গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-৩

গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-১
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-২
রাজিব

জহিরের চাচা বললেন, তোমার নাম মাস্তান রাজিব।
জি না শহিদুল আলম রাজিব।
চাচা এক নজর চেয়ে থেকে বললেন, তাই তো মাস্তান রাজিব তো কারো নাম হতে পারে না। অন্য ছাত্ররা দিয়েছে না। খুব খারাপ কথা।
আচ্ছা তোমার প্রিয় খাবার কী ?
গরুর মাংস এবং ভুনা খিচুড়ি।

বিস্তারিত»

আজ বুঝি জিতেই যাব

কেন যেন মনে হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এর আজকে খবরই আছে। ক্লাসের ফাঁকে খেলার খবর নিচ্ছিলাম অনেকটা কলেজে থাকতে আইসিসি সেমিফাইনালের মতই মনে হচ্ছিল। একে একে যখন উইকেট পড়ছে চিৎকার করতে পারছিনা। আস্তে আস্তে মুখটা হাসিমুখ হয়ে গেল। এক ভাইয়াকে ফোন করে বললাম ৭৯ রানে ৬ উইকেট। ভাইয়া পাত্তা দিলনা ও আচ্ছা। বললাম বাংলাদেশ ব্যাট করছে না বল করছে। আমি নিশ্চিত ওনার চোখ বড়বড় হয়ে গিয়েছিল। এরপর অনেকক্ষণ না দেখে এসে দেখি ২০০ হয়ে গেছে।

বিস্তারিত»

প্যাঁচালী মদন

তখন আমরা ক্লাস ১১ এ। আর তার আগে বা সেইসময়ই কোন টিভিতে যেন প্যাঁচালী মদন অনুষ্ঠান বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেল। হিন্দী এমটিভি বাকরা টাইপের দেবাশীষ বিশ্বাস করত। রাস্তা ঘাটে যাকে তাকে মদন বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে সেটার নাম হয়েছিল নদু মানে নন্দদুলাল। এই জিনিস যে ক্যাডেট খাবে তা আর বলা লাগে না। কলেজে এসে শুরু হল আমাদের নানা প্ল্যান। ছোট খাট মদন তো আমরা সবসময় বানাচ্ছি।

বিস্তারিত»

গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-২

গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-১
জহির
ক্লাসের সবাই আমাকে গাধা বলে ডাকে। তা ডাকুক। আমার আপত্তি নেই।
ওরা আমাকে গাধা বলে মজা পায়। আর আমিও গাধামি করে ওদের আরেকটু মজা দিই।
এই যেমন সেদিন ক্লাসে অংক স্যার বললেন,‘গাধারা পানি ঘোলা করে খায় ?’
প্রশ্ন দেখা দিল পানি ঘোলা করলে সেটা কী রকম দাঁড়ায়। প্রশ্নটার উত্তর কেউ জানে না, আমার মাথায় কী এল আমি হুট করে বললাম,

বিস্তারিত»

আমার বন্ধুয়া বিহনে-২

আমার বন্ধুয়া বিহনে-১
আমার রুমমেট শোয়েবের চেহারাটাই এমন, ও জেগে থাকলেও আমরা সন্দেহ করতাম শোয়েব ঘুমিয়ে আছে। করার অনেক কারনও ছিল।
প্রেপ কিম্বা ক্লাস আওয়ারে ফর্মে অনেক হিট ফ্লপ রস হতো। মাঝে মাঝে কেউ খুব হিট কোনো রস করলে আমরা সবাই দম ফাটিয়ে হাসতাম। কেউ চেয়ার থেকে পড়ে গড়াগড়ি খেতো। অতি উৎসাহী এবং সুযোগসন্ধানী কয়েকজন, ওরে মা রে, হাসতে হাসতে মইরা গেলাম রে বলে চামে পাশের জনকে কিল,থাপ্পড় মেরে দিতো।

বিস্তারিত»

আমার আপুসোনা – ৩ ( দেশে ফেরা )

ডিসক্লেমার
আমার পুরান একটা সিরিজ আছে এই নামে। সেটার একটা পার্ট লিখলাম। আজ সারাদিন শুয়ে শুয়ে মন ভাল করার জন্য দেশে প্রথম যাওয়ার কথাটা চিন্তা করলাম । সেটার সাথে যোগ করে দিলাম আমার সেই ছোট্ট বেলা থেকে বয়ে আনা আপুসোনার কল্পনা। এর আগের দুটা পর্ব হল
আমার আপুসোনা – ১
আমার আপুসোনা – ২
তখন যখন লিখেছিলাম অনেকে বলেছিল বেশি ন্যাকামি হয়ে যাচ্ছে।

বিস্তারিত»

কি যে লেখি

বহুদিন পরে সিসিবিতে আসলাম। দেশে গিয়েছিলাম একটু বেড়াতে। এরই মধ্যে সিসিবি জমজমাট , প্রচুর নতুন লেখা। বাসায় থাকতেই দেখেছি কিন্তু একটাও পড়িনি। কারণ আমি জানি দেশ থেকে এসে আমার মনের অবস্থা ঠিক করার জন্য এর চেয়ে ভাল অষুধ আর হবে না। ঈদের আগেরদিন দেশ থেকে রওনা দিয়েছি । কিছু ঝামেলার জন্য মা টাকে কাঁদিয়ে আরো অনেক আত্মীয়কে আফসোসে ফেলে প্লেনে উঠলাম। নিজের অবস্থা নাই বা বলি।

বিস্তারিত»

এই পথ যেন না শেষ হয়…

দুই হাজারেরও কিছু বেশি দিন ক্যাডেট কলেজে কাটাইয়া আসিবার পরও আমার কেবলই মনে হইতে লাগিলো -ইস, আরেকবার ফিরিয়া গিয়া আরো দুই হাজার দিন থাকিয়া আসিতে পারিলে বেশ হইতো। কিন্তু এই জীবনে তাহা আর হইবার নয়। আমার বুক ফাটিয়া কেবলই কান্দন আসিতে লাগিলো। হায় আমি একি হেরিলাম।

তার পর বহু বৎসর কাটিয়া গিয়াছে। চা বাগান আর পাহাড় ঘেরা সেই ছাপ্পান্ন একর স্থানে থাকিতে আমার দুই কর্ণের উপরে যেইখানে কেশরাজির আভাস মাত্র ছিলোনা,

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের-শেষ পর্ব

অঙ্কে আমি কোন কালেই ভালো ছিলাম না। ভালো যে ছিলাম না সেটার প্রমানও দিচ্ছিলাম নিয়মিত। পাক্ষিক পরীক্ষায় কোনদিন পাস করিনি। মেট্রিকের আগে টেস্টে পেলাম ৪১। কোনমতে পাশ। রেজাল্ট দেখে প্রিন্সিপাল সোহরাব আলী তালুকদার বলেছিলেন – খবরদার তুমি আমার সামনে আসবা না আজকে থেকে। তোমার চেহারা দেখলে আমার লজ্জা লাগে।  কিন্তু সেই আমি যে এস.এস.সি তে অঙ্কে ৯৮ পেয়ে গেলাম সেটা আমার স্যারদের বাড়তি যত্ন আর নজরদারির ফলেই।

বিস্তারিত»

কোথায় পাবো তাদের-৭

১.

ভুগোলের নুরুল হোসেন স্যারের একটা অভ্যাস ছিলো। যে কোন জায়গায় প্রিন্সিপাল সোহরাব আলী তালুকদার কে দেখলে উনার হাত কচলানি শুরু হইয়া যাইতো। প্রিন্সিপালের যে কোনো কথার জবাব স্যার দুই হাতের তালু একটা আরেক টার সাথে ঘষতে ঘষতে দিতেন। আমাদের বদ্ধমুল ধারনা ছিলো এই রকম হাত কচলানোর ফলে স্যারের হাতের রেখা বলতে কিছু নাই। সেই জন্যে স্যার ক্লাস নিতে আসলেই আমরা নানা ভাবে উকিঝুকি দিয়া তার হাতের রেখা দেখার চেষ্টা করতাম।

বিস্তারিত»

আট বছর আগে এক দিন

একটু আগেই এইচ.এস.সি পরীক্ষার রেজাল্ট দিলো। যারা এইবার পরীক্ষা দিয়েছে তারা নিশ্চয় জিপিএ-৫ পাওয়া নিয়ে খুব টেনশনে ছিলো। আট বছর আগে এমন এক দিনে আমিও খুব টেনশনে ছিলাম। এ প্লাস, জিপিএ-৫ এইগুলি নিয়ে না। আমার পাস করা নিয়া টানাটানি ছিলো।
রেজাল্ট আনতে গিয়া দেখি কানের পাশ দিয়া গুল্লি গেছে। ফার্স্ট ডিভিসন। ফোন করে আব্বারে জানানোর পর আব্বা বললেন- গরু ছাগল রে দুই বছর পড়াইলেও তো স্টার মার্ক পাইবো।

বিস্তারিত»

আমার ভিতর-বাহিরে অন্তরে অন্তরে…

কালবেলা ভাইয়ার পোস্টটা পড়ে একটু মন খারাপের মতো হলো। কমেন্ট দিতে গিয়ে দেখলাম অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে আলাদা পোস্ট লিখতে হলো।

ভাইয়ার বেশ কিছু বিষয়ের সাথে একমত হতে পারছিনা।

“ক্যাডেট কলেজে ক্যাডেট রা হল রাস্তার পাশে সারি সারি পাতাবাহারের মত…………………… পাতাবাহার গাছ গুলোকে কি করা হয় কিছুদিন পর পরই? কাঁচি দিয়ে ছেটে দেয়া ………………………এখানে নিজের মত করে বড় হবার সুযোগ নেই।

বিস্তারিত»

ফিরে ফিরে আসি-২

৩.
ক্লাস শেষ হওয়ার পর এক স্যার চলে গিয়ে অন্য স্যার আসার আগে মাঝে মাঝে দুই এক মিনিট সময় পাওয়া যায়। সেই সময় আমরা খুব মজা করতাম। একজন অন্যজন কে পচানো, হিট-ফ্লপ রস করা সব হতো ওই সময়। কেউ গলা ছেড়ে গান গাইতো, কয়েকজন টয়লেটে যাবার জন্য দল বেধে বেরিয়ে যেতো। শুধু দু একজন তখনো ঘুমিয়ে থাকতো। কে আসলো, কে গেল, কার ক্লাস এই সব তাদের কাছে কিছুই মানে রাখে না।

বিস্তারিত»

ফিরে ফিরে আসি-১

ক্যাডেটদের ফাজলামি নিয়ে লেখা এই গল্প গুলির কিছু আমার নিজের দেখা, কিছু রি-ইউনিয়নে বড় ভাইয়াদের কাছে শুনা।

১.

আমাদের অনেক সিনিয়র কাশেম ভাই হঠাৎ করে একদিন পাগল হয়ে গেলেন।
গেমস টাইমে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে সবাই খেলছিল। হঠাৎ কাশেম ভাই বলা নেই কওয়া নেই গ্রাউন্ডের চারদিকে চক্কর দেয়া শুরু করলেন। প্রথমে কেউ দেখল না বা দেখলেও পাত্তা দিল না। কিন্তু গেমস টাইম শেষ হওয়ার পরও কাশেম ভাই চক্কর দিতেছে দেখে স্টাফ ডাক দিয়ে বললেন
-কাশেম ব্রেক আপ হয়ে গেছে,

বিস্তারিত»

দুষ্ট ছবি আর দুষ্ট গানের গল্প।

১.
ক্যাডেট কলেজে আমার দেখা প্রথম সিনেমা ছিল অক্ষয় কুমার আর রাভিনা ট্যান্ডনের ‘মোহরা’। আমরা তখন ক্লাস সেভেনে একেবারে নতুন। সেই সময় নিয়ম ছিল মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ফিল্ম শো হবে। আমরা তো আর এত কিছু জানিনা। একদিন সন্ধ্যায় টি ব্রেক শেষ হওয়ার ঘন্টা পরার সাথে সাথে দেখলাম ক্লাস ১২এর ভাইয়ারা আমাদের আগে ডাইনিং হল থেকে দৌড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। তারপর ক্লাস ১১, ১০ একে একে সবাই।

বিস্তারিত»