এইসব দিনরাত্রি এবং আমার ভাবনাগুলো (প্রাক-কথন)

দিনগুলো কেটে যাচ্ছে ভিষণ ব্যস্ততার মাঝে। জীবনের, আরো নির্দিষ্ট করে বললে ক্যারিয়ারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছি। ফলে, ইচ্ছা-থাকা সত্বেও সিসিবিতে লিখতে পারিনা আগের মতো করে। এমনকি প্রতিদিনকার হাজিরাটাও মাঝে মধ্যে মিস করে ফেলছি। কি আর করা……

ফ্রান্সে ইসলামী-টেরোরিষ্ট এটাকের প্রেক্ষিতে আমার কিছু ভাবনা সিসিবিতে শেয়ার করতে চাই। তবে সেটা গুছিয়ে নিতে আরো কয়েকদিন লাগবে। ইত্যোবসরে আমি জেনে নিতে চাই এই ঘটনা নিয়ে সিসিবি’তে লোকজন কে কি ভাবছে।

বিস্তারিত»

বীরশ্রেষ্ঠ পরিচিতি

আমাদের গর্ব, আমাদের বীরশ্রেষ্ঠ
Screen Shot 2015-01-02 at 17.50.05

বীর শ্রেষ্ঠ বীরত্বের জন্য প্রদত্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক। যুদ্ধক্ষেত্রে অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন স্থাপনকারী যোদ্ধার স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদক দেয়া হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে এই পদক দেয়া হয়েছে ।

গুরুত্বের ক্রমানুসারে বীরত্বের জন্য প্রদত্ত বাংলাদেশের অন্যান্য সামরিক পদক হল – বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পরই এই পদকগুলো দেয়া হয়।

বিস্তারিত»

“এদেশে কনসেনচুয়াল সেক্স বনাম রেইপ” এর প্রেক্ষিতে আমার মতামত

শুরুতেই বলে নেই, এই লিখাটি পারভেজ ভাইয়ের এদেশে কনসেনচুয়াল সেক্স বনাম রেইপ এর উত্তর লিখতে গিয়ে লিখা। মন্তব্যের ঘরে শুরু করেছিলাম পরে চিন্তা করলাম মন্তব্য হিসেবে বড় হয়ে যেতে পারে। মূল কথায় আসি।

লিখাটা কিভাবে শুরু করবো সে নিয়ে বেশখানিকটা চিন্তা করলাম। বেশ কয়েকবার মূল লিখাটি পড়ে সিদ্ধান্ত নিলাম শেষ দিয়ে শুরু করি কারণ আমি নিশ্চিত নই আপনি সম্পূর্ণ চিত্রটি দেখতে পাচ্ছেন কিনা।

বিস্তারিত»

উপমহাদেশের সাম্প্রদায়িক অসম্প্রীতি – ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারেরই কুফল

অতি ক্ষুদ্র পরিসরে ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ তথা এই উপমহাদেশের ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেহারাটি সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করতে চাই। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে আজ অনেকেই ভারতের দালাল বা চর, আবার অনেকে একে পাকিস্তানের দোসর বা ভূত ইত্যাদি বিশেষণে আখ্যায়িত করেন। যে কেউই যে কারোরই যে কোনো উন্নত চিন্তা, চেতনা, নীতি-আদর্শ বা পদ্ধতি সানন্দচিত্তে গ্রহণ করতে চায় করুক। কিন্ত তার মানে এই নয় যে, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশকে নিজের স্বকীয়তা ও আত্মসম্মানবোধ টুকুকে জলাঞ্জলি দিয়ে সেই অন্য কারোরো দাসত্ব্য বা দালালী করতে হবে।

বিস্তারিত»

দি সেভেন্থ সিল : তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া

যা দেখছি ইদানিং :
আমার খুব বাজে একটা অভ্যাস আছে। আমি মনে হয় বছরের দুইটা সময়ে সবচেয়ে বেশি মুভি দেখি। দুই সেমিস্টার ফাইনালের সময়ে। নেক্সট উইক থেকে ফাইনাল উইক… তাই ড্রেস রিহার্সেল হিসেবে উইকেন্ড থেকেই মুভি দেখা শুরু করে দিয়েছি অলরেডি। Ingmar Bergman এর প্রতি আমার রেসপেক্ট অনেক বেশি।উনার খুব বেশি মুভি দেখা হয়ে উঠেনি। তবে শুনেছি যে সুইডিশ এই ডিরেক্টর এর মুভি গুলো নাকি প্রত্যেকটাই মাস্টারপিস..

বিস্তারিত»

সাবিহা জিতুর “ভালো মেয়ে” পড়ার পর……

এই মোটামুটি স্বল্প ট্রাফিকের ব্লগসাইটের (র‍্যাঙ্কিং ৭ লাখের আশেপাশে। হিট সংখা ১৩ শো-এর মত। দৈনিক আয়ের সামর্থ্য ৪ ডলার মাত্র) ডাকসাইটের একজন লেখক সাবিহা রহমান জিতু।
সাবিহাকে চিনি সেই ২০০৩ থেকে যখন সে এম আই এস টি-তে ছাত্রী হিসাবে এলো। তখনো আমি পিভটাল রিসোর্স পারসন হিসাবে ওখানকার এমবিএ প্রোগ্রামটা দু হাতে সামলাচ্ছি।
এর ভিতরে পদ্মা মেঘনায় অনেক জল গড়িয়েছে। সাবিহা অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গিয়ে লিখালিখিটাও শুরু করেছে।

বিস্তারিত»

করাতটা উপরে পাঠান। মগডালে বইসা আছি। সময় থাকতে কাইটা ফালাই।

প্রফেসর ডঃ জাফর ইকবাল। আমার মতে উনার হেটার্স ক্লাবের স্পেকট্রামের মত বড় স্পেক্ট্রামের হেটার্স ক্লাব আর কারো নাই। বাম, ডান, মধ্যম, আধা-বাম-কিছুটা-ডান, ছুপা সুশীল ইত্যাদি সবাই উনার কথাবার্তায় কম বেশী তেড়েফুঁড়ে উঠেন। কারণ সময়-অসময়ে উনার মতামত, চিন্তা-ভাবনা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। স্পেক্ট্রামের মানুষগুলো যেন আশা করে বসে থাকে, কবে মানুষটি একটি বিতর্কিত কথা বলবেন। কিন্তু যখন এই মানুষটি কিছু কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন, ভবিষ্যতের ভয়াবহ পরণতির কথা সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চান তখন উনার পাশে মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না।

বিস্তারিত»

সংবাদপত্র ও নৈতিকতা

২০০৮ বা ২০০৯ সালে রোজা বা কুরবানির ঈদে মাচাক্কালি নামে এক ড্রেস জনপ্রিয় হয়। মাচাক্কালি কোন এক হিন্দি ছবির গানের নাম, আর সেই গানে নায়িকা কি এক পোষাক পড়েছিলো তাই হয়ে যায় মাচাক্কালি ড্রেস। এক ছোটভাই যখন আমাকে এটা জানিয়েছিলো তখন বেশ হেসেছিলাম। কি নামের ছিরি।
মুখের সেই হাসি আর হাসি থাকেনি। গেলো বছর মনে হয় বাজার মাত করলো সানি লিওন ড্রেস। এহ! সানি লিওন টা কে?

বিস্তারিত»

“পুরাতন ইঞ্জিনে নতুন বগি”

কেউ বলেন, “রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া নাকি মানুষ হয় না, এমনকি পাগলেরও নাকি রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন থাকে”। আরেকটু টেনে বললেও ভুল হবে না, হয়তোবা এদেশে কেবল একমাত্র পাগলেরই রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন থাকে!  কোনো একটি বিশেষ দলের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন থাকাটা অনেকের ক্ষেত্রেই আবশ্যক নাও হতে পারে, তবে রাজনৈতিক দর্শন হয়তো সবার একটা থাকা ভালো। আমারও একটা রাজনৈতিক দর্শন থাকতেই পারে যা আমাকে দেশ নিয়ে স্বপ্নবাজ করে তুলতেই পারে বা আমার ভেতর একটা ভিন্ন রাষ্ট্রকাঠামোর আকাঙ্ক্ষা তৈরী করতেই পারে।

বিস্তারিত»

ঢাবিকে নিয়ে এক কিস্তি…

ভাবছিলাম এটা নিয়ে কিছু বলবো না, কিন্তু আর থাকতে পারলাম না। লিখেই ফেললাম আমার প্রিয় ঢাবিকে নিয়ে।

একবার ক্লাস শেষে ডাকসুর সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি। কোন এক বাম দলের ‘বিরাট’ মিটিং হচ্ছে। কংক্রিটের রাস্তায় বসা দুইজন শ্রোতার চেয়ে মঞ্চে উপবিষ্টের সংখ্যা বেশি। মাইক বাজছে তারস্বরে। রাস্তা খোড়া শুরু হলেও বাঙ্গালী দাঁড়িয়ে যায় মনোযোগ দিয়ে দেখার জন্য। আর সেখানে এত জ্বালাময়ী বক্তৃতা! আমি তো বাঙ্গালীই!

বিস্তারিত»

নির্বাসন, ধর্ম এবং মতপ্রকাশ

“এক-বইয়ের-পাঠক সম্পর্কে সাবধান।” (হুমায়ুন আজাদ – প্রবচনগুচ্ছ – ৩৩)

হিউম্যান ট্রি

বিস্তারিত»

অ-দাস

দাসত্ব আমাদের সমাজে একটা ঋণাত্বক শব্দ। চিন্তায়, কাজে, এমনকি শরীরেও আকণ্ঠ দাসত্বে ডুবে থাকা একটা মানুষও চিন্তা করার সময় “দাসত্ব” ব্যাপারটাকে খারাপ হিসেবে জানে। যদিও তাদের কাছে “দাসত্ব” আসলে যে কি বস্তু, খায় না মাথায় দেয় সেটা পরিষ্কার না। আবার মজার ব্যাপার হল এই লোকগুলাই আবার “অ-দাসদের” সন্দেহের চোখে দেখে, একটা ঘিনঘিনে অবজ্ঞার ভাব নিয়ে অ-দাসদের দিকে তাকায়, দাসের মগজ দিয়ে ওদেরকে ঠিক বুঝা যায়না কিনা।

বিস্তারিত»

“দি ভ্যালি অফ দি উল্ফ” – ইন বাংলাদেশ!!!

এইসব কেন লিখি? কিজন্য লিখি, কাদের জন্যই বা লিখি? হয়তো নিজের জন্যই শুধু লেখা। না লিখে চুপ করে থাকলে নিজেকে কেন যেন অপরাধী বলে মনে হয়। বোবা-মুখ হয়ে সময় পার করা? সেতো অনেকেই করছেন। যারা একটু উচ্চবাচ্য হবার চেষ্টা করছেন তাদেরকে গালিগালাজ শুনতে হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা মানতে হচ্ছে, হয়রানী-হুমকি-ধামকিও সহ্য করতে হচ্ছে। সংঘবদ্ধ প্রতিবাদও কেউ করছেন না সেইসবের। সবাই যেন গা বাঁচিয়ে চলতে চায়। পাছে আমাকেও অশ্রাব্য গালি শুনতে হয়!

বিস্তারিত»

সুলতানের স্কেচ বুক

sm-sultan-5

এস এম সুলতান বা লাল মিয়া আমাদের সমাজের আর দশজনের চোখে পাগল ছিলেন বলা যায়। মেয়েদের মতো শাড়ি পড়তেন, কখনো বাঁশি বাজাতে বাজাতে ছুটতেন অজানায়, কখনো ঢাকার বুড়িগঙ্গার দিকে। ছোট চুলের কোন ছবি দেখি নি সুলতানের। হয়তো একই সাথে তিনি ছিলেন কৃষ্ণ আবার রাঁধা। স্যুট কোট, ক্যাডিলাক, পশ্চিমের আরাম-আয়েশ ছেড়ে অজ পাড়া গায়ে গিয়ে থাকা সহজ ব্যাপার নয়। সুলতান হয়তো পেরেছিলেন কারণ তিনি এই মাটিরই সন্তান ছিলেন।

বিস্তারিত»

শিশু যৌন নিপীরণ- সচেতন হতে হবে এখনই!

সাত বছরের বাচ্চারা যেমন হয় তেমনই হাসিখুশি, উচ্ছ্বল ও বাবা-মা এর আদরের মেয়ে কমল। ওর বাবার পুরনো বন্ধু মি. বকশি আগের বাসা বদলে ওদের ঠিক সামনের ফ্ল্যাটে ওঠেন। মি এবং মিসেস বকশি দুজনেই চাকুরিজীবী, পরিবারের সদস্য সংখ্যাও দুজনই। খুব দ্রুত মি. বকশি’র সাথে কমলের ভাল বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে- কেননা তিনি হাসিখুশি, কমলকে চকলেট-আইসক্রিম সহ নানা উপহার কিনে দেন, কমলকে মাঝে মাঝে গাড়ি করে স্কুলে নামিয়ে দেন,

বিস্তারিত»