আমাদের নরসিংদীর খুব পরিচিত একটা লাইব্রেরীর নাম হোল “বঙ্গআজাদ লাইব্রেরী”। এই লাইব্রেরীর কর্ণধার হুমায়ুন মামা, আমার বাবার নামে নাম বলেই কিনা এই মানুষটার মধ্যে পিতৃভাব প্রবল। কর্মব্যস্ত, প্রচণ্ড রকমের ছটফটে আর হাসিখুশি মানুষটি আমাকে খুব স্নেহ করেন। সবাইকে নিয়ে হই-হুল্লোড় করে ভুরিভোজ উনার বিশেষ পছন্দের কাজ।পেল্লায় সাইজের একটা গলদা চিংড়ী আমার প্লেটে তুলে দিতে দিতে মামা একদিন বলেছিলেন, “শোনো মামা, যা ইচ্ছা করে সেটাই খাবা।
বিস্তারিত»আমি যখন ক্যাডেট ছিলামঃ পর্ব ৬
যে কোন কথাকে তিল থেকে তাল বানানো মানুষের জন্মগত প্রতিভা। ক্যাডেটরাই বা বাদ যাবে কেন? ক্যাডেট জীবনে এমন অনেক গল্প শুনেছি যা শুধু তিল থেকে তাল বললে ভুল বলা হবে, ব্যপারগুলো তিল থেকে তাল, সেই তাল থেকে পিঠা আর পিঠা থেকে পিঠা উৎসবে রূপ নিয়েছে। এই রকম পিঠা উৎসব ধরণের অনেকগুলো গল্প থেকে ৫ টি বলি।
* ওয়াল ম্যাগাজিন (১)
একদম প্রথম বছরের কথা।
গন টু ডগ
“আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।”
কবি সুকান্ত আঠারো বছর বয়সীদের নিয়ে এই কবিতা লিখলেও ক্যাডেট কলেজ পার্সপেক্টিভ থেকে চিন্তা করলে বলতে হবে “ক্যাণ্ডিডেট টাইমেই অহরহ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি”। সবচেয়ে ভদ্র সভ্য ক্যাডেটদের মনেও গড়ে ওঠে ডিসিপ্লিন ভঙ্গের নানারকম নীলনকশা।
আমার কলেজ FGCC’র কথায় আসি।
বিস্তারিত»যখন আমি ক্যাডেট ছিলাম(পর্ব ৫)
আইসিসিএলএলএম ও কিছু গোপন দুঃখঃ
ছোট বেলা থেকেই মা আমাকে বলতেন, নিজের যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। কম থাকার কারণে আমাকে কখনো কষ্ট পেতে হয়নি, পেতে হয়েছে বেশি থাকার কারণে। ব্যপারটা আরেকটু গুছিয়ে বলি।
মানুষ হিসেবে আমি প্রচণ্ড আবেগী। শৈশবের রঙ্গিন জীবনটা কৈশোরে মোড় নেয়ার সাথে সাথে এই আবেগটা বেশ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গিয়েছিলো বৈকি। প্রেম- ভালোবাসা সংক্রান্ত ব্যপারগুলো নিয়ে ভাবার শুরুটা তখন।
বিস্তারিত»মসজিদ এবং জুতা,স্যান্ডেল কাহিনী
মসজিদ হচ্ছে একটি পবিত্র স্থান এবং মুসলিমদের উপাসনালয়। সব ধর্মের মানুষের কাছে তাদের উপাসনালয় আসলে তাদের নিজ নিজ ধর্মের জন্য অত্যন্ত পাক পবিত্র জায়গা। ইসলাম ধর্মেও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাকে অনেক উঁচুতে অবস্থান দেয়া হয়েছে এবং এর গুরুত্তও অনেক। এমনকি অনেকেই বলে থাকেন মসজিদ বেহেস্তের একটি টুকরা। আজকে আমি একটি বিষয় নিয়ে বলবো।
আমার কাছে প্রশ্ন জাগে যে আমরা কি আসলেই মসজিদকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি?
বিস্তারিত»জিসান এর মত চাই না মুহিব ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যাক
২১ ডিসেম্বর ২০১১ , দিনটা ছিল আমার জীবনে অন্যতম বেদনাদায়ক একটা দিন । এই দিনে আমার কলেজের বন্ধু জিসান ব্লাড ক্যান্সারে মারা যায় । জিসান ছিল আমার কলেজের ভাসানী হাউস এর । ২-৩ দিন আগে ব্যাচ গ্রুপে হঠাৎ নাফিজের পোস্ট দেখে স্তব্ধ হয়েছিলাম অনেক ক্ষণ, কোন কমেন্ট করতে পারিনি । পোস্টটা ছিল আমাদের গাইড ব্যাচ এর মুহিব ভাই কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত । আবার এই ক্যান্সার এর আক্রমণ !
বিস্তারিত»মুহিব বাঁচবেই
কৃতজ্ঞতা: রেজা শাওন, পিসিসি, ২০০১-২০০৭
মুহিবদের ব্যাচের একজন হাসান যখন আমাকে বলল, ভাই মুহিবের জন্য ফান্ড রেইজের কাজ শুরু হয়েছে। সম্ভব হলে একটা লেখা রেডি করেন। বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়াগুলোতে লেখাটা ছাপানো প্রয়োজন। হাতে সময় একেবারেই নেই। হাসানের মেসেজটা পাওয়ার পর আমি আমার বয়স হিসেব শুরু করলাম। পহেলা সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ এর হিসেবে আমার বয়স চব্বিশ হতে আরও দুই মাস বাকী। জীবনে এখনও আমার কী কী করা বাকী সেই লিস্টটা যখন আমি বের করি,
বিস্তারিত»একজন এক্স ক্যাডেটের জীবন ঝুঁকিতে একটু প্রচেষ্টা পারে তাকে বাঁচাতে
মুহিব বাঁচবেইবুয়েট- এর নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র মুহিবুর রহমান Muhibbur Rahman
(২৫ তম ব্যাচ, ২০০২-২০০৮, পাবনা ক্যাডেট কলেজ)। সে আজ মরণব্যাধি `ANO-RECTAL CARCINOMA’ তে আক্রান্ত। এটি খুবই খারাপ ধরনের একটি কোলন ক্যান্সার।বর্তমানে সে ইউনাইটেড হাসপাতালে কোলন ও রেক্টাল সার্জন অধ্যাপক ডা. জাহিদুল হক এর অধীনে চিকিৎসাধীন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য যতদ্রুত সম্ভব তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
ICCLMM-2011:একটি অজানা ভালোলাগার গল্প(২য় পর্ব)
প্রতিযোগিতা থেকে বাসায় গিয়ে ধরলাম ঢাকার বাস। খোঁজ নিয়ে জেনেছি সে ঢাকায় থাকে। তাই অগত্যা কোন উপায় না দেখে আমার ছুটির শান্তি নষ্ট করে ছুতে গেলাম ঢাকা অভিমুখে। ঢাকায় থাকার অন্যান্য সহস্র সমস্যার মধ্যে প্রধান সমস্যা হল – ০১। সকালের অতি আদরের ঘুম বিসর্জন করা ও ০২। মিরপুর-১ থেকে ফার্মগেট গিয়ে পড়া। অবশ্য তাতেও রাজি শুধু যদি পূরণ হয় সে আশা যার জন্য এত জলাঞ্জলি,
বিস্তারিত»আধাসামরিক প্রেমের গল্প
আধাসামরিক ক্যাডেট কলেজে বেসামরিক প্রেমিকা থাকা শুধু কষ্টের নয়, ভয়াবহ কষ্টের।প্রতিবার ছুটির শেষে প্রিয়
মানুষটিকে ফেলে কলেজে যেতে অনেক কষ্ট হয়।ক্যাডেট কলেজ, সে এমন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, যেখান থেকে মুক্ত পৃথিবীর খোঁজ নেয়া অসম্ভব প্রায় । আর্মি হেড কোয়ার্টারের স্বেচ্ছাচারিতায় মুঠোফোনের বেতার তরঙ্গ তখনো জায়গা করে নিতে পারেনি ক্যাডেট কলেজের সেই চৌহদ্দিতে। তবুও সমস্ত কলেজ প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কখনো আন্ডারগার্মেন্টস এর নিচে,কখনো মোজার ভেতর,মোটা বইয়ের পৃষ্ঠা কেটে,ব্যাগের কোনায়,এংলেটের মধ্যে,
যুদ্ধ…!!!
বিধাতা কিংবা প্রকৃতি যাই বলি মানুষ কে বাঁচতে শেখায় যুদ্ধ করে। মাঝে মাঝে অবাক লাগে যে অসম কোন কিছুই প্রকৃতি মেনে নেয়না । নর-নারীর প্রেম প্রকৃতির বিধানের অদ্ভুত এক রহস্যময় দিক।
আবেগ খুব তাড়া করে মাঝে মাঝে। অদ্ভুত সেই অসম প্রেমের গল্প। নায়ক নায়িকা নেই,আছে শুধু পাগলামি,উষ্ণতার অনুভূতি। চোখ বন্ধ করে নেয়া চুলের মিষ্টি গন্ধ কিংবা কাছের বান্ধবীর কাছে শোনা নির্ঘুম রাতের কথা ;
বিস্তারিত»সাভারনামা…
সাভারের ভবনধসের ঘটনা এখন পুরোনো হয়ে গেছে। আজ সেই সময় তোলা কিছু ছবি ফেবু’তে আপলোড করলাম। ছবি দেখে রাজীব ভাই/১৩তম বিসিসি; বললেন “সাভারের উদ্ধারকাজের উপরে একটা লেখা দে”! সাথে সাথে ফেবু বন্ধ করে সেই সময়কার কিছু স্মৃতি নিয়ে আজ লিখলাম। এক বসায় লিখেছি। ভুলভাল হতে পারে।
ভবন ধসে পড়ার পরপরই শাহবাগ গিয়ে রক্ত দিয়ে এসেছি। তবু কেমন যেন ছটফট করছিলাম। আরো কিছু করতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।
বিস্তারিত»লেঃ মাহমুদ এবং আমাদের গল্প…
আমাদের গল্পটার শুরু গ্রীষ্মের কোন এক মধ্য দুপুর থেকে। অন্য দুপুরগুলোর মত সেই দুপুরটাও অলস হতে পারত, কিন্তু সেদিন দুপুরের অলসতার সুযোগ ছিল না। কারন সেই দুপুরে দেশের বিভিন্ন জায়গার,বিভিন্ন চেহারার কিছু ছেলের ‘আমি থেকে আমরা’ হবার দিনের সূচণা হতে চলেছিল।০৭ মে,২০০২ সালের সেই রৌদ্রজ্জল দুপুরকে সাক্ষী রেখে আমরা একে একে খাকী পোশাকে নিজেকে জড়াই, আর নিজের অজান্তে ৫৪টি মন কখন যেন নিজেদের মত করেই জড়িয়ে গেছে,
বিস্তারিত»বিপন্ন মানবতা এবং একটি সাহায্যের আবেদন
আরো একবার মানবিক বিপর্যয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা,আমাদের বাংলাদেশটা। যেসব সেলাই দিদিমনিরা দিনরাত কষ্ট করে আমাদের জন্য কাপড় বুনেন,যেইসব পোষাক শ্রমিকের ঘামে ভেজা নিঃশ্বাসে ভর করে দেশ অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের লাশ আজকে আরেকবার তাজরীনের গন্ডি পেড়িয়ে অধরচন্দ্র স্কুলমাঠে সারি বেঁধে শুয়ে আছে। আর ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার ভিতরে আটকা পড়ে আছে আরো শতাধিক।
উদ্ধার কাজ চলছে এখনো। উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি আছে সেচ্ছাসেবক উদ্ধারকর্মীরা।
বিস্তারিত»পবিত্রতা
অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ
দেখে কে বলবে। এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে? রাজপুরীর মত ঝলমলে আলোয় ভরে আছে গোটা শহর। চারিদিকে মানুষের চিৎকার, চেঁচামেচি, আনন্দোৎসব। সবার মুখেই একটা খুশি খুশি ভাব। নাহ! সবাই এই কথাটা ঠিক না। কোথাও না কোথাও অন্তত একজন তো থাকবেই যে খুশি নয়। অখুশি বলবনা, কিন্তু হয়ত সে বিষন্ন। একা একা চারিদিকে হাটছে আর নিজের প্রতিবিম্ব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
বিস্তারিত»