১
আমি মানুষটা সবসময়ই একটা এ্যডভেন্চারাস টাইপের। একটু ঝুঁকিপ্রবণ। আমার কাছের মানুষ, বন্ধুবান্ধবকে জিজ্ঞেস করলে সবাই এক বাক্য তা স্বীকার করবে। ধ্যাৎ লেখাটার শুরুতেই কেমন জানি আমি আমি টাইপ হয়ে যাচ্ছে। আসলে যে কথাটা বলতে চাচ্ছিলাম তা হলো এই চ্ল্লিশোর্ধ বয়সে এসেও আমার স্বভাবটা বদলে যায়নি। জীবনের ব্যাপারে আমি একইভাবে প্যাশনেট, উচ্ছ্ব্সিত এবং স্বাপ্নিক। সেদিন বসে বসে ভাবছিলাম গত দশকে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন কী আর আগামী দশকে অগ্রাধীকারের ভিত্তিতে সবচেয়ে প্রধান লক্ষ্যমাত্রা কী।
জাতিসঙ্ঘে ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলায় ভাষণ দেয়া উচিত
ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিঃ মোদী এবার জাতিসঙ্ঘে হিন্দিতে ভাষণ দিয়েছেন। উপমহাদেশের একটি অন্যতম ভাষাকে বিশ্বসমাজে তুলে ধরার জন্য আমি তাঁকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল হিন্দিতে কেন? বাংলায় কেন নয়?
ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য দিয়ে একটি রাষ্ট্রের নিজস্ব আইডেন্টিটি তৈরি হয়। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকেরই উচিত যাঁর যাঁর অবস্থান থেকে তাঁদের সেই আইডেন্টিটি গুলোকে সমুন্নত করা। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি আছে ভাষা সম্পর্কিত, যেমন, রাষ্ট্রভাষা,
আমার বন্ধু লুবনা
কলেজে থাকাকালীন সময়ে আমি কখনই লুবনার প্রিয় বন্ধু ছিলাম না। লুবনা বরং আমাকে মারতো সময় সুযোগ পেলে। মার্চ পাস্ট করে একাডেমিক ব্লকে যাচ্ছি তো লুবনা আমার অক্সফোরড শু খুলে দিলো লাথি মেরে। সাইডে বসে জুতো পরছি, ও এমন একটা লুক দিল যে মনে হতো দেখিস একদিন আমিও… সেই একদিন কখনোই আসে নাই ক্যাডেট কলেজে থাকাকালীন সময়ে। অনেক কারিগরী করে দুই ইঞ্চির একটা বিনুনি করলাম চুলে,
বিস্তারিত»কেন আমি বিশ্বাস করি মালালা ই নোবেল শান্তি পুরস্কার এর যোগ্য বিজয়ী
Social conformity বলে একটা টার্ম আছে সাইকোলোজি তে। চারপাশের মানুষদের কথাবার্তা, আচরণ ও অভিমত অনেক সময় আমাদের নিজেদের অজান্তেই আমাদের অপিনিয়নকে প্রভাবিত করে.. মালালা নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর আমার ফেসবুক নিউজফিডে ঢুকে এই কথাটাই মনে হলো.. হতে পারে মালালা পাশ্চাত্য মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে অনেক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে, তার মানে এই না যে এতে তার অর্জন খাটো হয়ে গেছে।গেছে।ক্রিটিকালি চিন্তা না করে সব কিছুকে জেনারালাইজ করে ফেলাটা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে।
বিস্তারিত»কিভাবে কাউফি থুক্কু সেলফি তুলবেন
ব্যাটা ছেলে নিজের রুমের খাট কাটা শুরু করলে বাবা-মা যেমন সহজেই জেনে যায়, পুত্র বিবাহ করিতে ইচ্ছুক-ঠিক তেমনি আমরা সেলফি ছবি দেখলেই বুঝতে পারি ইহা সেলফি ছবি।
সেলফি ছবির ইতিহাস, নামকরণের যথার্থতা কিম্বা সেলফি- নন সেলফি ছবির পার্থক্যের ছক দিয়ে পাঠকের বিরক্তির উদ্রেক করিব নাহ।
নানান কারন থাকতে পারে, নানান মত থাকতে পারে তবে সেলফি জ্বরের মূল কারন অন্যকে ছবি তুলে দেবার জন্য বিরক্ত না করে নিজেই নিজের ছবি তুলে নেয়া গেলো।
বিস্তারিত»আহ, হিপোক্রেসি!
ব্যক্তিগত ভাবে মানুষের যে দোষগুলিকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি তার তালিকায় হিপোক্রেসি একদম উপরের দিকেই থাকবে, সে কারনে সব সময় চেষ্টা করে এসেছি নিজেকে এর মুক্ত রাখতে এবং এই দোষে দোষান্তিত মানুষদের থেকে দূরে থাকতে। কিন্তু এর কোনটিই শতভাগ অর্জন করা সম্ভব হয়নি। নিজে হিপোক্রেসি মুক্ত থাকার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, কিছুটা হয়ত সফল ও হয়েছি কিন্তু হিপোক্রেটদের থেকে দূরে থাকার প্রচেষ্টায় রীতিমত ব্যর্থ। বাস্তব জীবনে বিভিন্ন অনিবার্য কারনে অনেক হিপোক্রেটদের সাথেই হাসি মুখে কথা বলতে হয় আর ভার্চুয়াল জগতে বন্ধু তালিকায় ছাকনি চালাতে চালাতে ঠগ বাছতে গা উজাড় হবার উপক্রম হলেও খোমাখাতা হিপোক্রেসি ভরপুর।
বিস্তারিত»আমি মানুষ না আওয়ামীলীগ
দিনে দিনে আমি পাঁড় আওয়ামীলীগ হয়ে যাচ্ছি।
উদা ১ ঃ শিক্ষা মন্ত্রী ঢাবি র ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমার মনে হচ্ছে সংগত কথাই বলেছেন তিনি।
প্রশ্ন আউট ইত্যাদি মাথায় রাখলেও এই ফলাফল কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আরো মজা হচ্ছে বাম দের আমরা গালি দেই।
আবার বাম থেকে ডানে আসলেও গালি দেই।
আহারে নাহিদ সাহেব।
বেচারা সৎ হইয়া বিপদে পড়ছে।
ছোট গল্পের বড় শিক্ষা!
ছোট গল্পঃ
এক লোকের পাঁচ ছেলে ছিল। কিন্তু ছেলেদের মধ্যে মোটেই সদ্ভাব ছিল না, সব সময় নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-মারামারি করত। এটা নিয়ে লোকটির দুঃখের সীমা ছিল না। শেষে তিনি এক বন্ধুর পরামর্শ নেবার কথা ভাবলেন। বন্ধু ঘটনা শুনে বলল, ‘উইয়ার্ড! তোমার মত হুবহু কাহিনী নিয়ে একটা গল্প আছে, সম্ভবত ঈশপের…তুমি গল্পটা থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে পার।’ লোকটা তো খুশি মনে ঈশপের গল্পের বই কিনে দেখলেন আসলেই এই রকম একটি গল্প আছে!
অণুব্লগ: বন্ধু
শ্রীকান্তের নিরুদিদিকে মনে পড়ে? যিনি “বালবিধবা হইয়াও….সূতিকা রোগে আক্রান্ত হইয়া ছয় মাস ভুগিয়া ভুগিয়া মরেন” – সেই নিরুদিদি।
অনেকেরই ধারনা, আমরা সেই সময়ের সমাজিক অবস্থা থেকে খুব একটা এগুতে পারি নাই। এখনো নিরুদিদির মত একাকি নারীদের প্রেগন্যান্সির বিরাট ট্যাবু। অনেক ক্ষেত্রেই যার অবশ্যম্ভাবি পরিনতি মৃত্যু।
কিন্তু সম্প্রতি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস ও তার রেসপন্স দেখে এ বিষয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করলাম। চমকিতও হলাম।
এবার আর “যৌনশিক্ষা নয়, (তবে) প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা নিয়ে আরেক কিস্তি”
ভূমিকা
বলেছিলাম, এই বিষয়টা নিয়ে আরও লিখবো। বলেছিলাম, দরকার হলে বড় বিজয়ের জন্য ছোট পরাজয় মেনে নেবো।
তাই আবার লিখলাম। “যৌনশিক্ষা” বদলে দিয়ে “প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা”-র আমদানি করলাম।
দেখা যাক এবার কি ধরনের মারমুখি আচরনের সম্মুখিন হতে হয়।
মূল লিখা পড়া যাবে এখানে
আমি বেশ অসহায় বোধ করি, যখন কেউ বলেন, এমন যৌনশিক্ষায় আপত্তি নেই যা বিবাহবহির্ভুত যৌনচর্চা উৎসাহিত করবে না।
বিস্তারিত»ক্যাডেটতত্ত্ব (পার্সোনাল ভার্সন)
কোন ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটরা কেমন তা ভালোভাবে বুঝার জন্য আইসিসি কম্পিটিশন কিংবা বিএমএর কোনো বিকল্প নাই ।
দশটি কলেজ নিয়ে দশ রকম গল্প প্রচলিত ছিলো ।(তখনো এফজিসিসি আর জেজিসিসির জন্ম হয় নি )
আজকে অন্য কোন কলেজ নিয়ে বলবো না, নিজের টা নিয়েই বলি । অন্য কলেজের তুলনায় আমাদের কলেজের ক্যাডেটরা কম মাস্তি করে । কেমন জানি, সবাই একটু ভাব নিয়ে থাকে ।
বিস্তারিত»শুরু হোক আনুষ্ঠানিক যৌনশিক্ষা প্রদান
ভূমিকা:
নানা ঝামেলায় বেশ কিছুদিন নেটে তেমন একটিভ না। লিখালিখিতে আরও কম। সিসিবিতেও আসা হচ্ছে না।
এরমধ্যে গতকাল, এই লিখাটা লিখলাম বিডি নিউজ ২৪-এর জন্য।
বের হবার প্রথম ২-৩ ঘন্টার রেসপন্স দেখে পুরাই টাসকিত হয়ে গেলাম। ঘটনা বোঝার চেষ্টা করছি।
ঘটনা হতে পারে দুইটা, হয় তারা সবাই আমারই মত ভাবছেন যে শিক্ষাটা চালু হোক, না হয় তো এই ভাবনাটির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বিস্তারিত»মুক্তিযুদ্ধে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
দুঃসহ এ বেদনার কণ্টক পথ বেয়ে
শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
আমরা তোমাদের ভুলব না।
কৃষাণ-কৃষাণীর গানে গানে
পদ্মা-মেঘনার কলতানে
বাউলের একতারাতে
আনন্দ ঝংকারে
তোমাদের নাম ঝংকৃত হবে।
বেগম মুজিব
সপরিবারে শেখ মুজিবুর রহমান।
(বা থেকে শেখ কামাল, শেখ রেহানা, শেখ রাসেলকে কোলে বঙ্গবন্ধু, বেগম মুজিব, শেখ জামাল ও শেখ হাসিনা)
একটি মহীরুহকে ওরা চেয়েছিলো সমূলে উৎপাটন করতে।
চেয়েছিলো ওরা একটি চেতনাকে বিনাশ করতে।
আজ বেগম মুজিবকে নিয়ে বলি।
১৯৩০ সালের ৮ই আগষ্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ফজিলাতুন্নেছা জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে পিতা শেখ জহুরুল হক ও পাঁচ বছর বয়সে মাতা হোসনে আরা বেগমকে হারান তিনি।
বিস্তারিত»আইসিস ও অন্যান্য (১৮+)
সতর্কতাঃ
যারা ভয়ঙ্কর কিছু সহ্য করতে পারেন না, দূর্বল হৃদয়ের তারা লেখাটি না পড়লে ভালো হয়।
এমনকি যাদের নার্ভ শক্ত তারাও ধীর মাথায় পড়বেন।
আসুন হাত কাটাকাটি করি। (১৮+) শিরোনামে লেখাটি লিখেছিলাম ৫ মাস আগে। গেলো মাসে আমি কি মুসলিম বিদ্বেষী???শিরোনামে লেখা।
আমি হয়তো ধর্মকর্ম করি না।
বিস্তারিত»