হে বীর, তোমায় সালাম

সময়টা ১৯৭১ সালের মার্চ মাস। আইয়ুব ক্যাডেট কলেজের ক্যাডেটদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেই বা কি, অনেকেই বাড়ি ফিরে যায় নি। অনেকেই বলতে অনেক সাহসী ক্যাডেট। দেশমাতৃকার এই চরম দুর্দিনে বাড়ি গিয়ে আরামে ঘুমাবে কি করে? চারঘাটের ছেলে আব্দুল মান্নাফও এর ব্যাতিক্রম নয়। এ্যাডজুটেন্ট ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। কোথায় কবে অপারেশন হবে তার সবকিছুই বলতে গেলে মান্নাফ জানে।

বিস্তারিত»

আমার লেখাটা একটু পড়বেন কি?

যাবার কয়েকদিন আগে, প্রিন্সিপাল বাংলোর ল্যাম্ব রোস্টের গন্ধে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম যে, ২ দিন পরে কলেজ থেকে চলে যাবো। চেতনা ফিরলো যখন রানা ভাই এসে একটা হাঁক ছাড়লেন, ভাই কাপড় জমা দেন, কাপড়। হায়রে ক্যাডেট লাইফ। আমার এক ফ্রেন্ডকে প্রায়ই বলতে শুনতাম,”যৌবনের তেজ আর জোরে চাপা ছোটো বাথরুম দুইটাই ক্ষণস্থায়ী। ” সে যদিও হিন্দিতে বলতো আমি একটু অনুবাদ করে দিলাম আর কি! আরে, আর কি লিখতে গিয়ে মনে পড়লো আমাদের আর্কিমিডিস স্যারের কথা মানে ভূগোলের মকবুল স্যারের কথা।

বিস্তারিত»

ক্যান্টিনে ডাকাতি

পেটেতে ডাকিছে মেঘ, ক্ষুধায় যে মরি,

খালি পেটে বসে আছি, নাহি ফুটাকড়ি। ~x(

যতটা কুপন ছিল,   সবই আজি শেষ হলো

কুপনের খোসা হাতে রইনু পড়ি-

খালি পেটে বসে আছি,নাহি ফুটাকড়ি। :no:

 

ডাইনিং এ রুটি দিলো, মুখে নাহি রুচে,

সব্বার মুখে মুখে গালাগালি ছুটে। 😡

প্রেপ শেষে রুমে এসে, 

বিস্তারিত»

বৃষ্টিবিলাস

আকাশজুড়ে মেঘের সভা, সূর্য মেঘে ঢাকা
চিন্তা ছিল, ভাবনা ছিল, মনটা বেঁধে রাখা।
রসায়নে মন বসে না, বইয়ের পাতায় চোখ,
জানলা খোলা, ভেজা হাওয়া জানায় অভিযোগ।
এলোমেলো মাতাল হাওয়ায় উড়ুউড়ু চুল,
সমীকরণ লিখতে গিয়ে সাজাই শুধু ভুল।
চোখ চলে যায় মাঠ পেরিয়ে মেঘবালিকার সাথে,
বই খাতা সব রইল পড়ে, বৃষ্টি আমায় ডাকে।
বড় বড় ফোঁটায় নামে কালো মেঘের ঢল
ভিজছি আমি,

বিস্তারিত»

যখন আমি ক্যাডেট ছিলাম (পর্ব ৪)

নতুন জীবন ও একজন জুনায়েদ স্যারঃ

নেমপ্লেটটার দিকে তাকিয়ে ফোঁস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি। পাশের বেডে বসা তারান্নুম (সেই রোগা টিংটিঙে মেয়েটা) পা দোলাতে দোলাতে জিজ্ঞাসা করলো,” এমন বড় বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলছিস কেন?” আমি আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলি,”আমার নেমপ্লেট দেখে! এটা কোন নাম হলো বল তো? রাহাত আরা! খেয়া নামটা কতো সুন্দর না?” তারান্নুম হি হি করে হাসে,” সত্যিই তো! রাহাত আরা,কি আজব নাম!

বিস্তারিত»

যখন আমি ক্যাডেট ছিলাম (পর্ব ৩)

প্রথম দিন,অমলিনঃ

“দেখি ভাই, আমাকে একটু দেখতে দেন………“- বলতে বলতে ভীড় ঠেলে নিজের জন্য একটু জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা চালায় পাপা। “আয়েশা হাউস।“- বিড়বিড় করে নামটা বারকয়েক আউড়ে নিলাম আপনমনে। ইতোমধ্যে জানা হয়ে গেছে আমার, ক্যাডেট কলেজে ‘হল’ বলা হয় না, বলতে হয় হাউস; রুম না বলে বলা হয় ডরমেটরি। পাপা অভিভাবকদের লিস্টে স্বাক্ষর করে বিজয়ীর ভঙ্গিতে ফিরে আসে। “বেটি, তোমার ডর্ম নাম্বার ২০৭,

বিস্তারিত»

যখন আমি ক্যাডেট ছিলাম (পর্ব ২)

ওই দেখা যায় ক্যাডেট কলেজঃ

খাওয়ার টেবিলে আজ সবাই খুব চুপচাপ; মাঝেমাঝে চামচের টুংটাং শব্দ হচ্ছে নীরবতা ভেঙ্গে। এমনকি আমার বাচাল ছোট ভাইটাও কথা না বলে খেয়ে যাচ্ছে নিরবে। আজকে আমার পছন্দের খাবারগুলো রান্না করেছে মামনি। রান্না হয়েছেও চমৎকার। অথচ দেখে মনে হচ্ছেনা খাওয়ায় রুচি আছে কারো। নববর্ষের দিন আজ, কিন্তু কেউ বাইরে বের হইনি আজকে, কারণ কালকে আমার ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার দিন।

বিস্তারিত»

আমি যখন ক্যাডেট ছিলাম

 

লক্ষ্য যখন ক্যাডেট হওয়া :

রাগে গজগজ করতে করতে মোড়টা পেরোলাম ।-“এতো সকালে মানুষ ওঠে ঘুম থেকে ? ওঠে কাক । আমি কি কাক ? কেন কোচিংটা এই কাকডাকা ভোরেই হতে হবে ?” প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে ভীষণ কষ্ট হয় আমার । কোনমতে নামায পড়ে পোশাকটা বদলে আসতে গিয়ে অবধারিতভাবে দেরী হয় প্রতিদিন । তাই প্রথম ক্লাসে দাঁড়িয়ে থাকাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ।

বিস্তারিত»