সাম্প্রতিক এবং ছেঁড়া কথন ০৪; আপাতত শেষ

এক ছোটভাই মুঘলদের কিছু ঘটনাকে মিথ আখ্যা দিলো।
সমস্যা?
কোনও সমস্যা নাই।
তারপরও মনে হলো আরও খানদুয়েক অ্যাড করি।

আকবর যে দিল্লিশ্বর বা বিরাট মাপের বাদশাহ ছিলেন এটা অনেকেই জানেন।
আরও জানেন যে আকবর নতুন এক ধর্মের প্রবর্তন করেছিলেন, দ্বীন-ই-ইলাহি। অনেকটা আজকের শিখ ধর্মের মতন; সকল ধর্মের জগাখিচুড়ি।
তবে এও শোনা যায়, মৃত্যুর পূর্বে তার নবরত্নদের একজন; খুব সম্ভবত আবুল ফজলের কাছে মুসলমান হয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

দুটি বই

বই পড়ার নেশা আমাকে পেয়েছিল বেশ ছোটবেলা থেকেই, কলেজে থাকা অবস্থায় সেটা পূর্ণ মাত্রা পায়, এমনকি বিএমএতে থাকতেও সেটা বিজায় ছিল (বিশেষ করে শেষের এক বছর)। কিন্তু ‘চাকুরী’ পুরোপুরি শুরু করার পর থেকেই বই পড়া প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝে সুযোগ পেয়ে কিছু পড়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ পড়া সীমাবদ্ধ ছিল ছিল শুধুমাত্র গল্পের বইয়ের মধ্যেই, নিছক বিনোদনের উদ্দেশ্যে।

মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আবেগ,

বিস্তারিত»

অস্পষ্ট, ধোঁয়াশা, কিংবা স্পষ্ট কথা

আমরা অনেকেই মুক্তবুদ্ধির বা মুক্তবুদ্ধি চর্চার কথা বলি। বাস্তবে তা হয়তো হয়ে ওঠে না।
আমার এক ছোট ভাই একবার প্লান করেছিল তার অফিসের রুমের পাশে নামাজের একটা রুম রাখবে; নামাজের সময় হলে ড্রয়ার খুলে টুপি পড়ে সামনে যে থাকবে তাকে নামাজের দাওয়াত দিয়ে নিজে ঐ রুমে নামাজ পড়তে যাবে। এবং সে স্বীকার করেছে যে পুরাটাই ভাওতাবাজি; কারণ সে নামাজই পড়তে জানেনা।

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই যারা এই ব্লগটা যারা তৈরি করলো বা যারা সম্পাদনা কমিটিতে আছে।

বিস্তারিত»

অনাকাঙ্ক্ষিত…

কোনও এক রাতে হঠাৎ
তোমার সঙ্গে আমার
অদৃশ্য যোগাযোগ…।।

যেন মিথ্যের দেয়াল ভেদ করে ভুলক্রমেই-
সত্যের নাগাল পাওয়া,

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক এবং ছেঁড়া কথন ০৩

লেখাগুলো লাফাচ্ছে এডাল থেকে ওডালে।
পড়তে গিয়ে কেউ বিরক্ত, কেউ হতাশ, আবার কেউ নতুন করে ভাবার অবকাশ পাচ্ছে।
গেলো সপ্তাহ কেটেছে প্রচণ্ড ব্যাস্ততায়। ইস্টার সানডে, প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখানকার ট্যাবলয়েডগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই রাজপরিবারের কোনও না কোনও খবর থাকে। ট্যাবলয়েডগুলো এসব সংবাদ বেশ রসালো করে প্রকাশ করে।
রাজা জর্জের যে বংশধারা আজ রাজসিংহাসনে তার পেছনে মূল কারণ কিন্তু প্রেম।

আমরা প্রায় সবাই রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের সিংহাসন ত্যাগ করার কাহিনী জানি।

বিস্তারিত»

বিকেলে


সেদিন জ্যামিতিক বিকেলে
অতর্কিতে দিয়েছিলো হানা
উড্ডয়নের সুনীল প্ররোচনা

কেটে কি যেতোনা
ডানা গুটনো
সমূহ নিমেষ
ধ্যানের
সুনিপুণ অভিনয়ে,
নীলসাদার
ছকে ছকে
আকাশ

বিস্তারিত»

অনুবাদঃ পাকিস্তান কিভাবে ১৯৭১ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেঃ কয়েকটি সাক্ষ্য

[কয়েকদিন আগে ই-লাইব্রেরি থেকে এই বইটি পড়ছিলাম। পড়ার পর মনে ভীষণ চাপ পড়ছিল, সেটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। বইটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর ওয়ার্ল্ড এফেয়ার্স কর্তৃক ১৯৭২ সালে প্রকাশিত। মোট ২৬ টি সাক্ষ্য এতে আছে। আমি শুধু প্রথমটাই অনুবাদ করার চেষ্টা করলাম। অনুবাদের দূর্বলতা হয়তো পুরো অনুভূতি তুলে ধরতে পারেনি, সেটার দায় আগে থেকেই মেনে নিচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের ছবিটা ওই স্ক্যান করা বই থেকে নেয়ার কারণে এত খারাপ অবস্থা।

বিস্তারিত»

আমাদের সেইসব মায়েরা………

আমাদের দেশের মায়েদের তুলনায় অধিক স্নেহ-প্রবণ মা কি আছে আর কোথাও? সন্তানের সামান্য অসুখ করলেও আমাদের মায়েরা রাতের পর রাত পার করেন নির্ঘুম কাটিয়ে। আর ছেলেদের প্রতি তাদের পক্ষপাত তো বাড়াবাড়ি পর্যায়ের। ছেলেদের বেলায় তারা যথার্থই স্নেহান্ধ। অথচ একাত্তরে এই দেশেরই মায়েদের আত্মত্যাগের কাহিনী আজ অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়। মনে হয় হাজারবার পড়ি, মনে হয় সারাবিশ্বকে যদি জানিয়ে দিতে পারতাম যে আমাদের মায়েরাও পারে! এই দিনে শতবার পড়া ও জানা সেই মায়েদের গল্পই করবো।

বিস্তারিত»

একজন রহমান সাহেব ও অন্যান্য……

ভোরবেলা বাইরে থেকে হেঁটে এসেই খবরের কাগজ পড়াটা রহমান সাহেবের নিত্যদিনের অভ্যাস। কিন্তু আজ তার মেজাজটা খুবি খারাপ। হকার আজ পত্রিকা দিয়ে যায়নি। সেই সকাল থেকেই রাগে গজ গজ করছেন, যাকে সামনে পাচ্ছেন তাকেই তুলোধুনো করছেন। আর তার এই কাণ্ডকারখানায় সবচেয়ে আনন্দ পাচ্ছে যে ব্যক্তি, সে তার একমাত্র নাতি ৪ বছরের নিবিড়। WWF এর মতো এক এক জন প্রতিপক্ষকে রহমান সাহেব ঘায়েল করছেন আর একনিষ্ঠ সমর্থকের মতো হাততালির বৃষ্টি ঝরাচ্ছে ছোট্ট নিবিড়।

বিস্তারিত»

স্বাধীন দেশের পরাধীন নাগরিক

১২ বছর বয়সে যখন ক্যাডেট কলেজএর গেট দিয়ে প্রবেশ করলাম তখন দু’ ধরনের অনুভুতি ভর করেছিল আমায়।প্রথমত স্বপ্ন পুরন হওয়ার আপ্লুত এক আনন্দ, দ্বিতীয়ত অচেনা এক নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার অজানা এক আতঙ্ক। সেদিন নিজেকে অনেক বড় মনে হছিল, কিন্তু এখন যখন ক্লাস ৭ কিংবা ৮ এর কোন ছেলের দিকে তাকাই তখন নিজে নিজে চিন্তা করি আসলে কতটা ছোট ছিলাম আমরা।

সেই ক্ষুদ্র বয়সে কৈশোর জীবনে বাবা-মা পরিবার পরিজন ছেড়ে বের হয়েছি।

বিস্তারিত»

সাম্প্রতিক এবং ছেঁড়া কথন ০২

কখনো বলা হয় নাই, লন্ডনে প্রত্যেকটা কাউন্সিলে লাইব্রেরী রয়েছে। বাঙালি অধ্যুষিত হওয়ায় প্রচুর বাংলা বই পাওয়া যায়; যা খুবই সুখকর একটা বিষয়। যদিও এখানের লাইব্রেরিতেই প্রথম কাসেম বিন আবু বাকারের বই পাই। কিন্তু একটাও আবুল বাশারের বই নাই। লাইব্রেরিতে বললাম একথা। দেখি কি করে? অনেকদিন আবুল বাশারের বই পড়িনা। নকশাল আন্দোলন নিয়ে ওনার একটা বই বেরিয়েছিল অনেক আগে। ২য় খণ্ড বেরিয়েছে কিনা জানিনা। অন্য কোনও লেখক এতো ব্যাপক ও গভীরভাবে নকশাল নিয়ে লিখেছেন বলে মনে পড়েনা!

বিস্তারিত»

আব্বু’র জন্য লেখা

গতকাল  হঠাৎ করেই মেহেদির  “মা” কে নিয়ে লেখা ব্লগটি পরে একটা ব্লগ লিখতে ইছা হল। জীবনে কখনও ব্লগ লিখিনি, তাই সব সময়ই মনে হত এই ব্লগ লেখা হয়ত আমার জন্য নয়। হয়ত ব্লগ লেখার মত যথেষ্ট যোগ্যতা আমার নেই। কিন্তু আজ হঠাৎ সিধান্ত নিলাম লেখার। আদৌ জানি না কেমন হবে। ভুল ত্রুটি নিজ গুণে ক্ষমা করবেন প্রথম ব্লগ বলে। লেখার সিধান্ত নেয়ার পর প্রথমেই মনে হল যে আমার প্রথম ব্লগটি লিখবো “আমার বাবা”

বিস্তারিত»

মা, আমার মা……………

আজ “মা” দিবস নয়। তারপরও আজকের লেখাটা মাকে নিয়েই লিখলাম।

ফটিকের গল্পটা মনে আছে? “ছুটি” গল্পে ফটিক কেমন নির্বিকার ভাবে মাকে বলে গেলো, ” মা, আমার ছুটি হয়েছে, আমি যাচ্ছি……”।
ফটিকের সেই বিদায় কেন জানি আজ অবধি আমাকে কাঁদায়।

আমার মা একটু পাগলা কিসিমের। সন্তানের জন্য এত অফুরন্ত ভালোবাসা একজন মা কিভাবে বুকে ধারন করে রাখতে পারে, তা আমি আমার মাকে দিয়েই বুঝেছি।

বিস্তারিত»

টুশকি জুনিয়ার ১.০

জমজমাট সিসিবি তে টুশকি কে খুব মিস করছি। সায়েদ ভাই তো ভুলেও এদিকে আসেন না। কিছু দিন আগে (চোখের নিমিষে ২/৩ বছর কেটে যায়) আমি টুশকি জুনিয়ার নামে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় জমজমাট সিসিবি তে আবারও ছোট টুশকির আগমন।

১। প্রাণবন্ধু স্যার সব খেলাতেই রেফারীর দায়িত্ব পালন করতেন। ফুটবল কম্পিটিশনের সময় ১৬তম ব্যাচের মাসুম ভাইয়ের হ্যান্ডবল হল নিজেদের গোল পোষ্টের খুব কাছাকাছি।

বিস্তারিত»

ভালোবাসার সেকাল, একাল……।।

[ ১৪-০২-২০০৮, বেলা ১২ টা ]

খরদুপুরে শাহবাগের মোড়ে দাড়িয়ে থাকা এক তরুণ। হাতে একগুচ্ছ গোলাপ। বেশকিছুক্ষন পর হাতের মোবাইলে পরিচিত রিংটোন-

মোবাইলের এপাশ ঃ হ্যালো
ওপাশ ঃ তুমি কোথায়?
এপাশ ঃ শাহবাগের মোড়ে ফুলের দকানের সামনে।
ওপাশ ঃ এইতো আমি চলে এসেছি, কতক্ষণ ধরে wait করছিলে?
এপাশ ঃ বেশি না, মাত্র ১ ঘণ্টা!!
ওপাশ ঃ আহারে……এইতো তোমাকে দেখতে পাচ্ছি…।

বিস্তারিত»