গত চার বছর ধরে গাড়ির হাট বসছে ঢাকায়। আসাদ গেট কলোনির মাঠ জুড়ে শ দুয়েক গাড়ি ঘিরে চলে ক্রেতা বিক্রেতাদের তুমুল দরদাম। নিত্য প্রয়োজনীয় সদাইয়ের হাট দেখেছি, দেখেছি গরু-ছাগলের হাট, তবে বাংলাদেশে গাড়ির হাট এই প্রথম। আর হাটে আসা গাড়ির এই সংখ্যা অনেক গরু-ছাগলের হাটকেও হার মানায়। এক সময়ে গাড়ি বলতে গ্রামে-গঞ্জের মানুষ গরুর গাড়ি বুঝতো। কালেভদ্রে মটরগাড়ি গাঁয়ে ঢুকলে দল বেঁধে দেখতে যেত সবাই।
বিস্তারিত»পূর্ব-এশীয় দেশগুলোর শিল্পায়নের অভিজ্ঞতা থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য শিক্ষা
বিশ্বের শিল্পোন্নত সকল দেশ- ইংল্যান্ড থেকে শুরু করে কোরিয়া ও তাইওয়ান- শিল্পায়নের প্রাথমিক পর্যায়ে দেশীয় শিল্পকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা সহায়তা দিয়ে শক্ত ভিত্তির উপর গড়েছে। এই প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র যেসব উপায় অনুসরণ করেছে তা’র মধ্যে বিশেষ বিশেষ দেশীয় শিল্পকে সুবিধাজনক শর্তে ঋণদান, কাঁচামাল আমদানী+তৈরী পণ্য রপ্তানীতে ইনসেনটিভ প্রদান, আভ্যন্তরীণ বাজারে উদীয়মান দেশীয় শিল্পের সাথে প্রতিযোগীতাকারী বিদেশী পণ্যের প্রবেশে বাঁধা প্রদান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। প্রথম পর্যায়ের শিল্পোন্নত দেশগুলো (অর্থ্যাৎ পশ্চিম ইউরোপীয় দেশসমূহ)এইসব সংরক্ষণমূলক নীতিকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করার মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভূমিকাকে আড়াল করতে চাইলেও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো প্রকাশ্যেই এগুলোকে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত করে যা ‘Import-Substituting Industrialization (ISI)’
বিস্তারিত»রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় শিল্পায়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নঃ পূর্ব-এশীয় অভিজ্ঞতা
নিও-লিবারেল ডিসকোর্সে জাতীয় উন্নয়নে রাষ্ট্রের অংশগ্রহনকে ক্ষতিকর হিসেবে দেখা হয়। কারণ, এতে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতা, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, অনাকাংখিত রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ইত্যাদি দেখা দেয় যা’ শিল্পায়ন ও ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। বাস্তবতা হচ্ছে, যে কয়টি দেশ উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে, তারা সবাই জাতীয় উন্নয়ন প্রকল্পে রাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমেই হয়েছে, যেমন জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং ও সিঙ্গাপুর। এইসব পূর্ব-এশীয় দেশসমূহের উন্নয়নের পথটা তাহলে কি ছিলো? শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি,
বিস্তারিত»উন্নয়নের গল্পঃ নিও-লিবারেলদের আজাইর্যা প্যাচাল বনাম বাস্তবতা
ডিস্ক্লেইমারঃ ১। অনেকদিনের ইচ্ছে ছিলো সিসিবি’তে উন্নয়ন-বিষয়ক একটা লেখা দেওয়ার। নানা ঝামেলায় তা আর হয়ে উঠছিলো না। আর ক’দিন ধরে এটা লিখতে গিয়ে বিশাল ঝামেলায় পড়েছি কি লিখবো আর কি বাদ দিবো তা’ই নিয়ে। ফলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক বড় হয়ে গেল লেখাটা। তাই আপাতঃত তিন পর্বে এটা সিসিবি’তে পোষ্ট করবো।
২। এই লেখা বোঝার জন্য এন্টেনা আবশ্যক। 😀
বর্তমানে উন্নয়ন বিষয়ক প্রায় সকল আলোচনায় ‘সুশাসন’কে উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
বিস্তারিত»এশিয়ান হাইওয়ে ও বাংলাদেশ
এটি একটি তথ্যনির্ভর খুব সাধারন রচনা। যথাসম্ভব তথ্য নির্ভুল রাখার চেষ্টা করেছি। ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হলে আমাকে অবহিত করলে খুশি হব।
ভুমিকা = ১৯৫৯ সালে The Asian Land Transport and Infrastructure (ALTID) এবং Asian Highway পরিকল্পনার স্রস্টা Economic Commission for Asian and the Far East (ECAFE) নির্বাহী সম্পাদক উ ন্যুন। এশিয়ার দেশ সমুহের মাঝে বাধা ও বিরতিহিন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য এশিয়ান হাইওয়ের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়।
বিস্তারিত»মুখ ও মুখোশ……………
প্রথমে হাড়ির খবর দিয়ে শুরু করি, হাড়ির নয় নিজের ভাতের থালা দিয়েই শুরু করছি। আমার বাবা একজন প্রান্তিক ব্যবসায়ী। আমাদের দোকানের খরিদ মূল্য ১২লাখ এবং এবং মূলধন ১৫ লাখ টাকা মোট টাকার পরিমাণ দাঁড়াল ২৭লাখ টাকা। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের সময় দৈনিক বিক্রয় হত গড়ে ১২০০ টাকা। ২০% লাভ ধরলে ২৪০ টাকা প্রতিদিন। মাস ২৫ দিন ধরে মোট আয় দাঁড়ায় ৬০০০ টাকা। ভাবা যায় ২৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে মাত্র ৬০০০ টাকা আয়।
বিস্তারিত»ধর্মঃ একটি নৃতাত্ত্বিক অধ্যয়ন – ৩
মনোবিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা
সাংস্কৃতিক বিবর্তনবাদীদের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রথার বিরুদ্ধে প্রধান প্রতিক্রিয়া নৃবিজ্ঞানের মধ্য থেকে আসেনি। সেটা এসেছে সামাজিক বিজ্ঞানে ঐতিহাসিক চিন্তাধারার প্রভাবের বিরুদ্ধে ইতিবাচকতাবাদী আন্দোলনের সাধারণ ক্ষেত্র থেকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগের বছরগুলোতে মনোবিশ্লেষণের নিয়মতান্ত্রিক মনোবিজ্ঞানবাদ এবং Anne Sociologique এর সমান নিয়মতান্ত্রিক সমাজবিজ্ঞানবাদের উত্থান ঘটে। এর ফলে বিবর্তনবাদীরা বিবর্তনকে পটভূমির সাপেক্ষে সুনির্দিষ্ট তত্ত্ব আকারে উপস্থাপন করতে বাধ্য হন। অথচ এই উভয় আন্দোলনের প্রধান নেতা অর্থাৎ যথাক্রমে ফ্রয়েড ও ডুর্খেইম উভয়ের উপরই তখন পর্যন্ত বিবর্তনবাদের গভীর প্রভাব ছিল।
বিস্তারিত»ধর্মঃ একটি নৃতাত্ত্বিক অধ্যয়ন – ২
বিবর্তনবাদ ও তার শত্রুরা
নৃবিজ্ঞানের অনেক কিছুর মত আদিম মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচারানুষ্ঠানের অধ্যয়নও বিবর্তন তত্ত্বের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল। উনবিংশ শতকে কোন কিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে চিন্তা করা বলতে ঐতিহাসিকভাবে চিন্তা করাকে বোঝাত। প্রাচীন কালের সবচেয়ে মৌলিক গঠনটিকে খুঁজে বের করা এবং যে ধাপগুলোর মাধ্যমে তার ধীর উন্নয়ন ঘটেছে সেগুলোর সন্ধান করাই এক্ষেত্রে মুখ্য। টাইলর, মরগ্যান, ফ্রেজারসহ অনেকেই ডারউইনের বিশ্লেষণমূলক দৈব-প্রকরণ ও প্রাকৃতিক নির্বাচনের তুলনায় Comte এবং হেগেলের মত ব্যক্তিদের সংশ্লেষণমূলক সামাজিক-ধাপ তত্ত্বগুলোর উপর বেশী কাজ করেছেন।
বিস্তারিত»নর ও নারী এবং নারীবাদ
নারীবাদে অসংখ্য ধারা বা উপধারা আছে। কিন্তু তিনটি শ্রেণী ভাগ মুখ্য। এগুলো হলো-
১। উদার নারীবাদ (LIBERAL FEMINISM)
২। চরম নারীবাদ (RADICAL FEMINISM)
৩। সমাজতান্ত্রিক নারীবাদ (SOCIALIST AND MARXIST FEMINISM)
উদার নারীবাদ (LIBERAL FEMINISM) রাজনৈতিক এবং আইনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে পুরুষ ও নারীর মধ্যে সমতা বিধান করার কথা বলে। এটি মূলতঃ ব্যক্তি ও বিষয় স্বাতন্ত্র্য ভিত্তিক নারীবাদ। উদার নারীবাদ মূলতঃ নারীদেরকে তাদের সামর্থ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে নারীদের সমানাধিকার অর্জনের কথা বলে।উদারনৈতিক নারীবাদেমন একটি সমাজের কথা বলে,
বিস্তারিত»ধর্মঃ একটি নৃতাত্ত্বিক অধ্যয়ন – ১
Geertz’র ধ্রুপদী রচনা “Religion as a Cultural System”-এ লেখক ধর্মকে আরও বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণের আহ্বান জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত ধর্মের সমাজবিজ্ঞানভিত্তিক অধ্যয়নে ব্রিটিশদের সঙ্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। মার্কিন নৃবিজ্ঞানীরা লেখকের এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন যার প্রতিফলন পড়েছে তাদের সাম্প্রতিক গবেষণাগুলোতে। এর পর ১৯৭২ সালের এক প্রবন্ধে Geertz ধর্মের অধ্যয়নে তার ঐতিহাসিক, মনোবিজ্ঞানভিত্তিক, সমাজবিজ্ঞানভিত্তিক এবং শাব্দার্থিক প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরেন। পরিশেষে তিনি বলেন, ধর্মের একটি পূর্ণাঙ্গ তত্ত্বে এই সবগুলো ক্ষেত্রে ধর্ম অধ্যয়নের প্রচেষ্টাগুলোর সমন্বয় থাকবে।
বিস্তারিত»পুনঃপুনঃ ………………অবশিষ্টাংশ
লেখাটি কিছু সম্পাদনা করে প্রকাশ করা হল। লেখাটি পজে গ্রন্থের উত্তরভাব।অবশিষ্টাংশ আজ যোগ করা হল।
গ্রন্থ – পজে
লেখক – ব্লেইস পাস্কেল
অনুবাদ/সম্পাদনা – জাভেদ হুসেন
প্রকাশক – বাংলা
মানুষ নিয়মে বাধা থাকে না। নিয়মকে ভেঙ্গে ফেলতে পারে। তারমানে সে যে নিয়মকে ভাঙল সে আসলে কোনো নিয়মই ছিল না। নিয়ম আসলে যার নিয়ম তার পরিচয় বহন করে। তাকে পাল্টে না ফেললে নিয়মও ভাঙ্গার কথা না।
বিস্তারিত»মানুষ
(আলফা ট্যাক্সোনমি, লম্বা লম্বা ল্যাটীন শব্দ, বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে, আগ্রহান্বিত না হলে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। আমি মনে করি মানুষ হিসেবে মানুষের ট্যাক্সোনমি জানা থাকটা আমাদের উচিত, আর এটা লেখার মাধ্যমে আমারও জিনিষটা আরেকবার ঝালাই হবে, এটাই আমার এই পোস্ট দেওয়ার উদ্দেশ্য।) আমরা কি কখনও ভেবেছি মানুষ কি? মানুষের সংজ্ঞা দিতে হলে বোধহয় দর্শন ছাড়া আমাদের কোন গতি নেই। আসলেই কি তাই? জীববিজ্ঞান কি মানুষ বা অন্য যে কোন অর্গানিজমের কোন সংজ্ঞা দিতে পারে?
বিস্তারিত»সো লেটস্ স্টার্ট লিভিং এ লাইফ, স্যাল উই?
এই পোস্টে কিছু ডিস্টার্বিং ইমেইজ আছে, ভিউয়ার্স ডিসক্রেইশন ওয়ান্টেড। আমার ২৩ বছরের জীবনে একটি অন্যতম অনুধাবন হল, কাপুরুষ যারা কখনো মাথা তুলে দাড়াতে জানে না তাদের সংখ্যা শোচনীয়ভাবে অতিক্রান্ত ঐসব কাপুরষের সংখ্যা দ্বারা যারা জানেনা মাথা কোথায় নোয়াতে হয়। আমি দৃঢ়ভাবেই বিশ্বাস করি অকৃতজ্ঞগতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কৃতঘ্নতা। আমি জানি আমার বেঁচে থাকা এমন একটি ঘটনা যার সম্ভবনা শূণ্যের কাছাকাছি। এটাই প্রমান করে যে আমার এই জীবনধারণ,
বিস্তারিত»মহাবিশ্বে জেগে ওঠা
সবাইকে আমার বিশাল ধন্যবাদ জানানোর আছে। বিবিসিতে বিডিআর ম্যুটিনির সংবাদ দেখে আমি ইন্টারনেটে বসার শক্তি হারিয়ে ফেলি, কেননা আমি জানতাম এদের মধ্যে কয়েকজনকে আমি চিনব। ব্যক্তিগতভাবে মৃত্যু নিয়ে আমি অভিযোগ করার কিছু পাইনা, মৃত্যু সাম্যবাদী এবং টু স্টুপিড টু ডিসক্রিমিনেইট। আমার অভিযোগ ছিল জীবন নিয়ে। আমার ভাবতে সঙ্কোচ হচ্ছিল সেই মৃতদের জীবিত কাছের মানুষদের কথা, তাদের মা বাবা বন্ধু,সন্তানদের কথা। এ কারণেই আমাকে ইন্টারনেট এ বসতে হয়।
বিস্তারিত»কেমিষ্ট্রি বিষয়ে জাহিদ ভাইয়ের কিছু মতামত যার সাথে আমি একমত পোষণ করি না
আম্-জনতার জন্যে তোমার প্রবন্ধের আমি একটা বাংলা(!) অনুবাদ করছি। আমরা সবাই মনে করি একটা আমাদের গাড়ির সিডি প্লেয়ারের মধ্যে যে সিডি আছে তাতে গাড়ির ডিজাইন, ইঞ্জিনের কন্সট্রাক্সন, রঙ, হেডলাইটের বাল্বের মডেল এই জাতীয় সমস্ত তথ্য রাখা আছে। প্রয়োজনের সময় গাড়ির সিডি বেরিয়ে আসে এবং বাইরে রাখা একটি কম্পিউটারের মধ্যে প্রবেশ করে। ওই কম্পিউটার তখন সিডির তথ্য অনুযায়ী আলাদা আলাদা উপাদান, যেমন সিট, ইঞ্জিন ইত্যাদি বানায়।পরে উপাদানগুলো যেহেতু অন্যকোন ভাবে খাপ খাবে না তাই আগের সেই নির্দিষ্ট একটা গাড়ির রুপ ধারন করে।
বিস্তারিত»