খুব একটা ভাল নেই, শারীরিক মানসিক দু দিক থেকেই। প্রথমে পা মচকালো, এক সপ্তাহ বিছানায় শুয়ে থেকে পা একটু ভাল হতেই এক সন্ধ্যায় বের হলাম, মূল উদ্দেশ্য ছিল ভাল-মন্দ কিছু খেয়ে মুখে স্বাদ বদলানো। গুরু ভোজের ইচ্ছা ছিল না বলে ঠিক করলাম বাংলা খাবার খাব, মানে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা-ভাজি। সবচেয়ে কাছাকাছি পাওয়া গেল হোটেল জামান। চট্টগ্রামকে মনে হয় খুব সহজেই হোটেল জামানের শহর বলা যায়।
বিস্তারিত»পুরানো সেই দিনের কথা…….
আজ প্রায় ৩ বছর হতে চলল।
ছেড়ে এসেছি আমার প্রিয় প্রাঙ্গন। ভুল বললাম, আমাদের প্রিয় প্রাঙ্গন।
কেমন আছে আমার প্রিয় কলেজ? জাহাঙ্গীর শিক্ষা ভবনের সামনের গোল চত্বরটা কি এখনো খালি পরে আছে? কলেজ কর্তৃপক্ষ কি ওখানে লাগানোর মতো কিছু এখনো জোগাড় করতে পারেনি? এখনো কি দ্বাদশ শ্রেণীর ক্যাডেটরা মাগরিবের নামাজের পরে একজনকে ফোয়ারাটার ভিতরে চুবুনি খাওয়ায়?
কত স্মৃতিবিজরিত আমাদের এই প্রাঙ্গন। অনেক কথা বলার ছিলো কিন্তু আবারো সেই পুরনো পরিবেশে ফিরে আমার কথাগুলো প্রকাশের পথ খুঁজে পাচ্ছে না।
এক আড্ডা, এক গান
১.
ক্যাডেট কলেজ জীবন শেষ করে যখন ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলাম, তখন যেন অথৈ সাগরে পড়ার মতো অবস্থা হলো। এক পাড়ায় ছিলাম বলে চিনতাম কেবল রতনকে। রতন সিলেট ক্যাডেট কলেজের, কলেজ নাম কাফি (আবদুল্লাহ আল কাফি)। রতন তখন ছাত্র ইউনিয়নের প্রথম সারির নেতা হতে যাচ্ছে, তাকে পাওয়াই যায় না। পরিচয় হলো মোমিনের সাথে। মোমিন ফৌজদারহাটের। আর ছিল তানিম (ওমর), ফৌজদারহাটের। আমরা এই চার জন ছিলাম অর্থনীতি বিভাগের ক্যাডেট।
শৈশব
১.
বাসা থেকে এক দৌড়ে বের হয় সাজিদ। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই অপেক্ষা করছিল কখন আব্বু অফিস যাবে। স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। আম্মুকে সে থোড়াই পাত্তা দেয়। শুধু আব্বু যখন বাসায় থাকে তখন একটু বাঁদরামিতে লাগাম থাকে। নইলে সারাদিন খালি টো টো করে ঘোরা। মফস্বলে থাকা বলে ঘোরার যায়গার অভাব নেই। বাসা থেকে দু’পা বেরোলেই অজানার হাতছানি।
আজকে বেশি দূরে যাবার ইচ্ছে নেই।
বিস্তারিত»সাপ্তাহিক…৮
ভয়াবহ এক সপ্তাহ শেষ করলাম। ফায়ারিং এ গিয়েছিলাম, দিন শুরু হতো ভোর(নাকি রাত?) সাড়ে চারটায়, রুমে আসতে আসতে রাত। বৃহঃস্পতিবার পর্যন্ত এই রুটিন চলল, রবিবার আবার পরীক্ষা। ছুটির দুদিন গেল পড়তে পড়তে। আজ পরীক্ষা শেষ করে যেন একটু হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
এতো কিছুর মাঝেও সিসিবিতে ঢু না মেরে থাকতে পারিনি, সব লেখার উপরেই চোখ বুলিয়ে গিয়েছি। তবে এর মাঝে এহসান ভাইয়ের ফ্যান্টাসি ফুটবলের পোস্ট মাথায় পোকা ঢুকিয়ে দিল।
বিস্তারিত»ইফতার পার্টি
বরাবর
ব্লগ প্রিন্সিপাল
ক্যাডেট কলেজ ব্লগ
বিষয়: ইফতার পার্টি আয়োজনের প্রস্তাব
মহাত্মন,
বিনীত নিবেদন এই যে এই মাসের শেষের দিকে রোজা শুরু হইতে যাইতেছে। রোজা রাখিতে যাইয়া মাসরুফ সহ সিসিবির কিছু সদস্যের ওজন :just: বিশ তিরিশ কেজি করিয়া কমিয়া যাইতে পারে।
বিস্তারিত»গান ব্লগ: পছন্দের ১০ বাংলা ছবির গান
যতই কপাল কুচকাই, বেশ কিছু বাংলা সিনেমার গান আছে অসাধারণ। আবদুল জব্বারের ওরে নীল দরিয়া এখনো যতবার শুনি মুগ্ধ হই। আবিদা সুলতানা যখন গায় বিমূর্ত এই রাত্রি আমার-মনটাই ভরে যায়। আমজাদ হোসেনের লেখা আর সামিনা নবীর গাওয়া একবার যদি কেউ ভালবাসতো বাংলা গান জগতের সেরা একটি গান। শ্যামল মিত্রের গাওয়া চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা গানটি কখনো কেউ কি ভুলতে পারবেন? সাবিনার একটা গান আছে অন্তর আমার করলাম নোঙ্গর-কেউ কী শুনেছেন?
বিস্তারিত»ঘুরে বেড়ানো……সিলেট (ছবি ব্লগ)
সিলেট এসেছি প্রায় ৩ মাসের কাছাকাছি, কিন্তু কোথাও যাবার সুযোগ করে উঠতে পারছি না । কোর্সের কঠিন সিডিউলে মাথা খারাপ হয়ে যাবার মত অবস্থা, তারপরও ছুটির দিনগুলোতে এদিক সেদিক চলে যাই…অনেক জায়গাতেই এখনও যাওয়া হয় নি, আশা করছি যে কোর্স শেষে সেগুলোও ঘুরে আসব। আসলেই চমৎকার জায়গা এই সিলেট, অনেক চমৎকার চমৎকার জায়গা আছে ঘুরে বেড়ানোর জন্য, যারা এখনও সিলেট আসেন নি একবার ঘুরে যেতে পারেন……
বিস্তারিত»সিসিবি’টা গল্প: টোকা।
(মজার জন্য লেখা। ফাজলামি করে লেখা। কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না আশা করি।)
এক:
চিত্রনায়িকা কুয়েলিকা তার ছিপছিপে দেহে হাসির ঝলক তুলতে তুলতে বলে, “যাহ, কামরুল ভাই!”
পরিচালক কামরুল হাসান জর্দা দেয়া পান মুখে পুরে দিয়ে বিড়ি ধরান। আয়েশ করে একটা টান দিয়ে বলেন, “আরে চিন্তার কিছু নাই। ছেলে আমার ছোট ভাইয়ের মত। ভেরি গুড বয়। এইএইসসিতে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।”
কুয়েলিকার মুখ লজ্জায় লাল হয়।
বিস্তারিত»যখন আমি বাবার মতো হতে চাই না
বাবাকে আমরা চার ভাই বোন ভয় পেতাম। এমনিতেই দেখা হতো কম, অফিস করতেন। বাসায় আসলে আমরা থাকতাম দূরে দূরে। বাবা এই রুমে তো আমরা দ্রুত অন্য রুমে চলে যেতেন। আমাদের সময় বাবাকে ভয় পাওয়াটাই ছিল রীতি।
সে সময়ে বাবারাও কি ভয়ের সম্পর্ক রাখতে চাইতেন? কখনো কখনো সেটাই মনে হয়। বাবা মানেই গুরুগম্ভীর একজন, বাবা বাসায় থাকা মানেই ফিসফাস কথাবার্তা।
আমার মনে আছে আমি তখন এইটে পড়ি,
রাজনীতি, সংঘাত ও আর কর্পোরেট ক্রাইম নিয়ে পছন্দের কিছু ছবি
সিনেমা আমি দেখি সব ধরণের। তবে ঘরানা হিসেবে পছন্দ পলিটিক্যাল বা কর্পোরেট ক্রাইম জাতীয় সিনেমা । সত্য ঘটনা অবলম্বনে হলে ভাল হয়। আবার অনেক সময় এমন হয় কাহিনীটা হয়তো বানানো কিন্তু স্থান বা ঘটনাটি হয়তো এরকমই। তালিকা আমার পছন্দের ক্রমানুসারে করা হয়নি। যখন যেটার কথা মনে হয়েছে সেভাবেই তৈরি।
১। মিসিং-১৯৮২ সালের ছবি। পরিচালক গ্রীক পরিচালক গোস্তা গারবাস। জ্যাক লেমন আর সিসি স্পাসেক।
বিস্তারিত»সাপ্তাহিক…৭
সপ্তাহের শেষে এসে মনে হচ্ছে গত সাত দিনে শুধু দুটো ঘটনা ঘটেছে, একটা হচ্ছে বৃষ্টি আর অন্যটা ক্লাস। বৃষ্টি তো মনে হয় এক মুহুর্তের জন্য থামেনি। এরকম বিরতিহীন ভাবে মুষুলধারে বৃষ্টি এর আগে কখনো দেখেছে বলে মনে পড়ে না। আর এই ঘুমের আবহাওয়াতে দিনে গড়ে ১০ ঘন্টা করে ক্লাস, পুরা পাগল হবার দশা।
এবার আমার তৃতীয়বারের মত চট্টগ্রামে থাকা হচ্ছে। এখানের মোটামোটি সব কিছুই কম বেশি ঘুরে দেখা হয়েছে।
বিস্তারিত»আমার প্রিয় দুই উপন্যাস
ছুটি হলেই আমাদের যেতে হতো নানা বাড়ী। মনে আছে আমার খালারা রোববার দুপুরের পর সবাই মিলে রেডিওর নাটক শুনতো। আমরাও শুনতাম। আমারা মা-খালা সবারই বই পড়ার অভ্যাস ছিল। তারা সদ্য পড়া বইটি নিয়ে আলোচনাও করতো। সে সময়ই আমি শুনি দৃষ্টিপাতের কথা। চারুদত্ত আধারকার নামটি সে সময়েই আমার মুখস্ত হয়ে যায়।
বইটি আমি হাতে পাই অনেক পড়ে। আমার মায়ের বেশ কিছু বই ছিল। আমার মা বই কিনতো।
একেকটি সত্য ঘটনা নিয়ে একাধিক পছন্দের ছবি
সত্য ঘটনা অবলম্বনে অনেক ছবি হয়। আবার একই ঘটনা নিয়ে একাধিক ছবিও আছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার ঘটনার আগে বা পরের কাহিনী নিয়েও ছবি হয়। এরকম অনেক বিখ্যাত ছবি আছে। এ ধরণের ছবিই আমাকে বেশি টানে। সত্য ঘটনা, পলিটিক্যাল বা কর্পোরেট ক্রাইম, সংঘাত-এসব বিষয়ের ছবিগুলোই আমার বেশি পছন্দ। এরকম কয়েকটা ছবি নিয়ে এই পোস্ট।
১। রোয়ান্ডার গণহত্যা-২০০৪: ২০০৪ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে রোয়ান্ডায় হুটুদের হাতে মারা যায় ৮ থেকে ১০ লাখ টুটসি।
বিস্তারিত»সেরা বড়দের ছবি
স্কুলে পড়ি, তখন আমাদের ভাইবোনদের ববি আর কুরবানি দেখতে দেওয়া হয়নি। এগুলো বড়দের ছবি। ববিতে ডিম্পল আর কুরবানিতে জিনাত আমান বিকিনি পড়েছিল, ব্যস তাতেই এগুলো বড়দের ছবি হয়ে যায়।
আমার দেখা প্রথম বড়দের ছবি ব্লু লেগুন। রীতিমত আয়োজন করে দেখা। বয়সে বড় খালাতো ভাইয়ের বন্ধুরা সবাই মিলে দেখেছিল, আমিও কেমনে যেন ঢুকে যাই সে দলে। আমাদের সময়ে বড়দের বড়দের বড়দের ছবি দেখানো হতো বেগম বাজারে,