সিরিয়াল ১৯
২২ ডিসেম্বর, ২০০২ বর কোথায়!
বারবার ফোন করেও বরের জবাব নেই। সবাই ভাবল হয়ত বর সিদ্ধান্ত বদলিয়েছে বিয়ের। হয়ত আমাকে চলে যেতে হবে বিয়ে না করেই। কেবল আমি ভয়ে ছিলাম নিশ্চয়ই আমার আরিফ এর কিছু হয়েছে। না হলে আমাকে অপেক্ষা করাবে! জীবনেও না।আজকের দিনটার জন্য এত বছর অপেক্ষা করেছে।এতক্ষণে বাসায় ফিরে যাবার কথা।কিন্তু বিয়েই হল না। বাসায় কি বলব। ভয়ে আমার জীবন যায় যায়।
অপ্রকাশিত ভালবাসা
শৈশবে যে মানুষটাকে সবচেয়ে ভয় পেতাম, সাথে সাথে ঘৃণাও করতাম সে আর কেউ নয়, আমার পরম শত্ত্রু; আমার বাবা!!! এই লোকটার চোখ একবার ফাঁকি দিতে পারলে আমার সারা দেহ-মনে এক অনন্য তৃপ্তির ছোঁয়া লাগত। মনে মনে কতবার যে তার অকাল মৃত্যু কামনা করেছি সে কথা ভাবলে এখন সত্যিই খুব হাসি পায়; শিশুমনে কতনা ভাবের উদয় হয়!!!!
ছোটবেলায় সবসময় তোমাকে মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে দেখেছি,যাকে দেখে আমাদের বাড়ির সব ছেলে-মেয়ে সবসময় ভয়ে কাঁপে।পড়ার সময় তোমার ছায়া টের পেলে তাদের মুখদিয়ে ফেনা উঠে যায়,
বিস্তারিত»মণ্ডল থেকে সরকারঃ ৩য় পর্ব
ব্রিটিশ আমলে ফিরিঙ্গি ঠেঙ্গান রিয়াছত উল্লাহ সরকার। ছেফাত উল্লাহ সরকার, গ্রামঃ মাড়িয়া, থানাঃ বাগাতিপাড়া, মহকুমাঃ নাটোর, জেলাঃ রাজসাহীর ২য় পুত্র তিনি।দেখতে রাজপুত্রের মতই ছিলেন তিনি।সোনার মত গায়ের রং। বাঘের মত চেহারা।মতির মত চোখ। অসুরের মত শক্তি। দারুণ মেজাজী।দোর্দন্ড প্রতাপ। দুহাতে রোজগার করেছেন, দেদার খরচ করেছেন।অত্যন্ত অতিথি বৎসল।রাজকীয় চালচলন। তাই সংসারে শ্রীবৃদ্ধি ঘটেনি। সব সময় ইয়ার বন্ধু পরিবেষ্টিত থেকেছেন। সুতরাং এজাতীয় কিছু দোষে দুষ্টও ছিলেন।একটু খোলাসা করেই বলি।তখনকার সম্ভ্রান্ত লোকদের মত পান করার অভ্যাস ছিল।
বিস্তারিত»বিবাহের শুরু- সিরিয়াল ১৭ ও ১৮
সিরিয়াল ১৭
ডিসেম্বর ২০,২০০২।..চারুকলা…বিবাহের শুরু
চারুকলার জনগণ মুখ চাওয়াচাওয়ি করে যে যার কাজে চলে গেল
আরিফঃ তুমি সবার সামনে আমাকে পায়ে ছুয়ে সালাম করলে?
আমিঃ কি করব! আপনি যে কাদলেন!
আরিফঃ সবাই ভাবল, তুমি আমার বউ
আমিঃ আর আপনি একটা পাগল!
আরিফঃ এখন তো আর টাকা নিয়ে রিকশায় ঊঠতে আপত্তি নেই
আমিঃ কেন নেই?
বিস্তারিত»নিকের মেলা
তোলা মাটিতে কলার বাগান
ইট গাঁথা লিন্টন সমান
পাল্লা চৌকাঠ জানালা
দরজা নাই বাঁচলো তালা
মেঝের উপর আকাশ খোলা
বসবে হেথায় নিকের মেলা
তাইরে নাইরে নাইরে না
বৃষ্টি হলে ঘামবে না
রোদ হলে ভিজবে না
নিক বাবা কি কানা ?
একটি সুখস্বপ্ন
[বিঃ দ্রঃ সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা 😛 ]
এক্স ক্যাডেট হওয়ার প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেছে। কলেজকে আগের মত এখন আর মিস করা হয়না, মাঝে মাঝে আশপাশের কিছু কিছু ঘটনায় কলেজের কথা খুব বেশী মনে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে ডিভিডি শো গুলোর কথা মনে পড়ে, কিংবা বাস্কেটবল গ্রাউন্ড দেখলে কলেজের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডটাকে খুব মিস করি। মনে পড়ে ক্লাসে কিংবা প্রেপে দোস্তদের সাথে আড্ডা কিংবা ফাজলামির কথা,
বিস্তারিত»বাবা
বাবার সাথে আমার প্রায় সবসময় ই একটা (প্রায়) কোল্ড ওয়ার লেগে থাকে। চিন্তা ভাবনায় ও মাঝে মাঝেই অমিল ধরা পরে। খুব একটা গভীরের কথা মন খুলে বলা হয় না বাবা কে যত টা মা কে বলা হয়। অনেক কথা বাবার কাছে পৌছতে মাঝখানে একটা মাধ্যম লাগে, মাধ্যম টা মা। জীবনে খুব একটা সন্তুষ্ট করতে পারি নি বাবা কে। আমার সময়ে SSC তে A+ পাওয়ার পর বাবা শুধু বলেছিল “ভাল করেছ”
বিস্তারিত»রাজশাহীর পুঠিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় নতুনমাত্রা
এমন হতভাগা কেউ আছেন যার পা ভেঙ্গেছে ? প্লাষ্টার করার পর ডাক্তার যখন বলেন ঐ পায়ে ভর দেবেন না । সাথে যত বন্ধু বান্ধবই থাক কেমন লাগে ? তারা আপনাকে যথাসম্ভব উঁচু করে রাখলেও কিন্তু খুবই অসহায় লাগে । এ অবস্থায় একটি হুইল চেয়ার আপনার কষ্ট অনেকখানি কমিয়ে দিতে পারে। একজন চলৎশক্তিহীন প্রতিবন্ধী রিক্সা , ভ্যান বা অন্য কোন যানবাহনে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌছালো । জরুরী বিভাগ বা অন্যকোন শাখায় সেবা নিতে সে যখন গড়িয়ে গড়িয়ে,
বিস্তারিত»মণ্ডল থেকে সরকার-২য় পর্ব
প্রপিতামহ
বাপুরে, তুমরাও তো মুণ্ডল আচেলে ।বাড়িউ আচিলি মুণ্ডল পাড়াত। বড়লোক হয়া সরকার হয়া গিচো। ঝুমর মুণ্ডলের ব্যাটা হারু মুণ্ডল । তার ব্যাটা পাঁচু মণ্ডল । তার ব্যাটা ছেরফাত সরকার, তুমার বাপের দাদা।ট্যাকা কড়ি বেশি হয়া সরকার হয়া গেলো।
ছেফাত উল্লাহ সরকার, পিতাঃ পাঁচু মণ্ডল/সরকার, গ্রামঃ মাড়িয়া, থানাঃ বাগাতিপাড়া, মহকুমাঃ নাটোর, জেলাঃ রাজশাহী। তিনি বিয়ে করেছিলেন গালিমপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে।হিন্দু জমিদারদের শাসনামলে তাদের পুকুর ,
বিস্তারিত»মণ্ডল থেকে সরকার- ১ম পর্ব
ফিরিঙ্গী ঠেঙ্গা
ঝুন্ডুর পালের জ্বালায় আতালুত গোবরা ফকির। মাছ খাওয়ার জন্য খালি মালামু করতিচে। নিজের তো পুকুর মাটিয়াল নাই। কি করা যায়। লাইনের খাদে মাছ ধরলে হয়।সরকারী মাল দরিয়ামে ঢাল। ১৯৩২/৩৩ সালের কথা বলছি।সবে রেল লাইন চালু হয়েছে ( ১৯৩০ সালে আব্দুলপুর-আমনুরা ব্রডগেজ সেকশন চালু হয়)। পূর্ব বাংলা রেলের (EBR) জনৈক ইংরেজ সাহেব ট্রলিতে চড়ে দাপ্তরিক কাজে যাচ্ছিলেন। রেল লাইনের পাশে নিচু জায়গায় (খাদ) এক নেটিভকে মাছ ধরা দেখে চান্দি গরম হয়ে যায় তার।
বিস্তারিত»ফেইল সমাচার
সবকিছু নিয়ে ফাজলামো করাটা আমার মজ্জাগত। অধিকাংশ মানুষই এটা নিতে পারে না। ইদানীং আরো পারছে না!সবাই রেগে যাচ্ছে। অনেকটা “সে ফেল করছে, সে ফাজলামো কেন করবে? সে থাকবে মন খারাপ করে! নির্লজ্জ ছেলে! ” এইরকম চিন্তাভাবনা।
আমার আশেপাশের মানুষগুলোর হাবভাব দেখে মনে হয় আমি না, তারাই ফেল করেছে! তারা খুব বিব্রত! কি বলবে খুঁজে পায় না! তাদের বিব্রতভাব দেখে মনে হয় বিরাট পাপ করে ফেলছি।
বিস্তারিত»রীহানের প্রথম পহেলা বৈশাখ
“এসো হে বৈশাখ, এসো এসো” গানটা শুনেই মনটা ভালো হয়ে গেল। আজ ১লা বৈশাখ।ইলিশ-পান্তা খাওয়া, বেড়ানো, বন্ধুদের সাথে টিএসসিতে আড্ডা, গান শোনা- প্রতিবছর ঠিক এই ভাবেই কাটে আমার বৈশাখের প্রথম দিন।কিন্তু এবারের ব্যাপার বেশ খানিকটা আলাদা।ভুল বললাম। আসলে বেশ খানিকটা নয়, পুরোটাই আলাদা। আর এর কারণ, এবার আমার কোল জুড়ে রয়েছে আমার প্রথম আর একমাত্র ছেলে সন্তান রীহান।
আমার অন্তর-আত্মা জুড়ে থাকা ছোট্ট এই মানুষটা,
টিটোর গপ্পোঃ গিট্টু, প্যাঁচ ঘ্যাচ
অতীত ভ্রমন সম্ভব। বিশ্বাস হচ্ছে না ? গাল গল্প নয়। আপনিও পারবেন। এজন্য বিশাল কিছু হবার প্রয়োজন নেই।ওয়ার্প স্পীডে ছোটার মত নভোযানও লাগবে না।টাইম মেশিনও দরকার নাই।প্রথমে একটু প্রমান দেই।চাঁদ তারা দেখুন।অতীত দেখা হয়ে যাবে।এবার কাজের কথায় আসি।নারকেল গাছে উঠুন। গিট্টু, প্যাঁচ ঘ্যাচ দিয়েই পাঠিয়ে দিবো আপনার শৈশবে।
প্রথমে একটা নারকেল পাতার শলার এক পাশ থেকে একফালি কাটুন।ফালিটার মাথা থেকে একটা ছোট অংশ কাটতে হবে।ছোট অংশের দৈর্ঘ্য ফালিটার প্রস্থের তিনগুনের কম হতে হবে।ছবি অনুসরন করে গিট্টু দিন।হাতের কব্জির সাথে প্যাঁচ দিন।তৈরী হয়ে গেলো ঘড়ি।গিট্টুর দুই দিকে প্যাঁচ দিয়ে দুপাশে শলা লাগান।পেয়ে গেলেন চশমা।কয়েক ফালি পাতা নিয়ে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে চোঙা বানান।বড় পাশে শলা আটকান।ছোট পাশে সমান দুই টুকরা পাতার ফালি ঢুকিয়ে দিন।
বিস্তারিত»প্রলাপ-১৭
“You enter it by the Ancient way
Through Ivory Gate and Golden”
১.
অদ্ভুত একটা কমপ্লেক্সিটি…অনেকগুলো গলিপথ-ঘুপচি…যার শেষ সমুদ্রে…এগুলো নদী না নিশ্চিত…নদী হলে নৌকা থাকতো…মাছ থাকতো…পাড়ঘেষে বাড়ি থাকতো…বাড়িতে মানুষ থাকতো…মানুষের সংসার থাকতো…
এখানে কেবল বৈরাগ্য!
২.
যে রাবারের বনের কথা বলা হয়েছে পুরোনো গল্পে,সেখানে এখন এয়ারফিল্ড হয়ে গেছে,যার রানওয়ে ঘিরে আলোর স্ফটিক,সোডিয়াম আলোর পরিবর্তে সাদা ফ্লাডলাইট।যার কন্ট্রোলরুমে বসে ইউনিফর্ম পড়া রমনীরা মৃদুভাষ্যে বলে যাচ্ছে দুঃসময়ের সঙ্কেত।
আমার মা আমার জীবন
ক্লাসে বসে থেকে অনেক কস্টে মিলানোর চেস্টা করছি যে আমি আসলে এখানে কি করছি(!) এমন সময় পাশে বসা ছেলেটা আচমকা জিজ্ঞেস করে বসল, “ভাই, আপনার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত কোনটা?”
কিছুটা সময় নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম। আমার জীবন! ক্লাস সেভেনে আনন্দের মুহূর্ত? বারবার জোর করে ষ্টেজে ওঠানো স্যার দের উপর চরম বিরক্ত হয়ে বলতাম “ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়া”
বিএমএ আর বিএনএ তে চাপের মুখে বলতেই হত “গ্রিন কার্ড পাওয়া”
বিস্তারিত»