ভালোবাসার বন্ধুত্ব- [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০] [১১] [১২]
৫৭।
নীল বাসায় ঢুকেই দেখে ফারিয়া আর অয়ন বসে আড্ডা দিচ্ছে। নীল কে দেখে ফারিয়া বললো
“কি ব্যাপার , আপনি থাকেন কোথায়?”
নীলঃ “আরে কোথায় আবার ? ভার্সিটি তে ছিলাম”
ফারিয়াঃ কিন্তু নীলিমা নাকি তিন ধরে আপনাকে খুজে পাচ্ছে না। আপনি নাকি ফোন ও ধরছেন না?
নীলঃ হ্যা, একটু ব্যস্ত ছিলাম।
ফারিয়াঃ মাত্র এক বছরেই এ রকম হয়ে গেলেন? অথচ আপনি না নীলিমা কে পাওয়ার জন্য পাগলামি করেছিলেন। আর এখন ওর সাথে কথা বলারও সময় পান না।
নীলঃ তোমরা ব্যাপারটা এভাবে দেখো না কেনো, মানুষ ব্যস্ত থাক্তেই পারে। আর এখন পড়াশোনার চাপ বেড়েছে, অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে।
ফারিয়াঃ যাই বলেন, আপনি অনেক বদলে গেছেন। যাই হোক, আপনাদের ব্যাপার আপনারা বুঝবেন।অয়ন, আমি বাসায় গেলাম। কালকে দেখা হবে।
ফারিয়া যাবার পরেও অনেকখন অয়ন কিছু বললো না। হটাত বললো
“আচ্ছা নীল, তোর কি এখন আর নীলিমাকে ভালো লাগছে না?”
নীলঃ “কিরে তোরা দুই জন কি শুরু করলি?এমন কিছু তো হয় নাই।”
অয়নঃ হয় নাই, কিন্তু ব্যাপারটা কিন্তু চোখে লাগছে যে, তুই নীলিমাকে কিছুটা এড়িয়ে চলছিস।
নীলঃ শোন, এরকম কিছুই হয় নাই। এখন পড়াশোনা শেষের দিকে। তাই একটু চাপ যাচ্ছে। আর সাথে সাথে আমাদের ফার্মটাও শূরু করতে যাচ্ছি। তাই আগের মতো সময় বের করতে পারছিনা।জীবন নিয়েও তো ভাবতে হবে।খালি প্রেম দিয়ে তো জীবন চলবে না।
অয়নঃ তা ঠিক আছে। কিন্তু দেখিস পরে বলিস না যে বলি নাই।
নীলঃ অফ যা তো এখন। রেস্ট নিতে দে।
রাতের বেলায় নীল চিন্তা করতে লাগলো, আচ্ছা ফারিয়া বা অয়ন যা বললো তা কি ঠিক? সে কি আসলেই এড়িয়ে চলছে নীলিমাকে? তা কেনো হবে? ও তো ওদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই যা করার করছে। নীলিমা কি এটা বুঝে না? হ্যা, এটা ঠিক নীল আগের মতো সময় দিতে পারছে না, বা নীলিমার সাথে অনেক সময় কথাও বলতে পারছে না। কিন্তু এটা তো ঠিক, সে নীলিমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে।নাহ, দেখি এগুলো নিয়ে ওর সাথে কথা বলতে হবে।কাল্কে যাবে ওর সাথে দেখা করতে।
৫৮।
সকালে নীল গেলো নীলিমার সাথে দেখা করতে।
নীলিমাঃ তুমি দুই দিন ধরে দেখা তো করোই না, এমন কি ফোন ও রিসিভ করো না। কি ব্যাপার?
নীলঃ আসলে বেশ কিছু কাজ নিয়ে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম।
নীলিমাঃ অন্তত ফোন তো করতে পারো, নাকি এখন আর আমাকে ভালো লাগছে না?
নীলঃ এমন কেনো হবে? শুধু শুধু রাগ করছো।
নীলিমাঃ না বলে রাখছি। কখনো এমন মনে হলে বলে দিও।
নীলঃ সরি। আর এমন হবে না। চলো, মুভি দেখতে যাবো।
নীলিমাঃ ঠিক আছে চলো।
৫৯।
বাসায় ফেরার পথে সোহেলের সাথে দেখা ।
নীলঃ কিরে তুই কোথা থেকে?
সোহেল; আর কোথা থেকে বাসা থেকে আসলাম। তোর কি খবর? তোর ফার্ম এর কতো দূর?
নীলঃ নারে অনেক কাজ বাকি। এতো সোজা না। অনেক ঝামেলা।
সোহেলঃ ঝামেলা না থাকলে তো সবাই দিতো। ব্যাপার না, চালিয়ে যা।অয়ন বলতেছিলো তুই নাকি আগের মতো নীলিমার সাথে দেখা করোস না?
নীল কিছুটা বিরক্ত হলো। অয়ন এর প্রব্লেম কি? এই ঘটনাকে এতো বড় বানাচ্ছে কেনো? এটা তো এমন কিছু না যে ইস্যু বানাতে হবে। নাহ, ওর সাথে মনে হয় এটা নিয়ে সিরিয়াসলি কথা বলতে হবে।
নীলঃ আরে এমন কিছু না, একটু ব্যস্ত ছিলাম তাই। তোর এখন কোনো কাজ আছে?
সোহেলঃ না কেনো?
নীলঃ চল তমালের সাথে দেখা করে আসি। অনেকদিন দেখা হয় না।
সোহেলঃ খারাপ বলিস নাই। আসলেই অনেকদিন দেখা হয় না। চল যাই।
তমালের হোস্টেলে এসে ওর রুমে পাওয়া গেলো না। তমাল আবার মোবাইল ব্যবহার করে না। ওর নাকি ভালো লাগে না। কিন্তু এই কারনে ওর সাথে যোগাযোগে অনেক সমস্যা হয়। এখন ওকে কোথায় খুজে পাবে?
বেশ অনেক্ষন রুমে বসে থাকার পর তমালের রুম মেট আসলো ওর কাছ থেকে জানা গেলো তমাল লাইব্রেরি তে আছে।
নীল আর সোহেলও লাইব্রেরির দিকে রওয়ানা হলো।সেখানে গিয়ে ওকে পাওয়া গেলো।
তমালঃ আরে তোরা? কি খবর?
নীলঃ তোকে কতোদিন বললাম, একটা মোবাইল নে।
তমালঃ আমার ভালো লাগেনা। তারপর খবর বল।
সোহেলঃ এইতো চলছে। তোর পড়ালেখার কি খবর?
তমালঃ আরে মেডিকেলের পড়া তো জানিসই। সারা জীবনই পড়তে হবে।
সোহেলঃ একটা প্রেম করে ফেল। তারপর দুই জন মিলে পড়বি। মেডিকেলে নাকি অনেক সুন্দর মেয়ে আছে।
হঠাত পেছন থেকে একটি মেয়ের কন্ঠ শুন্তে পেলো।
“নীল ভাই, আপনি এখানে?”
নীল নিজের নাম শুনে ঘুরে তাকালো। চিনতে কয়েক সেকেন্ড লাগলো। এতো সেই অনীতা।তার পাশের বসার।
(চলবে)
মা তোমার মাস্ফ্যু ফার্স্ট হৈছে B-)
শুধু মা না, অন্য কাউরেও জানা। :))
শাবাস ............ অনীতা এসেছে অবশেষে ......... :clap: :clap: :clap:
বহুদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম, অবশেষে......
অনীতার প্রত্যাবর্তন :awesome: :awesome:
ভাইয়া বহুদিন পর দারুন একটা পর্ব ছাড়লেন। :thumbup:
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
আমি অবশ্য অনীতার অপেক্ষায় ছিলাম না। :no:
কি আর করা। রবিন ভাইয়া, প্লিজ, পরের পর্ব দিতে দেরী করবেন না।
গল্পে মনে হয় টুইষ্ট আসছে।
তাহলে কি নীল আর নীলিমার বিয়ের অপেক্ষাতে ছিলেন?
হ্যা 😛
ব্যাপক হয়েছে রিবিন ভাই... :hatsoff:
:thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
Majhkhane onekgula part bad gese. Age oigula poira ashi.
যথারীতি ডজার রবিন বিশাল গ্যাপ দিলো সিরিজটাতে আবার। এবং ডাল মেমোরি নিয়া আবার সব ভুইলা গেছি ক্যাডা কুনডা আছিলো :bash:
নীল কে? নীলিমার ভাই? অয়ন? ফারিয়া টা কিডা ? অনীতা কে, সোহেলের খালা?? নাহ, সব ভুইলা গেছি আবার, যাই আগের পার্টগুলা রিভিশন দিয়া আসি :bash: :bash:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
=)) =)) =))
এক কাজ করতে পারি। নেক্সট পর্ব লিখে পোষ্ট করার আগে আপনাকে আগের পর্বগুলার সারাংশ ফোন করে বলে দিতে হবে দেখতেছি। :))
কিছুই করন লাগবোনা, খালি ডজিংটা একটু কমায়া দিস, অতেই চলবে :grr: :grr:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
কাইয়ূম ভাই রবিন ভাইকে বলছেন ডজ কম দিতে!!!! :khekz: :khekz: :khekz:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
জুনা কাইয়ূম ভাইকে টিজ করে ডজিং নিয়া। :khekz: :khekz: :khekz:
:goragori: :pira:
দোস্ত আমার কেমঞ্জানি সন্দেহ লাগতেসে ...... রবিন নিজের কাহিনী স্কেলিং কইরা লিখতেসে না তো ??? খেয়াল কইরা দেখ, রবিন আকর্ষন পর্বগুলাতে অনেক তাড়াতাড়ি লিখতো। তারপরে আস্তে আস্তে গ্যাপ বাড়তেসে। আমার কেঞ্জানি মনে হইতেসে, দিনে উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটলে সেইডা লিক্ষা ফালায়। খেয়াল কইরা দেখ দোস্ত, রবিন কিন্তু গত কয়েক দিন ব্লগেও তেমন একটা ছিলো না ...... আর আজকের কাহিনীটা খেয়াল কর ......
আরে, আসলেইতো!!! :grr: :grr:
কিন্তু অনীতা কে, সোহেলের খালা?? এইটা কি হইতে পারে তাইলে
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
অনীতা নীলের বোনের বান্ধবী ...... দেখ দোস্ত, আনীতাকে আমি খুব ভালো পাই। ওরে খালা বানায়ে দিস না।
দোস্ত আমিতো বানাইতামচাইনা। কিন্তু ডজার রবিনই তো সব ভজঘট লাগায়া দেয় বছরখানেক পর পর একেকটা পর্ব দিয়া। ইয়ে মানে, অনীতারে আমিও ভালা পাই :hug: :hug:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ইয়ে অনীতা'টা জানি কে? ~x(
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
ঠিক কথা!! ঠিক কথা।
আচ্ছা, রবিন ভাই কি পোলট্রি কিংবা ডেইরী ফার্ম খোলার ধান্দায় আছেন নাকি??
তথ্যসূত্রঃ
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
ভাই, কাহিনি আমার হইলে তো ভালই হইতো। অনীতা নাইলে নীলিমা একজন রে তো পাইতাম।আসলে অফিসে নতুন দায়িত্ব বুঝে নেয়া নিয়ে দৌড়ের উপর আছি। সারাদিন কোডিং করলে কি আর গল্প লেখার টাইম থাকে?
হুমমম ......... এইজন্যেই তাইলে তোমার গল্পে নীলের ব্যস্ততার কথা উঠে এসেছে ......
ভাই, কি যে কন? আমার এক মেয়ের পিছে টাইম দেয়ার মতো এতো টাইম নাই। শুধু শুধু ডাউট দিতাছেন। গল্পের পেছনে কোনো গল্প নাই। 🙂
=)) =)) =)) =))
:)) =))
সত্যি নাকি রবিন ভাইয়া? :grr:
হইলে খারাপ হইতো না। 🙁
তাহলে হবে হবে 😀 😛
কেম্নে?
অপেক্ষা করে কিছু না হলে এক কাজ করেন, আমার বরের মত হুট করে পছন্দ করে, ডিসিশান নিয়ে ফেলেন। :shy:
আপাতত সেই সময় টাও নাই। সকাল ৮ টায় অফিস যাই, রাত ৮/৯টায় ফিরি।
~x( ~x( :bash: :bash:
বিয়ের আগে চুল সব ছিড়ে ফেললে সব্বোনাশ !!!!!! 😛
এটা তো ঠিক বলছেন
বস এই জায়গাটা একটু খারাপ হইছে, দুই দিন ফোন না ধরলে কোনো মেয়ে এক কথায় মুভি দেখতে রাজি হয় না, আরো কিছু তেল দরকার ছিল। :khekz:
মেয়ে যদি আরো কিছুক্ষণ রাগ করে থাকত সেটাই পাঠকের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হত।
কেউ ঠেকে শিখে, আর কেউ দেখে শিখে। :boss: :boss:
তবে এই জটিল টুইস্ট এর জন্যই এতোদিন ওয়েট করতেছিলাম :clap:
তাই নাকি 😉
সবার সাথে ভিন্নমত পোষন করে বলছি অনীতাকে যদিও আনলেন, কিন্তু এই পর্বে নাম দেয়াটা ঠিক হয় নাই। একটু সাস্পেন্স দরকার ছিল বলে মনে হচ্ছে। মানে মেয়েটা এই পর্বে আসল আর নাম পরের পর্বে দিলেন এরকম আর কি।
তোমার সাধারন মানুষ আর কতদিন ঝুলায়ে রাখবা ?????
ভাই লেখা বাইর হতে চায় না। 🙁 🙁 :(( :(( :((
রবিন : লেখা পড়লেই তোমার ফাঁকিবাজিটা ধরা যায়। আরেকটু মনোযোগ দিয়ে ভাইয়া। মোচড়টা ভালো হয়েছে। :clap:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
:clap: 😀 😛
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
যাক, অনীতাকে শেষমেশ আনলি।
ইয়ে মানে......অনীতাকেও আমি খুব ভালো পাই। 🙂 🙂
সবাই দেখি অনীতাকে ভালো পায়
রিবিন ভাই, আমি ভালা পাইনা। নীলিমা কে ভাল পাই। ভাবী'র দিকে খেয়াল রাখবেন কিন্তুক। B-)
অবশ্যই। আমি দুই জন কেই ভালা পাই
কেনো ??????? 😮 😮 😮 😮 😮
মইনুল ভাই, আসলে আমি অন্যদের মতো ভালো লেখক না। তাই নীলিমা চরিত্রটা যেভাবে চিন্তা করেছিলাম, সেভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি নাই মনে হয়।
আসলে আমি প্রশ্নটা ভাবীকে করেছিলাম ...... কেনো উনি অনীতাকে ভালো পাচ্ছেন না ............