১৯৭১- ভিন্ন দৃষ্টিকোণ হতে …………………

মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ৫০০০ বিহাড়ি ও অবাঙ্গালী চট্টগ্রাম বন্দর হতে করাচি বন্দরে উপস্থিত হয়। তাদের সবাই আওয়ামী দস্যুদের দ্বারা চরমভাবে নির্যাতিত। তাদের আহাজারিতে করাচি বন্দর শোকে স্তব্দ। এই করুণ সংবাদসমুহ পাকিস্তানি সংবাদপত্রে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। কারন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নির্দেশ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া অবাঙ্গালীদের প্রতি নির্যাতন, ধর্ষণ, লুট। ও হত্যার সংবাদ বা প্রতিবেদন প্রকাশ না করার জন্য। তিনি বলেছিলেন নির্দেশনার উদ্দেশ্য মানবিক, পুর্ব পাকিস্তানে অবাঙ্গালী মুসলমানদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের খবর পশ্চিম পাকিস্তানি জনগনকে খেপিয়ে তুলবে এবং পশ্চিম পাকিস্তানে বসবাসরত বাঙ্গালীদের উপর প্রতিশোধ গ্রহণ করবে। মানবিক কারণেই পশ্চিম পাকিস্তানি সংবাদপত্রসমুহ তাদের মুসলমান ভাইদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এসব সংবাদ প্রকাশ করেনি। এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন একজন বাঙ্গালী। পরবর্তিতে প্রমাণ হয়েছিল এই নির্দেশনার উদ্দেশ্য মানবিক ছিলনা ছিল রাজনৈতিক এবং অখন্ড পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

সহস্রাধিক অসহায় মুস্লিম শরনার্থী দেশ বিভাগের সময় যারা পুর্ব পাকিস্তানে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল গত সপ্তাহে তারা প্রায় সকলেই বাঙ্গালী কতৃক হত্যার স্বীকার হয়েছে।

The times of London 6th April, 1971

প্রায় লক্ষাধিক অবাঙ্গালী মুসলমান পুর্ব পাকিস্তানে আটকা পরেছে। আশংকা করা হচ্ছে এরা সকলেই বাঙ্গালী কতৃক চরম প্রতিশোধের শিকাড় হবে।

The Daily Statesman, New Delhi, April 4; 1971

প্রায় লক্ষাধিক অবাঙ্গালী মুসলমান বাঙ্গালী কতৃক ম্যাসাকারের শিকাড়।

Anthony Mascarenhas, Sunday Times,

London, may2; 1971

কিন্তু পরবর্তী লেখার মাধ্যমে এই লেখার সত্যকে তিনি অনেক লঘু করে ফেলেন। তার পরবর্তী প্রবন্ধটি ছিল ইন্ডিয়ান প্রচার মাধ্যম ও সরকার কতৃক প্রকাশিত অতিরঞ্জিত তথ্যে ভরপুর।

পাকিস্তান সরকার ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে আওয়ামী দস্যুদের অমানবিক হত্যাকান্ড, অত্যাচার, ধর্ষণ, ও লুটের ঘটনাসমূহ নিয়ে একটি স্বেতপত্র প্রকাশ করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে এটি কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ওআন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমকে এসব তথ্য বিশ্বাস করানো সম্ভব ছিল যদি পাকিস্তান সরকার এপ্রিল মাসেই ঘটনাসমূহ প্রচার করার উদ্যোগ গ্রহণ করত।

ভারতীয় সুবিশাল প্রচার মাধ্যমের কল্যানে পাকিস্তান শুরুতেই একটু পিছিয়ে ছিল। এর সাথে পাকিস্তান থিংক ট্যাংকের গৃহিত ভুল কৌশলের জন্য পাকিস্তান ভারতের নিকট তথ্য যুদ্ধে চরমভাবে পরাজিত হয়। এই সুযোগে ভারতীয়রা পাকিস্তানি আর্মিদের অপারেশনসমুহকে মিথ্যা করে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করে বিশ্ব বিবেক কে প্রতারিত করে। ভারতীয়রা একে নাজি বাহিনীর সাথে তুলনা করে। কিন্ত্য বাস্তব চিত্র ছিল সম্পুর্ণ উলটো।

The Great Tragedy, Bhutto Mr. Zulfikar Ali

অধিকাংশ বাঙ্গালী এই অবাঙ্গালী নিধনকে ঘৃণা করেছে। কিন্তু তারা এর প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। কারন সাধারন জনগণ সুসংগঠিত ছিলনা। এছাড়াও আওয়ামী লীগের দস্যুরা ছিল আধুনিক হাতিয়ারে সুসজ্জিত।

আওয়ামী লীগের পূর্ব পাকিস্তানে বিজয়ী হওয়ার পিছনে একটি প্রভাবক হল অর্থ। ভারতীয় গুপ্তচরদের মদদে আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। এই পরিমাণ অর্থ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও সীমান্তবর্তি আসন সমুহে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা জাল ভোট প্রদান করেছে।

মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বাঙ্গালীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে অপদস্থ ও নাজেহাল করা শুরু করে। আওয়ামি দস্যুদের ভীতির কারনে সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনীর নিকট খাবার ও কেরোসিন তেল বিক্রি করতনা। অত্যাচারের মাত্রা এখানেই সিমীত থাকেনি। বাঙ্গালিরা পাকিস্তানি সেনা সদস্যদের একা পেলে আটক করত, তাদের হত্যা করত আবার কখনো কখনো অংগহানি করে ছেড়ে দিত। বাঙ্গালী সেনারা প্রায়ঃশই পাকিস্তানি তরুণ অফিসারদের দিকভ্রান্ত করে বাঙ্গালী জনতার মাঝে ছেড়ে দিত।

Major General A H Quereshi
LT Abbas (29 cavalry)

আওয়ামীলীগ পুর্ব পাকিস্তানকে পাকিস্তান হতে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ৫ স্তর/ধাপ বিশিষ্ঠ একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই পরিকল্পনায় ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম দখল করবে যাতে পশ্চিম পাকিস্তান হতে কোনো সাহায্য বা সেনা পুর্ব পাকিস্তানে না প্রবেশ করতে পারে। ই পি আর সীমান্ত এলাকাসমূহ দখল করে নিবে এবং ভারতীয় সাহায্যের জন্য উম্মুক্ত করে দিবে। প্রাথমিক পরিকল্পনাসমুহ সফল হলে ভারতীয় সৈন্য প্রতেক্ষ্যভাবে সাহয্য করবে। এসব পরিকল্পনা সমূহের কারণে পাকিস্তান সরকার pre-emptive strike করতে বাধ্য করে।

White Paper (August, 1971) Federal Government of Pakistan

আগড়তলা ষরযন্ত্র এর প্রথম বৈঠকটি হয়েছিল তাজউদ্দিনের বাসায়। আঘড়তলা ষড়যন্ত্র মামলার চার্যশিট অনুযায়ী এই বৈঠকেই পুর্ব পাকিস্তানের নাম বাংলাদেশ উদ্ভাবন করা হয়।

১৯৭০ সালের আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইশতিহারে শ্বায়ত্বশাষণের উল্লেখ ছিল। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তারা আগড়তলা ষড়যন্ত্র এর পরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে সাধারণ জনগনের সাথে প্রতিশ্রুতি ভংগ করে।

শেখ মুজিবর রহমানের ৬ দফার দুটি দাবি যা কিনা পৃথিবীর ইতিহাসে কোন ফেডারেল রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় পাওয়া যায়নি। একটি হল বৈদেশিক ঋণ ও বানিজ্য বিষয় ব্যাতিত অন্যান্য পররাষ্ট্রনীতি কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনা করতে পারবে, দ্বিতীয়টি হল শুল্ক, কর ও রাজশ্ব ধার্য ও আদায় করার ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের নিকট থাকবে। বাস্তবচিত্রে শেখ মুজিব শ্বায়ত্বশাষণের ছদ্মবেশে পুর্ব পাকিস্তানের স্বাধিনতার কথাই ৬ দফায় উল্লেখ করেছিল। যা কিনা পৃথিবীর কোন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

সেখ মুজিবর রহমানের এমন অযৌক্তিক দাবি এবং দাবির প্রতি অনড় অবস্থান মার্চের আলোচনাকে ফলপ্রসু হতে দেয়নি। ৩রা মার্চ ইয়াহিয়ার জাতীয় অধিবেশন স্থগিত করার প্রাথমিক উদ্দেশ্য সংবিধান ও অন্যান্য আইনগত বিষয়ে হোম ওয়ার্ক করার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের সময় দেওয়া। কিন্তু শেখ মুজিবর রহমান এই সময়কে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে ক্ষেপিয়ে তুলতে ব্যাবহার করেন। তার ৭ই মার্চের ভাষণকে শুধুমাত্র হিটলারের ফ্যাসিস্ট ভাষণের সাথে তুলনা করা যায়। এটি একটি জাতীয়তাবাদী ভাষণ কিন্তু সর্বৈব মিথ্যায় পরিপুর্ণ। তিনি জনগনের নিকট পশ্চিম পাকিস্তান কতৃক বৈষম্যের কথা বলে অপপ্রচার চালান। এমনকি পুর্ব পাকিস্তানের আইনগতভাবে বৈধ সরকারকে উতখাত করার চেষ্টা করেন। বৈধ সরকরকে নিরাপত্তা প্রদান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং শান্তি ও আইনের শাষণ প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তান সরকার ২৫শে মার্চ সেনা অভিযান করতে বাধ্য হয়। এই সেনা অভিযানের মাধ্যমেই ভারতীয় ষড়যন্ত্র সফল ও পাকিস্তানের বিভক্তি নিশ্চিত হয়ে যায়।
( এই লেখাটি পাকিস্তানি সাংবাদিকদের বিভিন্ন লেখার সম্পাদনা মাত্র)

২,২৪৯ বার দেখা হয়েছে

২৭ টি মন্তব্য : “১৯৭১- ভিন্ন দৃষ্টিকোণ হতে …………………”

    • মাসুদুর রহমান (৯৬-০২)

      ভাইয়া প্রতিটি লেখার নিছে ইংরেজ়িতে রেফারেন্স দেওয়া আছে। আর তাদের এসব যুক্তিকে খুব সহজেই খন্ডন করা সম্ভব। আমি এখানে এই লেখা সমুহের যুক্তি খন্ডনের অপেক্ষায় আছি। আর আপনার মনে অনেক প্রস্ন জেগেছে প্রশ্নগুলো হয়ত আমারো হতে পারে .................. আলোচনার মাধ্যমে উত্তর বের করা সম্ভব আর আরও বিস্তারিত জানআর জন্য হামিদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট পড়তে পারেন অথবা ব্লাড অ্যান্ড টেরর- কুতুবুদ্দিন আযিযের বই পরতে পারেন।

      জবাব দিন
      • জুলহাস (৮৮-৯৪)

        তোমার এই লেখার শুরুতে একটি প্রারম্ভিকা দেয়া প্রয়োজন......যাতে করে আমরা (পাঠকরা) তোমার উদ্দেশ্যটা বুঝতে পারি।

        লেখার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন জায়গাতেই তোমার মূল উদ্দেশ্যটি (তোমার মন্তব্যে তুমি বলে দিয়েছ) আমি ঠিকমতন বুঝতে পারিনি। সে কারণে-ই মনের মাঝে প্রথমে একটি নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল।

        তোমার লেখার ষ্টাইলের বিষয়টি সম্পূর্ণই তোমার নিজস্ব...তারপরেও এই বিষয়ে কথা বলে ফেলার জন্য স্যরি...।


        Proud to be an ex-cadet..... once a cadet, always a cadet

        জবাব দিন
  1. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    পাকিস্তানি সাংবাদিকদের বিভিন্ন লেখার সংকলন যেহেতু তাই তা নিয়ে তর্কে যাবার মত আগ্রহ পাচ্ছি না। তবে এ বিষয়ে লেখকের মতামত জালতে পারলে ভালো হত।

    জবাব দিন
    • মাসুদুর রহমান (৯৬-০২)

      আমি আমার এই লেখার জবাবে একটা লেখা লিখছি তার আগে আমি জানতে চাচ্ছিলাম সবাই কি ভাবছে ............ তোর মত করে জবাব দে .................. চুপ করে থাকা অথবা আবেগের অনুভুতি দিয়ে সব হয়না।

      জবাব দিন
      • আমিন (১৯৯৬-২০০২)

        দ্যাটস ফাইন। সত্যিকার অর্থেই আমি লেখাটা পড়ে অস্বস্তি বোধ করছিলাম। এবং আবেগের আতিশয্যে একতারা দাগিয়ে ফেলেছিলাম। প্লিজ টেক ইট ইজি। উত্তরগুলো ঘাটাঘাটি করে দিতে হবে তবে কয়েকটা মনে হয় সাদাচোখেই খন্ডন করা যায়। যা হোক সময় নিয়ে বড় করে মন্তব্য করে যাবো।

        জবাব দিন
  2. সাবিহা জিতু (১৯৯৩-১৯৯৯)

    রেফারেন্স গুলো পেলে ভালো হয়। নিসন্দেহে পাকিস্তানীরা তাদের নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করবেই, এতে অবাক হবার কিছু নাই। তবে এমন লেখা দেবার সাথে সাথে রেফারেন্স অবস্যই দেয়া উচিত, নইলে জনমনে অনেক প্রশ্ন জাগবে।


    You cannot hangout with negative people and expect a positive life.

    জবাব দিন
  3. ফয়েজ (৮৭-৯৩)

    তোমার রেফারেন্সের লিঙ্ক গুলো কাজ করছে না। তুমি কি কোন লিঙ্ক দিয়েছো আদৌ, নাকি শুধু হেডলাইন কপি করে বোল্ড করে দিয়েছো তাও বুঝতে পারছিনা।


    পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না

    জবাব দিন
  4. কামরুলতপু (৯৬-০২)

    খুব ভাল হত তুই যদি নামটা পালটে ১৯৭১- পাকিস্তানী দৃষ্টিকোন থেকে দিস। ভিন্ন দৃষ্টিকোন দেখে তোর নিজস্ব দৃষ্টিকোন বলে ভেবেছিলাম।
    এই লেখা দেখে চরম বিব্রত বোধ করেছিলাম। পরবর্তীতে যখন দেখলাম প্রতিটা জিনিসই পাকিস্তানিদের রেফারেন্স তখন আর কিছু মনে হয়নি কারণ এইসব অনেকদিন থেকেই অনেক পাকিস্তানির কাছে শুনেছি।

    জবাব দিন
  5. আহসান আকাশ (৯৬-০২)

    তোর হাত থেকে এই রকম একটা লেখা বের হতে পারে এটা চিন্তা করেই ব্যাপক কনফিউশনের ভিতরে ছিলাম। একদম শেষে এসে ঘটনা পরিষ্কার হলো। আমার মনে হয় তোর উপস্থাপনাটা ঠিক হয় নি। শুরুতেই একটা প্রারম্ভিকা দেবার দরকার ছিল, তাতে হয়তো তোর উদ্দেশ্য সফল হত।


    আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
    আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷

    জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)

      আমার তো মনে হয় ভাইয়ার উদ্দেশ্যটা ভালই ছিল। তাতে করে প্রাণবন্ত একটা আলোচনা হতে পারত। এখন যেমন ভাইয়ার কমেন্টের মাধ্যমে আমরা বুঝে ফেলছি টাইপ একটা ব্যাপার হয়ে গেছে, তাই কেউ আর যুক্তি খন্ডনের দিকে হাত বাড়াচ্ছে না...

      জবাব দিন
  6. মাসুদুর রহমান (৯৬-০২)

    ( এই লেখাটি পাকিস্তানি সাংবাদিকদের বিভিন্ন লেখার সম্পাদনা মাত্র)........................... এই লেখাটাও অনেক পরে সম্পাদনায় সংযুক্ত করা হয়েছে ........................... হা সবাই এই লেখাকে গ্রহণ করেনি এটা ভালোদিক............ কিন্তু শত্রুকে পরাজিত করতে হলে তার সম্পর্কে জানতে হবে তারা কেমনভাবে চিন্তা করে তাও জানতে হবে।

    জবাব দিন
  7. শিবলী (১৯৯৮-২০০৪)

    ভাইয়া , আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না পড়তে পড়তে কি পরিমান মেজাজ খারাপ হইছিল......আর আপনারে মনে মনে যে কি কইতেছিলাম, ভাইবা নিজেই পরে লজ্জা পাইয়া গেলাম ।

    জবাব দিন
  8. আসিফ খান (১৯৯৪-২০০০)

    আমার মনে হয় যে কোন বক্তব্যের দুইটা দিক আছে- যুক্তি অথবা বিশ্বাস।আমরা কে কোন পথে হাটব সেটা যার যার অভিরুচি। তবে,যে কোন যুদ্ধকে কেবল ধর্ম বা দেশপ্রেমের ছকে ফেলে দেখলে অনেক ক্ষেত্রেই মূল বিষয়টা আড়াল হয়ে যায়। যেমন- ল্যাটিন আমেরিকার গণঅভ্যুথান(সেখানে কেবল জাতীয় অবস্থান থেকে এগুলো হয়নি) বা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ (উভয়পক্ষেই যোদ্ধারা ছিল মুলতঃ মুসলিম)।
    মূল লেখাটা একজন পশ্চিম পাকিস্তানির অবস্থান থেকে হয়তো গ্রহনযোগ্য। সত্য মিথ্যার বিচারে না-ই বা গেলাম। কারণ,আমাদের জানা প্রচলিত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেও অনেক তথ্য বিভ্রাট আছে।
    "মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার"- রফিকুল ইসলাম পি।এস।সি -র লেখা বইটা পড়লে অনেক অজানা অধ্যায় উম্মোচিত হতে পারে। (উল্ল্যেখ্য, উনি নাসিমের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন ১৯৯৬-২০০১ সেশনে)
    লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। পাহাড়ী ইস্যুতে বাংগালী দৃষ্টিভংগীর থেকে ভিন্ন দৃষ্টিভংগীর বিষয়ে কোন লেখা আছে আপনার??

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।