এখনো “প্রয়াস”-এর সাফল্যাক্রান্ত হয়ে আছি।
তাই লিখালিখি থেকে প্রয়াসের প্রভাব কাটছে না।
ওখানে দেখা ছ’টি ছবি দেখে তা একটা ধারাবাহিক গল্পের প্লট বলে মনে হয়েছিল।
পরে বুঝলাম, সেই গল্পের শেষটা খোঁজা দরকার।
খুজতে গিয়ে ২০১৫-তে আঁকা দুটো ছবি পেলাম।
এবং ভেবে দেখলাম, দুই ছবি দিয়ে দুই ধরনের শেষ টানা যায় গল্পের।
হয়তো ছবি দু’টো একত্রে তৃতীয় আরেকটা সমাপ্তিও হতে পারে।
দেখতে চান ছবি দিয়ে গড়ে ওঠা সেই গল্পটি?
প্রথম ছবিটার নাম “সুখটান”। এটা এক একাকি নারীর প্রতিনিধিত্বকারী ছবি। একাকিত্বের মধ্যেও তার নিজেকে সঙ্গ দেয়াটা সম্বলাইজ করে এটা।
“সুখটান” নামে গল্পের প্রথম যে অধ্যায়, সেখানে তার একাকিত্ব মেনে নেয়া ও তারই মাঝে সুখ খুজে নেয়াটা উঠে আসতে পারে।
এইবার দ্বিতীয় ছবি। নাম “ডুও” বা যুগল
এই অধ্যায়ে গল্পের নায়িকার সাথে কোন এক বা একাধিক ব্যাক্তির বন্ধুত্ব বা আরও বেশী নির্ভরতাপূর্ন সম্পর্ক গড়ে ওঠার বিবরন থাকতে পারে, যাঁদের মধ্য থেকে সে কোন একজনকে যেন সে ঘনিষ্টতার জন্য বেছে নিতে পারে।
তৃতীয় ছবির নাম “ইন্টিমেসি” এই নামটাই চলতে পারে অধ্যায়ের নাম হিসাবে। ক্ষতি কি? সবাই তো ইন্টিমেসি কথাটা ভালোই বোঝে। ঘনিষ্টতা করার কি আর কোন দরকার আছে?
এই অধ্যায়ে তাঁদের ঘনিষ্ট হবার বর্ননা রাখা যায়। পড়তে গেলে যেন মনে হয়, “এন্ড দে লিভড হ্যাপিলি এভার আফটার” টাইপের একটা ফিনিশিং-এর দিকে যাচ্ছে গল্পটা।
কিন্তু না। এখনই আসবে টুইস্ট।
সেই টুইস্ট এর জন্য ছেলেটি বা মেয়েটি, যে কেউই দায়ী হতে পারে।
ছেলেটির দায় বোঝ তো খুবই সহজ। আর দশটা টিপিকাল ছেলের মত, ইন্টিমেসির সাথে সাথে মেয়েটাকে সম্পত্তি ভেবে যেমন খুশি তেমন ব্যবহার করা। তবে ওটা বেশী মেলড্রামা হয়ে যাবে।
আমি তাই নতুন কিছু ভাবছি।
আচ্ছা, এমন হলে কেমন হয়, সে টুইস্টটা মেয়েটির দিক থেকে যদি আসে?
সে কেমন? সে কেমন??
বলছি। তবে তার আগে দেখে নেই চতুর্থ অধ্যায়ের ছবিটা। নাম “দ্বিধান্বিতা”
অনেকের সাথে সম্পর্কের মধ্য দিয়ে যাবার পর যখন মিঃ এক্স এর সাথে ঘনিষ্ট হয়ে পরে মেয়েটি, তার মধ্যে এরকম একটা সংশয় দেখা দেয়, মিঃ এক্সই কি তার সোল-মেট? মিঃ ওয়াই নয় কেন?
হতে পারে সে মিঃ ওয়াই এর সাথেও ঘনিষ্টতা পরখ করে দেখে এবং তা থেকে আরও বেশী দ্বিধান্বিতা হয়ে পরে।
এক্স আর ওয়াই-এর মধ্যে কাকে বেছে নেবে সে?
অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে কিছু একটা সিদ্ধান্তে উপনিত হয় সে এবার। আর তা বোঝাতেই পরবর্তি ছবিটি যার নাম “ডিটারমিনেশন”
আর এর ফলশ্রুতিতেই মিঃ এক্স-এর সাথে তৈরী হতে শুরু হয় দুরত্বের।
এটা বোঝাতেই ব্যবহৃত হয়েছে ষষ্ঠ ছবিটি যার নাম “ডিসট্যান্স”
কিন্তু এই ডিসট্যান্স-এর পর কি হলো মেয়েটির শেষ পরিনতি?
সে কি আবার তার ভাবনাহীন পুর্বের অবস্থান মানে সুখটানে ফিরে যেতে পারবে?
মনে হয় সেটা আর সম্ভব না।
তার জন্য হয়তো অপেক্ষা করে আছে “সুখের শংকা”-এ ভরা কোন জীবন।
অথবা, কে বলতে পারে, সে হয়তো পেয়ে যাবে অন্য কোন “ফ্রী স্পিরিট”
অর্থাৎ মুক্তির সন্ধান………
গল্পের সিনোপসিসতো হয়েই গেল। এবার পুরোটা লিখে ফেল
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
আমি যেইভাবে ভাবছি, তাতে তো গল্প না, একটা উপন্যাস হয়ে যাবে।
সেটা লিখিতে হ'লে অনেক সময় লেগে যাবে।
ততদিনে কেউ যদি এই ছবিগুলি অবলম্বনে কোন ছোটগল্প, বড়গল্প বা অন্য কিছু লিখতে চায়, তো মোস্ট ওয়েলকাম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে লুতফুল অলরেডি এই প্লট নিয়ে একটা অনুগল্প লিখে ফেলেছে 🙂 🙂
বিশেষ আকর্ষন : অলংকরনের জন্য ভাবতে হবে না। সেটা অলরেডি করাই আছে। 😀 😀 😀
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ভিন্ন ধর্মী প্রয়াস, ভিন্ন স্বাদ
মাহবুব, থ্যাংক ইউ। অনেক ইন্সপায়ার্ড বোধ করছি।
:thumbup: :thumbup:
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
::salute:: :boss:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
করিতকর্মা আর অলস মস্তিষ্কের এখানেই তফাত ।
তুই কি করে প্রতি বার গিয়ে আপডেট । আবার আবার । তারপর আবার সর্বাংশ সার ।
আর সেই ছবি থেকে গল্প ।
তোর উতসাহ আর নিরন্তর প্রয়াসে আমার মতোন ফাঁকিবাজেরও দু'ছত্রের অণু গল্প দাঁড়িয়ে গ্যাছে ।
তোর উদ্দীপনা আর প্রয়াসকে আবারো স্যালুট ।
কিছু কিছু বিষয় মাথার ভিতর পোকার মত নড়াচড়া করে।
এটাও ছিল সেইরকম কিছু একটা।
আমি তো অনেক প্রতিভা চোখের সামনে দমিত হতে দেখেছি, তাই ভাবছি, এই মডেল ধরে পরবর্তি প্রজন্মের জন্য যদি কোন সুযোগ রেখে যাওয়া যায়, এই আর কি!!
দেখা যাক কতটা কি করা যায়...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
তোর উদ্দীপনার ফল সেই অণু গল্পটা এখানেই মন্তব্যের ঘরে জুড়ে দেবো কিনা ভাবছি ।
এটাই যে ছিলো তার প্রেক্ষাপট ।
আমিই বরং মূল লিখায় দিয়ে দেই।
কি বলিস?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
না না । মূল লেখায় কেনো দিবি !
ঐদিন up in the air দেখলাম।বেশ আগে প্রথম ১০ মিনিট দেখে রেখেছিলাম।
ভালো লাগলো দেখে।
ইন্টারেষ্টিং কাহিনী বিশেষ করে নায়িকার বাসায় নায়কের যাবার মুহুর্তটি।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
দেখতে হবে তো....
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:thumbup: :dreamy: :dreamy:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
:clap: :clap: :clap: :clap:
'প্রয়াস' নিয়ে তোমার সব ছেলেমানুষি প্রয়াস খুব এঞ্জয় করলাম ভাইয়া! তোমার সাথে আমরাও ঘুরে এসেছি গ্যালারি থেকে। তোমার কবিতা পাঠ শুনলাম। নিজের ঘরে সাজানো তোমার কেনা ছবিও দেখা হলো। এখন আবার মেতেছো ছবির পেছনে না আঁকা গল্প নিয়ে। কি করে পারো এতোসব করতে, বলো!
গল্প লেখা জারি থাকুক, ভাইয়া! :boss: :boss: :boss: :boss:
যে যাই কমেন্ট করুক না কেন, তোমার কাছ থেকে দু ছত্র না আসা পর্যন্ত কি একটা জানি অসম্পুর্ন রয়ে যায়, আপু।
আর তা হবেই বা না কেন, তুমি আমাদের সবার একমাত্র পারুল বোন না?
তাই!!!
আর ঐ যে একবার অরূপ বলেছিল না, মাথার মধ্যে কি এক পোকা নড়াচড়া করে?
"প্রয়াস" নামের এই দুঃসাহসি পদক্ষেপ আসলে পোকার নড়াচড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভাবতে পারো, কতটা দুঃসাহসি হলে এখনও মধ্য ত্রিশে না পৌছুনো এক তরুনি আর আর্লি বিশের এক তরুন কেবলমাত্র নিজেদের সামর্থ্যের উপর ভর করে এরকম একটা প্রদর্শনির আয়োজন করতে পারে?
এই দুঃসাহস দেখেও বুঝেও যাঁদের মাথায় অরূপের পোকারা নড়াচড়া করে না, আমার তো মনেহয় তাঁদের নিয়েই বরং ভাবা উচিৎ।
তাই না?
ওরা যে কতবড় একটা পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে, সেটা অনেকের পক্ষেই আসলে ধারনা করাও সম্ভব না.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
:hatsoff: :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
লুৎফুল ভাইয়ার লেখাটা কোথায়, ভাইয়া? পড়তে মন চাইছে খুব। তোমাদের ব্যাচের ভাইয়ারা এসে সিসিবির চেহারাই বদলে দিয়েছে দেখো। ৭৮-৮৪ ব্যাচের ভাইয়াদের প্রাণের প্রাচুর্য দেখে আমি রীতিমত মুগ্ধ! :clap: :clap: :clap: :clap:
এই যে লুৎফুলের অনুগল্প:
~ অণুগল্প। ~
[ ছবি থেকে গল্প : ঠিক নীচের ট্যাগ করা ছবি থেকে গল্প পাগলামির অংশ । উতসর্গ ~ পাগলামির হোতা পারভেজ । ]
জল যৌবন ও জীবন
সম্ভাবনার স্বপ্ন আঁকে অনিতা... আপন স্বাধীন সাম্রাজ্যের নৈর্ব্যক্তিকতাকে ছাড়িয়ে তার চাই বুকে সাগরের ঢেউ জাগাবার মন্ত্রে দীপ্ত কোনো রাজাধিরাজ। অর্কই হয়ে যায় এক দিন তার কাছে সাগর সমান। সাগরতীরে বোনা সখ্যতায় যৌবন জিজ্ঞাসিত সমুদ্রও উদ্বেল হয়। তাদের দিনগুলো সহসাই হয়ে ওঠে তাল-ত্রিতাল যুগল ছন্দবদ্ধ প্রজাপতির যুথ।
সময়ের ভেলা অনবধানে কখন যেনোবা আটকে পড়ে সংগ-অনুসংগের তেষ্টা আর অন্তর্গত বৈরাগ্যের দ্বিধা ও দ্যোতনার চিত্রকল্পে। পরক্ষণে আবার নিজের ভেতরে নিজেই অণু-পরমণুতে ভাংতে ভাংতে আপন বিভায় সুসংহত স্থিতধী এক গন্তব্যসন্ধি।
সময় স্রোতপল্লবে ভবিষ্যত এক সময় অবলীলায় আকা হয় অন্তর্গত ইচ্ছাশক্তির দৃঢ়তায়। জীবন তো বহতা জলপ্রপাতেরই অন্য এক নাম। খুব বড় জোর তা কোনো এক দিন নদী। হয়তো সুদূর কখনো বিস্তীর্ণ মোহনা। জলের গতি কখনো যে স্থবিরতার আলিংগণ অপেক্ষাতুর নয়। তা কেবলি চলিষ্ণু... কখনো জল... কখনো বা মেঘ...
২৭ এপ্রিল ২০১৫
১২:১৫ পূর্বাহ্ন
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
একটা প্রদর্শনী থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আঁকা ছবি বেছে নিয়ে গল্পের একটা রেখা তৈরীর আইডিয়া অসাধারণ। জিতুর সিগনেচার শুধু ছবির নীচে নয়, সারা ছবিতেই স্পষ্ট।
আমার কাছে 'সুখটান' সবথেকে ভালো লেগেছে। ছবিটা দেখলেই গল্পের ইলাস্ট্রেশন মনে হয়। সেই যে বিচিত্রা ঈদ সংখ্যায় উপন্যাসের সঙ্গে থাকতো এমন ইলাস্ট্রেশন!
গল্পের স্কেচটা দেখলাম -- যেন চিত্রনাট্যের খসড়া। পুরো উপস্থাপনায় কমিক পড়ার আমেজ পেলাম। :clap: :clap:
"সুখটান" নামের ছবিটা আসলেই অসাধারন।
আমার তোলা ওটার লো-রেজুলেশন এলেবেলে ছবি দেখেও আমার ছবি-সংগ্রাহক ও অধুমপায়ী মার্কিন কাজন যখন এটা নিতে চাইলো, তখন তা আরও ভালভাবে বুঝেছিলাম।
ছবিটার মাইনর ডিটেইল এবং রঙের ব্যবহার, আসলেই মনোমুগ্ধকর।
অরূপ যে মাঝে মাঝে এটা দেখতে আসতে চেয়েছে, তার পিছনে কারন আছে যথেষ্টই...
আমার কাছে অভিব্যক্তিটা সবচেয়ে আকর্ষনিয় বলে মনেহয়।
টানের পর সুখের ফল্গুধারা যে সারা ছবিতে বেয়ে বেয়ে নামছে, সেটা খুবই স্পষ্ট.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
"সুখটান" অবশ্যই খুবই চমৎকার ছবি। আর বাকী অন্যান্য ছবিগুলোকে সূত্রস্থ করে উপন্যাসের রূপরেখা আঁকাটাও বেশ আকর্ষণীয় হয়েছে।
খায়রুল ভাই, মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.