চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ২০০৯, আর মাত্র ৩ দিন… (সিসিবি চ্যাম্পিয়ন’স লীগ)

চ্যাম্পিয়ন ট্রফি শুরু হতে আর মাত্র ৩ দিন বাকী। ইতিমধ্যে কয়েকটা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ হয়েছে। ওয়ার্ম আপ ম্যাচেই নিজেদের শক্তিমাত্তার পরিচয় দিচ্ছে র‌্যাংকিং শীর্ষে থাকা দক্ষিন আফ্রিকা। অপরদিকে শ্রীলঙ্কার মত শক্তিশালি দলকে ১০৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে পাকিস্থানও নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে গেল। পাকিস্থানের কাছে হারলেও শ্রীলংকাকে খাটো করার উপায় নেই। তাদের বর্তমান দল যেকোন দলকে নাকানি চুবানি খাওয়ানোর যোগ্যতা রাখে। টানা ছয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দারুন ফর্মে আছে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাসেজ জিতে ইংল্যান্ডের মনবল ছিল আকাশ ছোঁয়া কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে টানা পরাজয় তাদের সমস্ত হিসাব নিকাশ পালটে দিয়েছে। টেন্ডুলকারের অসাধারণ সেঞ্চুরি টিম ইন্ডিয়াকে তুলে এনেছে র‌্যাংকিং ২য় অবস্থানে। তাদের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স দেখলে বোঝায় যায় তারা অন্যতম ফেভারিট হিসাবেই থাকছে। নিউজিল্যান্ডের বর্তমান অবস্থা খুব বেশি ভাল না। ট্রাই সিরিজে তাদের পারফর্মেন্স যাচ্ছেতাই। আর তৃতীয় সারির দল নিয়ে ফেভারিটের তালিকার তলানীতেই পড়ে আছে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। তাই ধরা যায় এবার প্রতিযোগিতা হবে মুলত ছয় দলের মধ্যে। এদের মধ্যে এ গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্থান ও ইন্ডিয়া এবং বি গ্রুপে রয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা, শ্রীলংকা ও ইংল্যান্ড।

সেমিফাইনালের সম্ভাব্য দলঃ গ্রুপ এ থেকে অস্ট্রেলিয়া ও ইন্ডিয়া (পাকিস্থানের ভাগ্য যদি ক্লিক করে তবে ভিন্ন কথা) এবং বি গ্রুপ থেকে দক্ষিন আফ্রিকা ও শ্রীলংকা। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরিবর্তে বাংলাদেশ থাকলে অনেক ভাল হত।

একই সাথে শুরু হচ্ছে ফ্যান্টাসি ক্রিকেটের সিসিবি ভার্সন “সিসিবি চ্যাম্পিয়ন’স লীগ”। সিসিবি’র মাত্র ১০ জন ম্যানেজার তাদের দল গঠন করেছে। আমি আরো বেশি দল আশা করেছিলাম। তবে এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখ ১২৩০ ঘটিকা (জিএমটি) অর্থাৎ ১৯৩০ ঘটিকা (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত দল গঠন করা যাবে এবং আনলিমিটেড সংখ্যক প্লেয়ার পরিবর্তন করা যাবে।
আমার আগের পোস্টে দল গঠনের বিস্তারিত নিয়মাবলী দেওয়া আছে। “সিসিবি চ্যাম্পিয়ন’স লীগ” এ যোগদানের কোডও (89642-015534595eb5b90a) দেওয়া আছে পোস্টে। তবে দল গঠনের ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়/ টিপস থাকলো সবার জন্য বিশেষ করা যারা এখনো দল মাঠে নামান নি।

“প্রথম খেলা শুরু হওয়ার পর গ্রুপ পর্যারের মোট ১২ টি খেলার জন্য মোট ১২ জন প্লেয়ার পরিবর্তন করা যাবে। এবং সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য পুনরায় আনলিমিটেড সংখ্যক প্লেয়ার পরিবর্তন করা যাবে। এই দিকটা একটু খেয়াল রাখতে হবে। যদি চ্যম্পিয়ন ট্রফির ফিক্সারের দিকে তাকান তবে দেখা যায় প্রথম ৪ টা খেলায় ২ টি দলের দুইটি করে খেলা আর ২ টি দলের কোন খেলা নেই। একই ভাবে শেষ ৪ টা খেলায় ২ টি দলের দুইটি করে খেলা আর ২ টি দলের কোন খেলা নেই। তাই প্লেয়ার পরিবর্তনের হিসাবটা একটু ভালভাবে খেয়াল করে দল গঠন করলে লাভবান হওয়া যাবে।”

আশা করি এই ৩ দিনের মধ্যে আরো কয়েকজন ম্যানেজার “সিসিবি চ্যাম্পিয়ন’স লীগ” এ যোগদান করবেন এবং জমজমাট লড়াইয়ে সামিল হবেন।

৩৫ টি মন্তব্য : “চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ২০০৯, আর মাত্র ৩ দিন… (সিসিবি চ্যাম্পিয়ন’স লীগ)”

  1. হাসান ভাই...ভাল লেখা দিয়েছেন।
    ইংল্যান্ডের উপর আমি বড়ই হতাশ।এই দলটা যে কোন বড় টুর্ণামেন্টে যাচ্ছেতাই খেলে।লুথা অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে তাঁদের পারফরম্যান্সই বলে দেয় তাঁরা বড় কোন পরিসরে ভাল কিছু দেখানোর যোগ্যতা রাখে না।তাদের ব্যাটিং অর্ডার শক্ত থাকলে বোলিং হয় ধজ,আর বোলিংযের মান ঠিক থাকলে ব্যাটিং হয় আরো বাজে।যেমন এখন ব্যাটিংয়ের হাল খুবই বাজে।
    বাংলাদেশ কেন যে ইংল্যান্ডের সাথে ওয়ানডে জিতে না!!!...তার কোন কারন খুঁজে পাই না।

    জবাব দিন
  2. হোসেন (৯৯-০৫)

    আফ্রিকা নিয়া আশা নাই। আবার পুরা টুর্নামেন্ট ভালো খেইলা সেমিফাইনালে হারব। ওরা এই অভিশাপ থেকে বের হতে পারবে বলে মনে হয় না।


    ------------------------------------------------------------------
    কামলা খেটে যাই

    জবাব দিন
  3. আমিন (১৯৯৬-২০০২)

    ফিকচার না দেইখা টিম করছিলাম। তয় সমস্যা হয় নাই ওতে।
    দোস্ত আমি জয়েন করতে একটু দেরি কইরা ফালাইছি। কিন্তু আমার নাম নাই কেন লীগ টেবিলে??
    আমার পয়েন্ট তো সবচেয়ে বেশি??

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।