১৯৭১- ভিন্ন দৃষ্টিকোণ হতে …………………

মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ৫০০০ বিহাড়ি ও অবাঙ্গালী চট্টগ্রাম বন্দর হতে করাচি বন্দরে উপস্থিত হয়। তাদের সবাই আওয়ামী দস্যুদের দ্বারা চরমভাবে নির্যাতিত। তাদের আহাজারিতে করাচি বন্দর শোকে স্তব্দ। এই করুণ সংবাদসমুহ পাকিস্তানি সংবাদপত্রে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। কারন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নির্দেশ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া অবাঙ্গালীদের প্রতি নির্যাতন, ধর্ষণ, লুট। ও হত্যার সংবাদ বা প্রতিবেদন প্রকাশ না করার জন্য।

বিস্তারিত»

ভোট দিয়ে এলাম

প্রথমে ঠিক করেছিলাম ২ নভেম্বর, নির্বাচনের দিনেই ভোট দিতে যাব। এখানে বাংলাদেশের মত নির্বাচন উপলক্ষে বন্ধ দেওয়া হয় না। তবে প্রতিষ্ঠান ভেদে বিভিন্ন নিয়ম কানুন আছে। আমাদের অফিসে ৩ ঘন্টার ছুটি পাওয়া যায় ভোট দেবার জন্যে। এমনিতে আমি ‘ফ্লেক্সিটাইম’ ভোগ করি। অর্থাৎ ইচ্ছামত আগে পরে আসি, তবে সপ্তাহের ৪০ ঘন্টা ঠিকই পূরণ করি। নির্বাচনের দিন পড়ছে মঙ্গলবার, ঠিক করেছিলাম বাড়ী থেকে বেরিয়ে অফিসে আসার পথে বাড়ীর কাছের সেন্টারে ভোট দিতে যাব।

বিস্তারিত»

আদর্শের রাজনীতি বনাম স্বার্থের রাজনীতি

না, আমি কোন বিশাল আলোচনা করে প্রবন্ধ লিখতে বসিনি। চলা-ফেরায় কিছু কথা মাথায় আসল, তাই লিখতে বসলাম।

তবে রাজনীতি প্রসঙ্গে যাবার আগে বিজ্ঞাপন সম্বন্ধে কিছু বলে নিই। বিজ্ঞাপন কি জিনিস তা তো আমরা সবাই জানি এবং প্রতিনিয়ত চারপাশে দেখতেও পাচ্ছি। বিজ্ঞাপনের মূল কাজ হল, নির্দিষ্ট কোন পণ্য বা ব্রান্ডকে Promote করা অর্থাৎ সেটা যেন মানুষের মধ্যে চালু হয়ে যায়। যদি বিজ্ঞাপন অনেক সুন্দরও হয় কিন্তু এই ‘চালু করে দেওয়ার’ কাজটি করতে না পারে,

বিস্তারিত»

স্বজাতি কুকুর ও সেই সব যুদ্ধবন্দী

‘একাত্তরের সংকটের জন্য কিছু লোক সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে, আবার কেউ কেউ দায়ী করছে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে। বাংলাদেশের অনেক রাজনৈতিক নেতাও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। এমনকি বাংলাদেশের মানুষ এখনো বিশ্বাস করে যে আমরা সঠিক ছিলাম। গোলাম আজম সাহেবসহ সাধারণ মানুষ এখনো মনে করেন না আমরা ভুল করেছি।’
১৯৮৮ সালে ইসলামাবাদে জেনারেল টিক্কা খানের এই সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন মুসা সাদিক। মুসা সাদিক মুজিবনগর সরকারের যুদ্ধ সংবাদদাতা ছিলেন।

বিস্তারিত»

বিদ্রোহী [Lyrics] – তৌফিক ও ফয়সাল রদ্দি

বিদ্রোহী /BIDROHI (রাজত্ব /RaJoTTo)- Official Music Video by Towfique & Faisal Roddy) [Ektaar Music Presents]
সারা শরীর তার ঘামে ভেজা সাঝে সে ফেরে ঘরে,
ঋনী তুমি , আমি, আমরা শীত ও তাপ ঘরে,
শূণ্য গোলা তার ফলেনি ফসল তবু মুক্ত হাসি ঝরে,
যান্ত্রিক যাতাকলে পিষ্ট তুমি-আমি হাসি না ভয়ে।
তবু জীবনের ঈশারায় শুধু হেতে যাই-
হাসিহীন জীবনে আধারে হারাই,

বিস্তারিত»

হিলারী, বেশ কাছ থেকে

আমার বাসার কাছে একটা বইয়ের দোকান ছিল – নাম ‘পেইজ ওয়ান’। বেশ বড় বইয়ের দোকান। মাঝে মাঝে সেখানে লেখকরা এসে সভা করতেন এবং বইয়ের সাক্ষরতা অনুষ্টানে যোগ দিতেন। একদিন শুনলাম হিলারী ক্লিন্টন তার নতুন বই “Living History” -এর বিক্রী বাড়াতে আমাদের শহরে আসছেন এবং এই বইয়ের দোকানে বসে বিক্রীত বইতে স্বাক্ষর করবেন। যদিও ৩০ ডলার দিয়ে একটা বই কেনা আমার কাছে একটু বেশী লাগছিল, তবু ঠিক করলাম এই সুযোগটা হাত ছাড়া করবো না।

বিস্তারিত»

এর নাম ছাত্র রাজনীতি !?! (১৮+)

রাজনীতি একটা জিনিস যা আমাকে কখনওই আকর্ষন করে না। সবচেয়ে বেশী দুরত্ব বজায় রাখি ছাত্র রাজনীতি নামক বিষয়টি নিয়ে। কারন একটাই, সুস্থ্য ধারার রাজনৈতিক চর্চার অভাব। এই দেশের রাজনীতি বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে গত কয়েকবছর ধরে যে অসুস্থ পরিবেশ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কলঙ্কিত করে এসেছে তা দেখে কোন সুস্থ্য ধারার মানুষ মনে হয় না বর্তমানের ছাত্র রাজনীতির এই ধারাকে স্বাভাবিক চোখে দেখতে পারবেন।

আমি আবারও বলছি,

বিস্তারিত»

ভারত রাজনীতি : বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির বিতর্ক ও সাম্প্রদায়িকতা

প্রথম পর্ব

ছোট অযোধ্যা শহরে এসে রাম জন্মভূমি আন্দোলনের প্রধান সাধু নিত্যগোপাল দাসের ‘নির্মোহী আখড়া’য় ঢুকে শুনলাম তিনি উজ্জয়িনীতে কুম্ভমেলায় গেছেন। ভোট দিতেও অযোধ্যায় ফেরেননি। ফেরেননি আরো কয়েক শ সাধু-সন্ন্যাসী। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নেতারা বারবার অনুরোধ জানালেও নিত্যগোপাল দাস ফেরেননি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এবার ভোট দেবেন না।

আখড়ারই একজন জানালেন, কথা বলতে হলে ফৈজাবাদ ‘নাকা হনুমান গড়ি মন্দিরে’ যেতে হবে।

বিস্তারিত»

ভারত রাজনীতি : গুজরাটে নিরাপত্তাহীন মুসলিম, ভোটেও গুরুত্বহীন

নয়াদিল্লি ছেড়ে আসা ট্রেন ‘আশ্রম এক্সপ্রেস’ গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদের সীমান্তে হাঁটু পানির একটি নদী অতিক্রম করল। সহযাত্রী গুজরাটের এক সরকারি কর্মীকে প্রশ্ন করে জানলাম, নদীর নাম ‘সবরমতি’। স্মৃতিতে ভেসে উঠল এরকমই আরেক ট্রেনের নাম ‘সবরমতি এক্সপ্রেস’, যাতে করে ২০০২ সালের মার্চে গুজরাট ফিরছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একদল করসেবক। গোধরায় স্টেশনের অদূরে ট্রেনে আগুন ধরে ওই করসেবকদের অনেকেই মারা গিয়েছিলেন। আর তার প্রতিক্রিয়ায় সে সময় ভারতের এই গুজরাট প্রদেশের কোনায় কোনায় জ্বলে উঠেছিল প্রতিহিংসার আগুন।

বিস্তারিত»

মাননীয় মাথামণ্ডলী সমীপেষু

বরাবর
মাননীয় মাথামণ্ডলী,
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ,

জনাব,
সবিনয়ে বিনীত নিবেদন এই যে আমি আপনাদের দ্বারা পরিচালিত এই বঙ্গদেশের একজন অতি নগন্য নাগরিক। যদিও আমি নিতান্তই নগন্য, তথাপি আজ আমি আপনাদের কর্মকলাপ সম্পর্কে কিছু কমেন্টস করার দুঃসাহস দেখাচ্ছি।
বিরোধীদল সংসদে ফেরার পর, আমরা আশা করেছিলাম(এবং প্রতিবারেই যে আশা করে থাকি) যে আপনারা,সরকারি এবং বিরোধীদল,পূর্বের বিভেদ কলহ ভুলে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বর্তমান সমস্যাগুলো সমাধানে সচেষ্ট হবেন।

বিস্তারিত»

দেশে কি এমন কেউ ছিলো না

ঢাকা থেকে ফোন এলো।
– দোস্তো, ঘুমাতে পারছি না।
– কেনো, কি হলো আবার?
– ঐ পাঁচ জন অফিসারের ফাঁসি হয়ে গেলো কিছু আগে।

সকালে অফিসে আসার আগে স্যাটেলাইট টিভিতে বাংলাদেশের খবরে শুনেছিলাম যে ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত ঐ পাঁচ জন অফিসারের আত্মীয়-স্বজনকে জেলে তাদের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়েছে। তবে ভাবিনি যে আজই এই ফাঁসির আদেশ কার্যকর হবে।

আমেরিকা থেকে হঠাৎ করে ৩৫ বছরের আগের বাংলাদেশে যেন ফিরে গেলাম।

বিস্তারিত»

বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনি শেষ পর্যন্ত চরম সাজা পেল

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এরা হলেন আর্টিলারি কোরের অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল মহিউদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর বজলুল হুদা, বরখাস্ত হওয়া কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও ল্যান্সার ইউনিটের অবসরপ্রাপ্ত লে.কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন।

রাত বারোটা এক মিনিটে কারা কর্তৃপক্ষ প্রথমে কর্নেল মহিউদ্দিন ও বজলুল হুদার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। রাত সাড়ে বারোটার পর ফাঁসি দেয়া হয় ফারুক রহমান ও সুলতান শাহরিয়ার রশিদকে।

বিস্তারিত»

ভারত থেকে ঋণ নয়, বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া বেশি প্রয়োজন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের শেষ দিনে অর্থাৎ ১৩ জানুয়ারি দিল্লির মৌর্য শেরাটন হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, তাৎণিকভাবে কোন বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সুফল বয়ে আনবে। এর উত্তরে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘ভারতের ১০০ কোটি ডলারের (প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা) ঋণসহায়তা আমাদের অনেক উপকারে আসবে।’
ভারতের দেওয়া ঋণ উপকারে আসবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে এটিকেই বড় সাফল্য ধরে নেওয়াটা কতখানি যৌক্তিক সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

বিস্তারিত»

শান্তিকালীন সময়ে সেনাবাহিনীর ভুমিকা কি হওয়া উচিত?

মাসরুফ ভাই এর রিসেন্ট পোস্টে সেনাবাহিনীর ভুমিকা নিয়ে কিছু মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এই পোস্টের অবতারনা। আলাদা পোস্টের কারন আমি এই সম্পর্কে আলোচনা এবং ভিন্ন মত শুনতে আগ্রহী।

শুরু করা যাকা রবীন্দ্রনাথের একটি প্রবন্ধ দিয়ে। প্রবন্ধটির নাম ভুলে গেছি। তার কালান্তর গ্রন্থে প্রবন্ধটি সংকলিত আছে। তৎকালীন রুশ বিপ্লব কে সামনে রেখে তিনি ঐতিহাসিক সমাজবাস্তবতার কিছু বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। তার আলোচনার সাড়বস্তু ছিল ইউরোপ তথা বিশ্বের সমাজ বিবর্তনের ইতিহাসে ধর্মীয় সংস্থাগুলো প্রাথমিক অবস্থায় রাজনৈতিক ক্ষমতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ছিল।

বিস্তারিত»

প্রসঙ্গ টিপাইমুখ বাঁধ: আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের অবস্থাণ এবং সাধারণ মানুষের কর্তব্য……

বিপদটা হলো আমরা সোচ্চার হলাম অনেক দেরীতে……..

ঘটনা ঘটার পরে কথা-বার্তা শুরু করে তো সত্যিকারের কোন লাভ নাই…….ইতিমধ্যে এই বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়ে গেছে (ভিত্তিপ্রস্তর করে ফেলেছে মনমোহন সিং)…….আমাদের কর্মকর্তাদের সেখানে গিয়ে চা খেয়ে আসার দাওয়াত-ও দিয়েছে ভারত!!!!

আমাদের কি মনে আছে International Tipaimukh Dam Conference 2005 Dhaka Bangladesh নামে একটা সম্মেলন হয়েছিল ২০০৫-এর ৩০-৩১ ডিসেম্বরে??? এবং যাতে দাওয়াত পেয়েও মেজর হাফিজ যোগ দেননি……..আবার মাল মুহিত,

বিস্তারিত»