একলা এক কিশোরের কথা ( ১০০০ ……)

আজকাল প্রায় প্রতিরাতেই স্বপ্ন দেখি। সব স্বপ্ন গুলো ই কেমন যেন আগোছালো, উল্টা পাল্টা। তবে প্রায় সব স্বপ্নের ভেন্যু থাকে ক্যাডেট কলেজ। এই আজকের এই সকাল টায়ও ঘুম ভেংগেছে একটা স্বপ্ন দেখতে দেখতে। সেই পুরানো কলেজ টাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছিলাম। সেই স্বপ্নের মত দিন গুলোকে নিয়ে মজার একটা স্বপ্ন। আর সেজন্য এই ঘুমোট সকালটাতে একটা চনমনে ভাব চলে এসেছে। আমার সেই কলেজটা ছেড়ে এসেছি আজ অনেক দিন, তবুও তাকে ভুলিনি আজও। কিংবা হয়ত ভুলতে চাইও না। বরং এখনও ইচ্ছে করে এক ছুটে চলে যাই সেখানে। আমাদের খুব প্রিয় একটা অচিনপুর। আসলেই আমাদের সেই অচিনপুরে, এই একলা জীবনের মতো এতো দুঃখ কষ্ট নাই।

বিরাট মাঠ জুড়ে রাত নামলেই জ্বল মল করে চাঁদের আলো, আর দিনের বেলায় রোদ্দুর। কখনও কুয়াশার চাদরে মুড়ে থাকে পুরো মাঠটা, মাঠের পাশের গাছ গুলোকে তখন খুব অসহায় বুড়োদের মত মানে হতো । আবার যখন, ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা মাঠ আর কদম গাছ গুলো দেখে মনে হতো, এ যেন ডুয়াসের চা বাগান, দুরের পাহাড় থেকে ভেসে আসা মেঘ বৃষ্টি আর ঠান্ডা হাওয়া ডেকে আনছে।

সব সন্ধাতেই আমার খুব মন খারাপ হয়। অফিস থেকে ফিরে, কম্পিউটার এ খুব জোরে গান ছেড়ে দিয়ে, আমি আমার খুব প্রিয় বারান্দায় বসে মেঘের ভেসে যাওয়া দেখি। হয়তো, আনমনে হারিয়ে যাওয়া সেই দিন গুলো খুঁজি। খুব মনে পড়ে, মাগরিবের নামাজ পড়তে যাবার সময়, কলেজ ফোয়ারার কাছে বসে নিরবতা উপভোগ করার কথা, অথবা কলেজের সেই বিশাল মাঠের পাশে আলতো পায়ে হেটে বেড়ানো, চাইলেই যে জীবনটা আর ফিরে পাব না আমি।

এই সব মন খারাপের দিনে, আজকাল সব সময় সিসিবি খুলে বসি, হয়তো ক্লান্ত আর তৃষ্ণাত মনটাতে মাধবীলতার মত একটা শীতল ঠান্ডা অনুভুতি পাবার আশায়। স্মৃতি কথা, মনের কথা,বলার জন্যে কিংবা মন ভালো করায় জন্যে সিসিবি আমাদের আগলে রেখেছে ভালোবাসার মানুষটির মতো করে।

সিসিবির খোজ পাই, রায়হানের মেইল এ , সেই প্রথম থেকে, পড়ি, কমেন্ট করি, পিরা যাই আবার মিরাও যাই কিন্তু লিখা আর হ্য় না। কারন আমি বাংলা ঠিক মত লিখতে পারি না। আর আমি একটু অলস। তবে, ভবিষত্যে পিরা-মিরা চলতেই থাকবে, তবে, আশে পাশে, ধিরা তোলার কেউ নাই, এই টাই শুধু ভয়ের।

২,২১৪ বার দেখা হয়েছে

২০ টি মন্তব্য : “একলা এক কিশোরের কথা ( ১০০০ ……)”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)
    লিখা আর হ্য় না। কারন আমি বাংলা ঠিক মত লিখতে পারি না।

    ছোটবেলায় যদি ঠিকমতন বাংলা পড়তি/লিখতি তাইলে কি আর আজ এই হয়??? :-B

    অফ টপিকঃ দোস্ত একটা বিয়া কইরা ফালা... B-)


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. রহমান (৯২-৯৮)
    আসলেই আমাদের সেই অচিনপুরে, এই একলা জীবনের মতো এতো দুঃখ কষ্ট নাই।
    ভবিষত্যে পিরা-মিরা চলতেই থাকবে, তবে, আশে পাশে, ধিরা তোলার কেউ নাই, এই টাই শুধু ভয়ের।

    একলা জীবনটাকে তাড়াতাড়ি দোকলা করে ফেলো তাহলে পিরা গেলে ধিরা তোলার মানুষও পেয়ে যাবে। :-B

    জবাব দিন
  3. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)
    ........মাগরিবের নামাজ পড়তে যাবার সময়, কলেজ ফোয়ারার কাছে বসে নিরবতা উপভোগ করার কথা, অথবা কলেজের সেই বিশাল মাঠের পাশে আলতো পায়ে হেটে বেড়ানো.........

    কখনো কখনো নিজেকে সময় দেয়াটা খুব প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেটা করতে পেরে ভালোও লাগে।
    পুরনো কথা মনে পড়লো। সব চোখে ভাসছে।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  4. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)
    মন ভালো করায় জন্যে সিসিবি আমাদের আগলে রেখেছে ভালোবাসার মানুষটির মতো করে।

    :thumbup: :thumbup:

    সিসিবির খোজ পাই, রায়হানের মেইল এ , সেই প্রথম থেকে, পড়ি, কমেন্ট করি, পিরা যাই আবার মিরাও যাই কিন্তু লিখা আর হ্য় না। কারন আমি বাংলা ঠিক মত লিখতে পারি না। আর আমি একটু অলস। তবে, ভবিষত্যে পিরা-মিরা চলতেই থাকবে, তবে, আশে পাশে, ধিরা তোলার কেউ নাই, এই টাই শুধু ভয়ের।

    বেশিরভাগ ক্যাডেটেরই এই অবস্থারে ভাই, আমাদের আফটার পিরা-মিরা ধিরা তোলার কেউ নাই মনে হয় সবসময় 🙁 তবে সিসিবি এই সময়কালটাতে যোগ্য সহচর হিসেবেই যেন এগিয়ে এসেছে আমার জন্য 🙂

    পিরা ল্যাংগুয়েজ দিনকে দিন আমাদের মূলধারার লেখায় উঠে আসছে, ভাবতেই ইমি ইবিগি ইমিশিনাল হিয়ে গিলিম ;))


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  5. রেজওয়ান (৯৯-০৫)
    ভবিষত্যে পিরা-মিরা চলতেই থাকবে, তবে, আশে পাশে, ধিরা তোলার কেউ নাই, এই টাই শুধু ভয়ের।

    তাড়াতাড়ী করেন......আরেট্টা পার্টি খাই সবাই... :party: :party: :party:
    আন্টিইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই... :awesome: :awesome: :awesome:

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।