এই পোস্টে কিছু ডিস্টার্বিং ইমেইজ আছে, ভিউয়ার্স ডিসক্রেইশন ওয়ান্টেড। আমার ২৩ বছরের জীবনে একটি অন্যতম অনুধাবন হল, কাপুরুষ যারা কখনো মাথা তুলে দাড়াতে জানে না তাদের সংখ্যা শোচনীয়ভাবে অতিক্রান্ত ঐসব কাপুরষের সংখ্যা দ্বারা যারা জানেনা মাথা কোথায় নোয়াতে হয়। আমি দৃঢ়ভাবেই বিশ্বাস করি অকৃতজ্ঞগতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কৃতঘ্নতা। আমি জানি আমার বেঁচে থাকা এমন একটি ঘটনা যার সম্ভবনা শূণ্যের কাছাকাছি। এটাই প্রমান করে যে আমার এই জীবনধারণ, সুপার অর্গানিজম হওয়া এবং নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এই বিশাল জটিল মহাবিশ্বের রহস্যকে বোঝার চেষ্টা করার পেছনে অযুত লক্ষ্য বহিঃস্থিত কারণের অবদান আছে, এবং এই কারণগুলোর ধারক বাহক ন্যাইচার এবং সিমলেস ফ্লো অফ হিউম্যান সিভিলাইজেইশনের কাছে ফলাফলপ্রসূতভাবে আমার অনেক ঋণ আছে। আমাকে আমার জীবনধারণের বিনময়ে কিছু দাম আমাকে পরিশোধ করতে হবে কেননা পৃথিবীর অন্যান্য সব জিনিষের মতই হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন, নাইট্রোজেন ও মেটাল আয়ন মুফত না। কি দাম আমার পরিশোধ করা উচিত তা জানার আগে চলুন দেখা যাক আমাদের জীবনের প্রতিটি পিকোসেকেন্ড কার কাছে ঋণী।
আমার জীবনের প্রতিটি পিকোসেকেন্ড ঋণী বায়োকেমিস্ট্রি ও মেডিক্যাল সাইন্সের কাছে।
সেই বায়োকেমিস্ট্রি যা আমাকে দিয়েছে পোলিও ভ্যাক্সিন।
পোলিও ভ্যাক্সিন বাঁচিয়েছে বিলিয়ন জীবন। অসংখ্য বিজ্ঞানী ও টেকনিশিয়ানের শ্রম এবং দশ হাজার রেসাস বানরের জীবনের দামে এই ভ্যাক্সিন এসেছে। আমি তাঁদের সবার উদ্দেশ্য মাথা নত করি।
এবং স্মলপক্স ভ্যাক্সিনও।
এরা শুধু বাঁচায় ই নি তারও বেশী কিছু করেছে শিশু অবস্থা থেকে আমরণ এত জঘন্য একটা ডিফর্মিটির মধ্য দিয়ে যাওয়ার ভয় থেকে আমাদের মুক্তি দিয়ে। কেমন হত আমরা যদি থাকতাম তাঁদের জাগায়? কত ছিল এর সম্ভবনা? এম্প্যাথি বলে একটা শব্দ আছে। এর অর্থ হল একজন দুর্দশাগ্রস্থের পরিস্থিতিতে নিজেকে স্হাপন করে তার দুর্দশা সিমুলেইট করা। এই সিমুলেইশন দুটি কাজ করে, প্রথমত দুর্দশাগ্রস্থের প্রতি আমাদের সহানুভুতি জাগিয়ে তোলে এবং আমাদের ভেতর এই বোধ জাগিয়ে তোলে যাতে আমরা সেই দুর্দশাগ্রস্থের কষ্টের প্রতিকার করতে পারি এবং অন্যের একই দুর্দশায় পতিত হওয়ার কারণ রোধ করতে পারি। এই এম্প্যাথিই আমি মনে করি আমাদের ইভল্যুশনারি অরিজিন অফ মরাল এ্যান্ড দ্য সেন্স অফ রাইটসাসনেস। এই এম্প্যাথি ই জন্ম দিয়েছে পোলিও ও স্মলপক্স ভ্যাক্সিনের। এবং জন্ম দিবে এইচআইভি ভ্যাক্সিনেরও। এখন আমরা যেমন এই স্মলপক্স রোগীকে দেখে কষ্ট পাচ্ছি, ২০ কি ৩০ বছর পর হয়তো আমাদের পরবর্তী জেনেরেইশন আমাদের এইডস্ এ, ক্যান্সারে এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে মারা যাওয়া দেখে আমাদের করুণা করবে।
আমার জীবনের প্রতিটি পিকোসেকেন্ড ঋণী পলিটিকাল ফিলসফির কাছে।
একটি জাগা যার সামনে দিয়ে আমি যতবার হাঁটি ততবার শ্রদ্ধায় মাথা নত করি।
সেই পলিটিকাল ফিলসফি যা আমাকে দিয়েছে গনতন্ত্র, ফ্রী-স্পিচ, সিভিল লিবার্টি এবং ফ্রীডম অফ এক্সপ্রেইশনের মত স্বর্গীয় উপহার। স্বর্গীয় সব হুরের চাইতে যার মূল্য আমার কাছে বেশী। হয়তো আমাদের বাংলাদেশ পর্যন্ত এখনও এর সুফল পৌছেনি। তবে আমরা অনেকদুর এগিয়েছি। আমার বিশ্বাস আমাদের জীবদ্দশায় আমরা দেখে যেতে পারবো আমাদের বাংলাদেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেন্সরশিপ বিলুপ্ত হয়েছে, ইক্যুয়ল রাইটস অফ হিউম্যান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ফ্রী মার্কেট ও ওপেন ইকনমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সর্বোপরি আমাদের মূল্যবোধ ব্যবস্থা যা আমাদের যৌতুক, চাঁপাবাজি, আড্ডাবাজি, অভিমান, মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই দেয়নি তার সমূল অপসারণ হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পাশ্চাত্য মূল্যবোধ ব্যবস্থা যা আমাদের দিয়েছে মধুসুদন, রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, রামমোহন, গান্ধী, বোস, চন্দ্রশেখর এঁদের মত অমূল্য রত্ন।
আমি এর সুবিধা ভোগ করছি তবে এর জন্যে প্রাণ দিয়েছে অসংখ্য মানুষ। এখন আমি যেই কথা অকপটে বলছি আজ থেকে দুশো বছর আগে হলে এর জন্য আমার প্রাণের ঝুঁকি থাকত। ২০০৯ এ এই যে আমি ঝুঁকিমুক্ত এটা আমার কোনো অর্জন নয়, এটা আমাদের পূর্বপুরুষদের অর্জন, জীবনের দামে কেনা এই অর্জন তাঁরা উদ্দেশ্য করে গেছেন আমাদের নামে, নিজেরা সুফল ভোগ করতে পারেন নি। হাতে সময় অফুরন্ত থাকলে আমি তাদের সবাইকে ফুল দিয়ে পূজা করতাম। আসুন আমরা তাঁদের উদ্দেশ্য মাথা নত করি। তাঁদের এই ত্যাগ আমাদের চোখ ভিজিয়ে দেবার জন্যে যথেষ্ট। আমার জন্মেরও কয়েকশো বছর আগে থেকে আমারই মত মানুষ আমাকে ভালোবেসে আসছে এবং এই ভালবাসার মূল্য পরিশোধ করেছে নিজেদের মাথার দামে এই অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ অন্ততঃ আমার কাছে অশ্রুবিন্দু ছাড়া কিছু নয়। আমি তোমাদের জন্য এই মুহুর্তে আমার চাঁমড়া ছুলে দিতে রাজী। আমার চিত্তের অন্তঃস্থল থেকে স্যালিউট এই হিরোদের জন্যে।
আমরা কি মানুষের এই সিমলেস্ মমত্ব ও একে অপরের প্রতি সহানুভুতির নির্যাস এক মূহুর্তের জন্যে হলেও পেয়েছি? আমার জীবন বাঁচিয়েছে এবং প্রতিমুহুর্তে বাঁচিয়ে চলেছে মানুষ, আমার জন্য অনন্ত সময় খেঁটে যাচ্ছে কোন প্রতিদানের আশা ছাড়াই মানুষ। আমার জীবনকে সহজ করেছে মানুষ। এই মানুষদের কাছে আমার শরীরের প্রতি আপ কোয়ার্ক, ডাউন কোয়ার্ক এবং ইলেকট্রণ ঋণী। এই ঋণ আমাকে শোধ করতে হবে। এরকম কয়েকজন মানুষকে আমাদের সভ্যতা থেকে সরিয়ে নিন। সরিয়ে নিন নিউটন, লিনিয়াস, ডারউইন, আইনস্টাইন কে। আমরা বাস করবো আদিম যুগের প্যালিওলিথিক মানুষদের মত।
আমরা এখন চিন্তা করে দেখি কি তাঁদের প্রেরণা জুগিয়েছে মনুষ্যত্বের এই হাই ফ্লাইং এমব্লেইম আরো উঁচুতে তুলে ধরতে। নিজের জীবনের জন্য এতটা পথ অবশ্যই তাঁরা যায়নি। নিজের জীবনের জন্য অল্প কিছু বায়োলজিকাল দায়িত্ব যেমন ফাইন্ডিং প্রেই, ফাইন্ডিং মেট ইত্যাদি পালন করলেই চলে। তাঁরা যেই দায়িত্ব নিয়েছেন এটা বায়োলজিকাল দায়িত্বেরও বেশী। আমি এটাকে বলবো ডিউটি অফ দি গ্রেইট কল অফ ইন্টেলিজেন্স। জীবন নয়, বুদ্ধিমত্তা তাঁদের উপর চাপিয়েছে এই দায়িত্ব। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই দায়িত্বও কিন্তু নিশ্চিত করে এক ধরণের সারভাইবল। সেই সারভাইবল জীবনের গন্ডিতে সীমাবদ্ধ নয় বরং জীবন কে ছাপিয়ে অসীমত্বের দিকে ধাবমান। এই কারণেই যতদিন মানবসভ্যতা টিকে থাকবে ততদিন তাঁরা নিজের আসনে অসীন থাকবেন। এটাই বোধহয় বায়োলজি আর ফিলসফির মধ্যকার বর্ডারলাইন।
আমরা উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে এই কনসেনসাসে পৌছতে পারি যে বুদ্ধিমত্তা আছে বলেই মানুষ ইন্টেলেকচ্যুয়ল ডিউটি আন্ডারটেইক করে, যা নিশ্চিত করে মানবসভ্যতার সিমলেস অনন্ত ফ্লোতে তার সারভাইবল। মানুষের নিজের জীবনকে ছাপিয়ে যাওয়ার লোভ আছে বলেই মানুষ খোঁজে ইন্টেলেকচ্যুয়ল দায়িত্ব যা তার জীবনকে আয়ুর গ্র্যাভিটেইশনাল ওয়েল অতিক্রমনের এস্কেইপ ভেলোসিটি দেয়। বলাই বাহুল্য এই দায়িত্বের উৎস মোটাোটি দুইটি রিলিজিয়ন এবং হিউম্যানিজম; বা দুই ধরণের, একটি পরীক্ষা নিরীক্ষার আওতাধীন লৌকিক, অপরটি বুজরুকি-জাদুকরী-অলৌকিক; একটি টেস্টেইবল, অপরটি ফেইথ বেইজড; একটি সারভাইবলের পুরস্কার হিসেবে দেয় মানবসভ্যতার সিমলেস ফ্লোতে সন্মানের আসন, অপরটি দেয় বেহেস্ত-হুর-আঙ্গুর ফল, একটি সারভাইবলে ব্যর্থতার জন্য কোন শাস্তি দেয়না, অপরটি দেয় প্যাদানি; একটিতে আছেন অ্যারিস্টটল, আইনস্টাইন, ডারউইন, ক্রিক, ওয়াটসন অপরপক্ষে কে আছেন হাশরের মাঠে তা জানা যাবে,; একটির সার্ভাইব লরিওয়র্ড আসে মানবসভ্যতার ইতিহাস থেকে, অপরটির আসে ঈশ্বর থেকে। তো দেখা যাচ্ছে একটি টেইস্টেবল না বিধায় তার সম্পর্কে টেইস্টিমনি আদায় করতে হয় অন্য উৎস থেকে। সেই উৎস বোধহয় হতে পারে তাদের রেস্পেক্টিভ সার্ভাইবল রিওয়র্ডরের একজন স্বতন্ত্র ইন্ডিভিজ্যুয়লের উপর ইতিবাচক প্রভাব যা কিনা টেইস্টেবল, এখন আমরা সেই প্রভাবের একটি তুলনামূলক চিত্র দেখব।
কবে ঈশ্বর মার্সে একটি প্রোব পাঠিয়েছে?
কবে ঈশ্বর সৌরজগতের বাইরে প্রোব পাঠিয়েছে?
বিখ্যাত পাইয়োনিয়র প্ল্যাক। পাইয়োনিয়ার স্পেইসশিপ এই প্ল্যাক নিয়ে সৌরজগত ছাড়িয়ে অসীম মহাশূণ্যের গভীরে ধেয়ে যাচ্ছে। মহাবিশ্বের অন্য কোন বুদ্ধিমান প্রাণী হয়ত এই প্ল্যাক হাতে পাবে একদিন। তারা জানবে প্ল্যাকে দেওয়া স্টেলর ডাইরেক্সন দেখে সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহে বুদ্ধিমান প্রাণ আছে। তারপর তারা কি করবে আমরা জানি না, আমাদের চেয়ে বেশী বুদ্ধিমান হলে হয়তো আমাদের রেসাস বানরের মত এক্সপেরিমেন্টে ব্যবহার করবে, অথবা বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আমাদের সাথে তথ্যের আদান প্রদান করবে, যেহেতু আমাদের ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথমেটিক্স হবে একই, তারা হয়ত আমাদের অর্জনগুলো একবার রিভিউ করবে, আমাদের অগ্রগতিতে মুগ্ধ হবে, আমাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিবে, তবে আমার মনে হয়না আমাদের ধর্মবেত্তা, জ্যোতিষী এবং জর্জ বুশের মত অন্যান্য ফিয়ার মঙ্গারদের প্রতি তাঁরা বিন্দুমাত্রও আগ্রহান্বিত হবে।
কবে ঈশ্বর এরকম একটি ছবি তুলেছে?
আপনারা দেখছেন হাবল আলট্রা ডিপ ফিল্ড ইমেইজ, সৃষ্টির ইতিহাসে তোলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছবি। এবং আদিমতম ছবিও বটে। যেহেতু এটা ১৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দুরে এবং বিশ্বজগতের বয়স ১৩.৭ বিলিয়ন বছরের কাছাকাছি অর্থাৎ আপনারা দেখছেন মহাবিশ্বকে যখন এর বয়স ৫০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন বছর। এখানে আছে প্রায় ১০০ হাজার গ্যালাক্সি তাদের শৈশব অবস্থায়। বলাই বাহুল্য এরা এখন একই অবস্হায় নেই। এরা ফর্ম করেছে, ম্যাচ্যুর্ড হয়েছে। একইভাবে ৭০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দুরে কোন বুদ্ধিমান প্রাণী যদি এখন পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে থাকে সে দেখবে ডাইনোসর।
কবে ঈশ্বর একটি অর্গানিজমের জেনোম সিকোয়েন্স করেছে?
বিশ্বজগতের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ মলিকিউল যার মানুষের ৩বিলিয়ন বেইসপেয়ার সিকোয়েন্স করতে ৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে আর সময় লেগেছে ১৩ বছর।
কবে ঈশ্বর একটি লার্জ হেড্রন কোলাইডার বানিয়েছে?
মানুষের ইতিহাসে বানানো সবচেয়ে বৃহত এবং সবচেয়ে খরচসাপেক্ষ মেশিন। এর টানেলের দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। এটা এনার্জিকে ম্যাসে পরিনত করে বিগব্যাঙ্গের সিমুলেইশন করে। হ্যা সেই লার্জ হেড্রন কোলাইডার যার বিরুদ্ধে ক্রিয়েইশনিশ্টরা গুজব ছড়ায় যে, স্ট্রেইন্জ কোয়ার্ক সিনথেসিস করে এটা সমস্ত পৃথিবী ও সৌরজগতকে ব্ল্যাকহোল বানিয়ে দিবে।
কবে ঈশ্বর এত নিখুঁতভাবে মৃতদেহ প্ল্যাস্টিনেইট করেছে?
টারমিনালি ইল এই গর্ভবতী মহিলা মারা যাওয়ার আগে তার মৃতদেহ ডোনেইট করে যান মানুষের স্বার্থে, ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে এবং বিজ্ঞানের স্বার্থে। তার এই ত্যাগের কারণে আমরা অনেকে হয়তো জীবনে প্রথম প্লাসেন্টা দেখছি, ইউটেরাসে ভ্রুণ দেখছি, চলুন আমরা তাকে একবার স্যালিউট জানাই। সে বোধহয় যথাযথ সিদ্ধান্তই নিয়েছে মরে গিয়ে পঁচে গলে নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে অনন্তকাল এভাবে মানুষের জ্ঞানার্জনের স্বার্থে, অভিজ্ঞতা অর্জনের স্বার্থে শিক্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে বেঁচে থেকে। তারপরও আমি মনে করি বিস্ময়ের সাথে এই ছবির মন খারাপ করা একটা দিক আছে, যদি আমরা এই মহিলার জাগায় নিজেদের এম্প্যাথাইজড্ করি। টার্মিনাল ইলনেস, মৃত্যুর কতদিন আগে ডাক্তার তাঁকে বলতে পেরেছিল যে, তুমি এত দিনের মধ্যে মারা যাচ্ছো? কত সময় সে পেয়েছিল সবকিছু গোছগাছ করার জন্য? কি কি সিদ্ধান্ত তাঁর নেয়ার ছিল? নিজের গর্ভের সন্তানের কথা সে কি ভেবেছিল? দেখে মনে হচ্ছে ভ্রুণটির বয়স ৭ মাসের বেশী, অর্থাৎ তার সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম ডেভেলপ হয়েছিল বা ব্যাথা বোধ করার ক্ষমতা তার জন্মেছিল। কি প্রতিক্রিয়া তার হয়েছিল হঠাৎ একটি মুহুর্তে যখন তার অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায়? এই প্রশ্নগুলো আমার মাথায় এসেছে, আমি বলে উঠেছি যদি সম্ভব হত আমি তার সব ব্যাথা, এমনকি যদি তা হাজার ফোল্ড অ্যাম্পলিফাইড হয়েও হতো, চোখ বন্ধ করে বিনা প্রশ্নে নিজের উপর নিয়ে নিতাম। আমি তাঁকে আবারো স্যালিউট জানাই।
এগুলো সব মানুষের অর্জন।
রোবটিকসও মানুষের অর্জন, কবে ঈশ্বর শেষ একটি রোবট বানায়?
বা একটি সুপার কম্পিউটার?
বা একটি নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রিজোনেন্স স্পেকট্রোস্কপি মেশিন?
অনেক মানুষের অনেক পরিশ্রমের এবং অনেক সময়ের ফসল এগুলি।
আর এই বিশাল সময়ে ঈশ্বরের অর্জন কি?
কিছুই না। অ্যাবসোল্যুটলি নোগ্ট্ , অ্যাবসোল্যুটলি নাল্, অশ্বডিম্ব।
এমতাবস্থায় আপনাদের উপরই এটা নির্ধারণের ভার ছাড়ছি আপনারা কি প্রাউড হবেন ম্যাজিক ড্যাডি ফলোয়ার হয়ে, না একজন গর্বিত হিউম্যানিস্ট হয়ে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমাদের কাছ থেকে মানব সভ্যতা আশা করে একজন ম্যাজিক ড্যাডি ফলোয়ার থেকে অনেক বেশী। আর বেহেস্ত গিয়ে আমি কি করবো। আঙ্গুর খেলাম প্রথম এক মিলিয়ন বছর, তারপর? তার পরের মিলিয়ন বছর? তার পরের পরের অযুত লক্ষ মিলিয়ন বছর? এটা খুবই স্বাভাবিক সাইকোলজি যে আমরা আমাদের মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নেব না। তবে আমি মেনে নেই, কেননা আমি মরে যাব এই সত্যই আমার এই একটি জীবনকে পূর্ণতা দেয়।
নাকি আবার এইগুলা-
পাথর মেরে এই মহিলাকে হত্যা করে তালেবান জানোয়ারেরা।
ইসলাম স্বীকৃত সবচেয়ে সহজ শাস্তি।
ইরাকে পাথর মেরে এই মহিলাকে হত্যা করা হয়, জনগনের (শব্দটি কারো কাছে অপপ্রয়োগ মনে হলে অভিযোগ করব না) স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন ছিল এতে। মহিলার অপরাধ? সে বিয়ে করতে চেয়েছিল ভিন্ন ক্লানের একটি ছেলেকে। মন চায়না সব শূয়োরের বাচ্চারে ধইরা জবাই কইরা ফেলি?
ইরানে অসনাক্তকৃত এই মহিলাকে পাবলিক এক্সিকিউট করা হয়।
গাজীপুরের আত্নঘাতী বোমা হামলা।
ধার্মিক ক্রিয়েইশনিস্ট বাবাজীদের আবার আরেকটা বদ-অভ্যাস হচ্ছে নিজেদের কুকর্ম অস্বীকার করা। একজন ভন্ড বিজ্ঞানী টেইস্ট রেজাল্ট ফেইক করলে দেড়শো বছর যাবত তারা সেই পিল্টডাউন ম্যানের রেফরেন্স দিতে ছাড়ে না, এবং আন্ডার দ্য সারকমস্টেইন্স দ্যাট ধর্মের খাতিরে দুই একটা মিথ্যা বললে কোন পাপ হয়না, তারা সেই সাথে নেব্রাস্কা ম্যানের মত আরও দুই একটা মিথ্যা যোগ করে গোয়েবলসিও কায়দায় নিজেদের প্রচার দক্ষতার পরিচয় দেয়। কিন্তু একজন সৎ ধার্মিক ব্যক্তি দুই একটা বোমা ফুটালে এবং কেউ এই সুত্র ধরে ধর্মের বিরুদ্ধাচার করলে তারা বলে- নাহ! এর রেফরেন্স তো টানা যাবে না, তারাতো কোন অকর্ম করছে না, তাদের পক্ষে অকর্ম করাটা অসম্ভব তো, তারা শুধু দুই একটা পাপ করছে, সেটাও নিজের ইচ্ছায় করছে না, শয়তানের প্ররোচনায় অতিষ্ট হয়ে করছে, শয়তান তার অসুভ অসোয়াসার জোব্বায় দুধের শিশু ধার্মিকটিকে চেপে ঠেঁসে সাফোকেইট করে ফেলছে, আর ধার্মিকটি বলছে “গেট দ্যি বিহাইন্ড মি সাইটন্ , অ্যান্ড পুট ইট ইন জেন্টলি।”
অনেকেই হয়তো ইতিমধ্যেই বুঝে ফেলেছেন উপরের ডিস্টার্বিং ছবিগুলো দেখানোর পর ছল করে একটা জোক না করলে আমি নির্দয়তার পরিচয় দিতাম। আমি জানি ছবিগুলো বেশ ডিস্টার্বিং। এজন্যই প্রথমেই আমি ডিসক্লেইমার দিয়েছি। তবে ছবিগুলো আমাদের দেখা দরকার, দেখা দরকার এই কারণে যে না দেখলে আমরা একে ঘৃণা করতে পারব না। ঘৃণার যোগ্য জিনিষকে ঘৃণা করতে ব্যর্থ হলে ভালোবাসার পথে তা ফাঁড়া হয়ে দাড়াতে পারে বলে আমি হাইপোথেসাইজ করছি। ইরানের রিভল্যুশনারী সরকার এসেন্সিয়লি তালেবান সরকারের মতই। বলা যেতে পারে আমাদের দেশে জেইএমবি বোমা ফুটিয়ে ক্ষমতা দখল করতে পারলে আমরা যা এক্সপেরিয়েন্স করতাম এবং তারা যা এক্সপেরিয়েন্স করছে সেটা মূলত একই। তাই, ইরানের এই অসংখ্য সন্তস্ত্র নিরীহ সাধারণ মানুষদের প্রতি সহমর্মী হতে, তাদের ব্যাথায় সমব্যাথী হতে তাদের দুর্দশা আমাদের দেখা উচিত।
এখানে আরো একটি বড় ভীতির কারণ এই অশিক্ষিত মানুষদের দ্বারা পরিচালিত মধ্যযুগীয় এই দেশটি পারমানবিক শক্তিধর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। একটি পারমানবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের কর্ণধার কে হতে যাচ্ছে এটা একটি গ্লোবাল কনসার্ণ এইজন্যে যে, সে যদি জুডেও-ক্রিশ্চিয়ান ধর্ম ( মধ্যযুগে বিকশিত হওয়া এর তিনটি ধর্মেরই ওয়্যাকি পবিত্রতার অবতার পবিত্র গ্রন্থখানি দাবী করে থাকে বড় এক যুদ্ধে পৃথিবীর পপুলেইশনের সিংহভাগই ধ্বংস্ব হয়ে গেলে, একটি ম্যাজিক বয়ের আগমন যে ঐ নির্দিষ্ট ধর্ম সারা পৃথিবীময় রিইনস্টেইড করবে) লিটারেলি বিশ্বাস করে, হি উইল হ্যাভ হিজ গড ড্যাম্নড্ ফিঙ্গার অন দা বাটন থ্রুআউট, সেয়িং টেল মি লর্ড হোয়েন টেল মি লর্ড হোয়েন। এজন্যই মূলত ইউরোপের নিউস চ্যানেলগুলো শুধু হাসাহাসি করে সারা প্যালিনের মত সুন্দরী অযোগ্য মহিলার ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়া প্রতিরোধ করেছে। সেই এন্টি ফ্রুটফ্লাই, এন্টি জেনেটিক্স এবং এন্টি সায়েন্স সারা প্যালিন যে তার বাসা থেকে রাশিয়া দেখতে পায়, আফ্রিকা একটা মহাদেশ এটা জানেনা এবং জানেনা বুশ ডক্ট্রিন কি।
সবশেষে আমি কথা বলবো আমাদের একটি অন্যতম ইভল্যুশনারি ইন্সটিঙ্কট ভয় নিয়ে। ভয় এসেন্সিয়্যলি সর্বপ্রকার কুকর্মের ইনহিবিটর। ভাল বা নিরপেক্ষ লোকদের হাতে বন্দুক দিয়ে তাই দেখি নাৎসী সেনা বলে ঐ ইহুদীকে গুলি করে মার নাহলে তোমাকে গুলি করে মারা হবে, বুশের মত নরপশুকে দেখি পার্লামেন্টকে আকস্মিক বোমার ভয় দেখিয়ে আর্মি দিয়ে একটি দেশ ইনভেইড করে এক মিলিয়নোর্ধ মানুষ মেরে ফেলতে, কোরাণকে দেখি নরকের ভয় দেখিয়ে আত্নঘাতী বোমাহামলাকারী দিয়ে হাজার হাজার মানুষ খুন করিয়ে নিতে, এরা কে কার চেয়ে বড় পশু সেটা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হতে পারে। তবে এটা বলা যেতে পারে নিঃসন্দেহে আমাদের জুডেও-ক্রিশ্চিয়ান গড ইতিহাসের একটি অন্যতম অস্বস্তিকর চরিত্র। পান থেকে চুন খসলো তো গ্লোবাল ফ্লাড, ফেইমিন, ড্র্যাউট্। মানে কি এইসব? গড কি এত ইডিয়ট হয় নাকি? নিজেকে দাবী করছে সর্বজান্তা বলে, তো বিদ্যার জাহাজ আমাদের সাথে তোমার বিদ্যা কিছু সেয়ার করোনা। দেখি তোমার আইনস্টাইন ফিল্ড ইক্যুয়েইশন কতটা নিখুঁত হয়। তো বোঝাই যাচ্ছে এগুলিতে সে মোটেও উতসাহী না। সে নিজেকে দাবী করে দয়ার সাগর বলে অথচ প্রজেক্ট করে একটা বারো বছরের শিশুর আই কিউ। তুমি মানুষ বানাইছ, মানুষের সাথে তোমার প্রবলেম সেটা তুমি মানুষের সাথে সর্ট আউট করবা, পৃথিবীর সব অর্গানিজম মেরে ফেলা কেন। আর তুমিতো সবকিছু জান আবার আগে থেকেই, এত বড় ঝামেলা পাকায় বসবা যে এইটা আগে বোঝ নাই? আর ফিয়ার মঙ্গারিং বাদই দিলাম। সারাটা জীবন দোজখ দোজখ করতে করতে মাথাটা ধরায় দিল। ইউ ওয়্যান্কড্- গো টু হেল, পিকড্ অ্যাট এ ওম্যেনস বাম -হেল, গট ড্রাঙ্ক- হেল। এর কাছে আমি মাথা নোয়াবো না, এটা আমার আনুগত্য বা অনানুগত্যের প্রশ্ন নয়, এটা আমার পৌরুষের প্রশ্ন। আমার পূজা যে চাবে আমার প্রতি তার শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা থাকতে হবে। আমাদের জুডেও-ক্রিশ্চিয়ান গড হচ্ছে টু ইডিয়ট টু আন্ডারস্ট্যান্ড দ্যা কনসেপ্ট অফ মিউচ্যুয়ল রেসপেক্ট। আমি নামাজ না পড়লে তোমার রেসপাইরেইশন বন্ধ হয়ে যায়, হজ্ব না করলে তোমার ইন্টারসেলুলার সিগনালিঙ্গ বন্ধ হয়ে যায়, রোজা না রাখলে তুমি ঝামেলায় পইড়া যাও তো তুমি কি স্বয়ংসম্পুর্ণ গড হইলা? কেউ কি আমাকে কোন ধর্মের একটি ঈশ্বর দেখাতে পারবেন লাঠি হাতে যে আপনাকে দোজখে পাঠানোর জন্য রেডি হয়া নাই এবং যার ফিয়ার মঙ্গারিং ওপ্রেয়ার বেগিঙ্গের বদ-অভ্যাস নাই?
যদিও ঈশ্বরে অস্তিত্ব ইতিবাচক হবার সম্ভবনা প্রায় শূণ্যের কাছাকাছি, তারপরও আমি যদি কখনো সরাসরি ঈশ্বরের সাক্ষাত পাই, এবং তিনি আমাকে জানান দেন যে তিনি আছেন, আমি মনসতত্ববিদের কাছে যাবো চেক করাতে আমার কোন মানসিক সমস্যা আছে কিনা। আমি এটা করবো এই কারণে যে ঈশ্বর আমাকে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়া মানে ল’জ অফ ফিজিক্সের ভায়োলেইশন, ল’জ অফ ফিজিক্স যা বিগত ১৩.৭ বিলিয়ন বছর থেকেছে অপরিবর্তনিয়, হঠাৎ একদিন সেই ল ভেঙ্গে পড়ার চেয়ে আমার মস্তিষ্কবিকৃতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেশী। তারপরও যদি ডাক্তার বলে যে না আমার মস্তিষ্ক ঠিক আছে, তাহলে আমি হয়তো মেনে নেব যে ঈশ্বর আছেন, কিন্তু তারপরও আমি তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করব না, তার প্রতি মাথা নোয়াবো না যে কারণে আমি একটা রেসাস বানর হয়ে জন্মালে মানুষ যার আমার অনুভুতি, জীবন ধারণের অধিকার এবং রাইট নট টু বি টর্চার্ড এর প্রতি কোন শ্রদ্ধা নাই- এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতাম না, তো তুমি আমাকে পোলিও ভাইরাস এক্সপেরিমেন্টে ব্যবহার কর বা যাই কর। দেখা যাচ্ছে গবেষণায় জুডেও-ক্রিশ্চিয়ান গড বরই অনাগ্রহী। সো গ্রেইট, লেটস লিভ এ লাইফ দেন।
তো ?
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
জুবায়ের তোর ৫টা জোক্স এর লগে এইটা দিলে বেশি ভালো হইত...। =)) =)) =))
কঠিন কঠিন ইংরেজী শব্দ এতকষ্ট করে বাংলায় বানান করে না লিখে বাংলা প্রতিশব্দটি ব্যবহার করলে ভাল হয়। আর যদি বাংলা প্রতিশব্দটি না জানা থাকে, তাহলে দয়া করে অন্য সবকিছুর আগে নিজের মাতৃভাষাটি রপ্ত করুন।
(ঘুরায়া প্যাঁচায়া না কইয়া সরাসরি কইলাম)
মন্তব্য আপত্তিকর।
জুবায়ের অর্নব যা জানেন তার সিকিভাগ আমি জানি কিনা সন্দেহ আছে। তাই মাতৃভাষা ভালো জানেন না, বা তার অনেক শব্দ জানেন না বলে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন- এইটা আমি মেনে নিতে পারি না। আমি জানতে চাই। এবং এই জন্য আমি আমি ইংরেজি শব্দগুলোর মানে অভিধান খুঁজে বের করার কষ্ট করতে রাজি আছি।
আমিও সরাসরি বললাম। তোর বাংলাভাষা নিয়ে অযথা পার্ট নেওয়া পছন্দ হলো না।
ও আচ্ছা।
:))আমার প্রত্যক্ষ্যে আমার প্রসংসাসূচক তোমার এই মন্তব্য আমাকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। আমিও তোমার জন্য গর্বিত ভাবার যোগ্য একটি মন থেকে তুমি বঞ্চিত নও দেখে।
😡 :dreamy:
প্রিয় জুবায়ের অর্ণব,
আপনার পোস্টের অনেকগুলি ছবি অতিমাত্রায় নৃশংস হওয়ার কারনে মানসিক ভাবে সবার কাছে সহনীয় নাও হতে পারে।
তাই সেই ছবিগুলি অস্বচ্ছ করে দেয়া হলো।
এই ধরনের ছবি দেয়ার আগে সবার মানসিক সহ্য ক্ষমতা আরেকবার ভাবার জন্যে অনুরোধ করছি।
এবং প্রিয় এহসান,
আপনাকে লগ ইন করে এবং নামের সাথে কলেজে অবস্থান সময়কাল উল্লেখ করে মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আমাদের এখানে এহসান নামে একাধিক সদস্য থাকায় এটা অনেকের জন্যে বিভ্রান্তিকর হতে পারে।
ভবিষ্যতে শুধু এহসান লিখে মন্তব্য করলে তা প্রকাশের নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে না।
সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।
আমাকে জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি ডিসক্লেইমার দিয়েছিলাম এজন্য পোস্টের শুরুতেই, আপনাকে ধন্যবাদ কষ্ট করে ছবিগুলো ঝাপসা করে দেয়ার জন্য। এতে শালীনতাও বজিয়ে থেকেছে এবং বক্তব্যেরও কোন বিকৃতি হয়নি। আপনার উপদেশ গুরুত্বের সাথে গ্রহন করলাম।
আল্লাহ হয়তো মানুষের অজ্ঞতা দেখে মাঝে মাঝে হাসেন!
এটা প্রিন্ট আউট করবা, আর তোমার পোলা/মাইয়ারে (যখন হবে) কবা হার্ড কপিটা মরার পর তোমার গ্রেইভ-এ দিয়া দিতে, যাতে অভিযোগ গুলি আল্লাহ্রে শুনানোর সময় টু দি পয়েন্ট মনে থাকে!
পারলে একটা ইন্টারনেট কানেকশন-ওয়ালা কম্পিউটার নিয়া যাইয়ো, যাতে আন্সার গুলি মেইল করে জানাইতে পার!!
:)) :)) :)) খারাপ বলো নাই আদনান, তবে একটু বেশি কড়া হয়ে গেলো না!!
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
:)) :)) :)) =)) =)) =))
আপনি সম্ভবত বুঝতে পারেননি যে, আমার প্রবন্ধটির একটি অন্যতম বক্তব্যই হল "মানব ইতিহাসের অন্যান্য সকল অপসংস্কার এবং কুসংস্কারের মতই আল্লা বলেও কিছু নেই।"
মানুষের অর্জনগুলোর সংগে ঈশ্বর-প্রসংগ টেনে আনার ব্যাপারটা বুঝতে পারলামনা। বলার স্টাইল, বরাবরের মতই, দুর্দান্ত। ঈশ্বরের অনস্তিত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে, আমি মনে করছি, অহেতুক পাত্তা দেয়া হয়েছে ঈশ্বরকেই।
যদি, বিজ্ঞানের ভাষায় ভাবি কিংবা বৈজ্ঞানিক রীতিকেই পাথেয় মানি তাহলে না আমার ঈশ্বরকে প্রয়োজন, না তাঁর আমাকে। আমাদের তো দেখাই হয়না কোথাও, কোন কক্ষপথে।
ঈশ্বরকে অপ্রমাণ সাব্যস্ত করার প্রক্রিয়াটি তাই আমার কাছে বেশ অবৈজ্ঞানিক-ই মনে হল।
নূপূর ভাই
টপিক টা বোধহয় মোর মানুষ বনাম ঈশ্বর( বিজ্ঞান বনাম ঈশ্বর নয়। এখানে ঈশ্বরের অনস্তিত্ব নিয়েও খুব বেশি ঘাটাঘাটি করা হয়নি তা থেকে ধারনা করছি)। আপনি মানুসের অর্জন এর সাথে ঈশ্বরের অর্জন তুলনা করলে বোধহয় আর্টিকেল টা বেশী অর্থবোধক হবে। ঈশ্বরের অর্জন এবং ফিলোসফি বনাম মানুসের অর্জন এবং ফিলোসফি এ দুটোর কোনটা আমাদের পৃথিবীর ভালো এবং গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দেয় তা দেখানো বোধহয় লেখকের উদ্দেশ্য ছিলো ।)
:thumbup:
ঠিক-ই বলেছো তুমি। 'মানুষ বনাম ঈশ্বর' নয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। আমার কথাও সেখানেই। সেকারণেই আমার মনে হচ্ছিলো, 'ঈশ্বর' এর উল্লেখ না হলেও চলতো। মানুষের অর্জনসমূহ (যান্ত্রিক, দার্শনিক) ও ঈশ্বরের "অর্জন" (তোমার ভাষায়)-এর পারস্পরিক অবস্থান বিপ্রতীপ। ঈশ্বরের "অর্জন"কে স্বীকার করে নিলে মানুষের সভ্যতা, সংগ্রাম ও উত্তরণ -- এসব দার্শনিক অবস্থান থেকে বিবেচনা করার জো থাকেনা।
যখন কোন কিছু 'নেই' ধরে নিয়ে আমার ভাবনার যাত্রার শুরু, তখন সেই ভাবনার কোথাও, কোন একটি বিন্দুতে সেই 'নেই' ব্যাপারটিকে 'নেই' বলে ঘোষণা করলে আমি আসলে ' না থেকেও যে সেটি আছে
(আমার মনের নিভৃত কোণে, আমার অবচেতনেই বোধ করি)', এই ব্যাপারটিকে প্রতিষ্ঠা করলাম, তাই না?
জানিনা, বোঝাতে পারলাম কি না, বেশী পেঁচিয়ে ফেলছি মনে হয়।
ধরা যাক, একজন বিজ্ঞানী কিংবা একজন ডাক্তার ব্যক্তিজীবনে ঈশ্বরে আস্থা রাখছেন। কিন্তু গবেষণাগারে কিংবা রোগীর শয্যাপাশে তিনি যখন থাকেন তখন তিনি কি কোন পরীক্ষণের সফলতা বা রোগ-নিরাময়ের জন্য ঈশ্বরের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবেন? আমরা, এবং তিনি নিজেও, কি আশা করবোনা, আপাতত ঈশ্বরকে একপাশে সরিয়ে রেখে তিনি মনোনিবেশ করুন তাঁর প্রাথমিক কাজে? অর্থাৎ,
এই দুটো দর্শনের অবস্থান ভিন্ন সমতলে; তুলনা বা 'গ্রহণযোগ্যতা'র
প্রশ্ন কি আসে?
খুব বেশি পেচিয়ে ফেলেন নি।আমি বুঝেছি (প্যাসকেলস ওয়েজার।)।
এ ব্যাপারে আমি একটু দুশ্চিন্তায় ছিলাম। রাসেল এর একটা উত্তর পছন্দ হলো এবং ড্যাং ড্যাং করে ঘোরা শুরু করলাম।উনাকে জিজ্ঞেশ করা হয়েছিলো ঈশ্বরের সাথে দেখা হলে কী করবেন।তিনি বলেছিলেন ,"আমি জিজ্ঞেশ করবো,
SIR, why have you taken such pain to hide yourself"
(যে কারনে মাথায় বুদ্ধি আছে বলে অস্বীকার করবো এবং আমার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ করার ও কিছু থাকবে না 😛 )
উনার নিজের সংগায়(প্রাপ্ত তথ্যমতে ) উনি নিজেই ধরা খান।যেমনঃ
আমিঃস্বাধীন না পরাধীন?
স্বাধীন হলে আমি বলবো নাক গলাবা না
পরাধীন হলে আমি বলবো তুমি চোখে দেখোনা ?
ওনার সাথে আমাদের সম্পর্কের বর্ডারলাইন ভালোভাবে সংগায়িত না।
আমাদের দর্শন আমরা খুব ভালো জানি এবং ওনার দর্শন(প্রাপ্ত তথ্যমতে ) আমাদের জন্য যথেষ্ট না।দর্শন দাঁড়ায় সংগার উপর (হিস ওয়ান ডাসন মেক এনি সেন্স)।
পড়ে মনে হলো পুরো রচনা এই যুক্তি এর উপর বেস করে লেখা।
অপরদিকে মানবসভ্যতার দর্শন পেরিয়ে যাওয়া।
স্বাভাবিক দৃষ্টিতে কনফ্লিক্ট করেনা। এক্সট্রা মাইল যেতে হলে মানুষের দর্শন বেশী ভাল ব্যাখ্যা দেয়। কারন তখন পসিটিভ ড্রাইভ (Libido) এবং নেগেটিভ ড্রাইভ (Thanatos) এর প্রয়োজন হয় (আপনি এর ডিফারেন্ট এপ্লিকেইশন গুলো apollonian & diyonisian এর ব্যাখ্যা তে পাবেন)।
ধর্ম কে আপনি লিমিট/ফিনিশিং পয়েন্ট হিসেবে ধরতে পারেন, যা সভ্যতার স্বভাব না। লিমিট ক্সস করার অভ্যাস বিবর্তন দ্বারা সমর্থিত।
তারপরো যদি তিনি থাকেন আমি খুশি হবো কারন তাকে আমার প্রয়োজন। শেল্টার। (বায়োলজিক্যাল লিস। যা পেরিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য :(( ) (তবে বর্তমান সংগা এর নয়) ।
নিজেই পেচালাম কিনা বলবেন। 😛
না না, একেবারেই পেঁচাওনি।
তোমার যুক্তিগুলো বেশ ভালো লাগলো,
আমি এত উদাহরণ দিয়ে বলতে পারতামনা,
পড়াশোনা কম তো! 🙁
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
একটু অন্যপ্রসংগে: এতক্ষণে দেখছি ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে
এই পোস্ট টা নিয়ে। অনেকে পড়ছে(ন) এবং পছন্দ-অপছন্দ নানারকম মন্তব্য করছে(ন)। আমি তো খারাপ কিছু দেখছিনা, চলুক না বিতর্ক। মাত্রাজ্ঞান বজায় রেখে একটু ঝগড়াঝাটি করাটা এমন কী দোষের। তোমার কি মনে হয়?
আপনাকেও ধন্যবাদ। 😀
আমিও বিতর্ক পছন্দ করি।আপনি বেশ কয়েকটা কমেন্ট এ সবাইকে উতসাহিত করেছেন তাই :salute:
আমরা বিতর্কের প্রাইমারী শর্ত গুলো বুঝি কম( আমার ধারনা)।
কারন বিতর্ক হয় কোনো একটা বিষয়ে এবং তর্কের সময় বিষয় টা মাথায় রাখতে হয়। তাতে সময় বাচে এবং চুলোচুলি হয় না ।আমার ধারনা এখানে দু পক্ষ থেকে অনেকেই লেখকের অবস্থান বুঝতে পারলেও রচনার বিষয় বুঝতে পারেনি (তাহলে আলোচনা শুধু এই আর্টিকেল এর ভিতর থাকতো। এইখানে এই রচনার রিভিউ তুলনামূলক ভাবে কম তাই বলছি)।আমাদের(বাঙ্গালিদের) অনুভূতি খুব তীব্র যে কারনে তা বশে রাখা কঠিন এবং এ কারনেই ক্ষতিকর।
তাই আমার মনে হয় সবারই এ রচনা নিয়ে তার অভিযোগ,অনূযোগ, প্রশ্ন গুলো লেখকের কাছে তুলে ধরা উচিত ।তখন অন্য সবাই তার নিজস্ব মতামতও বলতে পারবে।
তাতে আলোচনা পরিস্কার থাকবে সবার কাছে।
কারন নিচের আলোচনা থেকে আমি উপরের রচনার কোনো আউট লাইন পাচ্ছি না(যা থাকা উচিত ছিলো ১৮+ দের তর্কে।)
ধন্যবাদ নুপুর ভাই।ভালো থাকবেন।
"বিজ্ঞানের ভাষায় ভাবি কিংবা বৈজ্ঞানিক রীতিকেই পাথেয় মানি তাহলে না আমার ঈশ্বরকে প্রয়োজন, না তাঁর আমাকে। আমাদের তো দেখাই হয়না কোথাও, কোন কক্ষপথে। "
কথাটা মানতে পারলাম না। বিজ্ঞান কাজ করে শূধুমাত্র মানুসের জন্য।ঈশ্বরের হস্তক্ষেপ তো সবখানে (যদি ধরা হয় তিনি আছেন।)
পুরো রচনায় কিন্তু ব্যাক্তিগত দৃষ্টিভংগি এর চেয়ে সামাজিক দৃষ্টিভংগি এর গুরুত্ত দেয়া হয়েছে বেশি ।তাই আমার মনে হয় পরার সময় সমাজের দৃষ্টিভংগি থেকে পরলে এটা বেশি অর্থবোধক হবে।
আপনার মন্তব্য পেয়ে গর্বিত বোধ করছি নূপুর ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে আমি ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অপ্রমান করতে চাইনি কেননা এটা সম্ভব না। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হলে পরীক্ষনীয় বস্তুর অস্তিত্ব বস্তুগত হওয়া বাধ্যতামুলক, ভাবগত অস্তিত্ব হওয়ার কারণে যেই শর্ত ঈশ্বর পূরণ করে না। আমি মুলত দার্শনিক পদ্ধতিই ব্যবহার করেছি। আমার প্রবন্ধের মাঝখানে আপনি পাবেন "এখানেই বোধহয় বিজ্ঞান ও দর্শনের সীমারেখা" শীর্ষক বাক্যাংশ।
আসলে আমার মানুষের অর্জনের সাথে ঈশ্বরের সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিলনা তাদের মধ্যকার অর্জনগত তুলনা বিশ্লেষণ। আমি বরং বলতে চেয়েছি মানব সভ্যতার গতিপথ নির্ণিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় মানুষের অর্জন দ্বারাই, ঈশ্বরের কর্মকান্ড একে নিয়ন্ত্রন করার ঘটনা এখনও ঘটেনি।
আপনার এই যুক্তির সাথে আমি একমত যে, মূল্যহীন জিনিষকে আলোচনায় টেনে আনলে তাকে জাল মূল্য দিয়ে ক্ষতি করার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে, নিজ স্বপক্ষে আামার পাল্টাযুক্তি হচ্ছে যেটা আমার এবং আপনার কাছে প্রামানিকভাবে মূল্যহীন, ইতিমধ্যেই সেটার কিন্তু জাল মূল্য থাকতে পারে আরেকজনের কাছে, যার কাছে ঐ পূর্বকথিত মূল্যহীনতা প্রমানিত নয় এখনও। আমি মনে করি কিছু ক্ষতিস্বীকার করে হলেও ব্যক্তির সেই ভুল ভেঙ্গে দিতে পারলে মানবসভ্যতা সমষ্টিগতভাবে উপকৃত বৈ অপকৃত হবে না।
দয়া করে জানাবেন আমরা ঐক্যমতে পৌছাতে পারলাম কিনা। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ অর্ণব,
তোমার যুক্তি-প্রক্ষেপণ আমার বোধগম্য হয়েছে।
সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং তোমার দার্শনিক
অবস্থান থেকে যে তুমি বলেছো তাও বুঝলাম।
বক্তব্য নিয়ে দ্বিমত ছিলোনা তোমার সংগে,
নতুন করে ঐকমত্যে পৌঁছুনোর কি আছে।
আমি আসলে তোমার লেখাটায় টুকরো
টুকরো কিছু উক্তির প্রতি দৃষ্টি ফেরাতে
চাইছিলাম (সেটাই আমি "বুঝিনি')।
যেমন,
এই বাক্যটি কিংবা এরকম বাক্যগুলোর প্রয়োগ নিয়ে
আমি কিছুটা সংশয় প্রকাশ না করে পারিনি।
যখন তুমি, শুরু করছো বিজ্ঞান, প্রাণরসায়ন তথা মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক
অগ্রসরতার স্তবগান দিয়ে, তখন এমন একটি বাক্যের উল্লেখ কি, তোমার মনে হয়না, তোমার যুক্তির শাণকে খর্ব করতে পারে?
"ইশ্বরের তো প্রয়োজন নেই robot কিংবা genome sequencing
কিংবা মহাকাশের আলোকচিত্র ধারণ করার, তাই না? তিনি আক্ষরিক অর্থেই অধীশ্বর, তাঁর নিজের জন্যে কোন জ্ঞানের প্রয়োজন নেই, না আছে প্রয়োজন কোন প্রযুক্তির, তিনি তো সর্বজ্ঞ এবং স্বয়ম্ভূ।"---
এই এক যুক্তিতেই তিনি পগারপার হোয়ে যান এবং নাকে তেল দিয়ে
ঘুমোতে পারেন আরো কয়েকটি মহাজাগতিক মুহূর্ত।
তাই এসব কথা বলা।
তোমার লেখা এবং উপস্থাপনা উপভোগ করেছি,
বলাই বাহুল্য।
তোমার সবকথায় একমত না হয়ে,
কখনো কখনো আমরা তুমুল বা সৃষ্টিছাড়া
তর্ক বা সমালোচনায়
মেতে উঠবো, এটা নেবার মত অগ্রসর মানসিকতা
তুমি পোষণ করো আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
ভাবতে এবং বলতে উদ্দীপিত করে এরকম
আরো অনেক লেখা নিশ্চয়ই পাবো তোমার কাছ থেকে।
ধন্যবাদসহ......
আমি আপনাকে ভীষণ শ্রদ্ধা করি। কারণ ব্লগ- আমি অনেক আগে যাকে একটা সুপারফিসিয়াল প্ল্যাটফরম ভাবতাম, সেখানে ক্যাডেট কলেজ ব্লগ- যার জন্ম স্মৃতিচারণের উদ্দেশ্য সেখানে আপনি অসম্ভব ভালো কিছু লেখা দিয়েছেন।
"খুঁজছি" পোস্টে আপনার দীর্ঘ মন্তব্য পড়ে আমি নিজের জীবন ধারণের উপর বিরক্ত হয়েছি। আমার মনে হয়েছে আমি অকৃতজ্ঞ। আমি আমার পূর্বপুরুষদের স্যাক্রিফাইসের মাধ্যেমে পাওয়া সুবিধাটুকুই খালি ভোগ করলাম- কিন্তু আমার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কিছু করে গেলাম না। এইটা আমাকে পীড়া দিচ্ছিল ভীষণ।
আজকে দীর্ঘ একঘন্টা আমি মাঠে একা একা হেঁটে নিজের সাথে একটু বোঝাপড়া করতে চাচ্ছিলাম। যদিও আমি আর দশজনের মতো বৃত্তে আটকা পড়ে নেই। গোড়ামির বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র সামর্থে যতটুকু করা যায় করার চেষ্টা করি, ধীরে ধীরে হয়তো আমার সামর্থও বাড়বে। কিন্তু তারপরও আমার মনে হচ্ছিল আমি আবেগ নিয়ে অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছি অলরেডি। যদিও সেই সময় নষ্টটা বৃথা যায়নি। আশাকরি আমরা দুইজন মিলে টিপিক্যাল জীবন কাটাবো না। এটলিস্ট কিছু করার চেষ্টা করবো। সমাজের কাজে লাগার চেষ্টা করবো। মানব সভ্যতার উৎকর্ষ আমরা শুধু স্বার্থপরের মতো উপভোগ করবো না। আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো। এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভাববো।
(**********)
মডারেশন নোটঃ
মন্তব্যের শেষ অংশ মুছে ফেলা হলো। রায়হান আবীরের কাছে অনুরোধ থাকবে এই ধরণের মন্তব্য না করার জন্য।
~~~ ব্লগ এডজুটেন্ট।
তোমাকে ধন্যবাদ আবীর, তবে শ্রদ্ধা না করার চেষ্টা কর, অস্বস্তি লাগে। শুধু ঐক্যমত পাওয়াই সেখানে অনেক বেশী আরামদায়ক। তুমি বুদ্ধিদীপ্ত বলে আমি মনে করি। তোমার উচ্চাকাঙ্খা পূর্ণ হোক। ভাল করে খেঁটে যাও।
@রায়হান আবীর,
যুক্তি দিয়ে তুমি ধর্মের অসারতা অবশ্যই প্রমাণ করতে পারবে।কিন্তু তোমার কাছে আমার একটা প্রশ্ন ছিল,
তোমার আগে একটা কমেন্টে মনে হয় দেখেছিলাম তুমি সব ধর্মের বিরোধী।কিন্তু আমি তোমাকে অন্য কোন ধর্মের প্রত্যক্ষ সমালোচনা করতে দেখিনি।শুধু ইসলাম এবং এই সম্পর্কিত যা আছে তার সমালোচনা করতে দেখেছি সিসিবিতে।দয়া করে এর কারণ জানাবে কি?
তোমার বিশ্বাস তোমার কাছে।আমি সেটাকে কখনো আঘাত করবো না।কারণ এটা আমার ধর্মের নিষেধ আছে।সেজন্য আমি তোমার বিশ্বাস সংক্রান্ত কোন বক্তব্যের ব্যাপারে কিছু বলব না।
"আমাদের ভার্সিটিতে আমি খুব খেয়াল করে দেখতে পাই সেখানে ধীরে ধীরে জামাত, তাবলীগ এবং হিজবুত তাহরীরে মতো জংগী সংঘঠনের কর্মীতে ভরে যাচ্ছে।"
এখানে কি তুমি তিনটা সংগঠনকে এক অবস্থানে টেনে এনেছ।এটা আমার মনে হয় ঠিক হয়নি।কারণ, তাবলিগ কি জংগী সংগঠন?অথবা এরা কি কোন রাজনীতির সাথে যুক্ত?তাহলে এরা কিভাবে বাকিদের সাথে এক হয়?
আমি নিচে এক কমেন্টে জংগীবাদের সাথে যে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই তা বলেছি।কিন্তু আমাকে তাবলীগ জামাতের কেউ ভাবার কোন কারণ নেই।
প্রথম কথা। ...... হিজবুত তাহরীরে মতো জংগী সংগঠনের ।
ভাষার মার প্যাচ ধরতে পারেন। তবে আমি জংগী সংগঠন হিসেবে হিজবুত তাহরীরকেই উল্লেখ করেছি। বাকিগুলোর নাম বলেছি খালি।
হুম। কারণ অন্যধর্ম সেরা প্রমানের কোন পোস্ট সিসিবিতে আসেনা। আসলে হয়তো আমি বিরুদ্ধাচারণ করতাম।
সিসিবিতে আমার ধর্ম সংক্রান্ত সকল বক্তব্যই রিবাটাল হিসেবে এসেছে। কেউ একজন একটা কথা লিখেছেন, আমি আমার দ্বিমতটা জানিয়েছি।
সুতরাং আমি শুধু ইসলামকে নিয়ে বলছি এই প্রশ্ন অবান্তর। এবং আপনার কাছ থেকে আশা করি না।
মানে কি?
রায়হান কুল ডাউন। ব্যাচম্যাট রে আপনি আপনি কি? :frontroll: লাগাও কুইক
অপস!!! এইডা দেখি আমগো জুবায়ের।
জুবায়ের আমি খেয়াল করেছি আমাকে এবং মুহাম্মদকে শুধুমাত্র ইসলাম বিরোধী প্রমাণের একটা চেষ্টা তোর এবং তোর অন্য একজন বন্ধুর মধ্যে আছে। ধিক্কার!
:just: :pira: তুমি কি করছ তা কি আমি জানি না??? আমি জানি। হুদাই নিজেরে বস প্রমান কইরো না।
এই পোস্টে করা আমার মন্তব্যগুলা রিপোর্ট হবে নিশ্চিত।
আমি নিজেকে বস প্রমাণ করার চেষ্টা করতেসি
:clap: :clap: :clap: :clap:
আমি কাউকে কোন বিরোধী বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করি না।আমার ধর্ম নিয়ে যখন কেউ অসম্মানজনক কথা বলেছে তখন প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছি।কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণের চেষ্টা আমি করিনি।এখানে যারা আছে তারা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে (অবশ্যই আমি বাদে) জ্ঞানী। তাদের মাঝে আমার মত ক্ষুদ্র মানুষ নিজেকে বস প্রমাণের চেষ্টা করবে =)) =))
আমার যত কুকর্ম আছে তার আমলনামা তোর কাছে আছে,যেকোন সময় সব ফাঁস হয়ে যাবে।তাহলে তো আমার এখানে থাকাটা ঠিক হবে না।
যেহেতু সিসিবিতে এটাই আমার লাস্ট আসা তাই আমার কোন পোস্ট বা কমেন্টের মাধ্যমে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।সিসিবিকে ক্যাডেট কলেজ মনে করে এসেছিলাম,নিজের মত করেই এখানে ছিলাম।
কিন্তু আমার কমেন্ট যখন নিজেকে বস প্রমাণের চেষ্টা অথবা কোন ব্যাচমেটকে ইসলাম বিরোধী প্রমাণের চেষ্টা হয়ে দাঁড়ায়
তখন এখানে না থাকাটাই শ্রেয় মনে করছি।
@ব্লগ এডজুট্যান্ট
আমার প্রোফাইলটি মুছে দিলে আমি আপনার কাছে কৃ্তজ্ঞ থাকবো।
সিসিবির জন্য শুভকামনা। :hatsoff:
রায়হান জুবায়ের এইগুলা কি ফেনী থেকে আমদানী করা নতুন ক্যাডেট নাকি। এদের চুলোচুলি আর মান-অভিমান দেখে তো লজ্জা পাইলাম।
😉
চোখ টিপ দিচ্ছেন :-B
চুল এবং চুল। হুম...ম... :dreamy:
(শিট!!!মাই ডার্টি মাইন্ড)
সরি রায়হান আমি আমি আমার লেখা বুঝিয়ে লিখতে পারিনি।আমি তোর ভাষার মারপ্যাঁচ ধরি নাই।আমি বলতে চেয়েছি তিনটা কি এক টাইপের সংগঠন কিনা?
আর তোর লাস্ট প্রশ্নের উত্তর ফাহিম একটা সুরার অর্থ পোস্ট হিসেবে দিয়েছেন, আমি সেই দিকটার প্রতি ইংগিত করেছি।
"তোমার ধর্ম তোমার কাছে,আমার ধর্ম আমার কাছে"
যেহেতু তুই ধর্ম মানিস না,তাই ধর্মের জায়গায় তুই বিশ্বাস দিয়ে প্রতিস্থাপন করে নে। আমি তোকে সেটাই বলতে চেয়েছি।
আর আশা করি ভবিষ্যতে যে দেশেই থাকিস সেখানেই যেকোন ধর্মকে বিরোধিতা করবি।
আর আমি গুছিয়ে লিখতে পারি না, তাই আমার এক কথার মানে একেকজন একেকটা বুঝতেই পারে। সেজন্যে আমি দুঃখিত।
আগের কমেন্টে সিরিয়াস একটা ভুল হয়ে গেসে, ফাহিম ভাই হবে।
সরি ফাহিম ভাই। ~x(
আমার করা তোর মন্তব্যের জবাব আমি দিয়েছি তোকে অর্নব ভাই ভেবে। তাই মানে কি কথাটি এসেছে।
দুই জুবায়েরকে নিয়ে শুধু দেখি আমি না, অনেকেই ডাউটে পড়ছে 😕
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
এজন্যি লগিন করতে কই (যদিও আমি নিজেই এখন লগিন করিনাই 😛 )
কেন জানি না সৃষ্টিকর্তাকে মিথ্যা প্রমাণের এ সকল আলোচনায় আমার সব সময় বিপরিত প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি করে... আমি আর সব সাধারণ মানুষের মতই বিশ্বাষী, হয়ত কিছু না জেনেই, তবে ধর্মচর্চার ক্ষেত্রে আমাকে প্রায়ই অলসতায় পেয়ে বসে... কিন্তু এ ধরনের আলোচনা আমাকে কেন জানি না ধর্মচর্চায় উদ্ভুদ্ধ করে,(মনে হয় এলার্মের কাজ করে) যেটা ধর্ম বিষয়ক আলোচনাও সাধারনত আমাকে করতে পারে না।
সৃস্টিকর্তার প্রতি আসলেই কতটা অকৃতজ্ঞ হয়ে উঠছি আমরা... নিজেকে শুধরে নেবার, সঠিক পথে নিয়ে আসার আরো একটি সতর্ক সংকেত বেজে উঠেছে আমার ভিতরে... ধন্যবাদ তার জন্য।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
একমত
শতভাগ একমত
সম্পূর্ণ একমত এবং সেজন্য লেখককে :boss: :boss: :salute: :salute:
শতভাগ একমত।
সেজন্য লেখককে :thumbup: 😀
শতভাগ একমত। :boss: :boss:
কাল ঐ ছবিগুলি দেখে আমার মনে হয়েছে, আল্লাহ ভাগ্যিস আমাকে ঐ সময়ে জন্ম দেননাই, তাইলে কি পেইন যে হইত। আল্লাহ আমাদের কত ভাল রাখসে। তার প্রতি ভক্তি আরো এক ডিগ্রি বাইরা গেল।
তিনি আমাদের সবাইকে মানব কল্যানের পথে কয়েক ডিগ্রি কইরা আগানোর ভেলোসিটি দিক (অর্ণবের স্টাইলে বলার চেষ্টা করলাম আর কি ইংলিশ-টিংলিশ মিশায়া)!
লেখককে ধন্যবাদ ভক্তি বাড়ানোয় হেল্প করার জন্য। :thumbup:
:)) :)) =)) =)) =))
জুবায়ের অর্ণব ভাই, আমার উপরের কমেন্ট থেকে দয়া করে ইমো গুলো মুছে দিবেন।ওগুলোর কারণে মনে হয় কমেন্টটা অফেন্সিভ হয়ে গেছে।
ধর্মীয় আলোচনা যখন হয় তখন সেইখানে সাধারণত কোন ভিন্নমত থাকে না। এই কারণে মনের মধ্যে এক ধরনের calm feelings থাকে। অবচেতন মনের একটা অংশ বলে যে এত লোকে যখন ধর্মের পজিটিভ বেপার নিয়ে কথা বলতেছে তাইলে আমার নিজের খুব বেশি কিছু না করলেও হবে।
আর যেখানে ধর্ম নিয়ে negative কিছু আলোচনা হচ্ছে সেখানে প্রধানত ধার্মিক লোকদের সুক্ষ একটা কষ্ট হয়। খুব অল্প কয়েকজন ভাবে লেটস হ্যাভ এ সেকেন্ড লুক এ্যাট রিলিজিয়ন। কেউ কেউ খেপে ওঠে। কেউ কেউ নিজেরে প্রবোধ দেয় এই বলে যে নাদান মানুষ আর কীইবা জানে। আর প্রবোধের পরবর্তী ভুল স্টেপটা হচ্ছে অপরাধবোধ থেকে কিছুদিন ঠিকমত ধর্মপালন।
(জীবনে কতবার যে এইভাবে ভুল করছি। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বললাম কথাগুলা। কারো কারো সাথে মিলতেও পারে।)
:thumbup: :thumbup:
Life is Mad.
এবার আর থাম্বস্ আপে হবে না, আপনার সরাসরি অনুপ্রেরণাদায়ক বা সমালোচনাসূচক মন্তব্য চাই সায়েদ ভাই।
বেশ অন্যরকম পোস্ট। প্রথম অর্ধেক পড়ে বুঝতেই পারিনি তোমার অভিযোগ ঈশ্বরের প্রতি।
দেখো ভাই, আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তারপরে তাকে শিক্ষা দিয়েছেন। তারপরে তাকে বিবেক দিয়েছেন যেনো সে যে শিক্ষাটা পেয়েছে, তাকে উপযুক্ত জায়গাতে কাজে লাগাতে পারে।
আমি জানি না তুমি কোরান শরিফ পড়েছো কিনা, তবে আমি পড়ে যতদুর বুঝেছি, সহিংতা ইসলাম ধর্মে খুবই ঘৃন্য একটা ব্যাপার। (আমি অন্য ধর্ম গুলোর ব্যাপারে তেমন কিছু জানিনা, তাই মন্তব্য করতে পারছিনা।) আমি এটাও দাবি করছি না আমার এই বুঝটাই চুড়ান্ত, যদি কারো মনে হয় এই ব্যাপারটা আমি ভুল বুঝছি, যুক্তি দিয়ে দেখিয়ে দেবেন, কৃতজ্ঞ থাকবো।
আসলে এটাও ঠিক যে শুধু ধর্মের দোহাই দিয়ে ইতিহাসের অনেক অতীত থেকে আজ পর্যন্ত যত মানুষ নির্যাতিত বা নিহত হয়েছে আর কোনো একক কারনে এতো মানুষ নির্যাতিত বা নিহত হয়েছে বলে মনে হয় না। কিন্তু এই কথা ভেবে যদি আমরা আল্লাহ কে দায়ি করতে থাকি, আমার মনে হয়না সেটা বুদ্ধিমানের কাজ। জীবণূ নিয়ে গবেষনা করে মানুষ জেবন অনেক রোগের প্রতিরোধ এবং উপশম আবিস্কার করেছে, তেমনি তারা কিন্তু জীবানু অস্ত্রও বানিয়েছে মানুষ মেরে ফেলার জন্য। তোমার হাতে একটা ছুরি থাকলে সেটা দিয়ে তুমি পাউরুটিতে মাখন মাখাবে নাকি কাউকে আহত করার চেষ্টা করবে, সে ব্যাপারটা তোমার ওপরে নির্ভর করছে, এখন তুমি ছুরি দিয়ে কাউকে আহত করতে পারো একথা চিন্তা করে দেশে ছুরির ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া যায় না। মানুষই মানুষকে কষ্ট দেয়।
দেখো আজ থেকে ১৫০০ বছর আগেও, তখনকার পন্ডিত লোকেরা বিশ্বাস করতো, পৃথিবী চ্যাপ্টা। পৃথিবী সুর্যের চারদিকে ঘোরে এটাও পন্ডিত লোকদের বুঝতে অনেকদিন সময় লেগেছে। আবার দেখো, নিউটন একটা সুত্র দিলেন আলোর আচরন ব্যাখ্যা করার জন্যে। কিন্তু যখন আরো সুক্ষ যন্ত্রপাতি আবিস্কার হল, আলোর আচরন ব্যাখা করার জন্যে নতুন নতুন থিওরী কি আসেনি??? যারা পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করেন তারা হয়ত আর ভালো উদাহরন দিতে পারবেন। এই কথা গুলো বলছি কারন তোমার লেখা শেষ প্যারাটা আমার কাছে খুব আপত্তিকর মনে হয়েছে। হতে পারে পদার্থ বিজ্ঞানের আপাতত আমরা যতটুকু জানি তা দিয়ে আল্লাহর অস্তিত্ত ব্যাখ্যা করা যায় না। কিন্তু তুমি কিভাবে জানো যে আমরা ওই ১৫০০ বছর আগেকার লোকদের পর্যায়ে নেই ?? তুমি কি নিশ্চিত যে আর ১৫০০ বছর পরে আইনস্টাইনের সুত্রটা, আমরা যেমন নিউটনের আলোর ব্যাখ্যাটা বাতিল করে দিয়েছি, সেরকম ভাবে বাতিল হয়ে যাবেনা?? তুমি কখনই আগামিকাল তুমি নতুন কি জানতে পারবে।
আমার মনে হয় তুমি একবার কোরান শরিফটা পরে বোঝার চেষ্টা কর, আমার বিশ্বাস, আমাদের সভ্যতায় ঈশ্বরের অর্জন বা অবদান কতটুকু, সেটা বুঝতে পারবে।
স্বপ্নচারী ভাইয়ের কথাগুলি ভাল লাগল......আমার মতন চিন্তাভাবনা......
স্বপ্নচারী ভাই, আমি যতদুর বুঝি কোরান শরীফ হচ্ছে মানুষের জীবনযাপনের আল্লাহ প্রদত্ত গাইড লাইন। যেটা ঠিকমত মানলে আপনি অসংখ্য উপপত্নী রাখতে পারেন, বউ পেটাতে পারেন, দাসীর সাথে sexual relation করতে পারেন এবং পরকালে ৭০*n সংখ্যক হুরী পাইতে পারেন। আমি আমার সহজ বুদ্ধিতে বুঝি যে এইসব ১৪০০ বছর আগের লোকেদের জন্যে হয়ত ঠিক ছিল আমার আপনার জন্যে নাই। তাই এইগুলা পড়া কিছুদিন হইল বাদ দিয়া দিছি। বৌদ্ধদের বই পুস্তক কিছু পড়ে দেখতে পারেন। বলা যায়না হয়ত কোরানের চাইতে ভাল লাগতে পারে।
বিজ্ঞানের সবকিছুতেই একটা honest effort আছে। বিজ্ঞানীরা একটা থিওরী দিয়ে বলে না যে আমি নিউটন/আইনস্টাইন বলতেছি তোমরা কেউ এইটা বদলাইতে পারবা না। এইটার একটা সম্ভাবনা আছে যে আসলে ঈশ্বর বলে কেউ একজন আছেন যিনি সব ফিসিক্যাল রুল বানাইছেন আর আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সেইগুলা বুঝার (যদিও সাক্ষ্য প্রমাণ বেশিরভাগ এর বিপরীতেই বেশি)। এইজন্যেই এখনো চয়েস টা আপনার আমার - আমরা কি বিশ্বাস করব। ঈশ্বর আছে কি নাই আমরা কেউ প্রমাণ করতে পারিনা এখনো।
(কোরান নিয়ে কোন রেফারেন্স দিলাম না কারণ এইগুলা এখন সবাই জানে)
ভাই পাভেল, এই জিনিস গুলো তুমি কোরানের কোথায় পেয়েছো আমাকে কষ্ট করে রেফারেন্স দিতে পারবে ??
আর আমার ধারনা, কেউ হুর পরী পাবো, এই চিন্তা করে নামাজ পড়ে না। যদিও বা পড়ে, আমি জানি না সে তা থেকে কতদুর লাভবান হচ্ছে।
আমিও জানি, বিজ্ঞানে কেউ থিওরী দিয়ে বলে না এটা বদল করা যাবে না। আমি যেটা বঝাতে চেয়েছি, অনেক কিছুই আমরা এক সময় অসম্ভব মনে করতাম, কিন্তু ধীরে ধীরে জ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে সেগুলোও সম্ভব হয়েছে। "পরমানু" কে বলা হত পদার্থের সব চেয়ে ছোট অংশ। কিন্তু আমরা তো পরে এর চেয়ে ছোট আরো কণিকা খুজে বের করেছি।
একটা টেবিলের ওপরে তুমি 6 লিখে টেবিলটার দুপাশে লোকজন দাড় করিয়ে দাও, এক দল বলবে ৬ লেখা আরেক দল বলবে ৯ লেখা। দেখো, দুই দলই কিন্তু সত্য বলছে কিন্তু শুধু একটা দল টেবিলের ঠিক দিকে আছে। এটা এই জন্য লিখলাম, আমরা হয়ত ঠিক জিনিস দেখেও, আমাদের জ্ঞানের অপ্রতুলতার জন্য বা টেবিলের ঠিক দিকে না থাকার জন্য, আল্লাহর নির্দেশ/পুরস্কার গুলো ঠিকভাবে বুঝতে পারছি না।
আপনি কি নিশ্চিত, এইগুলা কুরানে নেই, পাভেল ভাই এম্নেই বলেছেন? কারণ এই মুহূর্তে আমি আমার চোখের সামনে বউ পেটানোর একটা আয়াত দেখতে পারছি।
এই রেফারেন্সগুলোই ত কুরআন+ইসলামকে অমানবিক প্রমাণের প্রধান হাতিয়ার। কিন্তু যে পদ্ধতি অনুসরণ করে এগুলো নিজেদের স্বপক্ষে ব্যবহার করা হয়, সেটা কি বৈজ্ঞানিক? এগুলো কোন "সামাজিক প্রেক্ষিতে" (context)বলা হয়েছে সেটাকে স্থির ধরে তবেই না এগুলো অমানবিকতার প্রমান হিসেবে ধরা হয়। নিউটনের আলোর তত্ত্ব সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তীত হতে পারে, কিন্তু কুরআনের ব্যাখ্যা তা পারে না! এ কেমন বিজ্ঞানমষ্কতা?
কুরআনে শুধু বউ পিটানোর আয়াতটাই দেখলে চলবে? বউকে কি কি অধিকার দিতে বলা হয়েছে সেটাও ত দেখতে হবে। আর এ'দুটোই হতে হবে সেই সময়কার, সেই সমাজের প্রেক্ষিতে। কুরআন দাসীর সাথে সেক্স করার পারমিশন দিছে, কিন্তু তার পরে দাসীর প্রতি কি কি কর্তব্য পালন করতে বলেছে তা-ও গোনায় আনতে হবে। নারী-স্বাধিনতার মুখোশের আড়ালে কর্পোরেট অফিসে চাকুরী দিয়ে নির্বাক-ধর্ষনের থেকে কুরআনের ব্যবস্থাটা খারাপ?
এভাবে প্রতিটা রেফারেন্সই দেখানো যাবে পুরোপুরি বায়াসড। একদিকে বিজ্ঞানমনষ্কতা, আরেকদিকে মোল্লাদেরই মত আন্ধাতা দেখেই এসব বিতর্ক এড়িয়ে যাই।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
ভাই আপনি কোন যুক্তিতে দাসীর/কনকিউবাইনের সাথে সেক্স করতে পারবেন আমার তো মাথায় আসে না। ঠিক আছে যদি কেউ মাথায় বন্দুক ধইরা থাকে তাইলে অন্য কথা। নাইলে আপনার বউ হয় ঘর ছাড়বে নয়তো গলায় দড়ি দিবে এর পরের দিন।
থাকগা বউ পেটানো নিয়ে কথা বলার আর মুড পাচ্ছিনা।
আমি যখন এইগুলা প্রথম শুনছিলাম খুব কষ্ট পাইছিলাম। ধার্মিক থাকলেও আমি মনে হয় মানুষ ছিলাম তখনো।
ভাল থাকবেন।
আমি মোটেও ধার্মিক না। আমারে ধার্মিক বললে ধার্মিকরা মাইন্ড করবো। ইসলামের প্রচার নিয়ে আমার ধারনা প্রকাশ করলে আর দেশে ফিরা লাগবো না। 😛
আমি শুধু বলতে চেয়েছি, ইসলাম-বিরোধী রেফারেন্সগুলা বায়াসড, একপেশে। সেগুলোর অন্যপাশটাও আনা দরকার। তারপরে তুলনামূলক তুলনামূলক বিচারে যেইটা টিকে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
অফটপিক: মাথার পিছে বন্দুক ধরা থাকলে কি কাজটা আদৌ করা যায়? :dreamy: অভিজ্ঞতা আছে নাকি কারো?
:))
দাঁড়াবে ????? :-/
😮 😮 😮
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দাসী এবং concubines: সুরা নিসা আয়াত ৩
http://www.answering-islam.org/Index/C/concubine.html
http://en.wikipedia.org/wiki/Islam_and_slavery#Marriage_and_concubinage
এইটা আমার কাছেও শুরুতে অবিশ্বাস্য মনে হইছিল। এরপর আমি বেশ কিছু মাওলানা টাইপের লোকের কাছে verify করছি।
বউ পেটানো: সুরা নিসা আয়াত ৩৪
http://en.wikipedia.org/wiki/Islam_and_domestic_violence
অনেক ধন্যবাদ পাভেল। শেষ যে লিঙ্ক তা দিয়েছিলে তা থেকে আমি আরেকটা লিঙ্ক পেয়েছি, সেখানে এই আয়াতটার তাফসীর আছে। তুমি একটু কষ্ট করে পড়ে দেখো।
আর একটা ছোটো অনুরোধ, তুমি যখন শরীয়াহ আইনের কোনো কিছু কারো কাছে ভেরিফাই করতে যাবে, আগে তার যোগ্যতা নিয়ে নিশ্চিত হবে। আমাদের দেশে মাদ্রাসাতে তারাই ভর্তি হয়, যাদের সম্পর্কে বাবা মার ধারনা হয়ে যায় যে, একে দিয়ে তো আর কিছুই হবে না।
আর তোমার প্রথম দুইটা লিঙ্ক সম্পর্কেও আমি নিশ্চিত যে সেখানে কোরানকে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং ইসলামকে কিছু শাসকের বদভ্যাস দিয়ে বিচার করা হয়েছে। বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া ইসলামে দাসীর সাথেও সম্পর্ক করা নিষিদ্ধ। concubine এর তো কোনো প্রশ্নই আসে না। আর যে কেউ ইচ্ছা করলেই বহু বিবাহ করতে পারেনা। এর জন্য তাকে তার বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের অনুমতি নিতে হবে এবং শরীয়াহ আদালত বা বিয়ের কাজীর কাছে উপযুক্ত এবং গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে হবে।
"what your right hand possess"এই কথাটার অর্থ আমার কাছেও খুব পরিষ্কার ছিলনা। পরে জানছি যে কুরানে এই phrase টা ব্যবহার করা হইছে সব সময় গনীমতের মাল বুঝাইতে।
যাইহোক, আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব ছিল আমি পড়ছি লোকজনের সাথে কথা বলছি। একসময় মন উঠে গেছে ভাই। কেউ আমারে কোন গ্রহনযোগ্য উত্তর দিতে পারে না এইসব প্রশ্নের। সবাই আপঝাপ বলে বুঝানোর চেষ্টা করে।
আমি আপনার মতামতকে শ্রদ্ধা জানায়ে বলতেছি আমি আর এইগুলার পিছে ছুটতে পছন্দ করি না। যদি কেউ ব্লগ লিখে আর হাতে সময় থাকে তাহলে উত্তর দিব। ভাল থাকবেন।
অফটপিক: স্বপ্নচারী ভাই, আপনার এপ্রোচটা আমার ভাল লাগছে। আপনি অহেতুক 'বিশ্বাসে আঘাত' টাইপের কথা না বলে বেপারগুলা বুঝার চেষ্টা করছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
এক্কেরে মনের কতা কইলেন ব্রাদার!
তুমি কখনই জানো না আগামিকাল তুমি নতুন কি জানতে পারবে।
দুঃখিত। এই বাক্যটা ওপরে পুরোপুরি লিখিনি।
অনেকেই এই পোস্টে ঈশ্বরকে মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা দেখছেন যা খুবই দু:খজনক। আমার মনে হয় জুনায়েদ দুইটা ভিন্ন দৃষ্টিভংগীর অর্জন কি কি সেটা সুন্দরভাবে তুলনা করেছে। মানবসভ্যতার অনেক আগে থেকেই যু্ক্তি/বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের টানা হেচড়া চলছে। আজকে থেকে এক হাজার বছর আগেও ধর্মের সাফল্য ছিল উল্লেখযোগ্য। আদিম অসভ্য জীবন থেকে বেরিয়ে আসতে ধর্মীয় নিয়ম কানুন এবং শৃঙ্খলার অবদান অনেক। কিন্তু আমরা যদি উটপাখির মত বালিতে মাথা গুজে না থেকে একটু তাকিয়ে দেখি, তাহলে দেখব যে আজকের পৃথিবীতে ধর্মের প্রয়োজন খুবই সামান্য। পরকালের ভয় অথবা লোভই ধর্মপালনের একমাত্র কারণ। আজকের যু্ক্তি/বিজ্ঞান আমাদের এমন কিছু দিতে পারে যার কাছে ধর্ম অসহায়। আশা করি জুনায়েদের এই দারুণ পোস্টটা আমাদের সবাইকে বুঝতে সাহায্য করবে যে ঈশ্বর বলে কেউ থাকুন আর নাই থাকুন পার্থিব জীবনে ধর্মের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। এখন আমরা যত তাড়াতাড়ি ধর্মকে মিউজিয়ামে পাঠাতে পারি ততই মঙ্গল সবার জন্যে।
জুবায়ের 🙂
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
😛
আপনাকে ধন্যবাদ পাভেল ভাই, আপনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হলাম। আমার মতামত কষ্ট করে পড়ার ও বোঝার জন্য এবং সেই মত রিএনফোর্স করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমিও আপনারই মত মনে করি এখনই সময় মানবতাবাদের দ্বারা ধর্ম প্রতিস্থাপিত হওয়ার।
চিন্তার কিছু নাই জুবায়ের। ধর্ম এখন টার্মিনালি ইল। আর হয়তো দুই তিনশ বছর লাগবে পুরা নকআউট হইতে। একটাই সমস্যা ডেড হওয়ার আগে কিছু জ্বালায় পোড়ায় যাচ্ছে 😡
পাভেল ভাই, ধর্ম যে এক সময় নক আউট হবে সেটাও ধর্মেই বলা আছে।
অর্ণব তুমি কি ধর্মে শুধু প্যাদানিটাই দেখলা? শান্তি আর কল্যানের কথাটা যে আছে সেতো এড়ায় গেলা পুরা!
😮 😮 । তাই নাকি? আমি ত বুঝলাম না এই সত্যটা। :((
তবে আমি স্বীকার করছি যে, এই পোষ্ট বরাবরের মতোই বেশ পারসুয়েসিভ। তাই আমিও হালকা প্রভাবিত হচ্ছিলাম। কিন্তু প্যাচটা লাগল তখনই যখন ব্যক্তি সাথে আইডিওলজি, বিজ্ঞানের সাথে অ-বিজ্ঞান (ধর্ম), মোটাদাগে পাশ্চাত্যের মাহাত্ব্যের সাথে প্রাচ্যের নিচতা'র তুলনা চলে আসল।-
এর আগ পর্যন্ত বক্তব্যে প্রভাবিত হতেছিলাম বলে এইখানে এসে আমার মনে হল আরেকটু এগুলে আমারই মনোঃচিকিতসকের কাছে যেতে হবে। কেন তা আর খুলে বলার দরকার আছে কি? এখানে ত সবাই বেশ বুঝনেওয়ালা লোকজন।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
:dreamy:
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ধর্মের use টা কই মাহমুদ ভাই। government, science, law, daily activities কোন জায়গা টাতে আমরা ধর্ম ছাড়া চলতে পারিনা বলতে পারেন? কোন জায়গা টাতে লজিক/সাইন্স/মিউচুয়াল রেসপেক্ট বেটার পারফর্ম করে না ধর্মের থেকে আমার তো জানা নাই ভাই।
ধর্মের অতীত অবদানের জন্যে আমার শ্রদ্ধা আছে ধর্মের উপর। কিন্তু এখন পরকালের হুরপরী অথবা আফগানিস্তানে জঙ্গিদের brainwash র টুল ছাড়া ধর্মের আর কি কাজ আছে পার্থিব জীবনে?
@পাভেল ভাই,
science যেহেতু প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল তাই এর সাথে কোরআন বা ইসলামের তুলনা করে কোন সিদ্ধান্তে আসা যাবে না।যখন কোয়ান্টাম মেকানিক্স কেউ জানতো না,তখন কেউ ইলেক্ট্রনের টানেলিং এর কথা বললে তাকে পাগল ছাড়া কিছু ভাবা সম্ভব ছিল।যেহেতু বিজ্ঞান মানেই প্রমাণ, তাই কালকে যদি কেউ কোনভাবে পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণ করতে পারে যে আজকে আমরা যে বিজ্ঞান জানি তার পুরোটাই ভুল তাহলে সেটা আপনি অবশ্যই মেনে নিবেন। তাহলে কি আপনি বিজ্ঞান দিয়ে কোন কিছুকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করতে পারেন?
কিন্তু government, law, daily activities এর ব্যাপারে আপনি বেটার পারফর্ম করা বলতে কি বুঝিয়েছেন সেটা আমি বুঝতে পারিনি।এই প্রত্যেকটা ব্যাপারে ইসলামের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা আছে।আমি শুধু ইসলামের কথা বললাম, কারণ আমি অন্য কোন ধর্মের ব্যাপারে কিছু বলে তাকে অসম্মান করতে চাই না।
আপনার শেষ লাইনে আপনি কি ধর্ম বলতে শুধুই ইসলামকে বুঝিয়েছেন?
আফগানিস্তানের জঙ্গিরা কোন লজিকে কাজ করে এইটা আমি জানিনা, তবে আমি এতটুকু বলতে পারি ইসলামে কোথাও আমাদের দেশের জঙ্গিরা যেভাবে মানুষ হত্যা বা বোমাবাজি করে তা ইসলাম সমর্থন করে না।কারণ ইসলাম বলে,
"বিশৃঙখলা সৃষ্টি হত্যার চেয়ে জঘন্য।"
মানুষ হত্যা করাকে ইসলাম কখনোই বৈধতা দেয়নি।এখন আপনি যদি অপব্যাখ্যাকারীদের দেখে ইসলাম বিচার করেন তাহলে আমার কিছু বলার নেই।
উপরের মতামত সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব।এখানে ভুল কিছু থাকলে বা কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে আমি দুঃখিত।
পুরোটাই কোট করার মত বক্তব্য....অসংখ্য ধন্যবাদ জুবায়ের..তাও কিছু কোট করি
আমি কি আবার কোট করব? কোট করতে ইচ্ছা করতেসে... 😀
আমি আসলে ধর্মের অপ্রয়োজনীয়তার বেপারটা একটু জোর দিয়ে বলতে চাইছিলাম।
না পারি না। আর আমি আসলে চাই ও না।
বাইবেল বলে যে সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে। আমার বিজ্ঞানের উপর আস্থাটা বেশি বলেই বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল হওয়া সত্বেও আমি বলব বাইবেল ভুয়া। বিজ্ঞানের উপর এই আস্থাটা আমার আছে কারণ আমি জানি বিজ্ঞান কিছু cook up করে না। এর একটা প্রুফ process আছে। আর সেই process আমি কম বেশি follow করতে পারি, ধর্মের বাণীর মত আমাকে চোখ বন্ধ করে মেনে নিতে হয়না।
এইসব বিষয়ে ইসলামের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মানতে গেলে আমি নিশ্চিত যে দেশে civil war টাইপের কিছু শুরু হয়ে যাবে। জাস্ট থিংক এবাউট ইসলামিক ল/শরীয়া।
মানুষ হিসাবে আমাদের অর্জন অনেক। আমরা আমাদের মানবতাবোধ, যুক্তি, বিজ্ঞান দিয়ে ভালই চলতে পারি। ইটস টাইম টু সে গুডবাই টু রিলিজিয়ন। বাট এগেইন দি চয়েস ইজ ইওরস।
ধর্মকে খারাপ কাজের
হিসাবে ব্যাবহার করা ছাড়া আমি আজকের দুনিয়ায় আর কোন ইউজ দেখতে পাইনা। কোরানে জঙ্গিবাদ অনুমোদন করেনা বলেই আমি জানি।
মাথার ঠিক নাই ~x( দুই জুবায়ের আবার গুলায় ফেলছি। রিপ্লাই দেওয়ার টাইমে ভাবতেছিলাম যে লেখক জুবায়েরকে লিখতেছি। মনে মনে ভাবতেছিলাম ঘটনা কি এ আবার পল্টি খাইল ক্যান। আমার ব্যান চাই :chup:
ভাইয়া,
civil war শুরু হবে কিনা জানিনা,কিন্তু ইসলামিক ল গুলোর ব্যাপারে আপনার আপত্তিগুলো আপনি কষ্ট করে উল্লেখ করলে ভাল হয়।আমি চেষ্টা করবো পরে আলাদা লেখায় সেগুলোর ব্যাপারে কিছু বলতে।
আবশ্যই যার যার নিজস্ব পছন্দ থাকবে, সেটা নিয়ে কারো কিছু বলা উচিৎ না।আপনার বিশ্বাসকে আমি কখনোই অসম্মান করবো না।কিন্তু আমার জীবনে ইসলাম যেমন থাকবে তেমনি বিজ্ঞানও থাকবে।
জুবায়ের আমার এত বেশি আপত্তি আছে যে কমেন্টে এইগুলা না পাড়লেই ভাল হয়। জাকির নায়েক টাইপের explanation শুনতে শুনতে আমি টায়ার্ড। (আমি বলতেছিনা যে তুমিও ক্লাশ এইট পাশ টাইপের লজিক দিবা কিন্তু unfortunately আমার পরিচিত লোকেরা /বন্ধু বান্ধবরা তাই দেয়। এইখানেও অনেকেই দিবে)। যদি সময় পাই কোন একদিন লিখব। ভাল থাকো।
আপনাকে দেখে ভাল লাগলো মাহামুদ ভাই। তবে আমি আপনার একটি দাবী যে আমি পারস্যুয়েইসিভ বলতে আপনি ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন? আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন আমি লোকজন ম্যানিপ্যুলেইট করছি? তাই যদি হয়ে থাকে তবে আমি দাবী করবো আপনার বক্তব্য সত্য নয়। আমার এই পোস্ট পড়ে কেউ যদি একটি
উপসংহারে পৌছাতে চায় তবে সেটা হবে আমি গনতন্ত্রে বিশ্বাসী। বিন্দুমাত্র ডিভোশনের ছোঁয়া যেখানে দেখেছি এর বিরোধীতা করেছি। আবীরকে নিরুৎসাহিত করা আমার উপরের মন্তব্য দেখুন। কেন আমি ম্যানিপ্যুলেইট করতে যাব? আমার কি লাভ? আমি বরং চেয়েছি আমার কিছু মত আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। ফ্রী স্পিচ এবং পাবলিক অপিনিয়ন গনতন্ত্রের দুটি অন্যতম ডায়নামিক্স যার অপর মেরু হচ্ছে সেন্সরশিপ এবং সাপ্রেশন। ফ্রী স্পিচ চর্চা করে
আমি আমার মত আপনাদের সামনে হাজির করছি আর আপনার
বেঁছে নেওয়ার স্বাধীনতা দ্বারা আপনি নির্বাচন করছেন আপনি একমত হবেন কি হবেন না। এখানে সুষ্ঠভাবে গনতান্ত্রিক ভারসাম্য বজায় রয়েছে। ম্যানিপুলেইট করার সুযোগটা আমার কোথায়? সবাই যদি আমার সাথে একমত হত সেটাওকি প্রমান করতো যে আমি ম্যানিপ্যুলেইটিভ? এখানে বাচ্চা ছেলেরাও আসছে দেখেন, তারা হয়ত আমার সাথে একমত হচ্ছে না। তারা হয়তো অবান্তর কথা বলছে, সুষ্ঠ গনতান্ত্রিক পরিবেশে এটা হবেই। তারাও কিন্তু দাবী করছে না আমি ম্যানিপ্যুলেইট করছি। আপনি আমি অ্যাডাল্ট আমরা ডিবেইট করতে পারি মতৈক্যে পৌছানোর জন্য। এখানে আপনি যদি আসলেই দাবী করে থাকেন আমি কোন অসৎ ইনফ্লুয়েন্স খাটাচ্ছি আপনি আমাকে আহত করবেন। আমার ভুলও হতে পারে , আপনি হয়তো আমি ম্যানিপুলেইটিভ এটা দাবী করেন নি। আপনি বরং দাবী করেছেন যে আমার লেখনী কাউকে আমার সহমতে নিয়ে আসতে পারে। সেটা হলে আমার বলার কিছু থাকবে না। আপনিই বলুন আপনি কি বুঝিয়েছেন।
persuade (persuasion): to make sb do sth by giving them good reasons for doing it.
manipulate (manipulation): (disapproavingly) to control or influence sb/sth, often in a dishonest way so that they do not realize it.
(Oxford Advanced Learner's Dictionary)
- আমি স্বজ্ঞানে পারসুয়েসিভ শব্দটা ব্যবহার করেছি। ম্যানিপুলেশনও ব্যবহার করিনি অর্থটা জেনেই। এবার আশা করি বুঝতে পারছো আমার কথা।
যে যুক্তি পারসুয়েসিভ নয়, সেটা ত আদতে কোন যুক্তিই নয়, প্রলাপ যা লোকে শুনেও শোনে না। কাজেই তোমার যুক্তিকে পারসুয়েসিভ বলেছি ভালো অর্থেই। So, its a complement, my dear brother. 😀
তবে তা পোষ্টের অর্ধেক। বাকীটা'তে আমার ভিন্নমত। একটা আলাদা পোষ্টে ব্যাখ্যা করব সেটা কেন, আজই (in fact, writing is almost done 😛 )।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
আচ্ছা। ধন্যবাদ ক্ল্যারিফিকেইশনের জন্য।
@মোটাদাগে পাশ্চাত্যের মাহাত্ব্যের সাথে প্রাচ্যের নিচতা’র তুলনা চলে আসল।@
কোনোভাবে এখন ১৪০০ সাল হলে আইনস্টাইন এর জায়গায় ইবনে সিনার নাম চলে আসতো।
ইতিহাস বলে কোনো জাতি যখন অর্থনীতি,সামরিক,শিক্ষা তে সবচেয়ে এগিয়ে যাবে অন্য সবার চেয়ে, তখন তারা নতুন পথ খোজায় মনোনিবেশ করবে এবং নিজেদের সমস্যা (perfection) সমাধানে মনোযোগী হবে।
আমি আমার ৬ বছরে বই(সত্যিকার অর্থে) পড়া শিখেছি আমার কয়েকজন সিনিয়র এর কাছ থেকে।সে নিজেকে মহান মনে করেনি(জানিনা।যদি করতো আমি দুঃখিত হবো) আমারো নি্জেকে নীচ মনে হয়নি। আপনি যে কোনো বিষয়ে উজ্জ্বল কাওকে জিজ্ঞেশ করলে দেখবেন তারা কোনো না কোনো সিনিয়র এর কাছে রীনি (অক্ষ্রর পাচ্ছিনা)।
জুনিয়র বলে ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স এ আমি ভুগিনি। নিজেকে যোগ্য মনে না হলে ভুগেছি এবং যোগ্য করার চেষ্টা করেছি।
@ব্যক্তি সাথে আইডিওলজি@
ব্যক্তি+ব্যক্তি+...............=গোষ্ঠী+..................= সমাজ।
ব্যক্তির আইডিওলজি সমাজের সাথে কমপ্যাটিবেল হতে হয়। একক স্বার্থ সমাজের তুলনায় নেগলিযেব্যল। নিজেকে আপনি কোন সমাজের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন আমি জানিনা। আপনি যাই হোন না কেনো, কোনো না কোনোভাবে আপনি মনুষ্য সমাজের অন্তর্ভুক্ত।
কলেযে থাকতে হাউস নিয়ে, ছুটিতে গিয়ে কলেজ নিয়ে অনেক মারামারি করেছি। ( যেই লাউ সেই কদু!!! লিখছি সিসিবি তে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!)
আমার ধারনা এ রচনার একটা অনুচ্চারিত উদ্দেশ্য ছিলো আন্তর্জাতিকতার প্রচার।
আমি যে ভিন্নমতের কথা তুলেছি, তা মানবসমাজের একজন বলেই, জড় পদার্থ বলে নয়। আর এই একই কারনে আমি পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রে মানুষ বিচারের মধ্যে নাই।
এই বাক্যের শানে নূযুল কি?
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
যারা পিছিয়ে আছে তাদের দায়িত্ব কী হওয়া উচিত।
@মোটাদাগে পাশ্চাত্যের মাহাত্ব্যের সাথে প্রাচ্যের নিচতা’র তুলনা চলে আসল।@
উদাহরন টা দেখে মনে হলো।
অনেক পুরোনো একটি কবিতা সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে করলোঃ
"রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম
ভক্তরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।
রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি
মূর্তি ভাবে আমি দেব, হাসেন অন্তর্যামী"
আমি যখন খুব ছোট তখন আমার মা এই কবিতাটি অনেকবার শুনিয়েছেন... যতদূর মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ক্ষণিকা তে আছে (নিশ্চিত হবার মতো উপকরণ সাথে নেই এখন)।
:boss: :boss: :boss:
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
লেখাটা ভাল লাগলো। আমি আপনার লেখাটাকে যেভাবে নিয়েছি সেটা বলি:
আপনি কেন প্রতিষ্ঠিত কোন ধর্মে বর্ণীত ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না, সেটাই লিখেছেন। আপনার কারণগুলোও যথার্থ। এসব কারণেই তো পৃথিবীর সব সুসভ্য মনীষীরা নিজেদের মধ্যে একটা ঈশ্বর তৈরীর আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। স্পিনোজার দর্শন এজন্যই আমার খুব ভাল লাগে। তার চিন্তাধারার সাথে পরিচিত হওয়াটা ছিল আমার জীবনের অন্যতম সেরা অর্জন।
আপনি বলেছেন ধর্মের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে। পাশ্চাত্য সমাজ এবং রাষ্ট্রে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আরও দুইশ বছর আগে ফুরিয়ে গেছে। তবে প্রাচ্যে তার প্রভাব এখনও আছে। এটা হয়ত একসময় থাকবে না। কারণ প্রাচ্যেও মিশর বা তুরস্ক এখন সমাজ-রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে আলাদা করার চেষ্টা করছে।
আর ব্যক্তিজীবনে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আছে কি-না সেটা একেকজন একেকভাবে বলবেন। তবে পৃথিবীর সবচেয়ে সুসভ্যতাগুলোর সবচেয়ে সুসভ্য কারও কাছেই কখনও ধর্মের প্রয়োজনীয়তা ছিল না। গ্রিক (খ্রিস্টপূর্ব ৬০০-১০০), ইতালীয় (১৩০০-১৬০০) এবং ফরাসি (১৬০০-১৮০০) এই তিনটি সভ্যতাকে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট বলা যায়। তিন সভ্যতার কিছু গ্রেট মানুষদের দেখি: সক্রেটিস-এপিকুরোস-হোমার, গ্যালিলিও, ভলতেয়ার। এদের কারও জীবনেই ধর্মের কোন স্থান ছিল না। এমনকি ভলতেয়ার তো বলতেন: ‘পৃথিবীর প্রথম পুরোহিত বা মোল্লা ব্যক্তিটি হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ধূর্ত বাটপার, যার মোলাকাত হয়েছিলো প্রথম নির্বোধ ব্যক্তিটির সাথে’। এসব দেখার পর তাই আমি কেবল মোতাহের হোসেন চৌধুরীর কথাগুলোই বলি:
"ধর্ম হচ্ছে সাধারণ লোকের কালচার, আর কালচার হচ্ছে শিক্ষিত-মার্জিত লোকের ধর্ম। সাধারণের কাছ থেকে ধর্ম কেড়ে নেয়া আর কালচার কেড়ে নেয়া একই কথা।"
এজন্যই মনে করি কারও কাছ থেকে কিছু কেড়ে নেয়া যাবে না। কালচার্ডরা অবশ্য কখনই কারও কাছ থেকে কিছু কেড়ে নেয় না, সেটা কালচারের পরিপন্থী। এখন কেবল দেখার বিষয়- পৃথিবীতে কালচার্ডরা আধিক্য লাভ করে নাকি ধার্মিকেরা আধিক্য লাভ করে। গ্রিক, ইতালীয় এবং ফরাসি এই তিনটি সভ্যতা (উপর্যুক্ত সময়ে) তেই ধার্মিকের চেয়ে কালচার্ডের সংখ্যা বেশী ছিল, বা কালচার্ডদের প্রাধান্য ছিল। এজন্যই তারা সুসভ্যতা তৈরী করতে পেরেছে।
আপনার নিচের লাইনগুলো বেশী ভাল লেগেছে:
- এই এম্প্যাথিই আমি মনে করি আমাদের ইভল্যুশনারি অরিজিন অফ মরাল এ্যান্ড দ্য সেন্স অফ রাইটসাসনেস।
- সর্বোপরি আমাদের মূল্যবোধ ব্যবস্থা যা আমাদের যৌতুক, চাঁপাবাজি, আড্ডাবাজি, অভিমান, মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই দেয়নি তার সমূল অপসারণ হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পাশ্চাত্য মূল্যবোধ ব্যবস্থা যা আমাদের দিয়েছে মধুসুদন, রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর, রামমোহন, গান্ধী, বোস, চন্দ্রশেখর এঁদের মত অমূল্য রত্ন।
- ডিউটি অফ দি গ্রেইট কল অফ ইন্টেলিজেন্স।
- তবে আমার মনে হয়না আমাদের ধর্মবেত্তা, জ্যোতিষী এবং জর্জ বুশের মত অন্যান্য ফিয়ার মঙ্গারদের প্রতি তাঁরা বিন্দুমাত্রও আগ্রহান্বিত হবে।
- সে বোধহয় যথাযথ সিদ্ধান্তই নিয়েছে মরে গিয়ে পঁচে গলে নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে অনন্তকাল এভাবে মানুষের জ্ঞানার্জনের স্বার্থে, অভিজ্ঞতা অর্জনের স্বার্থে শিক্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে বেঁচে থেকে।
তবে এই এমপ্যাথিকেও যে বিবর্তনের আলোকে ব্যাখ্যা করা যায় সেটা বুঝেছি ডকিন্সের "সেলফিশ জিন" কিছুটা পড়ে। খুব ভাল লেগেছিল বইটা।
ধর্মের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আমি একটা লেখা লিখেছিলাম। এখানে আছে, পড়ে দেখতে পারেন:
http://www.sachalayatan.com/muhammad/16217
আপনি সমগ্র প্রাচ্যকেই নিচু দৃষ্টিতে দেখেছেন এমনটি আমার মনে হয়নি। অবশ্য মাহমুদ ভাই সেভাবেই দেখেছেন। পাশ্চাত্যের জয়গান গেয়ে যে লাইনটা লিখেছেন সেটাতে অবশ্য এদিকে ইঙ্গিতটা এসেছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রাচ্যের অবদানকে খাটো করে দেখিনা। পাশ্চাত্যের দৃষ্টিতে প্রাচ্যকে না দেখে স্বাধীনভাবে দেখা উচিত। আর প্রাচ্যে তো অনেকগুল সংস্কৃতি আছে- বৌদ্ধ, ইসলাম, চৈনিক, ভারতীয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
তোমার লেখা পড়া শুরুর আগে একটা ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে চাই, আমি মনে প্রথম বাক্যাংশে প্রাচ্য, দ্বিতীয় বাক্যাংশে পাশ্চাত্য শব্দ দুটো ব্যবহারের কারণে এবং ছবিতে গিলোটিন ব্যবহার করার কারণে এদের তিনের সমন্বয় এই ভ্রম সৃষ্টি করেছে যে আম িঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তুলনা। আমি ভেবেছিলাম সবাই আরো গভীরভাবে এটা চিন্তা করবে, তুলনামুলক সম্পর্ক একটি ঐতিহাসিক বিষয়। আমি বর্তমানের বাইরে কিছুই বলিনি। তুমি তুলনা ও ইতিহাসের সমন্বয় থেকে একটি তুলে নাও দেখবে আমার কথায় যেই আপত্তি তুমি খুঁজে পাচ্ছ সেটা থাকবে না। আজকে টায়ার্ড মাহামুদ ভাইয়ের সাথে কালকে আলোচনায় বসবো। অবশ্যই আমি জানি আমি ভুল কিছু বলিনি, দুর্ভাগ্যবশত এটা একটা ভুল ভাব কনভেয়ে করেছে।
এমন কোন পাশ্চাত্য সমাজ এবং রাষ্ট্রের কথা জানা আছে কি যেখানে ধর্ম বলে কিছু নেই? আমরা বিজ্ঞান বিজ্ঞান বলে এতো চিতকার করেও যখন আর কোন পার্থিব সমাধান খুজে পাই না তখন কেন সেই বিধাতার দ্বারস্থ হই? কেন বিশ্বসেরা ডাক্তার ও এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে অন্য কোন মহাশক্তির ক্ষমতাকে মেনে নেয়?
আমার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুব জানতে ইচ্ছে করে
http://en.wikipedia.org/wiki/Demographics_of_atheism উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে আসলেই ধর্ম বলে কিছু নেই। সুইডেনের শতকরা ৮০ ভাগ লোক ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না, ব্রিটেইনে ৭০ ভাগ, জার্মানীতে ৬০ ভাগ, ফ্রান্সে ৭০ ভাগ ইত্যাদি। মজার ব্যাপার হচ্ছে এরা সবাই ই পূথিবীর যে কোন ধার্মিক দেশগুলোর চেয়ে অর্থনৈতিক ভাবে, সামাজিক ভাবে, সাঙস্কৃতিক ভাবে, রাজনৈতিক ভাবে ভালো আছে, তাই নয় কি?
বিধাতার দ্বারস্থ হয়ে এই পর্যন্ত কারো কি কোন লাভ হয়েছে? যখন আমরা পোলিওর কোন পার্থিব সমাধান খুজে পাই নি বিধাতা কি তখন আমাদের পোলিও ভ্যাক্সিন দিয়েছে বা স্মলপক্স ভ্যাক্সিন বা কোন একটি মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সৃষ্টির ইতিহাসে কখনও? নাকি দিয়েছে মানুষের শ্রম ও সাধনা? ঠিক তেমনি এওখন আমরা যেইসব সমস্যার পার্থিব সমাধান খুজে পাচ্ছি না সেগুলোর সমাধানও দিবে মানুষই, মানুষ না দিলে অন্য কেউ নয়। আর পার্থিব সমস্যার সমাধানও পার্থিবই হতে হবে। এমনকি যদি আমরা পার্থিব সমাধান খুজে নাও পাই আমরা হয়তো চেষ্টা চালিয়ে যাব, কিন্তু অপার্থিব, বুজরুকী সমাধান খুজার চেষ্টা করবো না।
কেন যে মেনে নেয় আমি জানি না, তবে আমার উপরোক্ত পোস্টটির বক্তব্যই ছিল যে, সেই মহাশক্তিধর তার অপার্থিব ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এই পর্যন্ত কোন কাজ করতে পারেনি, ফলপ্রশু কিছু করতে পারেনি, কোন সাফল্য বয়ে আনতে পারেনি। যা করার সবই করেছে মানুষ, যা ভবিষ্যতে করা হবে সেটাও করবে মানুষই, অন্য কেউ নয়। আমি মনে করি ঈশ্বরকে সৃষ্টি করে মানুষ তার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভুলটি করে, যার পরিনাম এখনও সে গুনছে আর যেইসব জাতি সেই অকর্মার ঘটি ঈশ্বরকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছে তারাই সভ্যতার মানদন্ড হয়েছে। ঈশ্বরে আপনি বিশ্বাস করতে পারেন, তেবে আমার প্রশ্ন যে কোন কাজ করছে না, যার কোন সাফল্য নেই, অর্জন নেই তারে দিয়ে আমার লাভটা কি? আর বিশ্বসেরা ডাক্তারের যেই কথা আপনি বলেছেন, সেই বিশ্বসেরা ডাক্তারটিতো হবে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত বিশ্বের সেরা দেশগুলোর একটিরই অধিবাসী তাই না? আমরা তো ইতিমধ্যেই দেখলাম যে তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করার চেয়ে অবিশ্বাস করার সম্ভবনাই বেশী। আমারতো মনে হয়না বিশ্বসেরা মানুষেরা কোন ব্রঞ্জ এইজ ডগমায় বিশ্বাস করে থাকে। http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_atheists_(science_and_technology) তাহলেতো ncbi এর জরিপে অ্যামেরিকার মত একটি ধর্মপ্রাণ দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বায়োলজিস্ট ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হতো না তো তাই না?
ইতিহাস ঘেঁটে এই বোধে আসতে হলে একটা বিশেষ দৃষ্টিকোন থেকে তথ্যগুলো বিচার করতে হবে, তাছাড়া এটা সম্ভব নয়।কোনটা সু- আর কোনটা কু- সভ্যতা তা নির্ধারিত হয়েছে ক্ষমতায়, বিজ্ঞানে নয়, কখনোই, আগেও না, এখনো না।
আমার বক্তব্য খানিকটা সাইদের ওরিয়েন্টালিজম থেকে। তবে পাশ্চাত্য-সভ্যতার উন্নতির পেছনে ক্ষমতার ভূমিকাটা পাশ্চাত্যেরই সমাজবিজ্ঞানীরা প্রমান করেছেন, এবং এইটা নিয়ে এরাও বিতর্ক করা ছেড়ে দিচ্ছে।
শীঘ্রই ওরিয়েন্টালিজমের সারাংশটা দেবার চেষ্টা করবো সিসিবি'তে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অবশ্যই কোন সভ্যতাকে কু বা সু বলা যায় না। বিজ্ঞান কখনও সেটা করেও না।
কিন্তু "সভ্যতা" বইয়ের ব্যাপারটা এরকম ছিল না। ব্যাপারটা এমন না যে, সেই তিন সভ্যতার লোকেরা উঠেপড়ে লেগেছিলেন সভ্যতা নির্মাণের জন্য। বরং, সে সময় অনেকগুলো স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্ত্বার মধ্যে "মূল্যবোধ" এবং "যুক্তিবিচার" এত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল যা অন্য কোন সভ্যতায় এত ব্যাপক হারে দেখা যায়নি। এজন্যই তিনি তাদেরকে একমাত্র সুসভ্য বলেছেন। ইতিহাসবিদরা নাকি এই তিনটির সাথে রোমান সভ্যতাকেও বড় করে দেখেন। কিন্তু শিল্পের উদাহরণ দিয়ে ক্লাইভ বেল দেখিয়েছেন:
গ্রিক সভ্যতার সবচেয়ে বড় কবি হোমার লিখতেন নিজে প্রকাশিত হওয়ার জন্য। আর রোমান সভ্যথার সবচেয়ে বড় কবি ভার্জিল লিখতেন সমাজের প্রয়োজনে। এজন্যই ভার্জিলের রচনা হোমারের মত উৎকৃষ্ট হয়ে উঠতে পারেনি। আর গ্রিক সভ্যতায় ভার্জিলের চেয়ে হোমারদের আধিক্য থাকায়ই গ্রিকরা বেশী সভ্য।
যেমন: এথেন্সের সমান মূল্যবোধ আর যুক্তিবিচার ইতালীয় বা ফরাসি কেউ অর্জন করতে পারেনি। ইতালীয় মূল্যবোধে অনেক এগিয়ে গেলেও যুক্তিবিচারে বেশ পিছিয়ে ছিল। আর এই সবকিছুতেই অবদান ছিল সুসভ্য মানুষদের, যারা নিজের মধ্যে একটা ঈশ্বর তৈরী করেছিলেন তাদের।
এক্ষেত্রে এথেন্সের একটা পানশালার বর্ণনা খুব ভাল লেগেছিল।
তবে আমি অবশ্যই মানি, এ বইয়ের বৈজ্ঞানিক মূল্য খুব বেশী না।
আমার ধারনা স্বপ্নচারী ভাইয়ের মত, আর সিদ্ধান্ত আহসান আকাশ ভাইয়ের মতো।
তবে লেখকের প্রয়াস খুবই ভাল লেগেছে। এ-ধরনের গবেষনা চালালে তিনি আশাকরি একদিন সঠিক পথে পৌঁছুবেন। তবে extrimistদের জবাবে extrimist না হবার আহবান জানাচ্ছি।
সবশেষে রেশাদ ভাইয়ের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলবোঃ
“রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম
ভক্তরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।
রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি
মূর্তি ভাবে আমি দেব, হাসেন অন্তর্যামী।”..................
আপাতত সংগ্রহে রাখলাম। টাইম কইরা পড়তে হইবো সবগুলো কমেন্ট।
আমি একটা কমেন্ট করছিলাম। কই গেলো বুঝতে পারলাম না। কিছু অফেন্সিভ করে ফেলি নি আমার মনে হয়। কনফিউজড হয়ে পড়লাম।
সহমত...... :clap: :clap: :clap:
"Never think that you’re not supposed to be there. Cause you wouldn’t be there if you wasn’t supposed to be there."
- A Concerto Is a Conversation