ফেসবুক বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বাধিক ব্যবহৃত একটি সোশাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট। ফেসবুক আমরা মোটামুটি সবাই ব্যবহার করি। আজকাল ফেসবুকে একাউন্ট না থাকলে তাকে চরম খ্যাত হিসাবে পরিচিত হইতে হয়। বিশেষ করে ডিজুস জেনারেশনের কাছে। সব যোগাযোগ যেনো হঠাত করে ফেসবুক কেন্দ্রীক হয়ে গেছে। ঘন্টায় ৪ বার ফেসবুক এ অন্তত কে কি করছে না দেখলে ভালো লাগে না।
স্কুলের পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় ও বন্ধুত্বের বন্ধন অটুট রাখতে, নতুন বন্ধু জোটাতে, বিভিন্ন নেটওয়ার্কিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে, সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে ইত্যাদি কাজে ফেসবুকের কোনো জুড়ি নেই। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ১৯ বছর বয়সী মার্ক জুকারবার্গ ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুকের অভিষেক ঘটান। ফেব্রুয়ারিতেই হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক ফেসবুকে রেজিস্ট্রেশন করেন। বর্তমানে ফেসবুকের রয়েছে ১৪০ মিলিয়নেরও (১৪ কোটি) বেশি ব্যবহারকারী। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী ফেসবুকের গত বছরের মাসিক ক্রমবৃদ্ধি ১১৮%। এছাড়া ফেসবুক নিয়ে হলিউডে সম্প্রতি হাই-বাজেটের একটি মুভিও নির্মাণ করা হবে বলে জানা গেছে। ২০০৯ সালেই হলিউড প্রডাকশন থেকে মুভিটির কাহিনী জানানো হতে পারে।
বিখ্যাত এ সেবাটি ব্যবহার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হলেও ফেসবুক ব্যবহার করা কতোটা নিরাপদ, একবার ভেবে দেখেছেন কি? মনে হতে পারে, এতো বড় একটি সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কোনো গলদ তো থাকতেই পারে না। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ব্যবসা করছে ফেসবুক? তারচেয়েও মজার ব্যাপার হলো, আপনিই আপনার নিজের অজান্তে তাদের অনুমতি দিচ্ছেন আপনার তথ্য নিয়ে ব্যবসা করার। রেজিস্ট্রেশনের সময় টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস এবং প্রাইভেসি পলিসির সঙ্গে একমত পোষণ করা মানেই আপনার ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর ফেসবুকের হস্তক্ষেপের অধিকার সমর্থন করা।
আসুন বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত এ সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট সম্পর্কে এমন কিছু চমকপ্রদ তথ্য জেনে নিই যা জানলে ফেসবুক ব্যবহার করা কেন শুরু করলেন, এ আফসোস করতে পারেন অনেকেই।
ফেসবুক ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে আপনার ব্রাউজারে বেশ কিছু কুকি জমা হচ্ছে। এসব কুকি ফেসবুকই আপনার ব্রাউজারে জমা করছে। এসব কুকি আপনার ব্রাউজার ব্যবহার করে অন্যান্য ওয়েবসাইট ব্যবহার করার সময় আপনার ফেসবুক একাউন্টকে আইডেন্টিফাই করে দেয়। আপনি যদি ব্রাউজারে কুকি ডিজঅ্যাবল করে রাখেন, তাহলে আপনি ফেসবুকে ঢুকতেই পারবেন না।
১০ বিলিয়নেরও বেশি সংখ্যক ছবি রয়েছে ফেসবুকে, যা আপনার মতোই সাধারণ ব্যবহারকারী কর্তৃক আপলোডকৃত। অর্থাৎ ফেসবুক শুধু সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটই নয়, বরং বিশ্বের এক নাম্বার ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইটই বটে! কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফেসবুকের প্রাইভেসি পলিসি মতে, ব্যবহারকারী ছবি আপলোডের মাধ্যমে ছবির সব অধিকার ফেসবুককে দিয়ে দিচ্ছেন। অর্থাৎ ফেসবুক আপনার ছবি নিয়ে যা ইচ্ছা তা করতে পারবে।
আপনি কি জানেন, ফেসবুক আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং ফেসবুকে আপনার কর্মকা- সব সংরক্ষণ করে? এমনকি আপনি যদি আপনার একাউন্ট ডিলিটও করে ফেলেন, তবুও ফেসবুকের কাছে আপনার সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
ফেসবুকের বর্তমানে নিযুক্ত ব্যারিস্টার টেড আমেরিকার সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) সাবেক অ্যাটর্নি ছিলেন। বলা বাহুল্য, তিনি সিআইএর ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ অভিযানে প্রাইভেসি ইস্যু নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটিতে বিখ্যাত ছিলেন। অর্থাৎ ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যাদি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির কাজে নিয়োজিত আছেন একজন বিখ্যাত সিআইএ অ্যাটর্নি।
৪০টি বড় ধরনের ওয়েবসাইটে আপনার কর্মকা-ের ব্যাপারে অবগত আছে ফেসবুক, যাদের সঙ্গে ফেসবুকের পার্টনারশিপ আছে। সেসব ৪০টি সাইটের কোনোটা না কোনোটা হয়তো আপনি ব্যবহার করেন। ব্যবহারের সময় সেসব সাইট আপনার ফেসবুক একাউন্টকে আইডেন্টিফাই করে ফেসবুক কর্তৃক আপনার ব্রাউজারে জমা করা কুকির মাধ্যমে।
ফেসবুকের মালিক মার্ক জুকারবার্গ ফেসবুককে বিক্রি করার একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। প্রস্তাবে ফেসবুকের দাম ৯৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। ফেসবুক যদি বিক্রি করা হয়, তাহলে ক্রেতার কাছে ফেসবুকের সব ব্যবহারকারীর সব ব্যক্তিগত তথ্যও হস্তান্তর হয়ে যাবে। এমনকি যাদের একাউন্ট ডিলিট করা হয়েছে বা যারা ইচ্ছা করেই ফেসবুক ত্যাগ করেছেন, তাদের তথ্যও! এর মানে হচ্ছে এই যে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যা একবার ফেসবুকে দেয়া হয়েছে, এগুলোকে শেষ করার কোনো উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে আপনি একবার ফেসবুকে প্রবেশ করেছেন তো আপনি ফেসবুকে অমর হয়ে থাকবেন!
ফেসবুক ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তাদের কোম্পানির ১.৬ শতাংশ স্টেক মাইক্রোসফটের কাছে ২৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে বিক্রি করতে সম্মত হয়। অর্থাৎ এক্সক্লুসিভ থার্ড পার্টি কোম্পানি হয়েও মাইক্রোসফট ফেসবুকের সব প্রোফাইলের যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্যাদি পেয়ে যাবে।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ ব্যবহারকারীই বিশ্বের সবচেয়ে অল্পবয়সী বিলিওনেয়ার বা শতকোটিপতি (১.৫ বিলিয়ন ডলারের অধিকারী)!
সাইবার স্পেসে ব্যক্তিগত তথ্যাদি অত্যন্ত মূল্যবান এবং এসব গোপন রাখা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ফেসবুকে দেয়া প্রত্যেকটি গোপনীয় ও ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুক আজীবন সংরক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির অধিকারও সংরক্ষণ করে।
আপনি কি কখনো লক্ষ্য করেছেন, ফেসবুক ব্যবহারের সময় পাশে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলো আপনার পছন্দের সঙ্গে মিলে যায়? ফেসবুকের একটি বিশেষ প্রক্রিয়া সাইবার স্পেসে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত কার্যক্রম প্রত্যক্ষ ও বিশ্লেষণ করে যাতে ব্যক্তিগত তথ্যগুলোকে আরো মূল্যবান করে তোলা যায়। অর্থাৎ, ফেসবুকের একটি গোপন চোখ সব সময়ই আপনার একান্ত ব্যক্তিগত কার্যক্রমের ওপর নজর রেখে চলেছে!প্রণীত আইন অনুসারে, আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন, সে দেশে ফেসবুকের কোনো কার্যালয় না থাকলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারেন না। কারণ, আপনার কোনো অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না।
তুমুল বিতর্কের পর ফেসবুকের প্রধান মার্ক স্বীকার করেন, ফেসবুক থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে। এমনকি মুছে দেয়া প্রোফাইলের ব্যবহারকারীর তথ্যও ফেসবুক সংগ্রহ ও সংরক্ষণ অব্যাহত রাখে।
ফেসবুক তৈরিতে মার্ক হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অন্য ছাত্রদের আইডিয়া চুরি করেছেন, এমন একটি দাবি এবং এ নিয়ে আইনি জটিলতাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ফেসবুক ২০০৮ সালের জুনে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে রাজি হয়, এ টাকার পরিমাণ কখনো প্রকাশ করা হয়নি।
আপনি যদি আপনার নাম, ই-মেইল ঠিকানা, ঠিকানা ইত্যাদি পরিবর্তনও করে ফেলেন, তবুও ফেসবুকের ‘ফ্রেন্ড ফাইন্ডার’ অপশনে আপনার সব পুরনো তথ্যাদির রেকর্ড সংরক্ষিত থাকে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে আপনার মোবাইল নাম্বার ‘টাইপ করা’ মোবাইল স্প্যামিং বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।
গত বছর ফেসবুক কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রায় ১ হাজার ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ব্যান করা হয়েছে। ফেসবুকের অ্যাপ্লিকেশনগুলো পুরোপুরিই সাধারণ ব্যবহারকারীদের দ্বারা তৈরি এবং এগুলো ব্যবহার করা মোটেই নিরাপদ নয়। সুতরাং, ফেসবুক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার সময় সতর্ক থাকুন এবং ব্যক্তিগত তথ্যাদি দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
সম্প্রতি ফেসবুকের নতুন সংস্করণ উন্মুক্ত হয়েছে। কিন্তু বেশকিছু কারণে ৭০ লাখেরও বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী নতুন ফেসবুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা আপত্তি জানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি গ্রুপগুলোতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত আছেন।
এফবিআইয়ের পরামর্শমতে, গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত লোকজনের (যেমন পুলিশ অফিসার) উচিত ফেসবুক থেকে ব্যক্তিগত তথ্যাদি মুছে ফেলা। কারণ, ফেসবুক থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার খুব সহজেই করা সম্ভব এবং এমনটা হয়ে থাকে।
ফেসবুক দাবি করে, তাদের সম্ভাব্য সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রয়েছে। কিন্তু এমআইটির (ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলোজি) দুজন ছাত্র স্বয়ংক্রিয় বা অটোমেটেড স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে ৭০ হাজারেরও বেশি ফেসবুক প্রোফাইল ডাউনলোড করতে সক্ষম হয়েছিল। এতে বোঝা যায়, ফেসবুকের দাবি সঠিক নয় এবং ব্যক্তিগত তথ্য ফেসবুকে প্রকাশ করা বা দেয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ফেসবুকের একটি বড় সংখ্যক প্রোফাইলই পেশাদার জালিয়াতদের দ্বারা তৈরি। এসব প্রোফাইলের মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষকে বন্ধুত্বের আবেদন পাঠায় এবং আবেদন গৃহীত হওয়ার পর প্রোফাইলে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়। তাই অপরিচিত কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার আগে দশবার চিন্তা করুন!
৪ হাজারেরও বেশি বন্ধু আছে এমন ফেসবুক একাউন্টগুলো প্রায়ই কোনো প্রকার কারণ দর্শানো বা কারণ ব্যাখ্যা করা ছাড়াই বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ফেসবুকের টার্ম অফ এগ্রিমেন্টে কিছু উল্লেখ করা নেই।
ফেসবুক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আপনি বৈশ্বিক সাইবার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন! কেননা আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি ফেসবুকের অন্যান্য পার্টনারদের কাছে ট্রান্সফার করা হচ্ছে, যাদের ব্যাপারে আপনার হয়তো কোনো ধারণাই নেই।
সম্প্রতি ফেসবুক বেশকিছু ভয়াবহ ভাইরাস শনাক্ত করেছে, যা ব্যবহারকারীকে বিনামূল্যে ভিডিওর কথা বলে আক্রমণ করে। অতএব, ফেসবুকে প্রাপ্ত কোনো লিংকে ক্লিক করার সময় সতর্ক থাকুন। ক্লিক না করাই নিরাপদ থাকার শ্রেষ্ঠ উপায়।
ফেসবুক থেকে প্রায়ই চুক্তিপত্রের নীতিমালা লঙ্ঘনের নামে ছবি মুছে দেয়া হয়ে থাকে। তবে এসব ছবি চুক্তিপত্রের ঠিক কোন ধরনের লঙ্ঘনের কারণে মুছে দেয়া হয়েছে, তা কখনোই ব্যবহারকারীকে জানানো হয় না। অর্থাৎ ফেসবুকে আপনার ছবি অকারণেই ডিলিট বা অপব্যবহারের শিকার হতে পারে।
ফেসবুক বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও এটি ব্যবহার যে সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়, তা কিন্তু ফেসবুক নিজেই উল্লেখ করে রেখেছে তাদের টার্মস অফ এগ্রিমেন্ট এবং প্রাইভেসি পলিসিতে। কিন্তু সাধারণত কোথাও রেজিস্ট্রেশনের সময় ব্যবহারকারীরা এগ্রিমেন্টের সঙ্গে একমত পোষণ করে রেজিস্ট্রেশন করলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ব্যবহারকারী জানেনই না সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নীতিমালা কী বা গোপনীয়তার নীতি কী। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তারই পরিণাম ভোগ করতে হবে নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য পাচার হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে। সুতরাং, ফেসবুকে কোনোক্রমেই ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়। অন্যথায় আপনার তথ্য নিয়ে ব্যবসা চালাতে থাকবে ‘জনপ্রিয়’ ও‘বিশ্ববিখ্যাত’ এই নেটওয়ার্কটি।
(বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ওয়েব, ব্লগ থেকে তথ্য সংগ্রৃহিত)
৩০ টি মন্তব্য : “টেকি নিউজ ০৩-ফেসবুক নিয়ে কিছু কথা”
মন্তব্য করুন
হুমমমমমম ............ অতীব জ্ঞানদায়ক। অফিস থেকে পোস্ট করার টাইম পাও দেখা যাইতেসে ...
এই লেখাটা অনেকদিন আগেই দিতে চাইছিলাম। রেডি ছিলো।
থ্যাংক ইউ বস :boss:
যারা নিখরচায় হাসতে চানঃ
:khekz: :pira:
এইটা না দিয়া পারলাম না :khekz:
http://www.youtube.com/watch?v=PVA047JAQsk
:clap:
ভাই, ভয় ধরায় দিলেন যে... 😕
এখন তো ফেসবুক ব্যবহার করতে ভয় পাচ্ছি 🙁
উপকারী লেখা :thumbup:
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
খাইছে আমারে 😮 😮
এই লেখাটার মূল উৎস হচ্ছে বিডিনিউজের এই রিপোর্টঃ http://techtunes.com.bd/internet/tune-id/2960/
সেটার লেখকের নাম আমিনুল ইসলাম, এইখানে তার নিজের ব্লগে লেখাটা পাওয়া যাবেঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/Aminul_Islamblog/28895572
এই ব্লগে সে উল্লেখ করছে যে তার একমাত্র তথ্যসূত্র হচ্ছে এইটাঃ http://www.facebook.com/group.php?gid=5585067263
এখন চিন্তা করেন এইটা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য ... আমার মনে হয় এত বড় বড় অভিযোগ করতে হলে আরেকটু সলিড তথ্যসূত্র থাকা লাগে ... আমি চাইলে যেকোন সময় ফেইসবুকে একটা পেজ খুলে যা খুশি লিখতে পারি, অশালীন কিছু না হলে ফেইসবুক সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবে না, কিন্তু সেটাকে কি কোন পত্রিকার রিপোর্টের সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে?
বিশেষ করে "কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ব্যবসা করছে ফেসবুক?" এইভাবে বলাটা একটু আপত্তিকর মনে হচ্ছে, বরং যদি বলা হত "আপনার একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ আছে ফেসবুকের" তাহলে এপ্রোপিয়েট হত ... কারণ ফেসবুক ব্যবসা করছে এটার সপক্ষে কোন প্রমাণ তো দেখলাম না ...
ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক দিন আগে পড়েছিলাম। তখনি ইচ্ছা ছিলো শেয়ার করার ।লিংক টা খুজে পাচ্ছিলাম না দেয়ার জন্য।
কঠিন লেখা বন্ধু। তোর এই লেখাটা আমি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে চাই। সমস্যা নাই তো??? 😕
সমস্যা নাই। কিন্তু ট্যাক্সটা পাঠাইয়া দিস :)) :))
হুমম..................এত কিছু তো ভাই জানতাম না!!এটা ঠিক,আজকের যুব সমাজের অবক্ষয়ের মূল ফেসবুক।
উপকারিতাঃ সাথে এইটাও মানতে হইবো্,পোলাপান আজকাল অনেকে ফেসবুকের কল্যাণে ভাল মন্দ কিছু মেয়ে জুটাতে পারে।মাঝে মাঝে ডেট ফিক্স করে ২/১ টা টি-২০ ম্যাচ খেলা যায়।ভাল লাগলে লাইনে এনে পিরিত জমান যায়।আবার যার সাথে কোন যোগাযোগ নাই,তাকে ফেসবুকে খুঁজে নেয়া যায়।আমি আমার অনেক স্কুল ফ্রেন্ডকে ফেসবুকে খুঁজে পেয়েছি।
যে অবক্ষয়িত হতে চায় তার জন্য মনে হয় ফেসবুক লাগে না। হুদাই ফেসবুককে গাইল্লাইয়া লাভ কি?
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
শুধু ফেসবুকই না, অবক্ষয়ের জন্য ইন্টারনেটের হাজারো দরজা খোলা আছে। এখন এটা ইউজারের উপর, সে ইন্টারনেট থেকে কতটুকু ফায়দা আদায় করতে পারবে, অন্যদের দোষ দিয়ে লাভ নাই।
তয় ফেসবুকরে আমি ভীষন ভালা পাই।
দিল্লি কা লাড্ডুর মত হয়া গেলো, খাইলে পস্তামু 😕 , না খাইলেও;)
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সহমত......
যা বুঝলাম আমার কোন ভয় নেই... 😀
কারণ, ফেইস বুকে আমার বিচরণ খুবই সীমিত... B-)
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
হ, একটু আগেও তো দেখলাম আহসান ভাইকে ঝাড়ি দিয়া আসলেন :grr:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ঐ ব্যাটা, ভয় নাই বইলা কি সাবধান হমু না নাকি!!
ওরে ঝাড়ি দিয়া দেখলাম ও আসলেই আহসান কিনা!
এবার তুই ফ্রগ জাম্প দিতে দিতে আটলান্টিক পাড় হয়ে এবিসির দিকে যাত্রা শুরু কর...শুক্রবারের মধ্যে না পৌঁছাইলে ফ্রন্ট দিতে দিতে আইতে থাকবি... :grr:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:(( :(( আটলান্টিকের কাছে এই বৃক্ষ ধরা খায়া গেছে, নাইলে কবেই চইলা আসতাম 😕 😕
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ফেস বুক নিয়া টেনশন করি কম, কারন বেশি যাওয়া-আসা নাই এই জায়গায়।
এই খ্যাত মানে বিখ্যাত, তুমি মনে লিখতে চাইছো "ক্ষ্যাত"
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
জ্বী ভাইয়া, মিসটেক হইয়া গেছে।
ওহ ফেইসবুক, মাই ফেইসবুক 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ফেসবুক ভালা না
ওই মিয়া,
কি কইলা এইসব! :grr: এহন ত আর ফেইসবুকে যাইতে সাহস পাইতাছি না......... :((
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx