কামরুল প্রদত্ত ছাগলের সংজ্ঞা’র সাথে একমত হইতে মঞ্চায়

[ভাবছিলাম, কয়েকদিন রেখে এইপোষ্টটা মুছে দিবো। কিন্তু আমার পরের পোষ্ট আর এইটার মধ্যে বেশ কিছু ওভারল্যাপ হয়ে গেছে, মূল পোষ্ট, মন্তব্যে, প্রতিমন্তব্যেও। তাই এটা রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।]

আমার সর্বশেষ পোষ্টের মন্তব্যে কামরুল আমাকে ‘ছাগু’ বলেছে। এতোদিন অনলাইনের জগতে নিজের আত্মপরিচয় সংকটে ভুগতাম। আজ ক্যাডেট সম্পর্কের সূত্রে ছোটভাই কামরুল আমাকে এই সংকট থেকে উদ্ধার করলো। ধন্যবাদ কামরুল (আমাকে ছাগু বলার সাথে সাথে তুমি যে-ই ধন্যবাদ দিয়েছে,

বিস্তারিত»

ইউ’ভ মেসড ইট আপ, ব্র…

[গত কয়েকদিন ধরেই মেজাজ খারাপ ছিল। গতকাল এ’ই নিয়ে বন্ধু রাজীবের সাথে আলাপও করেছি। আজ সকালে পত্রিকার শিরোনাম দেখে মনে হলো ব্যক্তিগত অনুভূতি আর লুকিয়ে রাখার দরকার নেই।]

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটা জাতীয় দাবী। আর এই দাবীর পক্ষে জনমত গঠনের অন্যতম শক্তি অনলাইনভিত্তিক কিছু সক্রিয় দল যারা বিনাস্বার্থে নিজেদের শক্তি-সময়-অর্থ ব্যয় করে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। এদের অন্যতম হচ্ছে আইসিএসএফ, যেখানে রায়হান রশীদ ভাই একজন পুরোধা।

বিস্তারিত»

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (ICT) বিষয়ক হেগ-এর অধিবেশনে আলোচনা

নেদারল্যান্ডস-এর হেগ শহরে গত ২১ নভেম্বর রোম সংবিধি-এর আওতাধীন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি)-এর রাষ্ট্রপক্ষসমূহের সম্মেলনের (Assembly of States Parties) অংশ হিসেবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি)-এর ওপর বিশেষ একটি অধিবেশন আয়োজিত হয়। মূলত দেশীয় আইনের প্রক্রিয়ায় দেশীয় ট্রাইবুনালে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারের উদাহরণ হিসেবেই আইসিটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই আগ্রহ। এখানে উল্লেখ্য, রোম সংবিধি কেবল এ-ধরনের দেশীয় বিচারের উদ্যোগের অনুমোদনই করে না, উৎসাহিতও করে।

বিস্তারিত»

যুদ্ধের প্রয়োজনে ধর্ম কিংবা ধর্মের প্রয়োজনে যুদ্ধ

সকালে ঘুম ভাঙল ৫ মিনিটের মধ্যে পরপর দুটো টেক্সট মেসেজ এর শব্দে।একটি মেসেজ এসেছে আরাকান(রোহিঙ্গা) মুসলমানদের সাহায্যের জন্য আরেকটি
মেসেজ এসেছে ফিলিস্তিনের মুসলমান ভাইদের সাহায্যের আবেদন নিয়ে। মেসেজগুলোতে বলা হয়েছে কত সহজে আমি মায়ানমার ও ফিলিস্তিনের মুসলমান
ভাইদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি। মোবাইলের মেসেজ অপশন এ গিয়ে ARAKAN অথবা FİLİSTİN টাইপ করে নির্দিষ্ট একটা নাম্বারে পাঠালেই আমার
মোবাইল থেকে ৩ ডলারের মতো কেটে নেয়া হবে এবং তা ARAKAN অথবা FİLİSTİN এর মুসলমান ভাইদের জন্য ব্যবহার করা হবে।

বিস্তারিত»

সমসাময়িক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি অন্যতম ট্রেন্ড আছে। দুনিয়ার সকল রাষ্ট্র দুইটি দলে বিভক্ত। এক তাদের দলে, দুই শয়তানের দলে। আমাদের দেশের সরকারি দলের মানসিকতাও এমন হয়ে যাচ্ছে। হয় তুমি আওআমী লীগে, নয় তুমি স্বাধীনতাবিরোধী, জামাত শিবিরের দলে।

এই সরকারের সমালোচনা করলেই তারা তার মধ্যে শিবির, জামাত আর জঙ্গিবাদের ভূত দেখে। নিজের দোষ ঢাকার এর চেয়ে ভাল উপায় আর কি হতে পারে? সরকার সমালোচনা করলেই আপনার পশ্চাতদেশে জামাতের সিল লাগিয়ে দিবে।

বিস্তারিত»

পশ্চিমের আধুনিক নারীদের আধুনিক সমস্যা

(এই লেখাটি আগে অন্য একটি ব্লগে ছাপা হয়েছিলো। নীতিমালা বিরুদ্ধ হলে মডআরেটর লেখাটি সরিয়ে দিতে পারেন।)


প্রথম যখন আমেরিকায় আসি, সেই ১৯৯৮ সালের অক্টোবর মাসের কথা, মনে হচ্ছিল চারপাশের সবকিছু দেখে খুব বিস্ময়াভূত হবো। কিন্তু না, তেমন কিছু ঘটছিলো না। দেশ আর বিদেশের পার্থক্য তো আছেই। যানজটহীন মসৃণ আর প্রশস্ত রাস্তায় তরতর করে সব ফিটফাট গাড়ি ছুটছিল। এ আর নতুন কি?

বিস্তারিত»

রক্ত-ইতিহাসের পূর্ব ইতিহাস: দায়ের শিকার তরুণ নবাব স্রাজউদ্দৌলা (ইতিহাস পাঠশালা:বাংলার নবাবী আমল)

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন ছিল বাংলার ক্ষমতার ইতিহাসের এক জঘন্য কালো অধ্যায়। পলাশীর আম বাগানে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব স্রাজউদ্দৌলা’র করুণ পরাজয় নিয়তি অবধারিত। ব্যক্তিজীবনে উচ্ছৃঙ্খল, স্বধীণচেতা, কিছুটা অপরিণামদর্শী ও একগুয়ে স্বভাবের হলেও উচ্চাভিলাসি এ দেশপ্রেমিক তরুণ ইংরেজ আগ্রাসনের কড়াল গ্রাস থেকে বাংলাকে মুক্ত করে স্বাধীনভাবেই শাসন করতে চেয়েছিলেন এই বঙ্গদেশকে। কিন্তু ইতিহাসের রক্তের দায় শোধ করতে গিয়েই বড় অসময়ে নিজের জীবন বিপন্ন করতে হয়েছে এই নবাবকে।

বিস্তারিত»

অরক্ষিত রাজপথে তোমাকে স্বাগত হে প্রিয়তমা

প্রিয়তমা,
তোমাকে গোলাপ দেয়ার সময় নেই এখন
এখন বড় দুঃসময় আমার বাংলার
এখন অরক্ষিত রাজপথে আমার ভাইয়ের রক্ত
আল্পনা এঁকে দেয় প্রিয়তমা
প্রিয়তমা,
এখন মিছিলে যাওয়ার সময়
রক্ত গঙ্গার স্রোতে আগুনে আগুনে বিক্ষুদ্ধ জনতার মিছিলে যাওয়ার সময়
আরো একটি কবিতা লিখবো প্রিয়তমা
আবার যেদিন রাজপথে মুক্তমনাদের ছড়াছড়ি হবে
আবার যেদিন স্লোগানে স্লোগানে প্লাকার্ড হাতে
সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার থাকবে
আবার যেদিন হাসিনা-খালেদা এক প্লেটে খাবে ভাত
নিজামি আযম পিষ্ট হবে ধ্বংস হবে মৌলবাদ
প্রিয়তমা তোমাকে কবিতা শোনাবার সময় কোথায় বলো
এখন একটি কবিতা হবে সবার জন্য
শব্দের তরঙ্গে ভেসে যাবে স্তদ্ধ বিকেলের নিজর্নতা
কথার খই ফুটে উঠবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সব ভয়াবহ সমীকরনে
প্রিয়তমা
এখন যৌবন দীপ্ত মিছিলের আগামি প্রভাতে শব্দের গাঁথুনীতে হবে ভাস্কর্য,হবে দাবানল,হবে জেগে ওঠার নতুন মন্ত্র
আগামি জন্মে তোমার গর্ভে যে ভ্রুনের জন্ম হবে প্রিয়তমা
আমি তার নিঃশ্বাস নেবার জন্য একটি বাংলা রেখে যেতে চাই
আর একটি প্রান ঝরে গেলে রাজপথে
প্রিয়তমা আমি রাজনীতির পেটে লাত্থি দিতে চাই
ধ্বংস করতে চাই পাশবিকতার সব দেয়াল
প্রিয়তমা একটি রক্ত জবাও ফুটলে
তোমার আঙিনায়
আমি তার জন্য নিরাপদ এক আবহাওয়া চাই
আমি তাকে পুষ্টি দেবার জন্য জল চাই।

বিস্তারিত»

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম প্রসঙ্গে আমার ভাবনা

সম্প্রতি সিসিবিতে বেশ কিছু ব্লগ এসেছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ বিষয়ক, অন্যান্য কিছু ব্লগে আলোচনার প্রাসঙ্গিকতায় মন্তব্যেও এসেছে এ’ বিষয়টি। ক্যাডেটরা এতে ক্রমশঃ আগ্রহী হয়ে উঠছে, এটা আমার কাছে খুব উৎসাহ-জাগানীয়া। কারণ, দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানের সেরা ছাত্রছাত্রীদের একটা দল আমাদের চারপাশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় উদাসীন থাকবে- এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। আফটারঅল, আমাদের সকলের প্রতি বাংলাদেশ নামের দেশটি অনেক অর্থ, সম্পদ, লোকবল, ইত্যাদি ব্যয় করেছে ক্যাডেট কলেজে পড়াতে গিয়ে।

বিস্তারিত»

ছাত্র রাজনীতি ও বিব্রতকর কিছু প্রশ্ন

এই লেখাটা যখন শুরু করার জন্য কি বোর্ডে আঙ্গুল চালাই তখন দেখলাম দুজন সদস্য ও জনাকয়েক ভিজিটর রয়েছেন সিসি ব্লগে। একজন সদস্য আমি আর আরেকজন ব্লগ অ্যাডজুটান্ট। ক্যাডেট কলেজের ছয় বছর অ্যাডজুটান্ট নামক প্রাণিটি হাড় মজ্জায় যে ভীতি ঢুকিয়ে দিয়েছিলো তা আজো যায়নি। আজো অ্যাডজুটান্ট নামধারী কাউকে দেখলেই হয়। হৃদকম্প বেড়ে যায় নয়তো কয়েকটা মিস করি। অ্যাডজুটান্টরা বা সামরিক বাহিনীর লোকেরা যে ততটা ভীতিপ্রদ না তা প্রথম বুঝতে পারি ক্যাডেট কলেজ থেকে বের হবার পরে।

বিস্তারিত»

তিন দশক পর সফল হলেন জিয়াউর রহমান

গত শতকের আশির দশকে নেওয়া জিয়াউর রহমানের ‘কর্মসূচি’র সাফল্য দাবি করতে পারি এখন আমরা! পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী : বাঙালি অনুপাত এখন প্রায় ৫০ : ৫০! তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে দুটিতে এখন আমরা বাঙালিরা সংখ্যায় পাহাড়িদের চাইতে বেশি! আমরা বাঙালি শাসকগোষ্ঠি এখন ‘নাকে তেল দিয়ে ঘুমাতে পারি’ এই ভেবে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আর স্বাধীন হতে পারবে না! পাহাড়িরা বড়জোর আগামী দশকে প্রকৃতভাবেই নিজভূমে পরবাসী হবে!

যারা জানেন অথবা জানেন না তাদের সবার জন্যই বলি,

বিস্তারিত»

ঝরে না পড়া সূর্যমুখীদের কথা

কেমন যেন ঝাপসা লাগছে চারিটা দিক। সিলিং এর দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি। সিলিং এর ইন্টেরিয়র কালারটা যে কি ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। কখনো সাদা, কখনো হলুদ, আবার কখনোবা হালকা গোলাপী লাগছে। কেমন যেন একটা ঘোর লাগা ভাব। সিলিং ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোই লাগছে। ছন্দিত গতিতে চরকির মত ঘুরে যাচ্ছে অনবরত। আচ্ছা এই সিলিং ফ্যান এর কয়টা পাখা? তিনটা? নাকি চারটা? ঠিক এই প্রশ্নটাই আমাকে ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ভাইভাতে জিজ্ঞাসা করেছিলেন একজন আর্মি অফিসার।

বিস্তারিত»

ইহাই কি ছাত্র রাজনীতি ?

খুব বেশিদিন আগের ঘটনা নয় । তখন আমাদের ৪র্থ সেমিস্টার ফাইনাল চলছে । সেমিস্টার ফাইনাল এর ৪র্থ পরীক্ষা শেষ করে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে বিকেলে একটি দোকানে নাস্তা করতে গিয়েছি ।প্রচণ্ড গরম । আমরা কয়েকজন মিলে একটা বড় টেবিলে বসেছি । আমরা যেখানে বসেছি সেখানে ফ্যান আছে । ওই বড় টেবিলে আরও ৩-৪ টি চেয়ার ফাঁকা আছে । কিন্তু ওইখানে কোন ফ্যান নাই । তো আমরা কয়েকজন মিলে নাস্তা শুরু করে দিয়েছি ।

বিস্তারিত»

কিছু বিদেশী ছাগু ও একটি দুঃখ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তুরস্ক সফর চলাকালিন সময়ে কিছু বিদেশি ছাগু একত্র হয়ে ছাগু(সংবাদ) সম্মেলন করেন।তুরস্কের সংবাদ মাধ্যমে বেশ ঘটা করে ছাপানো হয় খবরটা। আপনাদের নির্মল বিনুদনের জন্য খবরটা বাংলা অনুবাদ করে দিলাম।(http://www.medya73.com/cemaat-i-islamiye-yapilan-zulme-son-verilsin-haberi-912615.html)

*Cemaate- i Islamı’ye yapılan zulme son verilsin(জামাতের বিরুদ্ধে জুলুমের অবসান হোক)
বাংলাদেশে মুসলমানদের উপর চলতে থাকা অন্যায় অত্যাচার এর প্রতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে ‘Mazlum-Der’এর ইস্তানবুল শাখায় তুরস্কের মানবাধিকার কর্মীরা একত্র হন এবং তুরস্ক সফররত (১১-১৩ এপ্রিল ) বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মুসলমানদের উপর চলতে থাকা এই শোষণ নিপীড়ন বন্ধের আহবান জানান ।

বিস্তারিত»

চালকের বাংলাদেশ, বাংলাদেশের চালক


হাড়ির একটা ভাত টিপেই বোঝা যায় হাড়ির সব ভাতের অবস্থা। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে বাংলাদেশের অবস্থা বোঝার জন্য সারা বাংলাদেশ না ঘুরলেও হয়। বিভিন্ন যানবাহনের চালকের সাথে গল্প জুড়ে দিলেই হবে। বাংলাদেশে যখন বেড়াতে যাই তখন আমি ছিন্নমূল। নিজের কোন বাহন নেই। তাই অনেকের বাহন ব্যবহার করতে হয়। অনিচ্ছাতেই। দেশে থাকতে আমি সব সময়ই একা চলে অভ্যস্ত। পদব্রজ, পাবলিক বাস, রিক্সা, গাড়ি –

বিস্তারিত»