ভাবছি, আর খুব বেশী আপডেট দিয়ে এই লিখাটিকে তেমন একটা ভারাক্রান্ত করবো না।
আমার লিখালিখিতে যতটা উৎসাহ, পাঠকগনের মনে হয় না ততটা উৎসাহ আছে তা পড়ায়।
কারো উপর অকারন চাপ সৃষ্টি করতে চাইছি না।
তবে,
ইসিএফ-এ দেয়া এই পোস্টটা এখানে আর্কাইভ করার ইচ্ছা দমন করতে পারছি না।
কারো বিরক্তির উদ্রেক হলে আগাম দুঃখ প্রকাশ করে রাখলাম……
*** *** ***
দুই এক্সক্যাডেট সৌখিন চিত্রশিল্পী সাবিহা জিতু ও ম্যাক্স মাজেদ-এর ৫-দিন ব্যাপী যৌথ চিত্র-প্রদর্শনি হচ্ছে ধানমন্ডি (রোড-১৩, বাড়ি-৭)-তে অবস্থিত শিল্পাঙ্গন গ্যালারীতে।
ঘটনাক্রমে গত তিনিটা দিনই আমার ওখানে যাওয়া হয়েছে।
আমি যে সিসিবির পাঠকদের জন্য প্রদর্শনিটি কভার করছি, সেটা কিন্তু একমাত্র কারন না। তবে আমার বাসা যে খুব কাছে, সেটা যাওয়াটাকে সহজ করেছে।
আসল কারন যাই হোক না কেন, একটা জিনিষ লক্ষ করলাম যে, এই প্রদর্শনির উসিলায় এক্সক্যাডেটদের একটা মিলন-মেলা ওখানে বসছে প্রতিদিন বিকাল থেকে মেলার শেষ পর্যন্ত।
কি হচ্ছে সেই মিলন-মেলায়? আর আমাকে কেন যেতে হবে তা দেখতে?
প্রচুর হা হা হি হি, ডালপুরী খাওয়া, ছবি তোলা, আড্ডা, জিতুর গান – কি হচ্ছে না?
বন্ধুরা বা কাছাকাছি ব্যাচের এক্সক্যাডেটরা দল বেঁধে আসছে কিছুটা সময় আনন্দে কাটাতে।
আর ছবি দেখা?
সেটা তো চলছে নিরবিচ্ছিন্নভাবেই।
যাঁদের চিত্র-প্রদর্শনিতে যাওয়ার অভ্যাস বা আগ্রহ আছে, তাঁদের জন্যেও এখানে একটা চমক আছে। দুই শিল্পীই যেহেতু এমেচার, তাঁরা নিজেদের নির্দিষ্ট কোন ঘরানায় বাঁধেনি।
যা এঁকেছেন, স্বাধীন ভাবে, খোলা মনে, মনের আনন্দে একেছেন। আঁকাআঁকিটাতে মনের আনন্দের এতটাই বাড়াবাড়ি ছিল যে তা খুব সহজেই দর্শকদের স্পর্শ করে যায়।
আরেকটু ভেঙ্গে বলি।
প্রদর্শনি হচ্ছে চারটা কক্ষে। এর একটি কক্ষে সবগুলি ছবি জিতুর আঁকা – আমি বলি “জিতু-কক্ষ”। একইভাবে আরেকটি কক্ষের সবগুলি ছবি মাজেদের আঁকা। আমার ভাষায় “মাজেদ-কক্ষ”।
এই কক্ষগুলির যেকোন একটিতে ঢুকলে কিছুক্ষনের মধ্যেই শিল্পীর স্বত্তা আপনার উপরে এসে ভর করবে।
ছবিগুলো শুধু বোবা ছবি হয়ে দেয়ালে ঝুলে থাকবে না। এক একটা জিতু বা ম্যাক্স হয়ে দেয়াল থেকে নেমে আপনার পাশে এসে দাঁড়াবে। কানে কানে কথা বলবে। আপনি শিল্পীর অজানা কোন এক ব্যক্তিত্বের সাথে পরিচিত হবেন।
এই অভিজ্ঞতা অবর্ননীয়।
একটি মাত্র প্রদর্শনিতে গিয়ে এত এত আনন্দময় অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ জীবনে খুব বেশী একটা যে আসবে না, সেটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলে দিতে পারি।
আর এটা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য জিতু ও ম্যাক্স যে দুঃসাহস দেখিয়েছে, সেইজন্য তাঁদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তো, কি ভাবছেন?
যাবেন নাকি আজ বিকেলে?
আমিও থাকবো, আশাকরি। পরিচয়-পর্বটা তখনই নাহয় সেরে নেবো।
প্রদর্শনি নিয়ে কিছুটা ধারনা পেতে এই ভিডিওটা দেখতে পারেন।
আর ওদের ইভেন্ট পেইজ হলো এটা।
আরেকটা কথা।
আপনি ছবি সংগ্রাহকারী হোন বা না হোন, এখানে এসে যদি কোন ছবি মনে ধরে যায়, সেটা কিনে ফেলা কিন্তু খুব কঠিন কিছু না। এক কার্টুন সিগারেটের দামে মানে ২০০০ টাকায়ও চমৎকার ছবি মিলবে। একটা পিজার দামের মানে ১৫০০ টাকার ছবিও আছে। এই রকম রিজনেবল দামে এত চমৎকার একটা প্রদর্শনির পরিবেশ থেকে ছবি কেনার সুযোগ কিন্তু জীবনে খুব বেশী পাবেন না।
এইটাও গ্যারান্টি দিয়ে বলে দিতে পারি!!
আসছেন তো?
আজ বা কাল বিকেলে?? দেখা হবে…………
==================================
চতুর্থ আপডেট: (২৫-০৪-২০১৪ : রাত ১০টা)
আজ গ্যালারি ছিল জমজমাট। আমার পরিচিত যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে ফেরদৌস (জেসিসি/৮৩-৮৯) ও অনার্য তাপস অন্যতম।
তাপস আমার ফেবু ফ্রেন্ড। গ্যালারি জলরং-এ ছিলেন। আর্ট একজিবিশনে অভিজ্ঞ। কিছু টেকনিকাল বিষয় জানালেন।
আমার ইনভিটিশন পেয়ে যারা এসেছিল, তাঁরা হলো রিনথি ও তিশা।
খুব ভাল লাগলো ব্যাপারগুলা।
আজ দুটি ছবি কিনলাম নিজের জন্য। আবার আমার এক বাংলাদেশি-আমেরিকান কাজন এর জন্য দুটো ছবির ফরমায়েশ দিলাম।
ও আমার পোস্টগুলো ফলো করছে। সেখান থেকেই পছন্দ করে কিনতে বললো।
ছবিগুলো দিচ্ছি…
আরও কিছু ছবি পছন্দ হয়েছিল ওর। কিন্তু সেগুলি অলরেডি বিক্রিত হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত বিক্রয় হওয়া ছবির সংখ্যা ২০-এর চেয়েও বেশী।
বাই দ্যা ওয়ে, যারা ফলো করছেন এবং কিনতে ইচ্ছুক, আমাকে জানান।
দেখি কি করা যায়……
আরেকটা কথা।
আজ মাহবুবুল আলম স্যার এসেছিলেন। অনেকদিন পর স্যারের সাথে দেখা হলো…
তাপস জানালেন, তিন দিনে ৬২টা ছবির মধ্যে ২০টির বেশী বিক্রি হওয়া নাকি বিরাট ব্যাপার। আসলেই নাকি???
শেষ বেলার বিশেষ আকর্ষন ছিল খালি গলায় গাওয়া জিতুর গানগুলি। এখানে একটা ছবি দিচ্ছি।
=======================
শুরু করি তৃতীয় আপডেট (২৫-০৪-২০১৪ : বিকাল ৩টা)
ডে থ্রীতে ঠিক বারোটায় পৌছুলাম।
গিয়ে দেখি কেউ নাই।
এর মধ্যে বৃষ্টি নামলো। বাইসাইকেলে গেছি বলে আটকা পড়ে গেলাম।
কি করি? কি করি??
হঠাৎ মনে হলো ভিডিও করে ফেলি না কেনো?
যেই ভাবা, সেই কাজ।
ভার্চুয়াল ট্যুরে স্বাগতম………
ছিল, ছবিব্লগ, অডিও জুড়ে বানালাম ছবি-কাম-অডিও ব্লগ।
এবার ভিডিও জুড়ে দেবার পরে দাঁড়াবে ছবি-কাম-অডিও-কাম-ভিডিও ব্লগ।
লাইফ ইজ বিউটিফুল!!!
কিছু নাম্বার
শুরুতে ছিল ৪৯টি ছবি।
এখন আছে ৬২টি। এরমধ্যে:
জিতুর আঁকা ৩৮টি
মাজেদের আঁকা ২৪টি
এখন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ১৩-১৪টি।
এইগুলা কোন অফিশিয়াল স্ট্যাটিসটিকস না। আমার হ্যান্ড কাউন্ট।
অফিশিয়াল নাম্বার থেকে সামান্য এদিক-ওদিক হতে পারে…
ভিডিওটা দূরে থাকা কিন্তু সার্বক্ষনিক ব্লগ-সঙ্গি: নূপুর, সাবিনা, রুনা, মাহবুব ও আরও অনেককে ডেডিকেট করলাম।
=====================
আমার কিছু ভাবনা দেই দ্বিতীয় আপডেটের আগে:
গতকাল সন্ধ্যায় ছোট্ট একটা কাজে শিল্পাঙ্গনে গেলাম দ্বিতীয় বার।
আমার নেয়া একটা ছবি দেখলাম ক্যামেরায় ধারন করা হয়নি, ওটা ধরতে।
গিয়ে দেখি, শিল্পীসহ মেলার সবাই একটি রুমে আড্ডারত।
আমি চাইনি ওদের আড্ডায় ব্যাধাত ঘটুক। তাই সন্তপর্নে নির্দিষ্ট কক্ষে ঢুকে গেলাম।
ওটা ছিল জিতুর একক ছবির কক্ষ।
জরুরী কাজটা সেরে, একটা একটা করে ছবি দেখছিলাম আর তার পিছনে নিয়োজিত শ্রম, মেধা আর সময়ের এস্টিমেট করে যাচ্ছিলাম। ওখানে উনিশটি ছবি ছিল।
শিল্পিকে কি ভিষন একটা কর্মযজ্ঞ যে চালাতে হয়েছে এই উনিশটি ছবিকে এইরকম একটা প্রদর্শনযোগ্য অবস্থায় আনতে, সেটা ভেবে আপ্লুতই হলাম।
আমি রুমের মাঝখানে দাড়িয়ে কিছুক্ষণ চারদিক ঘুরে ঘুরে সেই সাধনা-শ্রম-মেধার প্রতি অভিবাধন জানালাম।
বেশ কিছুক্ষণ নিরবে একাকি দাড়িয়েও থাকলাম।
এরপর একই কাজ করলাম, মাজেদের একক ছবি সম্বলিত কক্ষে গিয়েও।
কারোই খুব বেশী কল্পনা শক্তির প্রয়োজন হবে না, শিল্পিদের এই এফর্ট হৃদয়ঙ্গম করতে।
এরপরেই এল সেই দুর্বিনত ভাবনাট?
বিনিময়ে কি পাচ্ছেন এই শিল্পিরা?
এত কষ্টের এই ছবিগুলি তো তাঁদের সন্তানের মত। সেগুলিকে অন্যের হাতে তুলে দিতে হবে। একটুও কি হাত কাপবে না?
বলবেন, কড়ির বিনিময়ে দিচ্ছেন, কাপাকাপির কি আছে।
কথা ঠিক। কিন্তু আসলেই কি ঠিক?
কতটা কড়ি।
ঐ দুই রুমে রাখা ছবিগুলোর যে রকম মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে, আমার মনেহলো, সব ছবি বিক্রি হয়ে গেলেও ৫০% বা আরও বেশী টাকা আসলে ছবিগুলির প্রোডাকশন ও এডমিনিস্ট্রেটিভ এক্সপেন্স-এই চলে যাবে। পাচদিনে সব ছবি তো আর বিক্রি হবে না। তাহলে তা গিয়ে দাড়াতে পারে ৬০-৭০% বা আরও বেশিতে।
যদি খুব কম ছবি বিক্রি হয়, হয়তো দেখা যাবে বিক্রি হওয়া ছবির দামে খরচই উঠলো না। কি হৃদয় বিদারক হবে ব্যাপারটা, তাই না?
ছবিগুলোর দাম বেশ কমই। মোটামুটি ভাবে ২০০০-৮০০০ টাকার মধ্যে।
দেখে মনে হলো অর্থ উপার্জন না, বরং দর্শকদের কাছে পৌছুনোই শিল্পীদ্বয়ের মূল উদ্দেশ্য।
তাঁদের ছবি অন্যের হাতে যাক, অন্যের ঘরে সোভা পাক, মুলতঃ এটুকুই তাঁরা চেয়েছেন একটা কস্ট শেয়ারিং-এর মাধ্যমে।
যে মূল্য দিয়ে আমরা ছবিগুলি কিনছি, তা আসলে শিল্পীর সম্মানী বা লাভ নয় বরং তার আকাঙ্ক্ষার সাথে একটা পার্টানারশীপ তৈরী করা পথ।
যারা যারা যাচ্ছেন, তাঁদের সবাইকে এই পার্টানারশীপে অংশগ্রহন করতে উৎসাহিত করতেই আমার আজকের এই লিখাটার অবতারনা।
আর যারা এখনও যান নাই, তাঁদের প্রতি আহবান, ভেবে দেখার –
“এই রকম একটা মহৎ প্রচেষ্টার অংশ হতে আপনার কি ইচ্ছে হচ্ছে না?”
যদি হয়, দেরী কিসের?
ঘুরে আসুন আজ দুপুরের পর কোন এক সময়ে।
চমৎকার কিছুটা সময় যে কাটবেই, সেই গ্যারান্টি দিচ্ছি নিঃসংকোচে।
আর, সাথে বাড়তি পাওনা হলো এক মহৎ প্রচেষ্টায় অংশগ্রহনের একটা সুযোগ পাওয়া।
সেইক্ষেত্রে ছবিটা হবে উপরি যাকে বলে ফ্রী…
কি যাচ্ছেন তো???
ছবি কিনছেন তো????
==================
আপডেট (২৪-০৪-২০১৫)
বেশ কিছু নতুন ছবি এসেছে। এখনও নাম বসে নাই। কিছু দিলাম এখানে।
ছবি সম্পর্কে উভয় শিল্পীর কথা শুনতে চাইলাম।
দুটো ছবি নিয়ে মাজেদ যা বললো তা নিম্নরূপঃ
সাবিহা কিছু বলতে চাইলো না।
বললো “আমার নতুন কিছু বলার নাই। দর্শক ছবি দেখে যা বুঝে নেবে, সেটাই আমার কথা।”
প্রথম দর্শক হিসাবে প্রথম অনুভূতি জানানোটা দায়িত্ব ও কর্তব্যই শুধু না, অধিকারও 🙂
ঠিক ১২টায় ঢুকে দেখলাম তখনও ছবিগুলিতে ক্যাপশন লাগে নাই।
তবুও ঘুরে ঘুরে দেখলাম।
ভালো লাগলো।
একটি কক্ষে কেবলই মাজেদের ছবি। আরেকটি কক্ষে জিতুর। আরেকটি কক্ষে জিতুর তিনটি বাদে সব মাজেদের।
শেষ কক্ষটিতে দুজনের সমান সমান।
মোট ৪৯টি ছবি
নীচে প্রায় সব ছবিই দিলাম
আপাততঃ এই টুকুই থাক
পরে আরও আপডেট দেবো যোগ করে দিচ্ছি…
এই পর্যন্ত দিতে পারলাম।
গুগল-প্লাসে একটা স্টোরি আছে এই সম্পর্কিত দেখা যাবে এখানে
দেখুন।
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
যেই মডারেটর ব্লগ দুইটা ইউনিফাই করে দিয়েছেন তাকে অনেক ধন্যবাদ
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
অসাধারণ কিছু ছবি দেখলাম। রঙের মেলা যেন।
একটা রিভিউ দেন পারভেজ ভাই।
জিতু আজকাল এদিকে আসেই না।
রিভিউ দিতে যে বিদ্যে লাগে, তা কি আর আছে রে ভাই?
হ্যা, রং এর খেলাগুলো উপভোগ্য।
লালের প্রাধান্য চোখে পড়ার মত।
একি তারুন্যের জয়গান?
জিতু কেন আসে না, তা তো জানি না।
রাজীব একবার বলেছিল "খেয়ালী মানুষ"।
হয়তো অন্য কোনো খেয়াল নিয়ে মেতে আছে।
শেষ হলে দেখা মিলবে।
আর শেষ না হলে এভাবেই চলবে। (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
এই সুন্দর ছবিগুলো আপলোড করার জন্য ধন্যবাদ। ৩,১৬,১৭ আর ১৯ খুব ভালো লেগেছে।
কিছু ছবি খুব মনে ধরেছে।
হালকার উপরে দেখেই।
ভাবতেছি আকলো ক্যামনে !
যেতে হবে।
তবে একটা জিনিস কিঞ্চিত খচ-খচ করছে।
ফেস্টুনটা।
যাকগে। অনেকগুলো ছবি। এগুলো রেডী করতে যে কী প্রাণান্ত কষ্ট হয়েছে ! ভাবতেই আমার ভয় লাগছে।
ব্রাভো ! আর্টিস্টস ! ব্রাভো !
প্রত্যেক ছবি আলাদা করে তোলা হলে এবং ভালো ক্যামেরা দিয়ে তোলা হলে আরো উপভোগ্য হতো।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আলাদা আলাদা ভাবে তোলার কাজ চলছে। আজ আরও কিছু ছবি দেবো।
তবে এরচেয়ে ভাল ক্যামেরা আমার কাছে নাই বলে দুঃখিত।
আসলে এইটা তো দুনিয়ার কমন প্রবলেম:
যার উৎসাহ আছে, তার রিসোর্স নাই
আর যার রিসোর্স আছে, তার উৎসাহ নাই।
অনেককেই দেখলাম ডিএসএলআর দিয়ে ছবি তুলছে কিন্তু ওরা হয়তো তা ব্লগে পোস্ট করতে ইচ্ছুক না।
কি আর করার, সিসিবির পাঠকের জন্য পারভেজের ৮ মেগাপিক্সেলই ভরসা। 🙁 🙁 🙁 (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙂
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আজ ঘুরে এলাম 'প্রয়াস' থেকে। ভাল লেগেছে।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
আমি দুইবার গিয়েছি।
তাও তোমাকে মিস করলাম.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ভাইয়া লজ্জা পেলাম। আমার মত অভাগাকে আপনার না দেখলেও চলবে। কিন্তু আপনার সাথে দেখা করার আমার বড় সাধ।
আপনার কথা জিতু-মাজেদের মুখে এতবার শুনলাম; আপনার সাথে ভার্চুয়্যাল জগতের এই কথপোকথন; তার ওপরে আবার আপনি আমার একটা ব্লগে যে পরিমান মনোযোগ দিয়েছিলেন, তখন থেকেই আপনার সাথে দেখা করার সাধ রয়েই গেছে। তার ওপর বোনাস হিসেবে, খুব সম্ভবত আমরা দুজনে একই প্রফেশনের মানুষ। এবারে মনে হয় কানের পাশ দিয়ে দেখা হওয়াটা ছুটে গেছে।
নো প্রবলেম ভাইয়া! আমি আশাবান মানুষ। দেয়ার ইস অলয়েজ আ নেক্সট টাইম ... কি বলেন ভাইয়া? (সম্পাদিত)
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
শুনো, আমি অতি সাধারন একজন মানুষ।
আমার সাথে এত বিনয়ের কিছু নাই।
তুমি যতটা উৎসাহী আমি তার থেকে কোন অংশে কম না।
ক্লাবে আসো কিনা, জানি না। যদি আসো তো বি মাই গেস্ট টুমরো, ল্যাটা চুকে যাক - কি বলো?
কাল আমি ছটা-সাড়ে ছটার মধ্যে যাবো, গিয়ে জিমে ঢুকবো।
ইনবক্সে সেল নাম্বার দিচ্ছি...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
নতুন কিছু ভাবনার সন্নিবেশ ঘটালাম।
পড়ে দেখলে কৃতজ্ঞ হবো.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
শীঘ্রিই একটি ভার্চুয়াল ট্যুর সংযোজন করার ইচ্ছা আছে।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
আমাদের মেয়েটা ত প্রতিটা ছবির ক্যাপশন/নাম আমার কাছ থেকে জেনে নিল। শৈশবের কিছু ছবি তার ভালো লেগেছে। দুইজনকে ধন্যবাদ।
ভিডিও এড করেছি।
দেখার জন্য সবাইকে আমন্ত্রন রইলো......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
অডিও, ভিডিও অথবা স্থির চিত্র বা তোমার লেখা সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি ব্লগের জন্য আমার টুপি খোলা অভিনন্দন গ্রহণ করো, ভাইয়া! :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
তোমার কমেন্ট বলো, লিখা বলো - পড়লে কখনোই মনেহয় না, তা বিন্দুমাত্র ম্যাকানিকাল।
ক্যামনে পারো?
পড়লে সবসময়ই বুঝতে পারি তা হৃদয়ের কোন এক কোন থেকে উঠে এসেছে।
এবং আপ্লুত হই।
এটায়ও হলাম। এবং অনেক।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
না গিয়েও মনে হল ঘুরে এলাম
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
সাইদুল ভাই, যাইয়েন। নাইলে ওরা আমারে দোষারোপ করবে দর্শক ভাগানোর জন্য।
গিয়ে দেখেন কত ভাল লাগে......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
সকালে কোর্ট কাচারীর দৌড়ঝাঁপ শেষ করে চেষ্টা করবো দুপুরে যেতে। জানি না তখন কাউকে পাওয়া যাবে কিনা। ঘুরে আসাটাই বড় কথা। 🙂
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আজই শেষ দিন কিন্তু।
আজ ঘুরে না এলে, বিরাট মিস।
মনে রেখো.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই,
মনে মনে ভিডিওর কথাই ভাবছিলাম জানেন!
ভাবতে ভাবতেই এসে হাজির। বেশ কিছুটা সময় নিয়ে ছবিগুলো দেখতে চাই। শিল্পীদের প্রতিও কিছু বলবার আছে।
তার আগে আপনাকে অভিবাদন জানিয়ে গেলাম -- আপনার নিষ্ঠা আর সকলের প্রতি আপনার টান দেখে আপ্লুত হলাম বললেও কম বলা হবে।
টান তো থাকেই। এসেও যায় কিভাবে যেন।
অথচ সেটার ভুল ব্যাখ্যাও করে অনেকে।
তখন খারাপ লাগে, তবে দমে যাই না।
তৃতীয় দিন খালি গলায় গান হচ্ছিল। আমি ভাবলাম আমিও পার্টিসিপেট করি। সবার পার্টিসিপেশনে জমজমাট হয়ে উঠুক আসরটা।
একটা কবিতা বললাম। খুব যে ভাল হলো, তা না।
তারপরেও এফর্টটা নিশ্চয়ই ঘৃন্য বা বদ মতলব প্রসূত কিছু ছিল না, তাই না?
সদোদ্দেশ্যজাতই ছিল।
আমাকে যারা চেনে, তাঁদের তো তাই ভাবা উচিৎ বলেই মনে হয়।
যা হোক, গত্কাল রাতে জানতে চেয়েছিলাম,
"ইভেন্ট ইন্ট্রোডাকশনে লিখা ছিল -
"The event is also followed by Acoustic Music Session"
এটা কি হয়ে গেছে?
কাল তো শেষ দিন।
এখনো না হয়ে থাকলে, কাল হবে কি?"
আমাকে জানানো হলো "......no performance from external participant will be allowed."
কষ্ট পেলাম এটা ভেবে যে আমাকে পারফর্ম না করতে দেয়ার জন্যই এই শক্ত অবস্থান।
আবার ভালও লাগলো এটা ভেবে, যে আমার পারফর্মেন্স (মানে আবৃত্তি) যে ভাল লাগে নাই, প্রকারান্তরে সেটা জানাতে কুন্ঠা বোধ করে নাই।
এটায় আমি আমার প্রতি থাকা কনফিডেন্সের প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি যে আমাকে জানানো যায়।
ভাল। শেষ পর্যন্ত এটা তো জানলাম যে আমি তোমাদেরই লোক। খুব বেশী এক্সটারনাল কোন পার্টিসিপেন্ট না...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
🙁 🙁 🙁 🙁
আমরা চির সন্দিহান জাতি, ভাইয়া! সব কিছুতেই মতলব খুঁজি, সন্দেহের তীর ছুঁড়ে দিই অকারণেই।
একটা গল্প বলি, শোন তবে!
একবার এক মাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, মা তুমি তোমার খোকাটিকে কেনো এতো ভালবাসো, বল? খোকার দুই গালে টোল পরে বলেগো, মা?
মা মাথা নেড়ে কন, ওরে না!
এবার প্রশ্নকর্তা বলেন, খোকার হাসিতে মুক্তো ঝরে, তাই বুঝি তুমি তাকে এত্তো ভালবাসো, মা?
মা আবারো মাথা নেড়ে বলেন, ওরে নাগো!
এবার প্রশ্নকর্তা বলেন, খোকা গুটি গুটি পায়ে হেঁটে এসে তোমার বুকে ঝাঁপিয়ে পরে বলেই কি তুমি তাকে এত্তো ভালবাসো?
মা এবার বলেন, ওরে খোকা আমার খোকা বলেই আমি তাকে প্রাণের চেয়েও বেশী ভালোবাসিরে!
আমার গল্প বলবার শানে নজুল হলো, ভাইয়া তুমি কিন্তু তুমি এমন বলেই আমরা তোমায় এত্তো ভালবাসি!
গল্পটা দারুন তো!!!
আর এরকম দারুন একটা গল্পে আমাকে জড়ানোটাতে খুবই সম্মানিত বোধ করছি।
কারো জন্যই তেমন কিছুই কিন্তু করতে পারি না, তবুও যখন ভালবাসার কথা শুনি, আপ্লুত হই। চোখে পানি এসে যায়।
জীবন আসলেই সুন্দর। এই কথাটা বার বার মনে হয়.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
দারুন কভারেজ দিলেন পারভেজ ভাই, সুযোগ থাকলে অবশ্যই একবার ঘুরে আসতাম। আপাতত আপনার চোখেই দেখা হলো 🙂
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
দূরে থাকলেও দেখার ইচ্ছা ছিল তোমার, সেটা জেনে ভাল লাগলো।
আর এইরকম ইচ্ছাধারীদের কিছুটা ইচ্ছা পুরনেই এই প্রচেষ্টাটা নিয়েছিলাম।
ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap:
তোমার প্রতিদিনের লেখা পড়ছিলাম, পারভেজ ভাইয়া! কী চমৎকার করেই না তুমি আমাদের মত অভাগা প্রবাসীদের ঘুরিয়ে নিয়ে এলে শিল্পাঙ্গন থেকে। তোমার এই ছুটোছুটির অংশীদার আমিও কিন্তু। আমাদের গুণীজন আঁকিয়েদের পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ, ভাইয়া তোমাকে।
আমার সশদ্ধ অভিবাদন গ্রহণ করো! :hatsoff: :hatsoff:
ছবি বিশেষ বুঝি বলে মনে হয় না। আমার কাছে ছবি মানে হলো রঙ তুলির আঁচড়ে আঁকা কবিতা! তোমার চোখে সেই কবিতা পাঠ করতে পেরে আমার আনন্দের শেষ নেইগো, ভাইয়া!
আবারো মন ছুঁয়ে গেল।
পরে অনুভূতি লিখবো।
এখন দৌড়াচ্ছি পরীক্ষার জন্য কোশ্চেন রিপ্রোডাকশান করতে।
উঠলাম, বাই.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
খুব সুন্দর করে এই ইভেন্টের কাভারেজ দেয়ার জন্য পারভেজকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভিডিও ক্লিপ আর স্টীল ছবিগুলোর জন্য তার বাড়তি ধন্যবাদ প্রাপ্য।