নিজেদের কেমন যেনো পাকিস্তানি পাকিস্তানি মনে হচ্ছে

১.
মাহবুব আমার দুই ব্যাচ ছোটো। আমরা একই হাউসে ছিলাম, শরিয়তউল্লা। ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হয়েছি সেই ৮৫ সালে। তারপর অনেকটা সময় চলে গেছে। বয়স ৪০ হয়ে গেছে, চুলও সাদা হতে শুরু করেছে। কলেজে আমি অনেক শুকনা ছিলাম। এখন অনেক বদলে গেছি। সেই সময়ের আমার সাথে যারা ছিল তারা এখন আর আমাকে চিনতে পারে না। একজন বেক্সকা নাইটে গেছি, সবাই মনে করেছে আমি মনে হয় অতিথি কেউ।

বিস্তারিত»

একটি মোমবাতি কি জালানো যেত না কিংবা দেওয়া যেতনা কি একটি ফুল?

গত ২৫শে ফেব্রুয়ারির ঘটনার পরে বের হয়ে এইমাত্র প্রথম বারের মত নিজের রুমে ফিরলাম, মাঝখানের এই দিন গুলি যেভাবে অতিবাহিত করেছি, যে সকল দৃশ্য দেখেছি সে সকল অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার নেই…

বিস্তারিত»

ও ক্যাপ্টেন…..মাই ক্যাপ্টেন

২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মাজহার শেষবারের মতোন ফেসবুক প্রোফাইল আপডেট করেছে এইভাবে, “Mazharul is back from tour”. ভাবীকে নিয়ে ট্যুরটা ওর জন্য কাজের ব্যস্ততার মধ্যে একটা রিলিফ হয়ে এসেছিল। ২১, ২২, ২৩ এই তিনদিন ওকে অনেকটা ইনএ্যাকটিভ দেখে ২৪ তারিখে তাসফিক জিজ্ঞেস করেছিল, “কিরে অবস্থা কি? গায়েব কেন? বৌয়ের সাথে নাকি? দ্যাট উইল এক্সপ্লেইন ইট…হাহ হা”।

এরপরই ২৫ ফেব্রুয়ারিতে ভয়ঙ্কর সব সম্ভাবনায় উদ্ধিগ্ন শুভাকাঙ্ক্ষীরা লিখেছে:
“ভাইয়া,

বিস্তারিত»

আমিও প্রস্তুত…

একজন অসৎ, অপদার্থ, অশিক্ষিত এবং অপ্রোয়জনীয় সেনা অফিসারের জীবনধারার কিছুটা অংশ তুলে ধরতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে…

১। ২৪ ঘন্টা অন জব।
২। নিজস্ব সময় বলে কিছু না থাকা।
৩। নিজ এবং নিজের পরিবারের সকল সমস্যা পাশে ঠেলে রেখে দেশ এবং দেশের মানুষের দুর্দিনে নিজেকে সঁপে দেয়া।
৪। টাকার অভাবে বৃদ্ধ বাবা-মা’কে তাদের জীবনের অন্তিম লগ্নেও কোন অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে না পারা।

বিস্তারিত»

এলোমেলো স্মৃতিগুলো

১. দৈনন্দিন অফিসিয়াল অনেক চিঠিপত্রের ভিড়ে একটা চিঠি নজর কাড়লো। বাচ্চার অসুস্থতার জন্য মাহবুব ভাই (মেজর মাহবুব, বকক, ৪র্থ ব্যাচ) মিশনের টেনিউরের আড়াই মাস বাকি থাকতেই দেশে ফেরত চলে যাচ্ছেন। দুদিন বাদেই তার সাথে দেখা হল। মনরোভিয়ার এক সুপারস্টোরে কর্মরত জাকির ভাইয়ের একটা চিঠি তার পরিবারের কাছে পৌঁছাতে হবে বলে অনুরোধ করতেই সানন্দে রাজী হলেন। জাকির ভাই মাহবুব ভাইয়ের বাচ্চাদের জন্য প্রমাণ সাইজের কয়েক প্যাকেট চকলেটও দিয়ে দিলেন।

বিস্তারিত»

বন্ধু, সি ইউ এগেন

মনরোভিয়াতে গিয়েছিলাম একটা ছোট্ট কাজ নিয়ে। দুদিনের জন্য ওখানে আমিই আমার রাজা – সকালের পিটি, বিকেলের গেমস বা দিনের অফিস সবই আমার ইচ্ছায়। সকালে জমিয়ে ঘুমাব বলে রাত জেগে অফিসাররা মিলে “স্লামডগ মিলিওনিয়ার” রিভাইস করলাম। কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয় আর এক। অন্ধকার থাকতে থাকতেই পাশের বেডে মোবাইলে রিশাদের (রংপুর, ৯২-৯৮) উদ্ধিগ্ন কথোপকথনে ঘুম ভাংলো। জানালো ডিজি বিডিআর শট ডেড।

হুড়মুড় করে এখানে ওখানে কয়েক দফা ফোন চালালাম,

বিস্তারিত»

এর শেষ কোথায়?

১. কদিন আগে সিঙ্গাপুরে গেছিলাম। স্ট্রেইট টাইমস-এ দেখলাম মূল সংবাদ হচ্ছে আবহাওয়া পরিবর্তন নিয়ে। বাংলাদেশে আমরা কল্পনাই করতে পারি না এ ধরণের সংবাদ প্রধান খবর হতে পারে। বাংলাদেশে অবশ্য আমরা সুবিধা জনক অবস্থায় রয়েছি। প্রতিদিনই ঘটনা ঘটছে। বলাই বাহুল্য বেশিরভাগ ঘটনাই নেতিবাচক কিছু একটা। মিডিয়াও এইসব খবর পছন্দ করে, সাধারণ মানুষ পড়ে, বাড়ে পত্রিকার বিক্রি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই যখন শুনি বিডিআরে বিদ্রোহ, মনে হলো ভালই তো,

বিস্তারিত»

প্রচারেই প্রসার (পুলাপাইনের জন্য না)

প্রচারেই প্রসার। কবি শঙ্খ ঘোষ বলছিলেন মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে। এখন তো বিজ্ঞাপনেরই জয়জয়কার।
এক সময় এবিসি রেডিও শুইনা অনেক আরাম পাইতাম। এখন বিজ্ঞাপন বড়ই জ্বালায়। টেলিভিশন তো দেখাই যায় না। খালি বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন।
এই পোস্ট বিজ্ঞাপন নিয়া । কত ভাবেই না পণ্যের প্রচার করা যায়।

বিস্তারিত»

করি বাংলায় চিৎকার

১…

আমি বাংলাতেই কথা বলি। কারণ, হতে পারে আমি বিদেশীদের মতো শিক্ষিত নই- তাদের সন্তানরা ছোটবেলা থেকেই ফটফট ইংরেজি বলে। আমার বাবা- মা বিদেশী না। আমি তাই বাংলায় কথা বলি- একদম ফটফট করে।

আমি অন্য কোনো ভাষায় লিখতে পারি না। লিখতে গেলে আমি কী লিখতে চাই সেটা ভুলে আমাকে ব্যকরণ নিয়ে গবেষণা করতে হয়। আমি তাই বাংলায় লিখি। আমি বাংলায় চিৎকার করি,

বিস্তারিত»

দুষ্ট গান নিয়া একটা পুস্ট

লাবলু ভাই, আমার বড় ভাই। আমারে গান নিয়া পুস্ট দিতে মানা করছে। তাই শুরুতেই :frontroll: :frontroll: :frontroll:

তিনদিন ছিলাম না, আইসা দেখি সিসিবি পুরা সিরিয়াস হইয়া গেছে। আমার আবার সিরিয়াস পুস্ট লেখার ক্ষমতা নাই। তাই আবার একটা হালকা পুস্ট দিলাম। এইটা আসলে একটা দুষ্ট গানের পুষ্ট।

আমরা যখন ছোট, কেমনে কেমনে যেন হাতে একটা গানের অ্যালবাম হাতে আইসা পড়ছিলো। সম্ভবত অ্যালবামের উপরের গায়িকার ছবি দেইখ্যা অতি উৎসাহে কিনছিলাম।

বিস্তারিত»

সেরা রোমান্টিক মুভি

রোমান্টিক মুভি। আজকের দিনে এর চেয়ে ভাল টাইমপাস আর কি হতে পারে। (বান্ধবীদের সময় দেওয়ার পর)।
তাই এই আড্ডা রোমান্টিক মুভি নিয়ে। এর কোনো সম্পূর্ণ তালিকা করা যাবে না। আমি একটা তালিকা দিলাম। আপনারাও দেন পছন্দের রোমান্টিক মুভি নিয়ে। তারপর বেছে নেবো নামটি। এবং তারপর দেখবো যেগুলো দেখিনি।
১. রোমান হলিডে-আমার ধারণা আজি হতে শতবর্ষ পরেও এটি থাকবে সেরা রোমান্টিক ছবি। গ্রেগরি পেক ও অড্রে হেপবার্ন।

বিস্তারিত»

স্মরণশক্তির গল্প

দবিরের ছেলে কবিরের স্মরণ শক্তি প্রচন্ড ভাল। পাড়া প্রতিবেশি আত্মীও-স্বজন সবাই কবিরের স্মরণ শক্তিতে মুগ্ধ।
কবিরের বয়স বেশি না, ৫/৬ হবে। কবিরকে একদিন ধরলো পাড়া-প্রতিবেশিরা। জানতে চাইলো কি করে সে সব কিছু মনে রাখে। বিশেষ করে ২/৩ বছরে সে কি করেছে তাও মনে আছে।
-এ আর এমন কি, আমার যখন জন্ম হলো ঠিক তখন হাসপাতালে আমাকে দেখে কে কি বললো আমার তো তাও মনে আছে,

বিস্তারিত»

রবি ভাই ও অন্যান্য

রবি ভাইকে আমি চিনি বড় সংকটের সময়। আমার পকেটে তখন টাকা নেই। বাবার কথা না শোনার কারণে বাড়ি থেকে টাকা বন্ধ। মাও তার গোপনে জমানো টাকা দিতে সম্পূর্ণ অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। অপরাধ- নিজের টাকা কামানোর মুরোদ নেই অথচ বাপের টাকায় সিগারেট খাই। অবিচার আর কি।

একদিন ভুল করে ছোট ভাইকে নিয়ে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। দুপুরে কি কি যেন খাওয়ারও বায়না করেছিল। কিন্তু ভারি বিস্ময়ের সাথে ও লক্ষ্য করল দুপুরে আমার কাছে খাওয়ার টাকা থাকে না কিন্তু সিগারেট খাই গন্ডায় গন্ডায়।

বিস্তারিত»

বই পড়া, বই উপহার পাওয়া

মনে আছে খুব ছোট বেলায় আমার মা আমাকে আলালের ঘরে দুলাল বইটা কিনে দিয়েছিল। বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস। পড়েছিলাম এবং কিছুই যে বুঝি নি সেটাও বেশ মনে আছে। আলালের ঘরে দুলাল ছিল আমার প্রথম নিজের বই।
সিক্সে পড়া সেই আমার তখন বই কেনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। মনে আছে একবার শিশু একাডেমিতে যেয়ে ৫/৬টা বই কিনে এনেছিলাম। নাম এখন আর মনে নেই। একটা ব্যক্তিগত লাইব্রেরি করার ইচ্ছা তখন থেকেই আমার মাথায়।

বিস্তারিত»

বোকামি

১.
গল্পটা এক সাংবাদিকের। নামটা আর বললাম না। ধরলাম তার নাম দবির। অফিসে ঢুকতে হয় ৪টার মধ্যে। দবির অফিসে আসলো। নিজের কম্পিউটার অন করতে গিয়ে দেখে কাজ হচ্ছে না। অন হলো না কম্পিউটার। আমাদের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের লোকজন বসে ৫ তালায়। দবির ফোন করলো সেখানে। তখন আমাদের নতুন পিএবিএক্স বসেছে। ফলে নাম্বার সব গেছে উল্টে-পাল্টে । ফোন চলে আসলো ডেপুটি চিফ রিপোর্টারের টেবিলে। তখন সেই টেবিলে বসে ছিল আরেকজন।

বিস্তারিত»