মনে হয় পূর্ণিমা ছিল সেই রাতে। বাসায় ফিরতে ফিরতে সাড়ে এগারোটা। খেতে খেতে আরো এক ঘন্টা। সাড়ে ১২টার সময় বউ এসে জানালার পর্দা সরিয়ে বললো, দেখো কি সুন্দর চাঁদ। আমার চোখে ঘুম, আগ্রহ বেশি ঘরের চাঁদের দিকে, তাই কোনো রকম বাইরে তাকিয়ে বললাম, ওঃ তাইলে আজও চাঁদ উঠছে!! 😮
পরের দিন বউ ঘোষণা দিল আমি হইলাম এই বিশ্বের সেরা আন-রোমান্টিক ছেলে। আমার মধ্যে নাকি রোমান্টিসিজমের কিছুই নাই।
মালেয়শিয়ার চিঠি – ২
[ গতকালের আমার লেখা পরে অনেকের খারাপ লেগেছে। আজকে তাই একটি মজার ঘটনা লিখলাম ]
আজকের সকালে বাসার নিচের দোকানে গেলাম কিছু কেনাকাটা করতে। দোকানের লোকটা জানে আমি বাংলাদেশি। সে আমাকে মালায়শিয়ান জাতিয় পত্রিকা কসমোর একটা পাতা দেখিয়ে বলছে,
“দেখ, তোমাদের দেশের কথা লিখছে”। কসমো মালায় ভাষার পত্রিকা, তাই উনি আমাকে বলেদিলেন কি লেখা আছে। পত্রিকার হেডিং হল “বাংলাদেশি মানুষের আকষন”। এক মালায়শিয়ান মেয়ে বাংলাদেশি একছেলের প্রেমে পরে বাংলাদেশ এ চলে গেছে।
মালেয়শিয়ার চিঠি – ১
[ মালেয়শিয়া তে ৮০ হাজার বৈধ ও ৪০ হাজার অবৈধ শ্রমিক কাজ করছে । এদের প্রায় সবাই নিদারুন কষ্টে আছে। তাদের কষ্ট দেখার কেউ নাই। এই সব হতভাগ্য মানুষ দের কিছু ঘটনা নিয়ে লিখছি … ]
১৯৬৫ সালেও মালয়শিয়া ছিল ৩য় বিশ্বের একটা দেশ। আর আজকে তারা পৌঁছে গেছে উন্নত বিশ্বের দরজায়, ২০২০ সালে তারা নিজেদের কে উন্নত বিশ্বের দেশ হিসাবে ঘোষনা দিবে।
বিস্তারিত»আবারো একডজন অনুকাব্য দুইটা কম
[আনেকদিন কিছু লিখি না। কাজ বাড়ছে। কাজেই সামনে লিখতে পারব তার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। তাই লেখার ধারা ধরে রাখার জন্য একদমই ট্রাস কিছু অনুকাব্য দিলাম। কয়েক দিন গ্যাপ দেয়ার কারণে এমনিতেই কেমন অসস্তি হচ্ছে। অনেকটা আড্ডার মত। আড্ডায় একদিন গ্যাপ দিলেও পরদিন যেমন ঠিক ছন্দ খুঁজে পাওয়া যায় না অনেকটা সে রকম। তো সেই অসস্তি কমাতেই লেখা দিলাম। তার চেযেও বড় কথা ব্রাকেটের এই কথা গুলা হুদাই লেখা।
বিস্তারিত»আকর্ষণীয়া, সুন্দরী আর চঞ্চলার গল্প
আমরা সবাই তাদের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা মাত্র কাশ শুরু করেছি। সে আমাদের অর্থনীতির ছাত্রী ছিল না। তার নাম দিলাম আকর্ষণীয়া। তার দুই বন্ধু পড়তো আমাদের সাথে। তাদের একজনের নাম দিলাম সুন্দরী, আরেকজন চঞ্চলা। মাঝে মধ্যে সাথে দেখতাম একটি ছেলেকে। তার নাম দিলাম পাজী। x-(
তখন আমাদের মধ্যে কয়েকটা গ্রুপ। সবচেয়ে বেশি এসেছিল ঢাকা কলেজ থেকে। ওরা একটা গ্রুপ। নটরডেম আরেকটা গ্রুপ।
চাকু উই মিস ইউ
কলেজে প্রথম যেদিন ঢুকলাম সেদিন খুব বেশী কারও সাথে পরিচয় হয় নি । অপিরিচিত একটা জায়গায় গিয়ে সব কিছু কেমন জেন আজব আজব লাগছিল । আর তাছাড়া এমনিতি মনটাও খারাপ থাকার কারনে ( যেহেতু বাবা, মা কে ছাড়া প্রথমবারের মত থাকতে যাচ্ছি ) কোনদিকে খুব একটা মন ছিল না। শুধু দুয়েকজন যাদের কোচিং থেকে চিনতাম তাদের সাথেই কথা বলছিলাম। আর রুম লিডার মাঝে মাঝে এটা সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন।
বিস্তারিত»‘বাথরুমে বসিয়া বসিয়া সাইফুর রহমানের ছেরি দেখা’
সাংবাদিক হিসেবে প্রতিদিনই নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়। সেই অভিজ্ঞতার গল্পও কম মজার না।তবে এই গল্প বা অভিজ্ঞতা আমার না, মুন্নী সাহার। মুন্নীর কাছেই শোনা এটা। আমি প্রথম শুইনা :pira: গেছিলাম। সবাইরে শুনাই। গত বছরের ঘটনা, জরুরী অবস্থার সময়, যখন সাইফুর হইলো বিএনপির নতুন নেতা, খালেদা জেলে।
মুন্নী কদিন আগে গিয়েছিল সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সাক্ষাৎকার নিতে, নিউজ করার জন্য। তার গুলশানের বাসায়। সাধারণত সাইফুর রহমান নীচে ড্রয়িং রুমে বসে কথা বললেও এখন আর তার নীচে নেমের আসার শক্তি নাই।
বিস্তারিত»লাইবেরিয়া : ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ু
এখানের একটা লেবানিজ দোকানে মালামাল অর্ডার করে অপেক্ষার ফাঁকে মালিক ভদ্রলোকের সাথে কথা হচ্ছিল। আমাদের ইউনিফর্মের সাথে দেশের নাম আর পতাকা লাগানো থাকে বলে অনেক সময়ে সেটাই হয় কথা শুরু করার প্রথম টপিক। দোকানদার ভদ্রলোক কথায় কথায় আমাদের জনসংখ্যা জানতে চাইলেন। সংখ্যাটা ১৬০ মিলিয়ন জানতে পেরে চোখ কপালে তুলে দিয়ে বললেন, “ইউর কান্ট্রি মাস্ট বি ভেরি বিগ”। আমি খানিক হেসে তাকে জানালাম আমার দেশ লাইবেরিয়ার চাইতে সামান্য একটু বড়।
বিস্তারিত»স্বপ্নময় স্মৃতি – স্মৃতিময় স্বপ্ন ৩
[স্বপ্নময় স্মৃতি – স্মৃতিময় স্বপ্ন ১] [স্বপ্নময় স্মৃতি – স্মৃতিময় স্বপ্ন ২]
ছোটবেলায় জামাকাপড় পাল্টানোর জন্য খুব বেশি চিন্তা করতে হত না। স্রেফ দিগম্বর হয়েই কম্মটা সেরে ফেলা যেত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে লজ্জা নামক ব্যাপারটা সংবেদনশীল হয়ে দেখা দিল। তখন হয় লুঙ্গী বা টাওয়েল পেঁচিয়ে অথবা রুমে খিল তুলে ড্রেস চেঞ্জ করতাম। ক্যাডেট কলেজে লুঙ্গি এক অচিন্তনীয় বিষয়।
বিস্তারিত»ভুইলা গেছি ও একটা ফাও গল্প
১.
ক্যাডেট কলেজে। প্যারেন্টস ডে । এক শুক্রবার সকালে অভিভাবকরা আসতো কলেজে, খাবার আনতো, দেখা করতাম, খেতাম। এক বেলা বাবা-মার সঙ্গে থাকার আশায় সারা মাস অপেক্ষায় থাকতাম। একবার ঢাকা থেকে আমার বাবা গেলেন একা, আমাকে দেখতে। নিয়ম ছিল প্যারেন্টসরা এসে একটা কাগজে নাম লিখে দেবেন, তারপর আমাদের কাছে খবর যাবে, আর আমরা যাবো নির্দিষ্ট স্থানে। হাউজের সামনে বাস্কেটবল কাম প্যারেড গ্রাউন্ডে সামিয়ানা খাটিয়ে প্যারেন্টসদের বসার ব্যবস্থা থাকতো।
শুভেচ্ছা রাশি রাশি; সকল সিসিবিবাসী
ঠিক ইচ্ছে ছিল না হাজারতম পোস্টে আলাদা করে কিছু লিখি। কারণ এ পোস্ট বিষয়ক আইডিয়া নিয়ে একখানা পোস্ট আগেই করেছি। যার জন্য ব্লগ এডজ্যুটেন্টের একই পোস্টে অনেকেই আমরা অংশীদার হতে পারছি। তবু কলেজের একখানা পোস্ট বাড়ানোর লোভ সামলাতে পারলাম না। আমার এ নির্লজ্জতার জন্য সবার কাছে ক্ষমা……….
গুছিয়ে উঠতে পারছিলাম না। কি লিখব?? কিভাবে সিসিবির সন্ধান পেলাম?? আর কেনই বা এখন অন্য ব্লগ ছেড়ে কেবল সিসিবিতে পড়ে থাকি?
বিস্তারিত»টুশকি ২৬
একলা এক কিশোরের কথা ( ১০০০ ……)
আজকাল প্রায় প্রতিরাতেই স্বপ্ন দেখি। সব স্বপ্ন গুলো ই কেমন যেন আগোছালো, উল্টা পাল্টা। তবে প্রায় সব স্বপ্নের ভেন্যু থাকে ক্যাডেট কলেজ। এই আজকের এই সকাল টায়ও ঘুম ভেংগেছে একটা স্বপ্ন দেখতে দেখতে। সেই পুরানো কলেজ টাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলাম। সেই স্বপ্নের মত দিন গুলোকে নিয়ে মজার একটা স্বপ্ন। আর সেজন্য এই ঘুমোট সকালটাতে একটা চনমনে ভাব চলে এসেছে। আমার সেই কলেজটা ছেড়ে এসেছি আজ অনেক দিন,
বিস্তারিত»“বরিশাল ক্যাডেট কলেজ, বরিশাল-৮২১৬”
**********01
বাবা আজ অনেক খুশি। বাবার অনেক দিনের স্বপ্ন আজ পূরন হয়েছে, ছেলে ক্যাডেট কলেজে চান্স পেয়েছে। আমিও খুশি, অনেক খুশি। ছোটবেলা থেকেই বাসার বাইরে থাকাই আমার অভ্যাস। সকাল ৭ টায় গন্তব্য জিলা স্কুল; স্কুল , কোচিং সবকিছু শেষ করে আমি ফিরতাম একেবারে সন্ধ্যায়। বাবা মা দুজনেই চাকরিজীবী, তাই সন্ধ্যায় সবাই একত্রে বাসায় ফিরতাম। আবার পরদিন সকাল হলেই গন্তব্য: জিলা স্কুল…।
সিসিবি আর আমি
১০০০তম পোস্ট উপলক্ষে কিছু লিখব ভেবেছিলাম। ব্যাস্ততার কারণে (এবং কিঞ্চিত আইলসামি) লেখা হয়ে ওঠেনি। বসতে বসতে দেখি পোস্টের সংখ্যা এর মধ্যে ১০৩০+ হয়ে গেছে। বাসি জন্মদিনের মতই হয়ে যাচ্ছে লেখাটা। কিন্তু তারপরও নিজের অস্তিত্ত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ভাব্লাম লেখাটা উচিৎ। নইলে কবে আবার মাসখানেক সিক রিপোর্ট মারার কারণে এডু সাহেব না আবার আমারে ব্যান কইরা দ্যান।
সিসিবিতে আসা আর আমার বাংলা টাইপ করাটা প্রায় একসাথেই হয়েছিল।
বিস্তারিত»