মুসলমানিত্ব

বাঙালি মুসলমানের মন যে এখনো আদিম অবস্থায়, তা বাঙালি হওয়ার জন্যও নয় এবং মুসলমান হওয়ার জন্যও নয়। সুদীর্ঘকালব্যাপী একটি ঐতিহাসিক পদ্ধতির দরুন তার মনের ওপর একটি গাঢ় মায়াজাল বিস্তৃত রয়েছে, সজ্ঞানে তার বাইরে সে আসতে পারে না। তাই এক পা যদি এগিয়ে আসে, তিন পা পিছিয়ে যেতে হয়। মানসিক ভীতিই এই সমাজকে চালিয়ে থাকে।

(বাঙালি মুসলমানের মন/আহমদ ছফা)


বিস্তারিত»

পুতুল নাচের ইতিকথা -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়-বিষাদ ভরা উপন্যাসটি

মানিকের অন্যান্য লেখার তুলনায় ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ পড়তে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল আমার।পড়ার জন্য তাগাদা দিয়েছিলেন কাজী স্যার।স্যার প্রায়ই এই বইটির কথা ক্লাসে বলতেন,আর আমার আগে রফিক বইটি পড়ে ফেলেছিল তাই আমিও পড়তে লাগলাম।
বইয়ের শুরুটা অভিনব ও চমৎকার-

‘খালের ধারে প্রকাণ্ড বটগাছের গুঁড়িতে ঠেস দিয়া হারু ঘোষ দাঁড়াইয়া ছিল। আকাশের দেবতা সেইখানে তাহার দিকে চাহিয়া কটাক্ষ করিলেন। …স্থানটিতে ওজনের ঝাঁজালো সামুদ্রিক গন্ধ ক্রমে মিলাইয়া আসিল।

বিস্তারিত»

“মালাউন কা বাচ্চা… কাভি নেহি আচ্ছা !!!”

শিরোনামের বাক্যটা আমার এক বন্ধুর বাবা’র কাছ থেকে শোনা। একটি আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে আরেক আংকেলের “ডিসকোয়ালিফিকেশন” এর কারন তিনি হিন্দু। এইদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে এমন বিষেদগার করেনা কিংবা মনে মনে এমন ভাবেনা, লোকের সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু এমন কথা শুনেনাই এরকম লোকের সংখ্যা শূন্য। কেন এই বিদ্বেষ? এই বিদ্বেষের দুইটি কারন পাওয়া যায়।

একনম্বর বা প্রধাণ কারন আমাদের দেশের অধিকাংশ (প্রায় ৮৯%) মানুষ মুসলিম।

বিস্তারিত»

আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস

আজ ১৪ই জুন – বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। আমার ছোট্ট বিশ্বে অবশ্য রক্তদান দিবসটি হচ্ছে ১লা জুন। ৩৭ বছর আগে এই দিনটিতে প্রথম শুরু করি রক্ত দেওয়া। ঢাকার মহাখালীর কলেরা হাসপাতালে আমার মেয়ে তখন তার প্রানের জন্যে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। ছোট্ট মেয়ে আমার – মাত্র এক মাস হয়েছে তখন তার বয়েস। এই এক মাসের মধ্যে প্রায় অর্ধেক সময় কেটেছে হাসপাতালের বিছানায়। প্রথমে তার ছোট্ট হাতে সূচ ঢুকিয়ে সালাইন দেওয়া হচ্ছিল।

বিস্তারিত»

ভাত খেতে পায়না তো কি হয়েছে, বার্গার খাবে

২০০৪ সালের দিকে পেশাগত কাজে মিরপুর মাজার রোডে প্রতিদিনই আমার যেতে হতো। যেদিন সন্ধ্যাবেলায় যেতাম, এক নাম্বার গোল চত্বরের কাছে নির্দিষ্ট একটি যায়গায় প্রতিদিন কিছু লোকের জটলা দেখতাম। একদিন কৌতুহলে উঁকি দিয়ে দেখলাম দুজন লোক একটি কাপড় দিয়ে ঢাকা বালতির ভেতর থেকে ছোট ছোট প্লেটে কিছু তুলে তুলে মানুষকে দিচ্ছে। এবার একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম-একি? এ যে খাবারের উচ্ছিষ্ট, এ কি করে সম্ভব?

বিস্তারিত»

“প্রভু, তুমি ওদের ক্ষমা করে দিও”!

পচন ধরে মাথা থেকেই। আমাদেরও পচন ধরেছে একেবার শীর্ষ থেকে।সমাজপতি অধিপতি যাদের কে বলে আর কি!

তারাও প্রায় পুরো মাথাই খুইতে বসেছে।আমেরিকা-কানাডা-ওস্ট্রেলিয়ায় মাথা বন্ধক রেখে, ধড় ফেলে রখেছে এদেশে। একমাত্র কাজ, যতটুকু হাতিয়ে নেয়া যায়।

আঁখেরের শান্তিতো ওই দেশেই, এখানে একটু কষ্ট করে রাস্তাঘাট গরম করা,কালো-ধলা বিড়াল খুঁজে বেড়ানো, বিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকার মূলধনে একশ কোটি টাকার ব্যবসা ফাঁদা, ব্যাংক ম্যানেজার কে ম্যনেজ করে ভোল্ট হাতিয়ে নেয়া,

বিস্তারিত»

মোবাইলে পর্নোগ্রাফি, বর্তমান প্রজন্ম ও বাবা-মা

(অন্য ব্লগে আমার এ লেখাটি এসেছে। ক্যাডেটদের জন্য এখানে আবার দিলাম)।

ঢাকার একটি পরিচিত চেইন রেস্টুরেন্টে বউ-বাচ্চাদের নিয়ে খেতে গিয়েছি। আমাদের টেবিলের পাশে দু-তিনটি টেবিল একসাথে করে দশ-বারোজন অল্পবয়স্ক স্টুডেন্টদের একটি গ্রুপও বসেছে। রুরো গ্রুপে বোধ হয় তিনিটি মেয়ে ছিলো। আমরা বসতে না বসতেই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম ছেলেমেয়েগুলো নিঃসংকোচে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছে। ওদের কোন লজ্জার চিহ্ন নেই, এদিকে আমরাই যেন লজ্জায় মরে যাচ্ছিলাম।

বিস্তারিত»

তবুও নিরাপদ সড়ক চাওয়া যাবে না

একদিনে ১৫ টি প্রান । প্রতিনিয়ত হাজারো নাগরিক সমস্যা, হত্যা, ছিনতাই, গুম, ধর্ষন , এত কিছুর ভীড়েও আমাদের মন কে কি একটু নাড়িয়ে দিয়ে যায় না? যায়। কতটা ? আজকের সংবাদ পত্রের পাতায় দেখলাম আগামীকালই তো এটা বাসি খবর। আবার নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ব। প্রতিদিন খারাপ খবর শুনতে শুনতে আমাদের কান অভ্যস্ত হয়ে গেছে। যেদিন পত্রিকার পাতায় এমন কিছু না পাই মনে মনে বলি আজকে গুরুত্বপূর্ন কোন সংবাদ নাই।

বিস্তারিত»

সকল রবীন্দ্রনাথকে রবীন্দ্রজয়ন্তীর শুভেচ্ছা

আমার মাথা নত করে দাও হে
তোমার চরণ ধূলার পরে,
সকল অহংকার হে আমার
ডুবাও চোখের জলে

ঠিক এ কথাগুলোই মনে বাজছিল যখন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার একটি একক রবীন্দ্রসন্ধ্যা দেখছিলাম। ইচ্ছে করছিল তখনই গিয়ে ঠাকুরের পায়ের ধুলো নিয়ে আসি। কথায় আছে অতি শ্রদ্ধার মানুষের পায়ের ধুলো নাকি সোনালী হয়। রবীন্দ্রনাথের পদধূলি নিশ্চিত স্বর্ণই ছিল।

ঠাকুরবন্দনা আসার আগে বণ্যাবন্দনায় আসি।

বিস্তারিত»

চালকের বাংলাদেশ, বাংলাদেশের চালক


হাড়ির একটা ভাত টিপেই বোঝা যায় হাড়ির সব ভাতের অবস্থা। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে বাংলাদেশের অবস্থা বোঝার জন্য সারা বাংলাদেশ না ঘুরলেও হয়। বিভিন্ন যানবাহনের চালকের সাথে গল্প জুড়ে দিলেই হবে। বাংলাদেশে যখন বেড়াতে যাই তখন আমি ছিন্নমূল। নিজের কোন বাহন নেই। তাই অনেকের বাহন ব্যবহার করতে হয়। অনিচ্ছাতেই। দেশে থাকতে আমি সব সময়ই একা চলে অভ্যস্ত। পদব্রজ, পাবলিক বাস, রিক্সা, গাড়ি –

বিস্তারিত»

মাত্রতো একটা যুগের একটু বেশী….

বন্ধূ চয়নকে ফোন দিয়েছিলাম বহুদিন পর- চিনতেই পারেনি।
নাম বললাম- ভালো নামটা, যে নামে স্কুলে প্রতিদিন উপস্থিতি ডাকত রেবেকা আপা
সেই নামটাই বললাম, ডাক নাম অবশ্য ইচ্ছে করেই বলিনি
নাহ! বন্ধু আমাকে চিনতেই পারেনি।
সময়ও অবশ্য কম গড়ায়নি, এক যুগেরও একটু বেশী।
আমার আবেগ এখনো কাঁচা কিন্তু বন্ধুরা কেউ মনে রাখেনি।

যাই হোক, চয়নের কথা বলছিলাম।
ফাল্গুনের নতুন বাতাসে আজিজের দুই তলায় দাড়িয়ে দাড়িয়ে চয়নকে একবার ফোন দিলাম-
স্নাতক শেষ,

বিস্তারিত»

আরশী নগরের পড়শী

আমি নিয়মিত ভারতীয় ক্যাডবেরি খাই, আর আমার ঐ যে, ওকেও কিনে দেই। আমি ভারতীয় টাইটানের ফাস্টট্র্যাকের ঘড়িও পড়ি, সুন্দরী মেয়েরা যাতে আমার দিকে ছুটে ছুটে আসে সে আশায় আমি ভারতীয় বডি স্প্রেও ব্যবহার করি। কিন্তু আমার সমস্যা অন্যখানে।

আমাদের বাড়ির পাশের আরশী নগরের পড়শী রাষ্ট্র অখাদ্য স্বাদহীন চাল, ডাল, পিয়াজ, রশুন, সুস্বাদু ফেন্সিডিল আর বর্ডারের বিএসেফ এর গুলি ছাড়াও আরো কিছু সংকৃতি পাঠাচ্ছে।

বিস্তারিত»

জীবনের ওপারে আকাশগঙ্গা…..

মৃত্যু- যখন আসার কথা তখনই আসবে। সময়মতোই এসে হাজির হবে-
উদার কপাটে-
থামানো যাবে না তাকে কোনমতে।

ক্ষয়রোগ বাসা বেঁধেছে- চলে যেতে কীটস এর পথে। শরীরটা শেষ ঝাকুনি দিয়ে
থেমে যাবে অবশেষে- চির দুখী বিদায়ে।
ভাবতেই পারি না কোনভাবে- নাহ! মানতেই পারি না যে!

এই আলোর মতো জীবনটা, এই চৈত্রের হলকা হলকা হাওয়ার মতো জীবনটা
আমার- নাই হয়ে যাবে একেবারে!

বিস্তারিত»

আমি কেন ব্লগে লেখালেখি কমালাম?

[প্রাককথনঃ ‘সদালাপ’ নামে একটা ব্লগের উদ্দেশ্যে মূলত এই প্রবন্ধটা লেখা। তবে বিনে পয়সায় উপদেশ বিতরণের মজ্জাগত খাসলতের ওপরে কোনোক্রমেই উঠতে সক্ষম না হওয়ায় শেষমেশ সিসিবিতেও লেখাটা পাঠালাম। লেখাটা সিসিবির অধিকাংশ লেখার বা আলাপচারিতার ধারার সাথে খুব একটা সংগতিপূর্ণ না হলেও লেখার সার্বিক মেসেজটা হয়ত কারো কারো কিঞ্চিত উপকারে লাগতেও পারে, বিশেষ করে সিসিবির যেসব সদস্যরা ধর্ম নিয়ে অন্যান্য ব্লগে লেখালেখি করেন, তাদের।

আরেকটা কথা।

বিস্তারিত»

লিখছি নয়, পড়ছি

বিভিন্ন ব্যাস্ততায় লেখা হয়ে ওঠেনি বেশ কিছুদিন। তবে সময় পেলেই ব্লগে ঢু মেরে গেছি, অন্তত মন্তব্যগুলো মিস না করার চেষ্টা করেছি। সময় যেটুকু পাচ্ছি পড়ে পার করছি।

হুমায়ুন আজাদ এর বইগুলো আবার পড়ছি। বাংলাদেশে থাকলে একই অনুভূতি (বই পড়ার) হতো কিনা বলতে পারছি না। এই বিদেশের মাটিতে ব’সে, বিশেষ ক’রে এই স্বাধীনতার মাসে ছাপ্পানো হাজার বর্গমাইল পড়ার অনুভূতি কিছুটা আলাদা বৈকি।

বিস্তারিত»