– এক্সকিউজ মি, একটা ছবি তুলে দেবেন প্লিজ?
কিছু কণ্ঠ আছে যা শুনলে মাথা চক্কর দেয়, কিছু কণ্ঠে ভুরূ কুঁচকে যায় আর কিছু কণ্ঠে বুকের ভেতর পিয়ানোর সুর বেজে ওঠে। কিন্তু অচেনা নারী কণ্ঠের মাত্র এক লাইনে একইসাথে শরীফের ভুরূ কুঁচকে গেল, মাথায় চক্কর দিল, বুকের ভেতরে হাজারটা পিয়ানো টুংটাং বেজে উঠল। ঝট করে পেছন ফিরে তাকাল সে। উনিশ কুড়ির এক তরুণী ক্যামেরা হাতে দাঁড়িয়ে আছে। তরুণীর গায়ে আসমানি রঙের কামিজ, গাঢ় নীল সালোয়ার, সাথে জর্জেটের নীল ওড়না। বেণী করা লম্বা চুল ঘাড়ের পাশ থেকে একেবেকে নেমে গেছে ওড়না ছুঁয়ে। তরুণীর ঠোঁটে মিষ্টি হাসি।
– এক্সকিউজ মি, একটা ছবি তুলে দেবেন প্লিজ?
কয়েক সেকেন্ডের নিরবতা শেষে শরীফ পৃথিবীতে ফিরে এল। ক্যামেরার দিকে হাত বাড়াল সে।
– জি, অবশ্যই।
– থ্যাংক ইউ!
কার্জন হলের সামনে বড় বড় হলুদ গোলাপ ফুটেছে। গোলাপের চারপাশে দাঁড়িয়ে অপরিচিত চার তরুণী। বাইশ বছরের জীবনে প্রথমবারের মত শরীফের আনাড়ি হাতে ডিএসএলআর ক্যামেরা। তরুণীদের ঠোঁটে কৃত্রিম হাসি। শরীফ পরপর কয়েকটা ছবি তুলে দেয়। তরুণীদের জায়গা বদল হয়। ভঙ্গি বদল হয়।
– থ্যাংক ইউ, ভাইয়া!
– ঠিক আছে।
– অনেক কষ্ট দিলাম।
– না, না, অসুবিধা নেই, আচ্ছা একটা কথা বলি?
– জি, বলেন।
– আপনার একার একটা ছবি তুলে দেই?
– কেন?
– না, মানে, আপনার ওড়নাটা খুব সুন্দর, হলুদ ফুলের পেছনে খুব মানাবে।
– লুইচ্যা কোথাকার! জীবনে মেয়েদের ওড়না দেখিস নাই শালা!!
মুখ ঝামটা মেরে চলে যায় তরুণী। শরীফ বোকার মত দাঁড়িয়ে একা একা হাসতে থাকে।
:)) :)) :)) :)) :))
কুড়ি বছর পর……
দৃক গ্যালারিতে দেশসেরা ফটোগ্রাফার শরীফ হকের একক চিত্র প্রদর্শনী। প্রচণ্ড ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। অটোগ্রাফ দিতে দিতে শরীফ ক্লান্ত। পরিচিত অপরিচিত অসংখ্য কণ্ঠের ভিড়ে কিছুই ঠিকমতো শোনা যায় না। এর মাঝেও খুব চেনা কণ্ঠে কে যেন পেছন থেকে ডেকে উঠল,
– আরে সেই লুইচ্চাটা না?? :gulli2:
:khekz: রিফাত, তোর ফাঁকিবাজি এখনও চলছে 😡
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
ভাই, আমি ক্লাস সেভেন থেকেই মকরা ক্যাডেট 😀 😀
যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
:brick:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
পুরনো একটা সিরিজ কন্টিনিউ করবো ইনশা আল্লাহ্। এক সপ্তাহের ভেতর পাঁচ মিনিট বিরহের গল্প/ ৫ আসবে আশা করি 😀
যে জীবন ফড়িঙের দোয়েলের- মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা
:boss:
- আরে সেই লুইচ্চাটা না??
:duel:
আমি চোখ মেললুম আকাশে
জ্বলে উঠলো আলো পূবে পশ্চিমে
ভালু মানুষের বেইল নাই। লুইচ্চাদের সবাই মনে রাখে। এমনকি কুড়ি বছর পরেও! 🙁
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\