ফেরারী ৪

পর্ব ১

পর্ব ২

পর্ব ৩

তাকসিম স্কয়ার,ইস্তানবুল,তুরস্ক।ইস্তানবুল তুরস্কের একমাত্র শহর যেটি এশিয়া ইউরোপ দুই মহাদেশেরই অংশ।তাকসিম স্কয়ার পড়েছে ইউরোপ অংশে।

আজিমি বেলকশ।জাতিতে তুর্কী।কিন্তু মা ছিলেন বাংলাদেশী।বয়স যখন ১৫ তখন বাবা মার সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যায়,মা চলে গেলেন নিজ দেশে মেয়েকে নিয়ে যেতে দিলো না ওর বাবা।পরের বছর আরেকটা বিয়ে করলেন।সৎ মায়ের ঘরে থাকাটা হয়ে উঠলো অসহ্য।সৎ মায়ের অভিযোগে বাবাও মারধর করতেন প্রায়ই।

বিস্তারিত»

ফেরারী ৩

পর্ব ১

পর্ব ২

তিন

মেয়েটার মাথায় আঘাতটা মাপা হয়নি বেশ জোরেই হয়ে গেছে।অনেক খানি কেটে গেছে।বাথরুমে পাওয়া গেল ফার্স্ট এইড কিট সেখান থেকে কিছু তুলা আর গজ দিয়ে কোন রকম ব্লিডিং বন্ধ করার ব্যবস্থা করলো জিকো।ইচ্ছে ছিল না ওর।এই মেয়েটি মরলেও কিছু এসে যায় না।কিন্তু তবুও একটা নিরর্থক প্রাণ নিতে ওর বিবেকে বাধলো। তবে বেশিক্ষন এভাবে মেয়েটিকে রাখা উচিৎ হবে না।

বিস্তারিত»

ফেরারী (২)

পর্ব ১

 

ফ্রাঙ্কফুর্ট,জার্মানী

গত চারটা দিন জিকোর উপর দিয়ে অনেক ধকল গিয়েছে। মন্ট্রিলে ঐ কাহিনীর পর বিএসএস ওর পিছনে লাগবেই এটা ধরে নিয়ে এগিয়েছে ও।প্রথমে মন্ট্রিল থেকে নিজের নামে ইস্যু করে অটোয়ার ট্রেন টিকেট।কিন্তু ট্রেনে না গিয়ে রেন্টে কার এ বেনামে ভাড়া করে একটা টয়োটা,ড্রাইভ করে নিজেই চলে আসে অটোয়াতে।সেখান থেকে টিকেট কাটে নিউইয়র্কের।অবশ্যই নিজের নামে।কিন্তু এখানেও ও বদলে ফেলে নিজের গন্তব্য।

বিস্তারিত»

ফেরারী

:gulli2:
ভূমিকাঃ

জিকো বসে আছে একটা কফিশপে।রিকার্ডো কে একটা পাবলিক ফোন বুথ থেকে ফোন দিয়েছে কিছুক্ষন আগে।ওর এতক্ষনে চলে আসার কথা।জিকো আছে কানাডার মন্ট্রিলে। বনসিকিউর মার্কেট এরিয়া নামে একটা জনবহুল এলাকা।গা ঢাকা দিতে এরকম জনবহুল এলাকাই অনেক ভাল।হাজার লোকের ভিড়ে  ছদ্মবেশ নিয়ে মিশে যাওয়া যায় সহজে।এলাকাটিতে বাড়ি ঘরগুলো পুরোনো আমলের দূর্গের মত করে বানানো।রাস্তা ঘাটও তাই।সবকিছুতেই পুরাতন ঐতিহ্যের ছাপ।কিন্তু এই সৌন্দর্য উপভোগের জন্য আসেনি ও।রিকার্ডোকে ওর দরকার।দরকার একটা সেফ হাউজের।পুরোপুরি আন্ডারগ্রাউন্ডে যেতে হবে ওকে।

বিস্তারিত»

ঐ উড়াল বলাকায়- ((প্রভাতী পর্ব))

দুই ঘাড়ের উপর বসে মোনকার-নাকীর এমন জোরে ঝাঁকাঝাঁকি শুরু করল যে রিজভীর ঘুম ভেঙে গেল। রাত তিনটার সময় ঘুম ঘুম চোখ মেলে- মশারির ফুটো দিয়ে ঘরের অন্ধকার দেখল সে কিছুক্ষণ। বারান্দায় আলো জ্বলছিল। আর এদিকে বিছানার পাশের জানালা দিয়ে বাইরের ফ্লাড-লাইটের আলোকে কিছুটা হলেও ঢেকে দিয়েছে আড়াই তলার সমান উঁচু যুবতী জামরুল গাছ।

প্রসাব করতে বাইরে যাওয়াটা কি ঠিক হবে এখন! সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সময় লাগছে।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ১৮

আগের পর্ব

আঠার

একদিন আম্মা হোসনা আপার বাসা থেকে ঘুরে আসলেন। বাসায় এসে জানালেন হোসনা আপা আসলে অনেক দুঃখ নিয়ে লন্ডন থেকে ফিরে এসেছেন। কিরণ ভাই আমেরিকায় পড়তে গিয়ে একজন আমেরিকান মেয়ে
বিয়ে করে ফেলেছে। হোসনা আপার আশা ছিল লেখাপড়া শেষ করে কিরণ ভাই দেশে ফিরবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে নিজের মেধা আর শ্রম দিবে। উনি ভুলেও কখনও ভাবেননি যে আমেরিকা গিয়ে এতো
সহজে কিরণ ভাই দেশকে ভুলে যাবে।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ১৬, ১৭

আগের পর্ব
ষোল

একদিন সামাদ স্যারের বাসায় গেলাম। স্যার আমার জন্য অনেক করেছেন। বিশেষ করে অংক পরীক্ষার আগের দিন বাসায় এসে সাহস দিয়ে গেছেন। স্যারের বাসাটা আমাদের বাসা থেকে খুব একটা দূরে না, হেটেই যাওয়া যায়। একা একাই চলে আসলাম। স্যারের বাসা থেকে বেরুলেই সেই বিশাল দেবদারু গাছ। সেদিন দেখি এই গাছটার গুড়িতে হেলান দিয়ে মানিকদা আরও কয়েকটা ছেলের সাথে গল্প করছে।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ১৪, ১৫

(এই উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট আর সময় বোঝাতে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা এবং চরিত্র উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাদবাকী ঘটনা আর চরিত্রগুলো কাল্পনিক, তবে অবাস্তব নয়। অনেক ঘটনাই বাস্তব আমজনতার অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া হয়েছে।)

এক দুই তিন চার এবং পাঁচ
ছয়
সাত
নয়-আট
দশ

বার

চৌদ্দ

নীলিমাদির কাছ থেকে দুটো গান তুলে নিতে হবে।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ১১,১২, ১৩

(এই উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট আর সময় বোঝাতে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা এবং চরিত্র উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাদবাকী ঘটনা আর চরিত্রগুলো কাল্পনিক, তবে অবাস্তব নয়। অনেক ঘটনাই বাস্তব আমজনতার অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া হয়েছে।)

এক দুই তিন চার এবং পাঁচ
ছয়
সাত
নয়-আট
দশ

বার

এগার

আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা ঠাকুরপাড়ায় নিজেদের বাসায় চলে আসি।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ১০

(এই উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট আর সময় বোঝাতে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা এবং চরিত্র উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাদবাকী ঘটনা আর চরিত্রগুলো কাল্পনিক, তবে অবাস্তব নয়। অনেক ঘটনাই বাস্তব আমজনতার অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া হয়েছে।)

এক দুই তিন চার এবং পাঁচ
ছয়
সাত
নয়-আট
দশ

খবরটা আমিই প্রথম শুনলাম।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ৮, ৯

(এই উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট আর সময় বোঝাতে কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা এবং চরিত্র উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাদবাকী ঘটনা আর চরিত্রগুলো কাল্পনিক, তবে অবাস্তব নয়। অনেক ঘটনাই বাস্তব আমজনতার অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া হয়েছে।)

এক দুই তিন চার এবং পাঁচ
ছয়
সাত

আট

বাঙালি এই প্রথম তাদের জন্য একটা স্বাধীন ভূখণ্ড পেল।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ৭

এক দুই তিন চার এবং পাঁচ
ছয়

পর্বঃ সাত

সাত

একদিন হঠাৎ করেই দেশটা স্বাধীন হয়ে গেল। আমরাও শাহপুর ছেড়ে কুমিল্লায় চলে আসি। মুক্তিযুদ্ধের সময় যে বাসা হয়ে গিয়েছিল মৃত্যু-কুপ, সেই একই বাসাতে এসে আবার উঠি। গোছলখানা সেই আগের মতোই আছে। এখন দিনের বেলাতেও সেখানে যেতে ভয় পাই।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ৬

এক দুই তিন চার এবং পাঁচ

(এই পর্বে আমি একটা গ্রাম আর সেখানকার যুদ্ধকালীন অবস্থা তুলে ধরেছি। সানা ভাইয়ের ‘স্মৃতির ঝাঁপি’র একটা পর্ব থেকে আমি সেই গ্রামের চিত্র পাই। তারপর উপন্যাসের মানুষগুলোকে সেই গ্রামটাতে নিয়ে যাই। সানা ভাইকে এখানে আর ফরম্যাল ধন্যবাদ দিলাম না)

ছয়

‘কোথায় যাচ্ছি আমরা?’ হিরণ ভাই জিজ্ঞেস করলো।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ৪

পর্বঃ চার এবং পাঁচ

চার

এরপর কি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম? হবে হয়তো। জেগে উঠি ধরফরিয়ে। মনে হচ্ছে বাসার সামনে দিয়ে মিলিটারির জীপ যাচ্ছে। হয়তো দুঃস্বপ্নে দেখেছিলাম। টিকটিকি টিক টিক করে উঠলো। অন্ধকার ঘরে কেয়াকে ডিঙ্গিয়ে বিছানা ছেড়ে নেমে আসি। জানালায় কে যেন টর্চের আলো ফেললো। আবারো টিক টিক শব্দ। খুব মৃদু। শব্দটা ঘরের পেছন দিক থেকে আসছে। পাকঘরে চলে আসি। বুঝলাম টিকটিকির আওয়াজ নয়।

বিস্তারিত»

ধারাবাহিক উপন্যাস – ৩

পর্ব – শুরু থেকে তিন

তিন

সময়টা ১৯৭১ সাল। বাংলাদেশে বসন্তকালে সাধারণত কোন বৃষ্টি পরে না। আকাশ থাকে খুব পরিষ্কার। কিন্তু সে বছর মার্চ মাস থেকেই থমথম কালো মেঘেরা গমগম শুরু করে দিল। জলবায়ুতে আকস্মিক কোন পরিবর্তন হয়নি। সেদিনের আকাশও ছিল পরিষ্কার। তবে রাজনৈতিক আকাশ কালো মেঘে গম্ভীর। যে কোন মুহূর্তে দুর্যোগ নামতে পারে। চারদিকে ঘনঘটার পূর্বাভাস। প্রথমে বড়রা এ মফস্বল শহরে বসে ততটা বিপদ আঁচ করতে পারেনি।

বিস্তারিত»