বিষয় বিবর্তনঃ বইয়ের প্রচ্ছদ

আমি ব্লগ লিখি। এবং বইও লিখি। ব্লগে ব্লগর ব্লগর করি আর বইয়ে ফিকশন লিখি। সেই ফিকশন পড়ে আমার স্বল্প পরিচিতরা মনে করেন আমি আসলে আমার জীবনকাহিনী লিখছি। পরিচিতরা কিছু বলেন না। কারণ তারা আমার বই পড়েন না। পড়লেও এখন চুপচাপ থাকেন। একজন-দুজন ছাড়া। এর পেছনে একটা কারণ আছে। আমার প্রথম উপন্যাসে এক-দুবার হয়তো প্রকৌশলীদের ঘুষ খাওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলাম। আমার পরিবার একটি প্রকৌশলী-অধ্যুসিত পরিবার।

বিস্তারিত»

ওয়েস্টার্নঃ ঠান্ডা প্রতিশোধ! ৫ম পর্ব

পর্ব

৯।

পরদিন একটু বেলা করেই আর্থারের বাড়িতে গেল ন্যাশ। বাড়িটা দিনের আলোয় ভাল করে দেখতে পেল। ছোট-খাট হওয়া স্বত্তেও সুন্দর করে সাজানো। সামনে ছোট্ট একটি ফুলের বাগান, দেখেই বোঝা যায় নিয়মিত যত্ন নেয়া হয়। দরজা নক করার কিছুক্ষণ পরই দরজা খুললো র‍্যাচেল। ন্যাশ ওকে দেখেই চিনতে পারল-কেননা ও দেখতে প্রায় ওর মা এর মতনই হয়েছে,

বিস্তারিত»

ওয়েস্টার্নঃ ঠান্ডা প্রতিশোধ! (২য় পর্ব)

১ম পর্ব

৩।

ঐ দিন বিকেল বেলা।
ন্যাশ যখন হোটেল থেকে বের হল ততক্ষণে সূর্যের দাপট অনেকটাই কমে এসেছে। ওর পোশাক-পরিচ্ছদ এখন একেবারে পশ্চিমাদের মতনই। শুধু পার্থক্য হচ্ছে কোমরে কোন গানবেল্ট ঝোলানো নেই। এখন ও যে যেদিকে লক্ষ্য করে হাঁটছে শেরিফের অফিসটা সেদিকেই। শেরিফের অফিসের সুইঙ্গিং ডোর ধাক্কা দিতেই ও দেখল শেরিফ একমনে কি সব কাগজ-পত্র পড়ছে।
-হ্যালো শেরিফ।

বিস্তারিত»

ওয়েস্টার্নঃ ঠান্ডা প্রতিশোধ! (১ম পর্ব)

(এখানে বর্ণিত তথ্য ও উপাত্ত ঐতিহাসিকভাবে সত্য নাও হতে পারে)

১।

সানসিটি, ক্যালিফোর্নিয়া।

শহরের একমাত্র আন্ডারটেকার ডার্টি মরিস এক দলা থুথু ফেলে জানালো কবর খোঁড়ার কাজ শেষ। গত কিছুদিন টানা বৃষ্টি হবার কারনে মাটি নরম হলেও আঠাল ভাবের জন্য কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি এখনো চলছে বলে ইতোমধ্যেই কবরের মধ্যে পানি জমা শুরু হয়ে গেছে। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে গিয়ে সে রীতিমতন ঠকঠক করে কাঁপছে।

বিস্তারিত»

বেনামী …

রাস্তাঘাট হারতাল উপলক্ষে যথেষ্টই ফাঁকা !! চারপাশে কেমন যেন একটা শোক শোক ভাব !! খুব বাজে ধরনের আবহাওয়ায় মন-মেজাজ খুব বাজে থাকে !! মিশ্র আবহাওয়ায় থাকে মিশ্র ! কবিসাহিত্যিক রা ব্যাপার টা কে বলে গিয়েছেন প্রকৃতির লীলা ! এসব লীলা ফিলা আবার কি বিষয় !! , ভাবতে ভাবতেই জানালার কাচ নিচে নামিয়ে দিল মৈত্রী ! সামনেই ছোট খাটো একটা জটলা দেখা যাচ্ছে। ‘আজকাল মানুষের কি কোন কাজ নাই নাকি?

বিস্তারিত»

ফেরারী ৫

পূর্ববর্তী লেখা গুলোর লিঙ্ক

পর্ব ১

পর্ব ২

পর্ব ৩

পর্ব ৪

পাঁচ

২৪ ঘন্টা হয়ে গিয়েছে ওরা হোটেলে শিফট করেছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন তৎপরতা চোখে পড়ছে না।এটা আরও বেশি সন্দেহের উদ্রেগ করছে জিকোর মনে। “ব্যাপারটা কি?”মনে মনে ভাবছে ও।প্রতিপক্ষ এতটা নির্ভার কি করে?গত ২৪ ঘন্টায় মাত্র ২ ঘন্টা ঘুমিয়েছে ও।আজিমি ঘুমিয়েছে ঘন্টা চারেক।এখনও কাজ করে যাচ্ছে ও মাইক্রোচিপটা নিয়ে।

বিস্তারিত»

পবিত্রতা

অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ

দেখে কে বলবে। এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে? রাজপুরীর মত ঝলমলে আলোয় ভরে আছে গোটা শহর। চারিদিকে মানুষের চিৎকার, চেঁচামেচি, আনন্দোৎসব। সবার মুখেই একটা খুশি খুশি ভাব। নাহ! সবাই এই কথাটা ঠিক না। কোথাও না কোথাও অন্তত একজন তো থাকবেই যে খুশি নয়। অখুশি বলবনা, কিন্তু হয়ত সে  বিষন্ন। একা একা চারিদিকে হাটছে আর নিজের প্রতিবিম্ব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

বিস্তারিত»

বই সমালোচনা “বিতংস”

খান আরিফা লোপা আমার বই “বিতংস”এর একটি সমালোচনা করে। সেটি এখানে পোস্ট করে দিলাম।
লোপা বুয়েটে আমার এক ক্লাস উপরে পড়তো – স্থাপত্যবিদ্যায়। যদিও আমেরিকাতে এসে সে বিষয় পরিবর্তন করে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়েছে। লোপার চিন্তা-ভাবনায় তার একটা নিজস্বতাবোধ কাজ করে। ওর বাবা কবি রফিক আজাদ যার “ভাত দে …” কবিতাটি মনে হয় সবারই কমবেশি জানা। যেহেতু এই কবিতাটি রচনাকালের সেই সময়টা আমার লেখায় উঠে এসেছে তাই আগ্রহ ছিল লোপা কি বলে তা জানার জন্য।

বিস্তারিত»

রক ক্যাডেট-ক্যাডেট কলেজে ছেলেদের বেড়ে ওঠার কিছু প্রতিচিত্র

ক্যাডেট কলেজের বৈচিত্রময় জীবন এবং কৈশোরের হরেক রকম মানসিক বিকাশের ধরন… ও, একদল কিশোরের বেড়ে ওঠা নিয়েই … রক ক্যাডেট
(জয়তী প্রকাশনী, স্টল নং- ২৮২, অমর ২১শে বইমেলা, ২০১৩)

অন্যরকম জীবনচিত্র নিয়ে নিরব শব্দে অংকিত এই প্রামাণ্য কথন। বিশেষ এক সামাজিক আচারের চলমান ছবিতে- কৈশোরের বিকাশ, মনোবৈকল্য, স্বপ্নস্বাদ আর ইচ্ছেছেদন। ফুঁস করে ভেসে ওঠে- ব্যস্ত জীবনের অদ্ভূত একাকীত্ব, রাত জেগে চুপিচুপি জোছনা পানের আনন্দ,

বিস্তারিত»

খেলাঘর

খেলাঘর
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ
(………………………………………… this is dedicated to all cadets of 53rd batch of fcc)

আমি কোন বিতর্ক করতে আসিনি,
আসিনি কোন উপদেশ দিতে
শুধু একটি গল্প বলতে এসেছি,
শুধু একটি গল্প।
নাহ! এ কোন ইতিহাস নয়,
রূপকথা? তাও নয়,
শুধুই গল্প, শুধুই কল্পনা –
“একটা ঘর ছিল, খেলাঘর,
খেলার জন্য কিছু পুতুল, সুতো আরও কত কি!
পুতুলগুলো যেন ঠিক লজ্জাবতীর পাতা,
একে অন্যকে আড়াল করে ফেলত পরম মায়ায়
যেন কেউ ছুঁতে না পারে।

বিস্তারিত»

অবশেষে ‘বিতংস’

সিসিবিতে ধারাবাহিকভাবে একটি উপন্যাসটি লিখছিলাম। সেটি গত বছর বই আকারে বের হওয়ার কথা ছিল। শেষ পর্যন্ত তা হয়েছেও। তবে বইমেলাতে নয়। বছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে। আগামী প্রকাশনী থেকে। ২০১৩’র বইমেলাতে সে বইটি আগামী প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে। এবার নিশ্চিত হয়েই কথাটি বলছি। কারণ বইটি আমার হাতে এসেছে। আর আগামী প্রকাশনীও তাদের তালিকাতে বইটির নাম উল্লেখ করেছে। গতবার বইমেলাতে উপন্যাসটি বের হবার কথা ছিল বলে অনেকেই আমার কাছে তার খোঁজ জানতে চেয়েছিলেন।

বিস্তারিত»

ডায়রি

ডায়রি
১৫ডিসেম্বার ২০১২
সবাই বলে –আমি না’কি ঠিক আমার বাবার মত।সেই নাক,সেই চোখ,সেই চেহারা।আমি আবার এত কিছু বুঝি না।জমজ ভাইবোনদের ভেতরই আমি মিল পাই না,আর তো বাপ-ছেলে!কিন্তু বাবার সাথে আমার মিল আছে।স্বভাবের মিল,অভ্যাসের মিল; তাও আবার যে-সে অভ্যাস ন্য।ডায়রি লেখার অভ্যাসের মিল।বাবা প্রচুর ডায়রি লিখতেন যেই অভ্যাস পৈতৃক সূত্রে আমার পাওয়া।বাবা সেগুলো রেখেও গেছেন আমার জন্য,কিন্তু সেগুলো পড়া বারন আমার।বাবা না’কি ফুফুকে বলে গিয়েছিলেন ২০ বছর হবার আগে যেন কোনভাবেই সেইগুলো আমাকে পড়তে দেওয়া না হয়।না আমার বাবা কোথাও ঘুরতে যান নি,আমাদের ছেড়ে পালিয়েও যাননি।উনি আর নেই।ঢাকা ভার্সিটির টিচার ছিলেন,

বিস্তারিত»

ইস্তানবুলের ডায়েরি

সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…

বিস্তারিত»

গল্পটা আর যে রকম হতে পারতো…(১)

১.
ছেলেটা গাঁজা খায়,বাট ভালো কবিতা লিখে।তিয়াশা অবশ্য কবিতার অতশত বুঝে না,বন্ধুদের মুখে অনেক প্রসংশা শুনেছে।তবে কথা বলতে পারে দারুন।চার্ম একটা!গাঁজা-ফাজা খেয়ে কী আবোল তাবোল আওড়ায়,তাও ভালো লাগে তিয়াশার।অদ্ভুত একটা লোক!লোকই তো!মুখে রুক্ষ্ম দাড়ি গোঁফ।খোচা খোচা!ম্যানলি অবশ্যই!ডার্ক এন্ড ডিপ।কবিতা লিখলেও ল্যাদল্যাদে না,ন্যাকা না।স্মার্ট এবং চালু মাল।কথা শুনলেই বোঝা যায়।স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড।কোন লুকোছাপা নেই।কেমন সরাসরি বুঝিয়ে দিলো!অবশ্য কোড করা কবিতায়।তিয়াশা কবিতা অত না বুঝলেও ঈঙ্গিতটা বুঝেছে!মেয়েদের আবার একটা এক্সট্রা ইন্সটিংক্ট থাকে কিনা!

বিস্তারিত»

পুতুল নাচের ইতিকথা -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়-বিষাদ ভরা উপন্যাসটি

মানিকের অন্যান্য লেখার তুলনায় ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ পড়তে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল আমার।পড়ার জন্য তাগাদা দিয়েছিলেন কাজী স্যার।স্যার প্রায়ই এই বইটির কথা ক্লাসে বলতেন,আর আমার আগে রফিক বইটি পড়ে ফেলেছিল তাই আমিও পড়তে লাগলাম।
বইয়ের শুরুটা অভিনব ও চমৎকার-

‘খালের ধারে প্রকাণ্ড বটগাছের গুঁড়িতে ঠেস দিয়া হারু ঘোষ দাঁড়াইয়া ছিল। আকাশের দেবতা সেইখানে তাহার দিকে চাহিয়া কটাক্ষ করিলেন। …স্থানটিতে ওজনের ঝাঁজালো সামুদ্রিক গন্ধ ক্রমে মিলাইয়া আসিল।

বিস্তারিত»