Social conformity বলে একটা টার্ম আছে সাইকোলোজি তে। চারপাশের মানুষদের কথাবার্তা, আচরণ ও অভিমত অনেক সময় আমাদের নিজেদের অজান্তেই আমাদের অপিনিয়নকে প্রভাবিত করে.. মালালা নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর আমার ফেসবুক নিউজফিডে ঢুকে এই কথাটাই মনে হলো.. হতে পারে মালালা পাশ্চাত্য মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে অনেক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে, তার মানে এই না যে এতে তার অর্জন খাটো হয়ে গেছে।গেছে।ক্রিটিকালি চিন্তা না করে সব কিছুকে জেনারালাইজ করে ফেলাটা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে।
সোয়াত ভ্যালি তে যখন তালিবান রা মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তখন মালালা ছদ্মনামে বিবিসি তে ব্লগ লেখা শুরু করে এ ব্যাপারে। তখন তার বয়স মাত্র ১১ ! ১১ বছর বয়সে পেপসির বোতলে চুমুক দিতে দিতে ডিজনি কার্টুন দেখা ছাড়া বিশেষ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমি করেছি কিনা মনে পরেনা। এরপর এর গ্রীষ্মেই নিউ ইয়র্ক টাইমস এর এক সাংবাদিক মালালা ও সোয়াত উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রামান্য চিত্র তৈরি করেন। এরপর ডেসমন্ড টুটু তাকে ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন পিস প্রাইজ এর জন্য মনোনীত করেন। এভাবেই মূলত তার দৃশ্যপটে আসা… এরপর থেকেই তার জীবনের উপর হুমকি দেওয়া শুরু হয়.. গুলি খাওয়ার কাহিনী কিন্তু অনেক পরের। সুতরাং গুলি খেয়ে মালালা বিখ্যাত হয়েছে এ মন্তব্যের সাথে আমি একমত নই.. হয়তো এই ঘটনা টা তাকে আরো লাইমলাইটে এনেছে। কিন্তু তার মানে এই না যে তালিবান মৌলবাদী দের গুলি খাওয়াই তার একমাত্র অর্জন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে শুধু যুদ্ধ থামাতে হবে এরকম কিছু আমি মনে করিনা। শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য একেক জন একেক জায়গা থেকে কাজ করতে পারেন। এখন কেউ যদি বলেন যে মালালা প্যালেস্টাইন নিয়ে কিছু বলেনা কেন, সিরিয়া নিয়ে কিছু বলেনা কেন ? তাহলে আমার বলার কিছু নাই। কলেজের বড় ভাই আরিফুল হোসেন তুহিন ভাই এর একটা ফেসবুক পোস্ট থেকে কয়েকটা লাইন কোট করছি।
“শান্তি পুরস্কার প্রধানত “থিম” বেইজড। বিভিন্ন জাতীয়/আন্তর্জাতিক সমস্যা কে থিম হিসেবে নিয়ে পুরস্কার দেয়া হয়। এইজন্যে অনেক সময় ইণ্ডিভিজুয়াল এচিভমেন্টের চেয়ে পুরস্কারের সিম্বলিক ভ্যালু বেশী গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষুধা/দারিদ্র্য/যুদ্ধের অবসান/নারী অধিকার ইত্যাদি ইস্যুকে ঘিরে শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়।নোবেল শান্তি পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাই “কনটেক্সট” খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে এটিকে “আমেরিকার” চাল ইত্যাদি বলে সাধারণীকরণ করতে চায়। প্রথম কথা নোবেল শান্তি পুরস্কার সাধারণত যতটা না ব্যাক্তিকে, তার চেয়ে বেশী “কনটেক্সট” কে দেয়া হয়।সাধারণ মানুষ ক্রিটিকাল থিংকিং এর অভাবে এমন একটা পর্যায়ে পৌছে গেছে যে, যেকোন ইস্যুকে তারা “জিরো সাম গেইম” মনে করে। কেউ জিতলে অবশ্যই কাউকে হারতে হবে। অথচ অনেক সোশাল পলিসি আছে, যেগুলো আসলে “উইন উইন” সিচুয়েশন।যেভাবে মুসলিম বিশ্ব বিরক্ত হয় তাদেরকে জেনারালাইজড করলে, পশ্চিমা ষড়যন্ত্র/এজেণ্ডা ইত্যাদি বলে আমরা কি পশ্চিমাদের জেনারালাইজড করি না?”
রাজাকার দের ফাঁসি চাওয়ার আন্দোলন এর সময় একদল ছাগু ত্যানা পেচাতে গিয়ে প্রায় ই কিছু কমেন্ট করতো। যেমন ,”দেশে পদ্মা সেতু কি হয়েছে? চালের দাম কি কমেছে ? বিশ্বজিত এর হত্যার বিচার কি হয়েছে ? এগুলো না করে রাজাকার দের ফাঁসি চাওয়ার মানে কি ?” কাউকে আঘাত দিতে চাইনা, কিন্তু সত্যি কথা হলো উপরের দুই প্রকারের মানুষ ই ত্যানা পেচানো মানুষ। আদর্শ গত দিক দিয়ে তাদের মাঝে হয়তো পার্থক্য আছে, কিন্তু মোরাল ভ্যালুর একটা স্টেজে গিয়ে আমি তাদের মাঝে খুব বড় কোনো পার্থক্য দেখতে পাইনা। মালালা কে নোবেল দেওয়ার পিছনে যে কারনটি বলা হয়েছে তা হলো,” For her struggle against the suppression of children and young people and for the right of all children to education” এখন কারো যদি মনে হয় যে, না এসব কিছু ভুয়া , এখানে কন্সপিরেসি আছে. সব পশ্চিমা দের কালো চাল.. তাহলে থাক। এখানেই ইতি টানি। জাস্ট একটা কোট কপি পেস্ট করে দিলাম। স্পিচ টার নাম The mane in the arena. থিওডোর রুজভেল্ট এর এক বক্তৃতা থেকে নেওয়া। আমার যখন রেজিমেন্টেশন চলে তখন আমার স্কোয়াড লিডার আমাকে এই পুরো কোট টা ৫০ বার লেখার টাস্ক দিয়েছিলেন। আমি আমার সেই স্কোয়াড লিডার এর কাছে কৃতজ্ঞ এই জিনিস আমাকে মুখস্থ করানোর জন্য। প্লিজ পড়ে দেখুন।
“It is not the critic who counts; not the man who points out how the strong man stumbles, or where the doer of deeds could have done them better. The credit belongs to the man who is actually in the arena, whose face is marred by dust and sweat and blood; who strives valiantly; who errs, who comes short again and again, because there is no effort without error and shortcoming; but who does actually strive to do the deeds; who knows great enthusiasms, the great devotions; who spends himself in a worthy cause; who at the best knows in the end the triumph of high achievement, and who at the worst, if he fails, at least fails while daring greatly, so that his place shall never be with those cold and timid souls who neither know victory nor defeat.”
(আর্টিকেল হিসেবে এই লেখাটা খুব ই নিম্নমানের। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এ জন্য। সত্যি বলতে কি অনেক তথ্য, উপাত্ত যোগ করা যেত লেখাটা তে.. অনেক কিছুই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু আলসেমি করে লেখা হলো না.. আসলে অনেকদিন ধরে সিসিবি তে আসা হয়না। তাই তরিঘরি করে কিছু একটা লিখে পোস্ট করে দিলাম। 🙂 )
:thumbup:
ধইন্যা পাতা দোস্ত। :hatsoff:
তুই ব্লগে আছিস? পোস্ট টোস্ট করে ফেল একদিন। কিছু লিখে ফেল
ধন্যবাদ নাফিস, এ ব্যাপারে লেখার জন্য। আমি মনে করি মালালাকে দেয়াতে কেউ খুশি হয়নাই, সুশীল এবং ছাগু সমাজ উভয় জায়গাতেই। এর বেশ কিছু কারণ আছে, যেমন মালালা লিখেছে তালেবানদের বিরুদ্ধে। ছাগুরা ভাবলো এ মেয়ে নাস্তিক। ইস্লামের বিরুদ্ধে লিখেছে আমরা খুশিনা। কিন্তু সে পাকি, সেই কারণে অনেকেই চিন্তা করতেসে পাকিস্তানে নোবেল!!! এটা মানা যায়না। মালালা ১১ বছর বয়সে যে পাকিস্তান এর মত একটা জায়গায় তালেবানদের বিরুদ্ধে নিক নেমে লিখে তার জন্যই তাকে বিশাল বড় পুরষ্কার দিতে হয়। কিন্তু নোবেল শান্তি একটা বাল। ভিয়েতনামের যুদ্ধের জন্য পাইসে হেনরী কিসিঞ্জার। এর থেকে বড় জোক্স কি হইতে পারে!!! অথচ ওই সময়ের এন্থেম ছিল, ""অল উই আর সেয়িং, গিভ পিচ আ চান্স"" কিন্তু লেনন কিছু পাইসে ?? ইয়কো অনো পাইসে ?? কিন্তু আমি মনে মালালার ভালোর জন্য তাকে এখনই নোবেল দেয়া দরকার ছিলোনা। এখন তার শুভাকাংখিরাও তার বিরুদ্ধে যাবে। কিন্তু আসলেই দেখার বিষয় আছে তাকে কতটুকু স্বাধিনতা দেয়া হয় নাকি বরং সে কি করবে সেটা এখন তাকে বলে দেয়া হবে।
কিসিঞ্জার , সিমন পেরেজ , ইয়াসির আরাফাত , জিমি কার্টার, ওবামা এরা সবাই ই কন্ট্রোভার্শিয়াল উইনার। জন লেনন এর টা নিয়ে খারাপ লাগে। মরলো ও গুলি খেয়ে।
অনেক ধন্যবাদ নাফিস সুন্দর করে লেখার জন্য । আসলে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ নামক কোন কিছুর আসলে অস্তিত্ব থাকা উচিত না কারণ এটা একটা জোক্সে পরিণত হয়ে গেছে । হেনরী কিসিঞ্জার নোবেল পায়, বারাক ওবামা নোবেল পায়, বুশ নোবেলের জন্য নমিনেশন পায় এর চাইতে জোক্স আর কি হতে পারে । এরকম আরও অনেক বিতর্কিত নোবেল প্রাইজ দেয়া হইছে । ১৯৯৪ সালে ফিলিস্তিনি জোড় করে দখল করার নেতৃত্ব দানকারী ইসরায়েলের ইযহাক রাবিন, শিমন পেরেজ নোবেল পায় এবং ফিলিস্তিনিকে ঠান্ডা করার জন্য ইয়াসির আরাফাতকেও নোবেল দিয়ে দেয়া হয় । যে মালালাকে তালেবানরা শুট করছে সেই তালেবানদের ভিতর থেকে ভবিষ্যতে যদি কাউকে নোবেল দিয়ে দেয়া হয় আমি অবাক হব না কারণে শান্তিতে নোবেল প্রাইজ আজ তার ক্রেডিবিলিটি হারাইছে এবং জোক্সে পরিণত হয়ে গেছে । মালালার কাজ গুলো আসলেই অনেক প্রশংসনীয়, ১১ বছর বয়সে এই ধরনের কাজ কারো পক্ষে ভাবাই যায় না । তাকে আসলে অন্য কোন বড় পুরস্কার দেয়া উচিত । এখন সবচেয়ে বড় শঙ্কা এই যে মালালা অন্য কারো দ্বারা এখন ব্যবহার হয় নাকি সে তার স্বাধীন মত কাজ করতে পারবে ।
তোমার এই লাইন টা ভাল লেগেছে । মালালাকে নোবেল দেয়াতে কোন পক্ষই খুশি হয়নাই । এক পক্ষ ভাবতেছে মেয়েটা নাস্তিক আর এক পক্ষ ভাবতেছে মেয়েটা পাকিস্তানি + বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিড়াল বলছে । আমরা আসলে কোন কিছুকেই ভিতর থেকে চিন্তা করি না, ভাবি না ।
পরিশেষে সুন্দর করে ব্লগ লিখার জন্য ধন্যবাদ । :thumbup:
:hatsoff:
নোবেল প্রাইজের অন্য ক্যাটাগরিগুলো নিয়ে বিতর্ক নেই (বা কম) কেন? কেননা তাদের অর্জনগুলো ট্যানজিবল। চোখে দেখা যায়, বোঝা যায়, কোন কোন ক্ষেত্রে পরিমাপও যায়। কিন্তু শান্তির জন্য পুরষ্কারে এই সুবিধা নেই। এটা সবসময় আপেক্ষিক একটি ব্যাপার। এ কারনে পক্ষে বিপক্ষে সবসময়েই মতামত থাকবে। কিন্তু বিপক্ষের মত বেশি হলে তার গ্রহণযোগ্যতা থাকে কি? একারনেই তোকে লিখতে হচ্ছে আমি 'বিশ্বাস' করি মালালা ই নোবেল শান্তি পুরস্কার এর যোগ্য বিজয়ী লিখতে পারছিস না- আমি প্রমান করে দিলাম/দেব মালালা ই নোবেল শান্তি পুরস্কার এর যোগ্য বিজয়ী!! ঠিক না?
এবার বলি আমি কেন 'বিশ্বাস' করি মালালা যোগ্য নয়-
১। মালালার লাইম লাইটে আসাটা খুবই নাটকীয়। আমি কোন ষড়যন্ত্রতত্ত্বের কথা টেনে আনতে চাইছি না- কিন্তু এত নাটকীয়তা বাস্তব জীবনে অস্বস্তিকর।
২। নোবেলের অন্য পুরষ্কারগুলো যদি অস্কারের ক্যাটাগরিভিত্তিক পুরষ্কারের মতন হয়, শান্তি পুরষ্কার নিঃসন্দেহে লাইফ টাইম এচিভমেন্ট এর মতন। অর্থাৎ বছরের পর বছর নানা চড়াই-উতরাই পার করে নিজেকে প্রমাণ করার পর তবেই এটি মেলে। মালালার ক্ষেত্রে সেরকম হয়েছে কি? পাবার যোগ্যতার কথা বাদই দিলাম, নোবেল পুরষ্কারের গুরুত্ব বোঝার মতন ওর বয়স হয়েছে?
৩। পাকিস্তানের মতন একটি অভিশপ্ত দেশে হাজার হাজার মালালা আছে, যারা ওর মতন সুযোগ-সুবিধা পায় না বা পায় নি। ওদের জন্য মালালা কাজ করে যাচ্ছে মানলাম, কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেরকম বলার মতন সাফল্য আছে কি?
৪। মালালা জীবনে অনেক কিছু সহ্য করেছে- এটাও মানছি। কিন্তু শুধু এটাই কি নোবেল পাবার যোগ্যতা?
৫। গত বছর এক সাক্ষাতকারে মালালা বলেছিল 'তার প্রধানমন্ত্রী হবার ইচ্ছে নেই' অর্থাৎ মিডিয়া তখনই ওর মাথা খাওয়া শুরু করেছে, এখন তো আরও খাবে। এত অল্প বয়সে ও কি নিজেকে মাটিতে রাখতে পারবে?
সবশেষে বলতে চাই- মালালা নোবেল পাবার যোগ্য কি না, তা নিয়ে আমি কোন বিতর্কে যেতে চাচ্ছি না। কিন্তু এখনই নোবেল জেতার মতন যোগ্য না, এটা হলফ করে বলতে পারি।
বিঃ দ্রঃ
১। এতক্ষণ পাকিস্তান বিদ্বেষ চেপে রেখে আলোচনা করেছি। ব্যক্তিগতভাবে পাকিস্তানের এই অর্জনে আমি যারপর নাই হতাশ... ওদের কোন প্রকার ভাল দেখতে পারি না। তাহলে, আমি কি রেসিস্ট? উইথ প্লেজার! কোলন ডি! পিরিয়ড!
২। এবার একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিই- আগামী দশ বছরের মধ্যে মালালা রাজনীতিতে আসবে, ১৫ বছরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হবে। এরপর সারা দেশে বিরাজ করবে মার্কিন 'তত্ত্বাবধায়নে' শুধু 'শান্তি' আর 'শান্তি'... 😛
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনাদা ভাল ছিল 😀 সেম হেয়ার :))
😛 😛
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনায়েদ ভাই ! কমেন্ট এর জন্য ধন্যবাদ। সময় নিয়ে লিখছেন, তাই ভালো একটা রেসপন্স ডিজার্ভ করেন আপনি। এখন আলসেমি লাগতেছে। 😛 বাইরে বৃষ্টি পড়তেছে। মালালা এই মুহুর্তে মাথায় নাই ! সময় নিয়ে কালকে রিপ্লাই দিবো। 😀
ভাত খেতে খেতে চিন্তা করছিলাম যেই লাইন অফ আর্গুমেন্টে আগাতে চাইছি সেটাই বুমেরাং হয়ে ফেরত আসবে। তারপরেও চেষ্টা করি। গত কয়েকদিনের কিঞ্চিত পড়াশোনা ও ব্যক্তিগত ভাবনার মাধ্যমে ব্যক্তিগত বিরোধীতা থেকে নিজেকে সরিয়ে সিস্টেমের প্রতি বিরোধীতায় নিয়ে এসেছি। অর্থাৎ, মালালা পাকিস্তানী এবং বাঙলাদেশের ক্রিকেট দলকে বিড়াল বলেছিল এটা নিয়ে আমিও চটেছিলাম এবং হিংসায় জ্বলছিলাম। কন্সপিরেসিগুলো কখনো প্রমাণ করা যায় না। গালভরা কথা পড়তে ভাল লাগে তাই মজা। সেখান থেকেও সরে এসে আমার বুমেরাং এ ফেরত যাই।
মালালা যে অসাধ্য সাধন করেছে বা করছে (এবং ভবিষ্যতে করবে) সেটার জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি রিকগনিশন দরকার। সবাইকে জানানো দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো এরকম সার্বজনীন কোন পুরষ্কার আপাতত বিশ্বে প্রচলিত নাই। সহজ সমাধানঃ নোবেল শান্তি পুরষ্কার দিয়ে দাও। হঠাৎ লাইনের বাইরে চলে গিয়ে সমালোচনার থোরাই কেয়ার করে সিলেকশান কমিটি। এবং এর ধারাবাহিকতায় আলফ্রেড নোবেলের উইলের ইচ্ছাকে দুটো পয়সা বেইল না দিয়ে নির্বাচকেরা বহুবছর ধরে নোবেল শান্তি পুরষ্কার দিয়ে আসছে। এরমাঝে বলে রাখি, সেদিন হোসেন (মকক, ৯৯-০৫) তার ফেইসবুক নোটে কন্টেক্সটের কথা বলছিল। নোবেল শান্তিতে এক এক সময় এক এক কন্টেক্সটে দেয়া হচ্ছে। পড়ে ভাবলাম, "ঠিক ঠিক!" কিন্তু পুরোটা জানতাম না। ঠিক নয়। কিভাবে? জনাব নোবেলের উইলের কথাটি স্পষ্ট, "the person who shall have done the most or the best work for fraternity between nations, for the abolition or reduction of standing armies and for the holding and promotion of peace congresses." কনটেক্সটের কিছু নাই। বিশ্বশান্তি রক্ষা করো (যেমন ইউএন শান্তিরক্ষীবাহিনী পেয়েছিল) মানুষকে শান্তিতে থাকতে দাও ওতেই চলবে। কিন্তু তালিকার দিকে তাকাই, যুদ্ধবাজ (বারাক ওবামা, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন), ক্ষুদ্র ঋণ (ডঃ ইউনুস, গ্রামীন ব্যাংক), জলবায়ু পরিবর্তন (ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসি, ও আল গোর), মালালা ইউসুফজাই (নারী শিক্ষা ও নারী অধিকার), আমি শান্তি খুঁজে পেলাম না! মজার ব্যাপার হলো এবছরের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৭৮টি নমিনেশানের মাঝে দুটি নমিনেশান মোটামুটি শান্তির কাছাকাছি ধরে নেয়া যায়। ১) জাপানীজ সংবিধানের একটি এ্যান্টি মিলিটারিজম ও এ্যান্টি ওয়াল অনুচ্ছেদ ২) ন্যাশনাল প্রায়োরিটিজ প্রজেক্ট নামের মার্কিন এক এনজিও যারা দৈনন্দিন জীবনে যুদ্ধবিরোধী কর্মকান্ড চালায়। সমস্যাটা হলো আমরা বাঙলাদেশীরা গাল দিচ্ছি শুধু মালালাকে আর আন্তর্জাতিক নিউজ কাভারেজ দেখে যেটা বুঝলাম বিশ্ব মোটামুটি নোবেল শান্তি পুরষ্কার নিয়ে চটে আছে।
এখন তালিকার বিচারে হয়তো মালালা ও কৈলাশের চেয়ে যোগ্য কেউ ছিলনা এবার, কিন্তু সিএনএন সম্প্রতি একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সেই সব মানুষদের যারা বছরের পর বছর নমিনেশান পেয়ে গিয়েছেন, শান্তির জন্য কাজ করেছেন, করছেন কিন্তু শান্তির পুরষ্কার জোটেনি। তালিকারটির উপর চোখ বোলালে তখন আবার কন্সপিরেসি মহাজনদের কথা মাথায় এসে পড়ে। বড় মুসিবত! শেষ করি। ভাল লিখেছ। :thumbup: :thumbup:
এডিটঃ যেই যুক্তিগুলো দাঁড়া করালে ব্যক্তিগত পর্যায়ে যায় সেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেলাম, ষেগুলোর একটি চমৎকার তালিকা জুনাদা দিয়েছেন।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
একই ঘটনা ভাই আমার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল । 😀 বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বিড়াল বলাতে ভীষণ রাগ হয়েছিল । নোবেল পুরস্কারের সাথে যেহেতু এটা সম্পর্ক যুক্ত নয় তাই আমিও এই গন্ডি থেকে বের হয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করতে হয়েছে । তবে হ্যা মালালা যোগ্য তবে এই বয়সের জন্য পারফেক্ট নয় । এইটা একটা লাইফ টাইম এচিভমেন্ট । এখন নোবেল প্রাইজ পাবার পরে এই বয়সে পারিপার্শ্বিক চাপ কিভাবে সামাল দিবে এবং অন্য কারো দ্বারা ব্যবহার হয় কিনা এইটাও থাকবে দেখার বিষয় । (সম্পাদিত)
নোবেল শান্তি পুরস্কার জিনিসটার এখন সত্যি বলতে কোন ভ্যালু নাই, আমার মনে হয়।
"ভবিষ্যৎ এ দুনিয়াতে শান্তি আনিবেন" এই মর্মে বারাক ওবামাকে শান্তি নোবেল দেয়া হয়, আমি যতদূর জানি। ভুল হলে শুধরে দিয়েন।
আর অন্য কারণেও যদি তাকে দেয়া হয়, সেটাও যথেষ্ট হাস্যকর।
উনি কিরকম শান্তি এনেছেন, তা আমরা সবাই জানি। 😛
আমার মনে হয় হয়, মালালার চেয়েও অনেক যোগ্য লোক ছিলেন- উপরে মোকাব্বির ভাইয়ের কমেন্ট দ্রষ্টব্য।
আর পাকিস্তান নিয়ে গা জালাপোড়া আমারও আছে। ওদের কোন ভাল কিছু দেখতে পারিনা।
এই ব্যাপারে আমিও রেসিস্ট। 😀
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
আমি মনে করতাম 'নোবেল' টা সব শ্রেষ্ঠ মানুষদের জন্য বরাদ্দকৃত। কিন্তু বয়স যত বাড়ছে আমার বিশ্বাস টাও নড়বড়ে হচ্ছে। উপরের মোকাব্বির ভাইয়ের কমেন্টের মত বলতে চাই, বছরের পর বছর শুধু যারা মনোনয়নই পেয়ে গেছেন তাদের লিস্ট টা দেখলে দীর্ঘশ্বাস গোপন করা দায়।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
মহাত্মা গান্ধী ১২ বার নমিনেশন পেয়েছিল , কিন্তু একবারও পায়নি।
ভালো লেখা।
আমার ফেবু স্ট্যাটাস তুলে দিলাম।
নুবেল কমিটি কাহাকে নুবেল দিবে এইটা তাহাদের বিষয়।
তাহারা কিসিঞ্জারকে দিয়াছে।
মানিয়া লইয়াছি।
বারেক ভাই কে দিয়াছে।
মানিয়া নিয়াছি।
বদ্দা ইনূচ কে দিয়াছে।
মানিয়া নিয়াছি।
এইবার মালালা আর কৈলাসকে দিয়াছে।
তাও মানিয়া নিয়াছি।
কিন্তু একটা কথা নজর কাড়িয়া নিলো।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেন,
যে যার মতো বুঝিয়া নিন।
কোন মন্তব্য করিবো না।
মালালা আজ না হয় কাল নুবেল পাইতোই।
আহারে বেচারি।
কিন্তু আমাগোর তসলিমা কি দুষ করিলো>>>
কিংবা দাউদ হায়দার>>>
যতদূর মনে পড়ে সত্যজিৎ শিশু শ্রম নিয়া ডকুমেন্টারি ফিল্ম বানাতে চেয়ে পারেন নি বা সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দেয় নি। কারণ আইনত ভারতে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ।
অথচ আজ কৈলাস নুবেল পাইলেন।
দুইজনকেই অভিনন্দন।
নুবেল ভালো জিনিস।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
সত্যি কথা বলতে মালালা সম্পর্কে বিস্তারিত কোন ধারনা ছিল না, শুরু থেকেই মনে হয়েছিল ও জাস্ট দাবার একটা গুটি, মিডিয়া ওকে দিয়ে খেলাচ্ছে। এর মাঝে যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম নিয়ে কমেন্ট করলো তখন প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হলেও প্রথম বারের মত মনে হয়েছিল ও মনে হয় শুধুমাত্র একটা পিআর টিমের মুখপাত্র নয়।
নোবেল পাওয়ার খবর শুনে প্রথমে এক গাল হেসেছিলাম, সত্যি কথা বলতে শান্তির নোবেলের উপরে আস্থা অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি, তাই সেভাবে অবাক হইনি। কিন্তু বাগড়া বাধলো যখন দেখলাম ফেসবুক জুড়ে নোবেল কমিটির বদলে মালাল্র মুন্ডুপাত শুরু হয়েছে তখন মেজাজ বিগড়ানো শুরু হলো, যেন এইটা মালালার দোষ, কেন ও নোবেল পেল। যার ফলাফল আমার এই স্ট্যাটাস, "ফেসবুক দেখি পুরো লালাময়, স্যরি মালালাময়। মালালাকে নির্বাচন করায় সবার নোবেলানুভূতি ব্যাপক ভাবে আহত। আসুন আমরা মালালার কুশপুত্তলিকা দাহ করি।"
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি মালালা নোবেল ডিজার্ভ করে না তবে এটা নিশ্চিত যে ও শান্তির নোবেল পাওয়াদের মধ্যে নিকৃষ্টতম নয়।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
নিকৃষ্টের হিসাব করলে এপিক হইলো হেনরি কিসিঞ্জার ও বারাক ওবামা! 😀
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
btw, কুইক ট্রিভিয়া বলেন তো ২০১২ সালের নোবেল বিজয়ী সংস্থা কোনটা ?
গেজ হোয়াট, ইউরোপীয় ইউনিয়ন 🙂 নট ইভেন এ জোক..
কিসিঞ্জার, ওবামা , শিমন পেরেজ, আরাফাত এরা খুব কমন ও পরিচিত নাম। এরা ছাড়াও অনেক নিকৃস্ট নাম চলে আসে.. ওয়াগ্নারী মাথাই, আল গোর আনডিজার্ভিং। ২০০৮ সালে তো বলতে গেলে টাকা দিয়েই এই পুরস্কার কিনে নেওয়া হইলো। 🙁
আরেকটা ইনফো দেই , ইন্টার এর কেমিস্ট্রি টেক্সট বুকের ফ্রিট্জ হেবার এর এমোনিয়া সিনথেসিস এর বিক্রিয়ার কথা মনে আছে ? (হেবার বোস রিয়েকশন ) এই আবিষ্কারের জন্য কিন্তু ফ্রিট্জ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিল ১৯১৮ সালে। :clap: :)) এই লোকই আবার এমন এক সংস্থার ডিরেক্টর ছিল যারা বিষাক্ত ক্লোরিন গ্যাস বানাতো। কেমিক্যাল ওয়ারফেয়ার এর অন্যতম জনক শান্তিতে নোবেল পেয়েছিল। আয়রনিক 😛
শান্তির তালিকা শুরু থেইকাই ফাতরামি তাইলে। আমি ভাবতাম ৬০-৭০ এর দশক থেকে শুরু করসে।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমি মালালা বিতর্কের পরে শান্তি পুরষ্কার নিয়ে ঘাটাঘাটি করে দেখি ওর উল্টোদিক থেকে টপ টেনে ঢুকতেও কষ্ট হয়ে যাবে।
২০০৮ এর কেস হলো সবচেয়ে প্যাথেটিক, পুরো কেনাবেচা হইছে
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
হাহাহাহা। এইটা ঠিক কইসেন। শান্তিতে সবচাইতে ফাউলের তালিকায় শীর্ষ দলে মালালাকে পাওয়া যাবে না। অনেক বাঘারা আছে! 😀 😀 ইউরোপীয়ান ইউনিয়ান কিভাবে নোবেল পায় আমার এইটা মাথায়ই ঢুকে নাই! এইগুলা কি ?
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:grr:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রিয়েকশন দেখে আমি ও ভড়কে গেছিলাম। এত রাগ 🙁
এই জায়গাটাতেই খারাপ লেগেছে। আরেকটা ফ্যাক্ট যেটা কেউ স্বীকার করবে না এই জায়গায় মেয়ে না হয়ে ছেলে হলেই গালাগালি প্রায় অর্ধেক কমে যেত। মেয়েদেরকে মানুষ মনে করি না। খাবারদাবার রেঞ্জের জিনিসপত্র এত সম্মান পেয়ে ফেলতেসে এইটা কেমনে হয়? চেহারা ফিগার কিছু নাই।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ভাল কথা, যারা মালালার নোবেল পাবার বিপক্ষে তারা সবাই মালালার অর্জন এবং ত্যাগ স্বীকারকে ছোট করছে- তা কিন্তু নয়! এই লেখাটা পড়ে দেখ। সব কিছু মানতে হবে তা না- তবে নিঃসন্দেহে চিন্তার অনেক নতুন খোরাক জোগাবে!!
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
শান্তির নোবেল নিয়ে আরেকটু জানার চেষ্টা করলাম। একটা নাম বারবার আসলো Fredrik Heffermehl, নরওয়ের একজন প্রাক্তন আইনজীবী এবং মানবতা কর্মী। সে তার লেখা দুটো বই Nobels vilje এবং The Nobel Peace Prize. What Nobel really wanted এ নোবেল এর অরিজিনাল উইল এবং নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট কমিটি কিভাবে সেই উইলের বাইরে গিয়ে নোবেল পুরষ্কার দিচ্ছে সেটা নিয়ে লিখেছে। উইকির এই পেজটা থেকে কিছুটা আইডিয়া পাওয়া যায়।
মালালার নোবেল সম্পর্কেও সে ভাল একটা জিনিষ পয়েন্ট আউট করছে,
“If they had wished to be loyal to Nobel they would have stressed that Malala often has spoken out against weapons and military with a fine understanding of how ordinary people suffer from militarism. Young people see this clearer than the grown ups,” said Heffermehl. “She even, when she met U.S. President Obama, gave him a stern warning against drone warfare and said it only served to increase hatred and the number of terrorists.”
Heffermehl added "I do hope that Malala will stick to her early concerns of the problem of militarism. There are signs that her helpers and advisors have turned her away from the delicate issues of militarism and over to the safer issue of education. By moving her away from the Nobel idea of global disarmament she has become more palatable to the Nobel committee."
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
একই ধরনের আরেকটা লেখা পড়ছিলাম। প্রথমে ভাবছিলাম শান্তি গ্যাড়ানো শুরু করসে ৭০ এর দশক থেইকা। এখন ঘাইটা দেখি সেই জন্মলগ্ন থেইকাই নোবেল শান্তি গ্যাড়ায় শান্তি পাইতেসে শান্তি কমিটি (pun intended)
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আগের অনেক প্রাইজ হোল্ডারের থেকে মালালার পুরস্কার গ্রহনযোগ্য। ভালো লেখা।
চাঁদ ও আকাশের মতো আমরাও মিশে গিয়েছিলাম সবুজ গহীন অরণ্যে।
থেঙ্কু হামীম ভাই। কমেন্ট চোখ এড়াইয়া গেছিল 🙂
এই বিতর্কের সময় ব্যস্ত ছিলাম। অবসর পেলেও হয়তো অংশ নিতাম না। মালালার নোবেল বিজয়টাকে আমি শান্তি পুরষ্কারের অতীতের বিতর্ক দিয়ে মাপতে চাই না। যদি সেই বিতর্কই ধরতে হয়, তাহলে কিছুটা হলেও মালালা এবং কৈলাসের প্রতি অবিচার করা হয়। মালালা যেমন গত ছয় বছর ধরে প্রবল হিংস্র এক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে, তেমনি কৈলাস তার প্রায় সারা জীবন ধরেই অন্যরকম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। দু'জনেরই কাজের মূল লক্ষ্য শিক্ষা, আর শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের উন্নয়ন, তথা সমাজে শান্তি আনয়নের সুযোগ।
শান্তি পুরষ্কার নেয়ার অনুষ্ঠানে দেয়া মালালার এই বক্তব্যটা সবার জন্যই দেখা আবশ্যিক!
https://www.youtube.com/watch?v=MOqIotJrFVM