উল্টোমুখী

শীতের নরম রোদ্দুর । উঠোনে পাটি পেতে লাল রঙা লেপটা শুকোতে দিয়েছেন মা । সোনালী রোদ ছলকে যাওয়া মোটাসোটা লাল লেপটা দেখে খুশির ঝিলিক খেলে গেল নিশির মনে। গুটিসুটি মেরে বসে পড়ল লেপের ওপর।হাতে সুনীলের ‘প্রথম আলো।’ মা ওকে এ অবস্থায় দেখলে চিলচিৎকার জুড়ে দেবেন,এত বড় ধিঙ্গি মেয়ে কাজকর্ম বাদ দিয়ে রোদ পোহাচ্ছে বলে। কিছুক্ষণ আগে মা-মেয়ের এক দফা যুদ্ধ হয়ে গেছে।সকাল থেকে মা নিশিকে ঘরের কাজে হাত লাগাতে বলছেন।কিন্তু নিশি মার কথা গায়ে মাখছেই না।সে বরাবরই অলস স্বভাবের।তার ওপর এখন কলেজে শীতের ছুটি চলছে।

বিস্তারিত»

ভাবনাপঞ্জি

ক’দিন আগেও এ ঘরটা বেশ খোলামেলা ছিল। লোকে তেমনটিই বলত । ক’দিন হল এ ঘরটাকে আমার গুমোট ঘুপচি মনে হচ্ছে। যেন চারপাশটা আমাকে ঠেসে ধরবে।শ্বাস রোধ হয়ে যাবে।ঘর নিয়ে গবেষণার পরিবর্তে এখন আমার অফিসের কাজ-কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল। আর কথা ছিল ছ’টায় বাসায় ফেরার।ততক্ষণে বেলী – আমার স্ত্রীও অফিস থেকে ফিরবে ।ছোট মেয়ে ঝিনুক আরও আগেই স্কুল থেকে ফেরে।সারা দিনের খাটা-খাটুনির পর স্ত্রী-কন্যার সাহচর্যে সব ক্লান্তি-শ্রান্তি মুছে যা্বে।

বিস্তারিত»

টিউশনি

রেহনুমাদের হলের গেটে অসংখ্য পোস্টার সাঁটা।চিত্র প্রদর্শনী,নাট্যোৎসব,আবৃত্তি কোর্স,বিতর্ক প্রতিযোগীতা –এসব তো আছেই,সেই সাথে টিউশনি আর পার্ট টাইম চাকরীর পোস্টারও অনেক।আজকাল টিউশনির বিভিন্ন মিডিয়া আছে।তারা বিশাল তালিকা ঝুলিয়ে দেয়-‘অমুক অমুক জায়গার তমুক তমুক ক্লাসের ছাত্র/ছাত্রীর জন্য শিক্ষিকা প্রয়োজন!’ অবচেতন মনেই এতদিন সেসব পোস্টারের দিকে তাকিয়েছে রেহনুমা।খুব একটা গা করেনি।শুধু টিএসসিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর কোন পোস্টার থাকলে সেদিকে আগ্রহ নিয়ে তাকায়।সময়-সুযোগ মিলে গেলে দু’একটা সিনেমা দেখা হয়ে যায়।কিন্তু গত চার-পাঁচদিন ধরে গেটের পোস্টারগুলো খুব ভালভাবে খেয়াল করছে ও,বিশেষ করে টিউশনিগুলোর।একটা টিউশনির খুব দরকার।ডিপার্টমেন্ট থেকে একটা ট্যুর আয়োজন করা হয়েছে বান্দরবানে।হাজার চারেক টাকা লাগবে।কিন্ত মার কাছে টাকার কথা মুখ ফুটে বলার সাহস নেই তার।ছোট চাকুরে মায়ের ঘাড়ে বেশি বোঝা চাপাতে ইচ্ছে করেনা ।তাছাড়া সামনে আছে ঈদ।মা আর ছোট ভাইকে কোন কিছু উপহার দেয়ার শখটা  উথলে উঠছে মনে।গতমাসে শুধু ডাল-ভাত-ভর্তা খেয়ে খাবারের খরচ থেকে বেশ কিছু টাকা বাঁচিয়েছিল সে।ভেবেছিল সেটা দিয়ে মা আর ভাইয়ের জন্য কিছু একটা কিনবে।কিন্তু মার্কেটে গিয়ে একটা সালোয়ার-কামিজ এত পছন্দ হল যে মা-ভাইয়ের কথা বেমালুম ভুলে হুট করে কিনে ফেলল সেটা।এখন মনে মনে নিজেই নিজেকে দুষছে-রেহনুমা,তুমি বড় স্বার্থপর মেয়ে!নিজেরটা খুব ভাল বোঝ!এত্ত বড় একটা মেয়ে তুমি,অথচ এখনো মায়ের টাকায় চল!কখনো মাকে দিয়েছ কিছু ?

বিস্তারিত»

কি বলব বলুন?

মাস্টার্স করেছিলাম জার্মানিতে। ওরা বলে ডিপ্লোম । ডিপ্লোম আরবাইট (মাস্টার্স থিসিস) করেছিলাম ZSR এ(Center for Radiation Protection and Radiocology) । একটা ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রজেক্ট ছিল এটা। কাজ করছিলাম PSI (Paul Scherer Institute) Switzerland এর Injector 2 Cyclotron এ।
ringcyc
এটি একটি সর্বাধুনিক কণা ত্বরণ যন্ত্র (state of the art particle accelerator) যা উচ্চ শক্তি সম্পন্ন প্রোটন রশ্মি তৈরী করে। আমার গবেষনা ছিলো এই প্রোটন রশ্মি দিয়ে দীর্ধ অর্ধজীবন (long half life) সম্পন্ন অণুগুলোকে স্বল্প অর্ধজীবন (short half life) এর অণুতে রুপান্তরিত (transmute) করা।

বিস্তারিত»

পুরনো দিনের গান, আজো ভরে মনপ্রাণ ( ২ )

কামরুল ভাইয়ের পুরনো দিনের গান আজো ভরে মনপ্রান পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে। কমেন্টেই অনেক কথা লেখা হয়ে গেছে তাও অনেক কিছু মনে পড়ে গেল কলেজ ফাংশন নিয়ে। কলেজে সব ব্যাচ ঢুকার পরই একটা ফাংশন করতে হত আমাদের কলেজে সেটাকে বলত ট্যালেন্ট শো। সেখানেই বের হয়ে পড়ত কারা গান গায় কারা কি পারে, এবং পরবর্তী ৬ বছর তাদের দিয়েই সব ফাংশন করানো হত। সবচেয়ে হিট হত মোটামোটি হিন্দি গানটা তাই হিন্দি গানটা করানো হত সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট কাউকে দিয়ে।

বিস্তারিত»

প্যাঁচালী মদন

তখন আমরা ক্লাস ১১ এ। আর তার আগে বা সেইসময়ই কোন টিভিতে যেন প্যাঁচালী মদন অনুষ্ঠান বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেল। হিন্দী এমটিভি বাকরা টাইপের দেবাশীষ বিশ্বাস করত। রাস্তা ঘাটে যাকে তাকে মদন বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে সেটার নাম হয়েছিল নদু মানে নন্দদুলাল। এই জিনিস যে ক্যাডেট খাবে তা আর বলা লাগে না। কলেজে এসে শুরু হল আমাদের নানা প্ল্যান। ছোট খাট মদন তো আমরা সবসময় বানাচ্ছি।

বিস্তারিত»

কালো দিন

এই ব্লগে যারা লিখছে তাদের পরিচয় পাওয়ার জন্য আমাদের কথায় গেলাম। গিয়ে দেখি আমিই এই ব্লগের সিনিয়র মোস্ট রাইটার। বেশির ভাগই ৯৯ ব্যাচ। এরপর রাতে শুয়ে ভাবছি ৯৯ ব্যাচ কোনটা আমাদের কলেজের। সাথে সাথে আমার সেই দুঃস্বপ্নের দিনের কথাটা মনে পড়ে গেল। এতদিন যা লিখেছি সবই মজার কাহিনী। আজ তাই সেই দিনের কাহিনী লিখার চেষ্টা করি। আমি কোনদিন কাউকে এই কাহিনী ভালো করে বলতে পারিনি।

বিস্তারিত»

ইউসুফ-জুলেখা

ক্যাডেট কলেজের ব্লগে রোমান্টিকতা নেই এই আক্ষেপ যাদের তাদের আক্ষেপ ঘুচানোর একটা দায়িত্ব নিলাম। আমাদের কলেজের খুবই একটা জম্পেশ কাহিনী। স্পর্শকাতর বলে কিছু নাম গোপন রাখা হইল কেবল নায়কের নাম ব্যতিত।
ইউসুফ হল নায়কের নাম। সেই হিসেবে নায়িকার নাম জুলেখা দেওয়াই উচিত।

বিস্তারিত»

পেটিস খাইতাম

মাহবুব স্যার, বোটানি। চরম তার ব্যক্তিত্ব। সারাক্ষণ একটা ভাব নিয়েই থাকেন কিন্তু কথা বলার সময় বেশ মজা করে কথা বলেন। ওনার একটা কাহিনী। হাউস ফাংশানে ছেলেকে নিয়ে এসেছে উনি। (প্রসংগত উনি সিলেটি এবং কথাবার্তায় সিলেটি টান বিদ্যমান)। হাউস ফাংশান গুলাতে প্রায়সময়ই একই ধরণের মেনু থাকে। টি এর সবচেয়ে ভালো মেনু পেটিস হয়তবা একটা মিষ্টি আর চা। সাথে হয়তবা কোক। স্যার ছোট ছেলে কিছুক্ষণ ধরেই ফাংশানের অপরিহার্য অংশ বক্তৃতা শুনছে।

বিস্তারিত»

কিছু কাহিনী

ক্লাস এইটে উঠেছি তখনো নতুন জুনিয়র আসেনি। প্রায় প্রতি ব্যাপারেই এইটের সাথে লাগে লাগে অবস্থা। আমরা হয়ত কোন বড় ভাইকে পটিয়ে ডাইনিং টেবিলে হাত তুলে খাওয়ার পারমিশন পেয়ে গেছি। কিন্তু ওরাও কম যায়না অন্য প্রিফেক্টের কাছে চলে গেছে ওইটা নাকচ করে দেবার জন্য। আবার আমরা সালাম দিচ্ছিনা ওইটাও তাদের মহা মাথাব্যাথার কারণ। আরো হাবিজাবি কত কিছু তো আছেই। তার ই মধ্যে অনেক এর সাথেই ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠছে।

বিস্তারিত»

ডায়ালগ মাসালা (সিলেট পর্ব)

সিলেট ক্যাডেট কলেজের ডায়ালগ এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু ঘটনা । সব যে আমার সামনেই হয়েছে তা নয়। অনেকগুলা আমার শোনা। তেমন একটা দিয়ে শুরু করি। রাখাল স্যার কে অনেকেই চিনে ফেলেছে। এক রাখাল স্যার কে দিয়েই একটা ব্লগ সাইট বানানো যাবে বলে তাকে যারা দেখেছে তাদের ধারণা। আমার সেই সৌভাগ্য (?) হয়নি। আমার ছোটভাই (রায়হান, স.ক.ক) রা পেয়েছিল ওনাকে। তার মুখে শোনা…

বিস্তারিত»