একটা সময় ছিল যখন অনেককিছু এলোমেলো ভাবতাম। আজ থেকে প্রায় দশ বারো বছর আগে। ভাবতাম একদিন পৃথিবী অন্যরকম সুন্দর হবে। নিজেকে চেনার চেষ্টা করতাম। নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করতাম। তখন ঢাকায় থাকতাম। সেই দিনগুলো সত্যি দখিনো হাওয়ার মতো সুন্দর ছিল। অবুঝ সময় সবসময়ই নিশুতিরাতের তারার মতো ঘোর লাগা অতীত। তখন ঢাকার ফুটপাত, ল্যাম্পপোষ্ট, জ্যাম, জারুল, রাধাচূড়া, কদম, কৃষ্ণচূড়া, কাকপক্ষীরা অভয় দিতো – চারপাশে যা দেখো তা সত্যি না। পৃথিবীটা একদিন তোমার মনের মতো অন্যরকম সুন্দর হবে। হতেই হবে। শহর ঢাকার সেসব রুপকথায় বুদ হয়ে কতগুলো বছর ফেলে এলাম পিছনে। এই লেখাটা সেই ফেলে আসা সময়ের স্মৃতিকথা। তখন যা ভাবতাম তার খানিক একদিন লিখেছিলাম। অপ্রকাশিত সেই পুরানো লেখা আজ দিলাম।
১.
সময়ের সাথে আমি এবং আমরা প্রতিনিয়ত চলছি। চলছি তো চলছিই। কেউ থেমে নেই। কেউ জীবিকার তাগিদে, কেউ বেঁচে থাকার তাগিদে, কেউ প্রতিষ্ঠা পাবার তাগিদে, আবার কেউ অন্যকে নিয়ন্ত্রন করার তাগিদে – আমরা সংগ্রাম করেছি, করছি এবং এটাও জানি – অনন্তকাল করতে হবে। এটাই পৃথিবীর নিয়ম। জন্ম থেকে আজ অবধি পৃথিবী আমাকে এটাই শিখিয়েছে। পৃথিবী নামক এই আজব গ্রহ গহব্বরে যে একবার প্রবেশ করেছে আমৃত্যু তাকে চলতেই হবে। মানুষের ভিন্নতা হয়তো এখানেই, এই চলার উদ্দেশ্য এবং ধরণ একেকজনে একেকরকম। গত কয়েকশো বছরে পৃথিবীর বিভিন্ন সমাজ ব্যবস্থায় ‘চলার’ গতির কথা জানলে নিজেকে মানুষ নামের বিবেক এবং বোধবুদ্ধি সম্পন্ন জীব হিসেবে নিজের কথা ভাবতে আমার অসম্ভব ভয় করে। পৃথিবী যেন ক্রমশ জটিল থেকে অধিকতর কুটিলতর হচ্ছে।
আমরা যতো সাবলম্বী হচ্ছি ততোই যেন সমাজটি পেঁচিয়ে যাচ্ছে আষ্টেপিষ্টে। জটিল থেকে জটিলতর আমাদের সমাজ-যাপন। চলছে ব্যক্তিতে ব্যক্তির আধিপত্যের লড়াই। স্বার্থের সাথে মূল্যবোধের লড়াই। ধর্মের নামে অধর্মের প্রচার। ব্যক্তি স্বার্থের হানাহানির রঙ্গমঞ্চ। মাঝে মাঝে ভাবি, বেঁচে থাকার কি অর্থ? যদি বিশেষ কোন দর্শন অকাট্যভাবে মেনে নিতে পারতাম তাহলে হয়তো কোন সমস্যা থাকতো না। কিন্তু তা তো পারি না। সৃষ্টির রহস্য নিয়ে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয়। সেই কৈশোর থেকেই এমন প্রশ্ন করে আসছি নিজেকে। মনপুত উত্তর খুঁজে না পেয়ে নিজেই দেখেশুনে একটি ব্যাখ্যা বানিয়ে নিয়েছি – এই মহা বিশ্বের শত সহস্র বছরের মহাপরিক্রমায় আমি হয়তো একটি অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবনকণা। এর বেশি আর কিছু না। আসলেই কি আমরা এর বেশি আর কিছু একেকজন?
আমাদের সামাজিক বোধ, বিশ্বাস, প্রথা, আচার-অনুষ্ঠান, রীতিনীতি আমাদেরকে এমন বিশ্বাসে অনড়ভাবে দীক্ষিত করে তোলে – আমরা যেন নিজের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন না করে বরং আপোস করে নিই নিজের সাথে। আমরা এমনই এক বিশ্বাস নিয়ে বড় হতে থাকি প্রচলিত সামাজিক অনুশাসন এবং বিধিবিধান ঠিক ঠিক মতো মেনে চলাই স্বার্থক জীবন। আর যখন ব্যক্তি হিসেবে বিচারবু্দ্ধি বিকশিত হয় তখন দেখি আদর্শ এবং বাস্তবতার আকাশ-পাতাল ফারাক। আমার মনে হয়, প্রকৃতপক্ষে এমন কোন একক আদর্শ বা বিধান নেই যা সার্বজনীন হতে পারে বা থাকলেও তা নিদ্রিষ্ট নীতিমালার আলোকে বিশ্বব্যাপী বিস্তার এবং পালন সম্ভব নয়। হয়তো তা স্থানিক, ক্ষুদ্রভাবে কোন একটি গোষ্ঠির মানুষের জীবনযাপনের জন্য উপযোগী। কিংবা উপযোগী নয়। আমি জানিনা। সত্য হোক, মিথ্যা হোক – মানুষ সেই বিশ্বাসে ভর করে জীবনকে অর্থপূর্ন মনে করে।
২.
আজকাল আমাদের সমসাময়িক জীবনের সাথে ‘ক্যারিয়ার’ শব্দটি যুগপদভাবে যুক্ত হয়েছে। সবকিছুতেই একটি সফল ‘ক্যারিয়ার’ যেন চাই-ই চাই। গতানুগতিক পথ ধরে শুধু উপরে ওঠার নিমিত্তে চলতে থাকতে হবে। যদি উঠতে না পারো তাহলেই তুমি শেষ। আর চলতে পারলে না। উদ্ভাবনী বা মননশীল বা যা তোমার ভাললাগে এমন কিছু নিয়ে থাকা কিংবা একটু চিন্তাধারায় ভিন্নতা বা উদাসী গোছের হওয়া – তাহলেই হতে হবে পতিত। যেতে হবে পিছনের সারিতে। সমাজ তোমাকে ঠেলে সরিয়ে দেবে চলমান স্রোত থেকে। তবে, হ্যাঁ, সবগুলোর সমন্বয়ে যদি একটি ক্যারিয়ার তৈরি হয় তাহলে কিন্তু বেশ চলনসই। জীবনের অর্থ এমন একটি ধূপছায়া তৈরি করে জীবন যেন শুধু একটি ক্যারিয়ার তৈরির জন্য। এর বাইরে কিছু হলেই বাস্তবতার নিরিখে খুব অযোগ্য, নির্বোধ আর বেমানান মনে হয়। বর্তমানে আমার চারপাশের চেনা সবাই এই ক্যারিয়ার তৈরির জন্য দৌড়াচ্ছে, যে যেভাবে পারছে। আমি জানি, আমি সেই সারিতে দাড়াতে চাই না। কিন্তু না গিয়েই বা উপায় কি? আমরা এমন এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে পড়েছি আর যেন উপায় নেই। উত্তরণ যেন অসম্ভব গতানুগতিক পথে চলা ছাড়া। চেনা মানুষগুলো দিনদিন অচেনা হয়ে যাচ্ছে। তাদের কথা আমার মাঝেমাঝে অস্পষ্ট মনে হয়। যাদের সাথে কদিন আগেও উঠাবসা করেছি। একসাথে সিগারেট ভাগাভাগি করেছি। তাদের সাথে আজ মনে হয় যোজন যোজন দূরের আমি এবং তারা। এমনটা যদি না হতো। হয়তো এসব প্রক্রিয়া পরিপূর্ন মানুষ হবার পথের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
আমরা কেন লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত হই – জীবনের কার্যকারণ সঠিকভাবে উপলব্দি করার জন্য নাকি শুধু চাকরি পাবার জন্য? বর্তমান পেক্ষাপট কিন্তু বলে দেয় চাকরি পাবার জন্যই আমরা প্রচলিত কিছু নিয়মকানুন এবং পদ্ধতি মেনে চলছি বা শিখছি। এছাড়া বর্তমান অবস্থা দেখে কেউ কি বেশি কিছু উপলব্ধি করতে পারবে; সম্ভবত না। আর পারলেও তারজন্য সময় নেবার মতো অবসর কারো নেই। চাকরিই বলি আর একে প্রতিষ্ঠাই বলি – মাস শেষে সন্ধেতে যা ঘরে এনে দেবে তার একক হলো অর্থ বা সম্পদ। বর্তমান বাজার বলে দেয় অর্থই সকল ঘটনার নিয়ামক। সকল কর্তৃত্ব, নেতৃত্ব আর ক্ষমতার উৎস তাহলে অর্থ-সম্পদ। এগুলোকে অনেকে অর্থ করে সুখ এবং সফলতার সমার্থক হিসেবে। শুধুশুধু কেন আর অন্যদিকে ফিরে তাকানো। তাই অনিবার্যভাবে আমাদের আমাদের ভোগবাদী মানুষিকতা তৈরি হয়। অর্থ-সম্পদের সঠিক ব্যবহার তৈরি করে সাফল্যজনক উৎপাদন। আর উৎপাদন দিয়েই নাকি তরান্বিত হয় উন্নয়ন। কিন্তু আমি এখনো বিশ্বাস করি, প্রকৃতপক্ষে প্রয়োজন অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে শুধু অর্থবহুল অনর্থক সমস্যাই উৎপাদিত হয়। আর হয় মানুষকে শোষণ। যেদিন আমার এই উপলব্ধি ভোঁতা হয়ে যাবে, সেদিন আমি অন্য মানুষ হয়ে যাবো। আমি কি একদিন সত্যিই অন্য মানুষ হয়ে যাবো? সে উত্তর আমি জানিনা। সে উত্তর জানে শুধু সময়।
৩.
সমাজ শোষণের নতুন কৌশল হলো উন্নয়ন। ‘উন্নয়ন’ নামের ছোট্ট একটি শব্দ কিভাবে আমাদের জীবনকে বিন্যস্ত এবং ব্যবচ্ছেদ করে। মানুষের জীবনের ব্যাপক উন্নয়ন করতে গিয়ে আমরা ধ্বংস করছি প্রকৃতি। মূলকথা হলো উন্নয়নের নামে আমরা ক্রমাগত প্রাচীন সমাজ এবং সভ্যতাকে দ্রুত গ্রাস করে ফেলছি। প্রাচীন সমাজগুলো আমরা প্রায়শই ‘বর্বর’ বলে থাকি। কেন বলি? আমরা কি কম বর্বর? সমাজ-সভ্যতা সবই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে পরিবর্তন হতে থাকে। প্রথিবীতে মানুষের ভিন্ন ভিন্ন সমাজ-সংস্কৃতির রয়েছে ব্যাপক বিচিত্রতা। মানুষে মানুষে বিচিত্রতা আছে দেখেই আমরা টিকে আছি। আমাদের টিকে থাকার সংগ্রাম এতো অর্থপূর্ন। এই একসূত্রীয় শিকড় উপড়ে ফেলা উন্নয়নের কি অর্থ? আমি সত্যি এর কোন অর্থ খুঁজে পাই না। আমরা যে অন্য সমাজের অনুকরনের চেষ্টা করি – তা কি আদেও সম্ভব? তাহলে তো পৃথিবীব্যাপী এক মানব সমাজের সংস্কৃতিগত এত বিচিত্রতা থাকতো না। তাহলে নিশ্চয়ই এর পিছনে – এই ‘উন্নয়ন’ নামক মানুষিকতা তৈরির পিছনে কোন অর্থ রয়েছে। যুগে যুগে পৃথিবীব্যাপী মানুষ এককভাবে বা দলবদ্ধভাবে অন্যমানুষকে শোষণ এবং নিয়ন্ত্রনের খেলার চল রয়েছে। বিশেষভাবে সভ্যতার ধাপে ধাপে। আমি ‘উন্নয়ন’ চাই না। আমি ভালবাসি আদিমতা। আমি যদি গুহা যুগের মানুষ হতাম আমাকে খাতায় এসব ছাঁইপাশ লিখতে হতো না।
পৃথিবীতে বর্তমানে আবহাওয়া ও পরিবেশগত এক মহা প্রলয়ংকারময় পরিবর্তন চলছে। এতদিন আমরা পরিবেশের ওপর চড়াও হয়ে সভ্যতা তৈরি করেছি। তাই প্রকৃতি এখন আমাদের সভ্য হতে শেখাচ্ছে। মানুষ যখন প্রকৃতিতে এক চরম বিপন্ন অবস্থায় ছিল, তখন নিজের প্রয়োজনেই ধীরে ধীরে এমন এক ব্যবস্থা তৈরি করে নিয়েছিল যাতে পরিবেশ ভেদে ভিন্ন রুচি ভিন্ন ভিন্ন উৎপাদন ব্যবস্থা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মানুষের প্রযু্ক্তিগত উন্নয়ন জীবনকে এতো আরাম আয়েশ আর সহজ করতে লাগলে সবকিছু ততো আরো জটিল হতে লাগলো। তৈরি হতে থাকলো আমাদের সহজ জীবনের জটিল ভার্সান এবং পৃথিবীময় অর্থনীতির জটিল জাল। সমাজের পর সমাজ সেই জাল বুনে বুনে পৃথিবী ছেয়ে ফেললো, অথচ ভাবতে কেমন যেন এলোমেলো লাগে আমরা কি সত্যিই এগোচ্ছি না পিছনে যাচ্ছি।
এই পৃথিবীতে নাকি এখন এমনসব ভয়ঙ্কর মারনাস্ত্র রয়েছে যা দ্বারা এমন বেশ কয়েকটা পৃথিবীকে ধ্বংস করে ফেলা যাবে। আজ আছে এমন নয়, বিগত প্রায় একশো বছর এসব সম্পদের তালিকা বৃদ্ধিই পাচ্ছে। মানুষ নাকি এমন এক বিবেক সম্পন্ন প্রাণী যা ক্রমান্বয়ে জীবনযাপনের সহজতর দিকে ধাবিত হচ্ছে! মানুষ মানুষকে বশে এনে অধঃস্তন বানাবার জন্য কত কিছু করে। আমরা যদি সভ্যই হই তাহলে কেন এসব জীবন ধ্বংসকারী কলাকৌশল? মানুষের এই পৃথিবীকে বশে আনবার ক্ষমতা দেখে নির্বাক হয়ে যাই। কখনো কখনো পুরো একটি অঞ্চলের রুপ-রঙ, জীবনযাপন পাল্টে ফেলবে। কি অসম্ভব ব্যাপার – এমনটা কেন চাই?
৪.
উপনিবেশ পরবর্তী বিশ্বে এখন এক জটিল অর্থ ব্যবস্থার খেলা চলছে। যা নিয়ন্ত্রন করছে কেন্দ্র থেকে প্রান্তিক মানুষের জীবন। অসম এবং অসুস্থ উপায়ে বাজার দখল ও তৈরির খেলা চলছে। কড়ি থেকে ধাতব হয়ে কাগজ থেকে অধুনা প্লাস্টিকমানি সব তো একই ব্যাপার। প্রশ্ন হচ্ছে বেঁচে থাকবার জন্য ভালবাসার বিনিময় মাধ্যম কি সহজ হয়েছে? উত্তর হয়নি। সহজ হয়েছে গুটি কয়েক মানুষের জীবনযাপন, দলে ভারি মানুষরা মূলতঃ বঞ্চিত-লাঞ্চিত। এসব জড় উপাদান আমাদেরকে এমন এক বিশেষ ছাঁচে ফেলে দিয়েছে যে আমরা শৈশব হতে পৌঢ়ত্ব পর্যন্ত এই ব্যবস্থার মাঝে চক্রাকারে ঘুরছি। এটা একটি বিশেষ রীতিনীতি ও সামাজিক অনুশাসন তৈরি করেছে। যা মানুষে মানুষে এক শক্তপোক্ত দেয়াল তৈরি করছে। এই অর্থ ব্যবস্থার একটা বিশেষরুপ বোধহয় আজকাল পারিবারিক মূল্যবোধের দ্বারে চরমভাবে আঘাত করছে। ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে ‘তাসের ঘর’ – আবেগে গড়া মূল্যবোধের বাঁধন। মূল্যবোধ, আবেগ, বাঁধন কি তাহলে আসলেই ‘তাসের ঘর’? বাস্তবতায় তো আর আবেগ টেকে না। এর উত্তর আমি জানিনা। ভাঙাগড়ার পথ চলার ভেতর দিয়ে হয়তো পরীক্ষা চলছে মানবিক গুনাবলীর অস্তিত্ত্বের।
:boss:
জীবন নিয়ে এমন গভীর ভাবনার কারণ কি রাব্বী? মনটাকে শক্ত করে বেঁধে ধরো। ওটাকে কোনোভাবেই খারাপ হতে দিও না। ভালো থেকো। ভালোবাসা নিও।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
জীবন নিয়ে এমন ভাবনা এক যুগ আগেকার। পুরানো লেখা। আমি ভাল আছি লাবলু ভাই। আপনার কথাগুলো মন আরো ভাল করে দিলো। আপনিও ভাল থেকেন।
আমার বন্ধুয়া বিহনে
:salute: :salute: :salute: :salute:
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
এটা কিন্তু কঠিন কঠিন হইছে 🙁
এরপর থেকে জলবৎ তরলং হবে
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ঠিক কইসেন সামিয়া আপু।। চরম কঠিন হইছে । আর তার উপর আমিতো পলাপান মানুষ । x-( বাট ভাইয়া আপনার ছিন্তা শক্তি বিরাট উপরে । :thumbup: ::salute:: :awesome:
মনে মনে পড়ে গেলাম।
ঠিকাসে
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ছোট বেলা থেকেই আপনারা জীবন নিয়ে কত গভীরে চিন্তা করেন। অথচ দিন দিন বয়স বাড়তেসে কিন্তু এখনো আমার কাছে জীবন ভাবনা দৈনন্দিন আটপৌরে বিষয়াশয় নিয়ে চিন্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। জানলার ওপাশটা আর দেখা হয়নি সেভাবে, কিংবা হবার আগেই জীবনাবসান ঘটবে । (একটা দীর্ঘশ্বাসের ইমো)
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
ঠিক বয়স বাড়তেছে
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ভাই কথা সত্য । আমি আউট হয়ার পর এখনো পলাপাইন ভেকেশনে আস লে একসাথে ঘুরতে যাই ।বাট কোথায় যেনো একটা ফাকা সৃষ্টি হয়ে গেছে ভাই । 🙁 ।
কথা সত্য ভাই । (সম্পাদিত)
প্রথমটা বুঝলাম, পরের 'কথা সত্য' বুঝি নাই
আমার বন্ধুয়া বিহনে
চল সবাই মিলা জংগলে চইলা যাই, নাগরিক সভ্যতার খ্যাতা পুড়ি
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
চলেন যাই
আমার বন্ধুয়া বিহনে
ফয়েজ ভাই জঙ্গল আর পাবেন কই। সব জঙ্গল নগরে পরিনত হচ্ছে। যে টুকু আছে তা নষ্ট করা ঠিক হবে না।