কমই বনিবনা হয়েছে। ক্লাস সেভেনে যখন তিতাস হাউজে আসি তখন আমরা একই রুমেই ছিলাম। ওর সাথে আমার প্রথম ঝগড়া ছিল খুব সম্ভবত রুমের কর্তৃত্ব নিয়ে। এরপর আরও অনেক কিছু ছিল ঝগড়ার বিষয়। মাঝেমধ্যে জুনিয়রের সামনেও দুই একবার ঝাড়ছি রাগ সামলাতে না পেরে। কিন্তু সব কিছুর পর যখনই কিছু দরকার হয়েছে ওর কাছেই গিয়েছি। এখনও যাই।

যখনই মনে হয় কোন কিছু নিয়ে জানা দরকার তখন আর কেউ না জানুক শরীফ ঠিকই জানবে আর সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে।

বিস্তারিত»

ক্ষুদে কবিতা- ২

নাড়ীর টান

বৃষ্টি এলো নূপুর টুপুর আবেগেতে টান।
পরবাস লু হাওয়ায়
পরাণডা আনচান !

ক্যারিবীয় কীর্তিনাশ

বিশ্বসেরার সাথে হবে
জমজমাট ম্যাচ।
ক্যারিবীয় কীর্তিনাশে গ্যাংনাম নাচ !

বিস্তারিত»

ক্ষুদে কবিতা

রুদ্ধ আকাশ

কে বলে উন্মুক্ত আকাশ ?
গরল বর্ষনে প্রস্তুত
ঘন মেঘে রুদ্ধ !
অমৃতের ছদ্মবেশে যার ছিটে ফোটা
পৌঁছে গেছে শোবার ঘরে।
চাতক মন অতৃপ্ত!

হারিকিরি

একদেশ দুই নীতি
চায়না  পাকি পিরীতি !
মুষিকের নেতাগিরি
হংকংয়ে হারিকিরি !

Frozen Heart

Winter shook the bones
With arctic vortex.

বিস্তারিত»

ক্রিকেট স্বপ্ন

মাখন মাখা থাবা গলে
জয়টা যেন গেল পিছলে।
শুনছি এখন নতুন বাণী,
টাকার চেয়ে অনেক দামী
ছাগদুগ্ধে পরিপুষ্ট আফগানী।

সেলাম সিংহ লংকা
আবার হলে রাজা।
তোমায় দেখে বাড়লো জোশ
মনটা আবার তাজা।

সাবধান বেটা কাবুলিওয়ালা
ঘাড় মটকে খাব এবার
থলি ফেলে পালা।

শেরপা শ্রেষ্ঠা নেপালী
ভোঁতা হবে ভোজালী
চামড়া বড্ড শক্ত আছে
খাই না তো ঘাস বিচালী।

বিস্তারিত»

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থিম সং এবং মিউজিক ভিডিও

গত পরশুই মাত্র থিম সং টি শুনলাম। গানটা ভাল লেগেছে কিন্তু সিক্সটিন সিক্সটিন কেন বলছিল বুঝতে পারছিলাম না। আশাকরি লেখাটা পড়ে এবং গানটা শুনে সিক্সটিন সিক্সটিন কেন বলা হচ্ছিল সেটার উত্তর কেউ দিবেন। যাই হোক সেটা বাদে রেফায়াত আহমেদ ও অনম বিশ্বাসের কথায় এবং ফুয়াদ আল মুক্তাদির ও কৌশিকের সুরে গানটি ভালই লেগেছে যদিও গানের সুর কিংবা গানের কথা বাংলাদেশকে পুরোপুরি রিপ্রেজেন্ট করতে পারেনি। আমরা শত চেষ্টা করেও খাটি বাংলা গান বানাতে পারলাম না।যতটুকু না ঢুকালেই নয় যেমন স্টেডিয়াম কিংবা ক্রিকেট এসব বাদেও আরো ইংরেজীকে ঢুকাতেই হল।

বিস্তারিত»

মন্তব্য সংকলন

এক

একটি পারুল বোন

জেগে ওঠো সব ক্যাডেট,
সাত ভাই চম্পা।
রুপালী পর্দায়,
একটি পারুল বোন,
হাসনাইন শম্পা ।

( ০১.০২.২০১৪)

[ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেট চিত্র নায়িকা শম্পা হাসনাইনের সমর্থনে]

দুই

২০১৪ শিক্ষাবর্ষের পঞ্চম শ্রেণীর গণিত বইতে ২৪ নং পৃষ্ঠায় গড় অংকের ৫নং উদাহরণে ক্রিকেট দলে উইকেট রক্ষক নাই।

বিস্তারিত»