সিলেট ক্যাডেট কলেজের ডায়ালগ এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু ঘটনা । সব যে আমার সামনেই হয়েছে তা নয়। অনেকগুলা আমার শোনা। তেমন একটা দিয়ে শুরু করি। রাখাল স্যার কে অনেকেই চিনে ফেলেছে। এক রাখাল স্যার কে দিয়েই একটা ব্লগ সাইট বানানো যাবে বলে তাকে যারা দেখেছে তাদের ধারণা। আমার সেই সৌভাগ্য (?) হয়নি। আমার ছোটভাই (রায়হান, স.ক.ক) রা পেয়েছিল ওনাকে। তার মুখে শোনা…
*ভদ্রলোক কিল চুরি করে… আর রাখাল স্যার বাঁশ………রাখাল স্যার এর কথায় কথায় একটা কাহিনী থাকে, তার মধ্যে যে উনি কত ক্যাডেট কে মেরে ফেলল। সব কাহিনী শেষ হয় মর্মান্তিক ভাবে ক্যাডেট মারা গিয়ে। তো এক দিন উনি ক্লাসে বলছেন কিভাবে ভদ্রলোক কিল চুরি করে। সারমর্ম হচ্ছে ভদ্রলোক যদি অনেকের মাঝখানে কারো কিল খায় তাও কাউকে বলে না সম্মান চলে যাবে বলে। তো ঐ দিন রাতে উনি হাউসে এসেছেন। দুই ক্যাডেট আলাপ করছে রুমের ভিতরে। এক জনের ডায়ালগ- “রাখাল স্যার এর মত বদ আর কেউ নাই। ওনার …… বাঁশ দেওয়া দরকার”। দুজন হঠাৎ অবাক হয়ে দেখে রুমের ভিতরে কখন যেন রাখাল স্যার এসে হাজির। উনি যে ভদ্রলোক এরপর তাতে কারো আর সন্দেহ থাকল না ।কারণ উনি কাউকেই কিছু বললেন না।ভাবখানা এমন যেন কিছুই শোনেন নাই। ভদ্রলোক কিল চুরি করে আর রাখাল স্যার বাঁশ চুরি করে ফেলল।
*write a principal to the application
জনৈক কলেজ কালচারাল প্রিফেক্ট (নামটা বলেই দেই। ব্যক্তিগত আক্রোশ; বহু জালাইছে। ফারুক )কতৃক জুনিয়র কে বন্ড লিখার হুকুম।
* রুমে পিন ড্রপ ময়লা থাকবে না…
সবাইকে রুম পরিষ্কার করার হুকুম দিতে গিয়ে জনৈক প্রিফেক্টঃ রুমে পিন ড্রপ ময়লা থাকবেনা (মানে টা কি হইল?)। মনে হয় পিন ড্রপ সাইলেন্স শব্দটা তার খুব মনে ধরেছিল। সুযোগ মত চালিয়ে দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল।
*পিছনে কি আলুউউউউউ(একটা লম্বা টান) আছে?
লাঞ্চের ফল ইন এ পিছনে হঠাৎ কাউকে বিশাল জোরে shunting দেওয়ার শব্দ শুনে আমরা সবাই যখন পিছনে তাকিয়েছি তখন ১৬তম ব্যাচের হায়াত ভাই(কলেজ কালচারাল প্রিফেক্ট)
* দেখো তো প্রিন্সিপ্যাল আসছে কিনা?
শাহজাহান স্যার পাবনার পোলাপান চিনতে পারে। ক্লাসে প্রচুর লেকচার দিত। বাংলা পড়াতে গিয়ে উনি কত কিছু যে করত। তো একদিন কি একটা ব্যাপারে উনি প্রিন্সিপাল এর উপর খেপে আছেন। একেবারে ক্লাসে কোর্ট বানিয়ে দিয়েছেন। প্রিন্সিপাল কোন ক্যাডেট কে যেন কি করেছিল। উনি মানতে পারেন নি। তাই একেবারে কোর্ট হয়ে প্রিন্সিপ্যাল এর বিচার হচ্ছে। আমাদের মধ্যে ২ জন কে দুই দিকের উকিল বানানো হইছে। আমরা তো মহা খুশি। পরে জজ সাহেব বলতেছেন- “তোমরা ক্যাডেটরা কিন্তু কখনো কাউকে ভয় করবে না সব সময় সত্যি কথা বলবে।… এই দেখো তো প্রিন্সিপ্যাল আসছে কিনা?”
* আমি ‘আর কি’ বলা ছেড়ে দিয়েছি আর কি
এই যাহ স্যারটার নাম ভুলে গেছি। ওনাকে আজীবন আরকি বলেই ডেকে এসেছি। উনিও এখন পাবনায়। পোলাপান চিনলে নামটা বল তো। উনি ক্লাসে সমানে আরকি বলত আর মাঝের একটা সময়ে আমরা সবাই কৌশলে একটা তালি দিতাম কারণ কেউ একজন গুনছে আর তালি দেবার অর্থ তখন ৫০ হয়ে গেছে। কখনো অবশ্য আমাদের ফর্মে ওনার সেঞ্ছুরি হয়নি। সেই তিনি অনেকদিন পরে দেখা হওয়ার পর…। ওহহ নাম মনে আসছে; মকবুল স্যার, পৌরনীতি।
চলবে… <p
write a principal to the application
এইটা কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজে ইকবাল হাসান তালুকদার স্যার (ভূগোল) বলেছিলেন এক ক্যাডেট কে। স্যার এরপর সিলেটে গিয়েছিলেন। ফারুক ভাই কি স্যারের কাছ থেকেই তাহলে শিখেছিলেন?
যা হোক। জিহাদের মত করে আমিও বলি, সাব্বাস। চালায় যা।
শাম্স ভাই, আপনার লেখাও চাই তাড়াতাড়ি।খালি কমেন্টস দিলে হবেনা। লেখার ব্যাপারে নো তেড়িবেড়ি।
কামরুল ভাই এর "বন্ড" নামের ব্লগটাতে কিভাবে লিখতে হবে তার নিয়ম কানুন বলে দিয়েছি।সেটা একটু দেখে নিবেন প্লীজ।
কামরুল ভাই,এই লেখাটা হেভী জটিল হইসে 😀 এক্কেবারে ফার্স্ট কেলাস...
"রুমে পিন ড্রপ ময়লা থাকবে না…" ঝটিলস্য হইয়াছে। বড়ই মজাক পাইলাম।
রায়হান তুমি আমাকে সচলায়তনে এসএমএস দিতে চেয়েছ। বড়ই খুশি হয়েছি আরো খুশি হতাম যদি আমার নং টা তোমার বান্ধবী মহলে ছড়িয়ে দিতে। উলুম্বুশ আমি ।
ভালই হইল একদিক দিয়া। আমি ঠিক করছি জাপানী মেয়ে বিবাহ করিব। এখন খালি আমার আর আপনার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরটাই বাকি রইল। দেখি কি করা যায়। 😀
রাখাল স্যারের ভুরি বুরি কাহিনী শোনার সৌভাগ্য আমাদেরও হয়েছে। তবে সবচেয়ে আজগুবি কাহিনী বলতে পারতেন তালুকদার স্যাল। যে কাউকে ছাড়িয়ে যাবেন। তিনি একবার বলেছিলেন, রংপুর থেকে মির্জাপুরে ট্রান্সফার হয়ে আসার সময় ক্যাডেটরা নাকি সব রাস্তায় শুয়ে পড়েছিল। সবার মুখে নাকি ছিল এ কথা,
"স্যার, কলেজ ছেড়ে যেতে হলে আপনাকে আমাদের বুকের উপর দিয়ে যেতে হবে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!"
আমারও বিশ্বাস হইতেছে না যে কেউ এটা বলতে পারে। কিন্তু কি করবো, নিজ কানকে তো অবিশ্বাস করা যায় না।
খাইসে, এইরকম ওপেন সিক্রেট জায়গায় স্যারদের বদনাম! ভুলেও যেন কখনো ওনাদের কেউ এই জায়গার ঠিকানা না পায়।
*
শামস,
আছো কেমন? তুমি লেখা শুরু করো কুইক। অবশ্য তোমার এক লেখা নিয়া এককে মাশাআল্লাহ যা চলতেছে! ক্যারি অন ব্রো।
তারেকভাই আপনি কি অস্ট্রেলিয়ার তারেক ভাই?
তারেক ভাই কেমন আছেন? অনেকদিন পর। একটা লেখা নিয়ে যা শুরু হইসে তাতে আর লেখার সাহস পাচ্ছিনা। হা হা হা.... এই খানে সবাই জটিল লেখে।
শামস জটিল লেখার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে ঘটনা গুলা জটিল। আর মজা পাবার জন্য সাহিত্যগুনের একদমই দরকার হচ্ছেনা। দেখা যাচ্ছে সবাই ঘটনা শুধু লিখা থেকে নিচ্ছে আর বাকিটুকে কল্পনা করে ফেলছে তাই মনে হচ্ছে জটিল। তুই তাড়াতাড়ি লিখা দে।
তপু/ কামরুল,
আমি পুরান মানুষ। তুমি যার কথা ভাবতেছ, সে-ই।
শামস,
ভাল আছি।
তোমার লেখাটা খানিকটা এডিটেড হওয়া দরকার ছিলো। তোমার দোষ নাই আসলে। কিন্তু যে ল্যাংগুয়েজে এইটারে ক্রিটিসাইজ করা হইছে সেইটা আমার একদম পছন্দ হয় নাই, সেইজন্যে মাথা গরম করে আমিও একটা মেইল করে দিছিলাম। দেখছিলা?
এনিওয়ে, তুমি লেখা চালাইয়া যাও।
🙂
পাঠা, মকবুল, ভূগোল এর. আরকি আরকি করা ছেড়েই দিসিলেন আরকি..... 🙂 এখনো মাঝে মাঝে চলে আসে আরকি....