ভূমিকা:
নানা ঝামেলায় বেশ কিছুদিন নেটে তেমন একটিভ না। লিখালিখিতে আরও কম। সিসিবিতেও আসা হচ্ছে না।
এরমধ্যে গতকাল, এই লিখাটা লিখলাম বিডি নিউজ ২৪-এর জন্য।
বের হবার প্রথম ২-৩ ঘন্টার রেসপন্স দেখে পুরাই টাসকিত হয়ে গেলাম। ঘটনা বোঝার চেষ্টা করছি।
ঘটনা হতে পারে দুইটা, হয় তারা সবাই আমারই মত ভাবছেন যে শিক্ষাটা চালু হোক, না হয় তো এই ভাবনাটির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। আসল কারন কোনটা, জানতে পারলে মন্দ হতো না……
সিসিবি-র পাঠকগণের জন্য এখানে দিলাম:
পড়া যাবে এখানেও
যৌনতা নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের রক্ষণশীলতা আমাদের জন্য কতটা স্বস্তিকর অথবা জটিলতাপূর্ণ?
এ কথা এখন কমবেশি সবাই মানছেন যে, ব্যক্তিজীবনে সুস্থ ও স্বাভাবিক যৌনতার অধিকার আসলে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারেরই অংশ। আর তা নিশ্চিত করার জন্য যথাসময়ে যৌনতা সম্পর্কিত সঠিক জ্ঞানার্জনের বিকল্প নেই। কিন্তু সেই ‘যথাসময়’-টা যে কখন, আর সেই ‘জ্ঞানার্জন’-এর মাধ্যমটা যে কী, এই দুটো নিয়ে অনেকেই কমবেশি সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে যান।
এদের মধ্যে অনেকেই এ ব্যাপারে একমত যে, বয়ঃসন্ধিতে একটি আনুষ্ঠানিক যৌনশিক্ষা শুরু করা যেতে পারে, আর তা হতে পারে এই সমস্যার একটি যথার্থ সমাধান। তবে এই মতের বিরুদ্ধাচারণের জন্যও কিন্তু মানুষের অভাব হয় না!
যারা এই মতের বিরুদ্ধাচারণ করেন তাদের বেশিরভাগের যুক্তিগুলো মোটামুটি এ রকম–
১. আমাদের তো এ রকম আনুষ্ঠানিক যৌনশিক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়নি। তাই বলে আমরা সবাই কি অস্বাভাবিক যৌনাচারে লিপ্ত?
২. বয়ঃসন্ধিতে যৌনশিক্ষা পেয়ে সেটার যে অপব্যবহার হবে না, তার গ্যারান্টি কী?
প্রথম যুক্তিটাতে আত্মগরিমা দেখানোর একটা প্রয়াস লক্ষ্য করা যায় যা কোনো কোনো ক্ষেত্রে সত্যি না হওয়া সত্ত্বেও একজন সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতার বিচারে বলে ফেলেন। আর দ্বিতীয়টা এই কারণে ঠিক যে, কোনো কিছুরই গ্যারান্টি নেই। তবে এটাও সত্য যে, সব জেনে বুঝে যদি কেউ জ্ঞানের অপব্যবহার করতে চায়, তাদের সংখ্যা কখনও আশংকাজনক হয় না। যা হয় তা নিতান্তই ক্ষুদ্র এবং তাকে সিস্টেম এরর হিসেবে মেনে নেওয়া যেতেও পারে।
সব জেনে বুঝে যারা জ্ঞানের অপব্যবহার করতে চায়, তাদের সংখ্যা কখনও আশংকাজনক হয় না
প্রায়ই শুনে থাকি বয়ঃসন্ধির সময় সিস্টেমেটিক যৌনশিক্ষা শিশু-কিশোর-কিশোরীদের এক্সপ্লয়েটেশন কমাতে ভুমিকা রাখে। এটা মেনে না নেওয়ার যুক্তি পাই না। এখন যদি প্রশ্ন করা হয়, কোনটা আগ্রাধিকার পাওয়া উচিত– অজ্ঞ রেখে গোটা শিশু-কিশোর-কিশোরী সমাজকে হয়রানির ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া, নাকি জানা ও বোঝার পর দু-চার জনের অপব্যবহারের ঝুঁকি নেওয়া।
দু’চারজন ডেভিয়েটের স্বার্থের তুলনায় গোষ্ঠীস্বার্থ যে বেশি প্রাধান্য পাওয়া উচিত সেটা আশা করি সবাই মানবেন।
এই প্রসঙ্গের অবতারণা এ কারণে যে, সম্প্রতি জানা, দেখা ও বোঝা কিছু কিছু ব্যাপারে আমার মনে হয়েছে যে বর্তমান প্রজন্ম অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি যৌনহয়রানি ও এক্সপ্লয়েটেশনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অতীতেও যৌনহয়রানি ও এক্সপ্লয়েটেশনের ঝুঁকি বয়ঃসন্ধিকালে অনেককেই পোহাতে হয়েছে, কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নতি, যোগাযোগ এবং বিভিন্ন ধরনের চিত্রধারণ ব্যবস্থার সহজপ্রাপ্যতা এই ঝুঁকি আগের চেয়ে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
আমি বিশ্বাস করতে চাই, বিকৃত রুচির মানুষের সংখ্যা আসলে খুব বেশি নয়, কিন্তু অজ্ঞতা সেই সব ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিকৃত মানুষের বিকৃতি চরিতার্থ করার বিরাট সুযোগ করে দিচ্ছে। সিস্টেম্যাটিক যৌনশিক্ষায় যৌনআচরণের স্বাভাবিক বিষয়গুলিকে স্বাস্থ্য ও হাইজিনের অংশ হিসেবে দেখানোর পাশাপাশি এক্সপ্লয়েটেশন জিনিসটা বুঝতে সাহায্য করবে। এতে করে বিকৃত মানুষদের জন্য তাদের বিকৃতি চরিতার্থ করার পথটা কঠিন হয়ে পড়বে।
এ কথা অনেকাংশেই সত্য যে, এক্সপ্লয়েটেশনের প্রথমদিকে অনেকেই না বুঝে তার শিকার হয়। পরে যখন বুঝতে পারে তখন তা থেকে বের হয়ে আসার খুব একটা উপায় থাকে না। কিছু উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারগুলো আরও পরিষ্কার করা যেত, কিন্তু তা করতে ইচ্ছা হচ্ছে না, তাতে মনঃকষ্ট আরও বাড়ত। তাছাড়া কী বলতে চাইছি, পাঠক এটুকু থেকেই অনুমান করে নেবেন বলে আশা করছি।
বলছিলাম প্রযুক্তিগত ঝুঁকির কথা।
মাঝে মাঝে পত্রিকান্তরে এমএমএস বা হিডেন ক্যাম ফাঁস হবার সংবাদ দেখি। কখনও কখনও জোর করে ভিডিও তৈরি করার ও তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার কথা শুনি। এসব পড়ে বা শুনে মনে হয় এ জাতীয় ঘটনা কালেভদ্রে দু’চারটা হয় হয়তো। সম্প্রতি জানলাম, ইন্টারনেটে নাকি এ ধরনের ভিডিওর সংখ্যা শত শত, হয়তো হাজার হাজারও হতে পারে। এত বিপুল সংখ্যক ভিডিও লিক হয়ে নেটে এসেছে, জোর করে করা হয়েছে, এগুলো বিশ্বাস করা কঠিন।
এ জন্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানলাম, এসবের বেশিরভাগই পারস্পরিক সম্মতিতে ধারণ করা। অনেক ক্ষেত্রে হয়তো আপলোডিংও সম্মত হয়েই করা হয়ে থাকবে। এই চর্চাগুলো যে এক ধরনের এক্সপ্লয়েটেশন সেটা জানা থাকলে হয়তো তা এভাবে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পারত না। যারা স্বেচ্ছায় এটা করছে, ঠিক কী কারণে যে তা করছে বুঝতে পারছি না, তবে যা যা করছে তা যে রুচিহীন আচরণের পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর চর্চার বিস্তার ঘটাচ্ছে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। আর এসবে জড়াতে গিয়ে অজ্ঞতার কারণে ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণের মতো ঘটনা যা থেকে জীবনের ঝুঁকিও সৃষ্টি হচ্ছে।
এত বিপুল সংখ্যক ভিডিও লিক হয়ে নেটে এসেছে, জোর করে করা হয়েছে, এগুলো বিশ্বাস করা কঠিন
এই প্রসঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী সম্পর্কে জ্ঞান থাকার গুরুত্বও আলোচিত হওয়া উচিত। আর তা শুধু জন্ম বা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যই নয়, বরং স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনের জন্যও যে এটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বোঝার জন্যেও। অতিরক্ষণশীলতার জন্য কন্ট্রাসেপটিভের প্রাপ্যতা বরাবরই জটিল একটা বিষয় ছিল। আশার কথা, কোনো কোনো সুপার শপের ডিসপ্লেতে আজকাল এগুলো পাওয়া যাচ্ছে। আশা করা যায়, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ ও সেই পরবর্তী জটিলতা নিরসনে এই বিষয়টি ভূমিকা রাখবে।
অস্বাস্থ্যকর ও অসুস্থ যৌনচর্চচা এবং এক্সপ্লয়েটেশনগুলো তথ্যপ্রযুক্তির কারণে যেভাবে ছড়াচ্ছে ও মাল্টিপ্লাই করছে তা একসময়ে তরুণ সমাজের জন্য হুমকি বয়ে আনতে পারে। এই অবস্থার উন্নতির জন্য অনতিবিলম্বে সুস্থ যৌনচর্চা সম্পর্কিত শিক্ষার পরিকল্পনা করা ও সেই অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে সিস্টেমেটিক আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করাটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য বিভিন্ন দেশে যেসব মডেল রয়েছে, সেগুলির মধ্য থেকে আমাদের জন্য উপযোগী একটি মডেল বেছে নেওয়াই হবে সবচেয়ে সহজ একটা উপায়। জানি না কবে তা হবে, তবে যত তাড়াতাড়ি তা হয়, ততই মঙ্গল।
যত দূর মনে পড়ে, এদেশের ইংলিশ মিডিয়ামের বিজ্ঞান বইগুলোতে অনেক ছোট ক্লাস থেকেই হেলথ-হাইজিন শিক্ষার অংশ হিসেবে বিভিন্ন শারীরিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চেনানোর পাশাপাশি তার যত্ন নেওয়ার, সুরক্ষার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে এই জ্ঞানচর্চা শুরুর বিষয়টি দেখেছিলাম। জানি না এদেশে তা ঠিক ওইভাবে শেখানো হয় কি না। যদি হয়, তা নিঃসন্দেহে খুব ভালো একটা পদক্ষেপ। এভাবে শুরু করা হলে পর্যায়ক্রমে তা নিয়ে শিশুরা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বিস্তারিত ও খোলামেলা আলোচনায় উত্তরণ ঘটানো সম্ভব। কেন যে তা ঘটছে না, জানি না।
পুরো বিষয়টা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনার সময় এসে গেছে। সময় থাকতে এটা নিয়ে না ভাবলে একটা গোটা প্রজন্মকে তার মূল্য দিতে হতে পারে। মনে রাখা জরুরি যে শুধু সুস্থ জীবনই নয়, সুস্থ যৌনজীবনও প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারের অংশ। আর এ জন্য সঠিক জ্ঞানের বিকল্প নেই।
পড়ে প্রথম হলাম। বাসায় গিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য হবে। ব্লগে ক্ষণিক বিরতির পর স্বাগতম পারভেজ ভাই। 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আচ্ছা। প্রথম হওয়ায় অভিনন্দন। 🙂
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ধন্যবাদ এইরকম গুরুত্ব্পূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
🙂
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
রাজীব:
http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/20084 এর মন্তব্যগুলা একটু দেখো
হাসতে হাসতে মরে যাবা।
😛 😛 😛
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আহা সে কি বিনোদন। হাহাহাহাহাহাহা। উপরে মন্তব্যের ভিত্তিতে দুটো সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। আমার মতে দ্বিতীয়টি হবার সম্ভবনা শতভাগঃ তারা এটার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছেন। একদুইজনের ক্ষেত্রে হয়তো প্রথমটি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বড় একটা আলোচনামূলক মন্তব্য লেখার কথা ভাবছিলাম আলাদা করে, এখানেই কিছুটা আলোচনা করি। মন্তব্যগুলোর মধ্যে যেই বিষয়টি খেয়াল করলাম সেটা হলো যৌন বিষয়ক যেকোন কিছুকে ট্যাবু হিসাবে দেখা, লুকানোর বিষয়। একজন মা দেখলাম একজন বাবা যারাই এখানে মন্তব্য করেছেন তারা তো মনে হয় অনেক কষ্টে সংবরণ করেছেন চেচামেঁচি করা থেকে। অনেকে পড়তে গিয়ে লজ্জায় পাকা টমেটোর মত লাল হয়ে গেলেও অবাক হবো না। এই ট্যাবু সমস্যার উৎস নয় তবে সমাধানের পথে প্রধান অন্তরায় বলা যেতে পারে। এই দেয়াল ভাঙবেন কিভাবে? একজন বলেছেন নিজের পরিবার থেকে শুরু করুন সফল হলে সারা দেশে প্রয়োগ করা যাবে। কথাটার মাঝে সূক্ষ্ম খোঁচার উপস্থিতি থাকলেও বাস্তবে সন্তানদের মঙলের জন্য আপনি আমি ঠিকই পারিবারিক পর্যায়ে এই শিক্ষার ব্যবস্থা ঠিকই করবো। পিছে থেকে যাবেন এরা, বাঙলাদেশের সিংহভাগ জনগণ। যাদের কাছে যৌনতা যে শিক্ষার কিছু হতে পারে সেটাই মস্তিষ্কে আটে না।
এবার আসি প্রযুক্তির কথায়। এই জায়গাটায় বাঙলাদেশ বেশ বড় ধরনের হোঁচট খাচ্ছে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার আবির্ভাব যেকোন উন্নত দেশের মানুষের জন্য ঝামেলার সৃষ্টি করে। একটা দেশ কত দ্রুত নতুন প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে নিচে পারছে এর উপর অনেক কিছুই নির্ভর করে। উদাহরণ সরূপ বলা যায়, আমেরিকার সরকারী অফিসগুলোতে যখন দৈনন্দিন কাজ করার জন্য কম্পিউটার স্থান নেয়া শুরু করেছিল, অনেক রাঘববোয়াল সিনেটররা এর বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন, আর অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাতো রীতিমত বিরক্ত ছিল। দেশের আইন সাধারণত প্রযুক্তির থেকে পিছেই থাকে। কিন্তু সেই দূরত্বটা যদি বেশী হয় তবেই সমস্যা করা শুরু করে। এই কথাটির একটি ভিন্ন উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, বর্তমানে আমেরিকার বাজারে এক ধরনের সৌরবিদ্যুতের প্যানেল এসে বসে আছে যেটা কিনে যেকোন ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর মত প্লাগ পয়েন্টে বসিয়ে দিলেই হবে বাকিটা সে নিজেই করবে। কিন্তু এক দুইটি অতি উৎসাহী রাজ্য বাদে ওদের কোথাও "আইন অনুযায়ী" এই সোলার প্যানেল ব্যবহার করার উপায় নাই। তাই উৎপাদকরা বসে আছেন রাজ্য ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব আইনের সংশোধন আসুক।
একই কথার সূত্র ধরে বলতে পারি, বাঙলাদেশে ইন্টারনেট, যোগাযোগ সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত উন্নতির গতি আমাদের সামাজিক ও আইনী হজম করার গতির থেকে অনেক দ্রুত। সবার হাতে হাতে সহজলভ্য কিন্তু বেশ ভাল মানের ক্যামেরা মোবাইল ফোন এসে যাওয়ায় বেশ বিপদ হয়ে গিয়েছে। আমি বলবো এই "লুইচ্চামি" আমরা আগেই করতাম, কিন্তু প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে সেগুলো এখন ইন্টারনেটে সয়লাব।
যে কথাগুলো বলেন নি সেগুলো এক দুই লাইনে যোগ করি। লুকিয়ে ভিডিও করে ছেড়ে দেয়া বাঙলাদেশের ভিডিও গুলোর সিংহভাগ গ্রামাঞ্চলের। "পার্শ্ববর্তি আখক্ষেতে নিয়ে উপর্যুপুরি ধর্ষন" আগেও হতো এখন সাথে ভিডিওটাও হয়। প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ করা যেহেতু বোকামি হবে তাই হাতে নিতে হবে যৌন শিক্ষা বিস্তারের প্রকল্প।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
প্রতিশ্রুত "বিস্তারিত মন্তব্য" পেয়ে যার-পর-নাই প্রীত হলাম।
আমি যেহেতু এই বিষয়টা নিয়ে আবারো লিখবো তাই নোট নিলাম।
সকালে ল্যাপটপ খুলে দেখলাম আরো বড় বিনোদন অপেক্ষা করছিল। মন্তব্যকারী এক ভদ্রলোক "যৌনশিক্ষা" আর "যৌনচর্চা"-র মধ্যে গুলিয়ে ফেলেছেন। বিনোদনই বিনোদন......
গতরাতে ঘুমুতে যাবার আগে দেখা বিনোদনটির চেয়েও এটা ব্যাপক।
ঐ মন্তব্যটা পড়ে মনে হয়েছিল যৌনশিক্ষা মানেই এনারা বোঝেন বাৎস্যয়নের কামসুত্রের ৩৬ কলার শিক্ষা।
আর বেশির ভাগই যে শুধু "যৌন" লিখাটা দেখেই আর কিছু না পড়েই লিখালিখি করেছেন, মন্তব্য দিয়েছেন - এই ব্যাপারে আমার বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:-B
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
B-)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ধন্যবাদ ভাই , এমন সাহসী নিবন্ধ লেখার জন্য !
আমার কিন্তু মনে হয় না, এটা কোন সাহসি লিখা। আমার কাছে এটা একটা জরুরী লিখা বলেই মনে হয়েছে। প্রথম এই বিষয়টা নিয়ে লিখলাম বলে ইচ্ছা করেই খুব একটা ফোকাস করি নাই। বড় ক্যানভাসে গেছি। ইচ্ছা আছে আরও স্পেসিফিক কথা বলার। সেটা অবশ্যই সাহসি পদক্ষেপ হবে বলে মনে হয়।
এইভাবে যাওয়ার অন্য একটা কারনও আছে।
সাঁকোটা অল্প নাড়া দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করা যে কতজনকে ঐ নড়তে থাকা সাঁকোতে পাশে পাবো, যারা আরো নড়াচড়ায়ও সাথে থাকবে। আর কত জন "সাঁকো নড়ছে, সাঁকো নড়ছে" - বলে উর্ধশ্বাসে পালাবে। পারলে সাঁকোটা ভাঙ্গতে মুগুর নিয়ে ছুটে আসবে।
এখন পর্যন্ত আমি পুরো বিষয়টা নিয়ে আশাবাদি। দেখি কি দাঁড়ায়......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:thumbup:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
যৌনশিক্ষা অবশ্যই দরকার এবং খুব ছোটবেলা থেকেই তা শিখানো উচিত।
আপনার লেখা পড়ে যারা উল্টা বুঝছে তাদেরই আসলে আগে এই বিষয়ে ভাল করে পড়ালেখা করানো দরকার।
যৌনশিক্ষার সাথে সাথে এদের কান্ডজ্ঞান শিক্ষাও দেয়া প্রয়োজন। 😛
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
"এদের কান্ডজ্ঞান শিক্ষাও দেয়া প্রয়োজন" - সুপার লাইক।
:thumbup: :duel: :gulli2:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:thumbup: :boss: :boss: :boss:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
🙂 :)) :goragori:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:boss: :boss: :hatsoff: :hatsoff:
Life is Mad.
যৌনতার প্রকাশ ও চর্চা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন সমাজের যে দ্বিধা/ দোদুল্যমানতা দেখা যায় তার মধ্যে আমাদের সমাজের অবস্থা মনে হয় সবচেয়ে সংগীন। স্বাভাবিক/স্বতঃস্ফূর্ত প্রবণতাকে চেপে রাখতে গিয়ে অসুস্থ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমার মনে হয়েছে আমাদের সমাজ বা পরিবার শিশুদের সত্যিকার মানসিক পরিমণ্ডলের কথা বিবেচনার চেয়ে 'লোকের কাছে কেমন দেখাচ্ছে' বা 'লোকে কি বলছে' পরিস্থিতিকে অনেক গুরুত্ব দ্যায়।
যদিও আমাদের বাবা-মা এবং গুরুজনেরা সবাই চান আমরা (অর্থাৎ শিশুরা) বড় হয়ে বিয়ে করি এবং স্বাভাবিক পারিবারিক (এবং সামাজিক) জীবনযাপন করি -- কিন্তু একজন সুস্থ যৌনভাবনা এবং অভ্যাসের পথে চালিত হবার দিকে কি করে যেতে হয় তা নিয়ে কারুরই মাথাব্যথা নেই। এসবকিছুই যেন বয়ঃসন্ধির সময়কালে ফিসফাস করে, অন্ধকার ঘরে বা বাথরুমের আয়নায় লুকিয়ে লুকিয়ে নিজেকে দেখে বিভ্রান্ত হবার প্রনোদনা। কাউকে বলার জায়গা নেই, কেউ বলবেনা তোমার সমস্যা হলে আমাকে এসে বলবে -- কোন প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় জানাবে।
আর ওসব মন্তব্য পড়িনি। না পড়েই বলছি, যাঁরা ভাবছেন যৌনসচেতনতা মানে কলুষময় কিছু -- যাঁরা আশা করছেন সন্তানদের সংগে আলোচনা ব্যতিরেকেই একেকজন সুস্থ দায়িত্বশীল মানুষ গড়ে উঠবে, তাঁদেরই কাউকে কাউকে না শিউরে উঠতে হয় একান্ত আপনার জনকে কষ্ট পেতে দেখে। গর্তে চোখ বুঁজে যাঁরা ভাবছেন ভালোই আছি তাঁদের জন্যে -- অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?
:hatsoff:
নিজের সন্তানেরা দমকা বাতাসে উড়ে যাবার আগ পর্যন্ত উনারা ধরেই নেন পৃথিবী শান্ত। আর উড়ে গেলেও দোষটা সন্তানের।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমি খুব আগ্রহ নিয়ে জানতে চেষ্টা করছি, যৌনশিক্ষার বিরোধিতাকারীদের স্ট্যান্ড পয়েন্টটা কি। এখন পর্যন্ত যা যা বুঝলাম:
১) যৌনশিক্ষাকে মূলতঃ তারা কামকলা শেখানোর একটা উসিলা হিসাবে মনে করছে। এমন ভাবে বলছেন, যেন ক্লাসে থিওরি শিখেই সবাই প্রাক্টিকাল করার জন্য দলে দলে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
২) কেউ কেউ এটাকে যৌনতার চর্চার সাথে গুলিয়ে ফেলেছে।
৩) আরেক দল, যারা ধর্মকে সকল সমস্যা সমাধানের উপায় বলে ভাবেন, তারা জানতে চাইছেন, হোয়াই সেক্সএডুকেশন? হোয়াই নট ধর্ম এজ দ্যা বেস্ট অলটারনেটিভ?
৪) আরেক দলের গতানুগতিক উপদেশ, বুঝলাম সমস্যা, কিন্তু তার আগে ঐটা ঐটার সমাধান করেন। এজ ইফ ঐগুলা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কারো বয়স বাড়বে না কেউ নতুন করে যৌবন প্রাপ্ত হবে না। আর তাই কোন হয়রানি / এক্সপ্লয়েটেশনের ঘটনা ঘটবে না।
দু'একটা ক্যাটাগরি বাদ দিলাম। যেমন আমাকে শুরু করতে বলারটা। যাহোক আরও কোন ক্যাটাগরি কারো চোখে পড়লে জানাবা।
আরেকটা কথা, এই বিষয়ে আরও লিখালিখির ইচ্ছা আছে। কেউ যোগ দিতে চাইলে, অনন্ত জলিলের চেয়েও বেশী "মোস্ট ওয়েলকাম"।
পরবর্তি পর্বে বিভিন্ন দেশে কি কি ভাবে কোন বয়স থেকে এই শিক্ষাটা শুরু হয় তা তুলে আনতে চাচ্ছি। কেউ তথ্য দিলে, যোগাযোগ করলে খুব খুশি হব। আলাপ করতে চাইলে আমাকে পাওয়া যাবে kazi.pervez -এই স্কাইপি আইডিতে।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
গেলো রোজার মাসে কোন এক ব্লগে যৌনতা সম্পর্কে লেখায় বেশ কিছু মন্তব্যের মাঝে কয়েকটি ছিলো এরকম যে রোজার মাসে এরকম আলোচনা থাক।
অথচ রোজার রাতে স্ত্রী সহবাস অবৈধ নয়। বরং কোরান-হাদিস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
মাঝে মাঝে চারপাশের লোকজনের আচার-আচরণ দেখে মনে হয় এরা নবীর চাইতে তার সহযোগীদের চাইতে বড় মুসলমান হইতে চায়।
যৌন কোন আলাপ আলোচনা তা যতই শিক্ষাপূর্ণ হোক না ক্যান আমরা একে ট্যাবু করে রাখছি।
অথচ নবীর স্ত্রী আয়েষা কে সাহাবীরা নবীর স্তম্ভন শক্তি বা তাদের যৌন জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছে।
আরেক হাদিসে আছে ওমর তার খেলাফত কালে আয়েশাকে ডেকে মতামত নিয়েছে যে একজন নারী তার স্বামী ছাড়া কতদিন থাকতে পারে?
আয়েশা বলেছিলেন তিন মাস।
বলা বাহুল্য এক্ষেত্রে একজন নারী যৌনতা ছাড়া কতদিন থাকতে পারে তাই বুঝানো হয়েছে।
একবার এক গাযওয়া থেকে ফেরার পথে এক নববিবাহিত সাহাবী উট দাবড়ে মদীনা ফিরছিলেন। তখন তখন নবী তার সংীদের বললেন ওর এতো তাড়া কিসের?
তারা বললো, ও নতুন বিয়ে করেছে। (বৌ এর কাছে তাড়াতাড়ি যাবার তাড়া)
তখন নবী বললেন, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের একটু সময় দাও, যাতে তারা, গোসল ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে নিতে পারে। নবী এখানে পিউবিক হেয়ার কামানোর কথাও উল্লেখ করেছেন।
নবী আরেক হাদিসে মেয়েদের স্বপ্ন দোষ হয় বলেও উল্লেখ করেছেন।
অথচ আপনি আমি এইসব নিয়ে কথা বললে এইসব শোনা অমূলক নয় যে আমরা অশ্লীল, আমাদের ভীমরতি হয়েছে। আর এইসব বিষয়ে আলোচনারই বা কি আছে। (সম্পাদিত)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ভাইরে 'স্তম্ভন শক্তি' টা আবার কি জিনিস?
এই শব্দ তো শুনিনাই।
~x(
যৌন শক্তি বলতে পারেন।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
স্তম্ভ অর্থাৎ খাম্বা হবার শক্তি। (pardon my french!)
"যৌনতা নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের রক্ষণশীলতা আমাদের জন্য কতটা স্বস্তিকর অথবা জটিলতাপূর্ণ?"
- এই কথাটা দিয়ে লিখাটা শুরু করার কারন, আমার মনে হয়েছে, আমাদের জীবনযাত্রা থেকে যৌনতাকে নির্বাসন দেয়ার মূল কারন হলো: এর মাধ্যমে আমরা এক ধরনের নরুপদ্রোপ স্বস্তিকর পরিবেশ তৈরী করতে চাই।
কিন্তু যতই চাই না কেন, যৌনতা আমাদের পিছু ছাড়ে না। আর তাই যা তৈরী হয় তা এক জটিল পরিস্থিতি।
এই প্রথম মনে হলো কেউ একজন ব্যাপারটা ধরতে পেরেছে। তাই ঝেড়ে কাশলাম......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:hatsoff:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হুমায়ুন আজাদ সম্ভবত কোন এক লেখায় বলেছেন, "বাঙালীর যৌন জীবন এক ট্যাবু।" সমগ্র বাঙালীর দিকে আঙুল তুললে অনেকেই ক্ষেপে যান তাই আঙুল নামিয়ে রাখছি কিন্তু উনি যা বলেছেন সেটা রূঢ সত্য কথা।
পুরান কাসুন্দি ঘাঁটাঘাঁটি করি। আগে মনে হয় বলা হয়ে গিয়েছে তারপরে বলি, আরেকটা খোঁড়া যুক্তি আমাদের মাঝে কাজ করে। তা হলো তথাকথিত "ঐতিহ্য।" আমাদের তো এসব শেখা লাগে নাই। আমরা তো ঠিকই পেরেছি। ওরাও পারবে। আর এভাবেই আমাদের মাঝে তৈরী হয় পরিমলের মত শিক্ষক। পরিমলের কপাল খারাপ পরিমল ধরা পড়ে গিয়েছিল কিন্তু পর্ণ সাইট গুলোতে সার্চ দিলে বাঙলাদেশ ও ভারতের শিক্ষক-ছাত্রী ভিডিওর সংখ্যা একেবারে কম না। এই কথাগুলা বলার আরেকটা বিপদ হলো, মনের অজান্তেই অনেকে খারাপ ভাববেন। এই ছেলেতো নিয়মিত পর্ণ সাইটে যাতায়াত করে। কথা সত্য। বিখ্যাত ফ্রি পর্ণ সাইট গুলোতে সপ্তাহে একবার হলেও ঢুঁ মারি। সেখানে বাঙলাদেশের মফস্বল ও গ্রামাঞ্চলের লুকিয়ে কিংবা জোর করে করা ভিডিওর আধিক্য আমাকে সম্প্রতি খুবই শঙ্কিত করেছে। যদিও আদতে আমি এর কোন সমাধান দেখি না। এত মানুষের দেশ। শুরু আছে শেষ নাই।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমার মনেহয়, ঐ ফ্রি সাইটে থাকা ভিডিও গুলির একটা রিগরাস কন্টেন্ট এনালাইসিস করা গেলে সমস্যাটির অনেক গভীরে ঢোকা যেত। হয়তো সমাধানের উপায়ও খুজে বের করা যেত।
কিন্তু তা হচ্ছে না। তাই ভাসা ভাসা কথা বলা ছাড়া উপায় নাই।
দেখলাম, ওখানে জ্ঞাতসারে হোক বা লুকিয়ে করা হোক, মূলতঃ দুধরনের ভিডিও আছে: ১) রেগুলার পার্টনারদের নিয়ে করা। এগুলো প্রায় সবই উভয়ের সম্মতিতে অনেক সময় ধারনে উভয়ের অংশগ্রহনে ধারনকৃত। ২) ইম্পালস সেক্স। এইগুলায় একজনই ঠিক করে এসেছে, যদি কিছু হয়, ধারন করব। করেছেও। অন্যজন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইনার্ট। কখনো নন-কোয়াপারেটিভও।
যা বুঝলাম, ওখানে সাম্প্রতিক কালে আপলোড করা ভিডিও গুলোর মধ্যে লুকিয়ে করা ভিডিও খুবই কম। এবং প্রথম ক্যাটাগরির ভিডিও আশংকাজনক হারে বেশী। আগে এইগুলা কম ছিল, পরের গুলা বেশী ছিল।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিটা এক্সপ্লয়েটেশনের ইঙ্গিত করে। এটা প্রতিরোধের জন্য এক্সপ্লয়েটেশন সম্পর্কিত ইনফর্মেশন ডিসিমিনেশন হতে পারে প্রধান স্ট্র্যাটেজি।
প্রথম ক্যাটাগরিরগুলাতে আবার অতিউচ্চ থেকে অতিনিম্ন স্ট্র্যাটার লোকজন জড়িত। এদের এই অংশগ্রহনের কারন নিশ্চয়ই এক না। নিম্নবৃত্তদের এটা করার কারনটা স্বম্ভবতঃ বৈষয়িক। সে হিসাবে এটাও একধরনের এক্সপ্লয়েটেশন। তাই এটার প্রিভেনশন হতে পারে ঐ একই জিনিষ অর্থাৎ: ইনফর্মেশন ডিসিমিনেশন। সাথে আইন প্রয়োগকারিদের এক্টিভ হওয়া।
কিন্তু তারা ছাড়া অন্য যারা করছেন (উচ্চবৃত্ত, উচ্চ-মধ্যবৃত্ত, মধ্যবৃত্ত ইত্যাদি) তারা কি কারনে করছেন তা বেশ রহস্যাবৃত।
কখনো কখনো মনেহয়েছে, নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তিতে খোচা দেয়াটা এই ভিডিও ধারনের উদ্দেশ্য। এটা যদি কারন হয়ে থাকে তার সঠিক সমাধান আমার জানা নাই। তবে এটা যাদের "কারন", তাদের এই এক্সজিবিশনিজমের জন্য প্রফেশনাল (সাইকোলজিকাল) হেলপের প্রয়োজন আছে।
আবার কখনো কখনো মনে হয়েছে, এগুলোর উদ্দেশ্য "শুধু পর্নস্টাররাই না, দেখো আমরাও কত কি পারি" - সেই জিনিষটার ডকুমেন্টেশনের জন্য করা। এটাও এক্সজিবিশনিজমের আর একটা পর্যায়। দুঃখজনক হলো এতে দেখানো হয় ঠিকই কিন্তু সেক্স জিনিষটা যে ভালোবাসা বিনিময়ের সবচেয়ে মর্জাদা সম্পন্ন মাধ্যম, সেটার অপমান করা হয়।
সেক্সকে এইভাবে রাস্তার খেলো বিষয়ে নামিয়ে আনা রোধ করতে পারার মধ্যেই এটার প্রিভেনশনের উপায় লুকিয়ে আছে।
এক্ষেত্রে পার্টানার সিলেকশনের ন্যাচারাল সিকোয়েন্স নিয়ে আলাপ এই জাতীয় মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে ভুমিকা রাখতে পারে।
এদের সেক্সুয়াল প্র্যাকটিস দেখে আমি আরেকটা বিষয় নিয়েও চিন্তিত। এই চিন্তাটা মুলতঃ সঠিক শিক্ষার অভাবে তাদের মধ্যে যৌনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে ভয়ঙ্কর রকমের উদাসিনতা সম্পর্কিত। যৌনতা প্রদর্শনির নামে এরা যা যা করে বা করছে, তার বেশিরভাগই যে কতটা অস্বাস্থ্যকর, ও লংরানে শারিরিক ঝুকি সৃষ্টকারি তা যদি তারা জানতো?!?!
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:boss: :boss:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
দুঃখের বিষয় হলো এই বিষয়টি নিয়ে এত শক্ত ট্যাবু তৈরী করেছি যে বাঙলাদেশের যারা এই বিষয়ে কাজ করেন তারা এর ধারে কাছে দিয়েও যান না। আমি গতকাল বেশ খানিকটা খুজে দেখলাম হয়ত সেমিনার হয়েছে কিন্তু প্রযুক্তি, বর্তমান প্রজন্ম, ও যৌন শিক্ষা এই বিষয়ে কোন লেখাই পেলাম না। কারণটা কি? ট্যাবু নাকি এটা কারো মাথায়ই আসে নাই? আমিতো নিশ্চিত প্রথমটা।
কন্টেন্ট এনালিসিস করবে তাইলেই হইসে ভাই। "যৌন" শব্দটা উচ্চারণ করতেই মানুষজন শরম পায়। আগের মত না হলেও সিসিবিতে পাঠকের সং্খ্যা কিন্তু একেবারে কম না। আপনি বিতর্কিত একটি বিষয়ে ভয়াবহ কিছু লেখেন, মানুষজন গালি দেয়ার জন্য হলেও লগ ইন করবে। এমন একটা বিষয়ে লিখেছেন যা নিয়ে আছে এক ট্যাবু ও তা হতে সৃষ্ট অজ্ঞতা। গালি দিতেও শরম লাগে। ছি ছি। 🙁 ;))
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ পারভেজ ভাই। যৌন শব্দটাই স্বাভাবিক ভাবে আমাদেরকে এই টপিক থেকে দূরে রাখার জন্য যথেষ্ঠ, তবে এর জন্য আমি ঢালাও ভাবে আমাদেরকে অর্থাৎ বাঙ্গালীদের দোষারোপ করতে চাই না। যতদূর জেনেছি এখনকার আধুনিক সমাজগুলোতেও যখন প্রথম সেক্স এডুকেশন শুরু করার চেষ্টা করা হয়েছিল সেখানেও যথেষ্ঠ বাধার সম্মুক্ষিন হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তারা সেই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে পেরেছে, আমাদেরকেও সেই উপায় বের করতে হবে।
সুস্থ যৌন জীবন বাঁ এক্সপ্লয়টেশন বন্ধ করতে যৌন শিক্ষার প্রয়োজনিয়তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই তবে আমি সবসময়ই ভেবে এসেছি আমাদের সমাজে এ মুহুর্তে মেয়েদের প্রতি যে অসুস্থ মানষিকতা তৈরী হয়েছে সেটা দূর করতেও যৌন শিক্ষা সাহায্য করতে পারে। আমাদের বেশিরভাগ কিশরদের যৌনতা সম্পর্কে ধারনা পাওয়া শুরু হয় পর্নোগ্রাফি দিয়ে, সেখান থেকেই মেয়েদের নিছক ভোগের বস্তু হিসেবে চিন্তা করা শুরু। সঠিক যৌন শিক্ষা আমাদেরকে এর থেকেও উদ্ধার করতে পারে।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সহমত। সবাই ধাক্কা খেয়েছে কিন্তু মোটামুটি জানাশোনা দেশগুলো পদ্ধতিও বের করে এনেছে এই ধাক্কা সামলাবার। আর এদিকে ঢাকনা ছাড়া খাবার ও মাছির প্রেমের গল্পের কথা তো ভুইলাই গেসিলাম। এই খাবার-মাছি থিওরীর বিস্তার কিন্তু শিক্ষিত-অশিক্ষিত উভয় সমাজে। সমস্যা হইলো বেড়ালের গলায় ঘন্টি পড়ানোর আগে যারা ঘন্টি পড়াবে তাদের কিভাবে বোঝাই ঘন্টি পড়ানো খুবই জরুরী। 😛
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
যৌন, যৌনতা - এইসব শুনেই যে এলার্জি হবে, সেটা মোটেই আনএক্সপেকটেড ছিল না।
এর বদলে রিপ্রোডাকটিভ হেলথ এডুকেশন বা মানব প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক শিক্ষা - এই কথাগুলো ব্যবহার করা হলে শুরুতেই আরও কম এলার্জির মুখোমুখি হতে হতো বলেই মনে হয়।
তবে প্রথমবার ঐ "যৌন, যৌনতা" শব্দ চয়নের সপক্ষেও কিছু যুক্তি আছে।
১) সেক্স বা যৌনতা কথাগুলির মধ্যে যে অকারন ট্যাবু আছে সেটা ভাঙ্গতে চাইলে ওটা যতই অপছন্দনিয় হোক, মুখে বলতে হবে। ঠিক যেমন এখানে বলা হয়েছে বারবার। বিভিন্ন ভাবে। ৫ মিনিট ২০ সেকেন্ডে।
২) একটা শক এন্ড অউ ইফেক্টে পাওয়া যাচ্ছে। এতে কাজ হলে ভাল। না হলে মানে মূল বিষয় থেকে দৃষ্টি অন্য দিকে ঘুরে যাবার সম্ভবনা দেখা দিলে বা সাউন্ডের ডোজ বেশী হয়ে যাচ্ছে বোঝা গেলে "আচ্ছা না কমপ্রোমাইজ করছি" বলে বিকল্প হিসাবে "প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা" বলা যেতে পারে - এই ছাড় দেয়ার সুযোগ থাকছে।
এই ছাড় দেয়ার সুবিধা হল, বিষয়টা আরেকটু টেনে নেয়ার সুযোগ রাখা। প্রথমেই সফট ওয়ার্ড ইউজ করে বাতিল হয়ে গেলে পড়ে তা টানার সুযোগ থাকে কম। আর বিরুদ্ধ বাদিদের একটা বিজয় তো হয়েছে, ওদের জন্য এই সান্তনা পাবারও সুযোগ রাখা যাচ্ছে।
সেক্স এডুকেশনই বলি আর রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ এডুকেশন, তৃতীয় ওবজেক্টিভ হিসাবে আহসান আকাশের প্রস্তাবটি পছন্দ হয়েছে। যদিও প্রথম দুটো ওবজেক্টিভ অর্জনের সাথে সাথে ওটার অর্জন বিল্ট-ইনই থাকার কথা। তারপরেও তৃতীয় অবজেক্টিভ হিসাবে ওটার উল্লেখ ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে ভাবনার সুযোগ আছে।
"নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী উন্নত করন" - এইরকম একটা কথা বলা হলে সবাইকে মনে করিয়ে দেয়া হয় যে বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গিটা নিম্ন মানের। এতে তাঁদের মধ্যে শিক্ষা নেয়ার চেয়ে ডিফেন্স নেয়ার একটা প্রবনতা তৈরী হবার সুযোগ ও তার সাথে সাথে সিলেক্টিভিটি ইন লার্নিং এসে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। আরেকটু ভাবার সুযোগ আছে।
এইখানে আমাদের বোনদেরও কিছু মতামত পাবো বলে আশা করেছিলাম। তাঁদের মধ্যে অনেকে যেমন মা হিসাবে কি ভাবছেন, তা জানাতে পারতেন আবার বিশেষজ্ঞও আছেন যারা আমাদের ভুলগুলো শুধরে দিতে পারতেন। কি জানি কি কারনে কাউকে কোন মতামত দিতে দেখছি না। তাঁরাও ট্যাবু বা ওভার ডোজের সাইন্ড দ্বারা আক্রান্ত কিনা, বুঝতে পারছি না। কি আর করার, নিজে থেকে না এলে তো আর কিছু করার নাই। তবে এখনো আশা করছি, কিছু ফিড ব্যাক পাবার।
বাই দ্যা ওয়ে, নেট ঘেটে মনে হলো, মার্কিন মুলুকেও তারা "সেক্স এডুকেশন" না বলে "রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ এডুকেশন"-ই বলা হচ্ছে... 🙂
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.