আমার এখন হিংসাই হচ্ছে। একটা মানুষ এত মানুষের ভালবাসা পায় কি ভাবে। মাত্র ঘন্টা খানেক পার হয়েছে তার মৃত্যু সংবাদের অথচ দেশ-বিদেশ জুড়ে সবাই শোক-বার্তা পাঠাচ্ছে। বন্ধুর ফোন পাচ্ছি – “শুনেছিস ?”
হুমায়ূনের লেখার ভাষা সহজ সরল – কোন অতিরিক্ত বাহুল্য নেই সেখানে। অথচ এই সহজ ভাষার লেখা দিয়েই সবার মন জয় করেছেন তিনি। এখানে অবশ্য তার লেখা সম্পর্কে কিছু লিখতে বসিনি। ইতিমধ্যে অনেক লেখা বের হবে হুমায়ূনের জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় নিয়ে। আমার এই লেখা নিছক ব্যক্তিগত কারনে।
প্রথম যখন কিমো থেরাপি দিতে ওরা আমেরিকা আসলো তখন একদিন ফোন করে শাওনের সাথে কথা বলেছিলাম। শাওন আমার এক বন্ধু কন্যা, যদিও টিভিতে ছাড়া তাকে দেখার সূযোগ হয়নি বিদেশে থাকার কারনে। ফোনে বলেছিলাম – কিছু চিন্তা কোর না মা, আমেরিকাতে আজকাল প্রায় সব ক্যান্সারই নিরাময় হয়।
এখন ভাবছি, আমি কি শাওনকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলাম। সার্জারির পর ইনফেকশন হওয়া বাংলাদেশের হাসপাতালে যতটা মানায়, আমেরিকার হাসপাতালে কি সেটা হওয়া উচিৎ ছিল?
হুমায়ূন আরও ২০ বছর বাঁচলে কার কি ক্ষতি হত? এত নিষ্ঠুর কেন বিধাতা?
🙁
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
🙁 🙁
মন খারাপ, সত্যিই খুব মন খারাপ!
সাইফ ভাই,
আমি হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত পাঠক না। কিশোর বয়সে বেশ কিছু পড়েছিলাম, সম্প্রতি কয়েকটি উপন্যাস পড়েছি। তবু উনার মৃত্যু সংবাদটি জানার পর থেকেই মনটা বিষন্ন হয়ে আছে। এদেশে মানুষের পাঠাভ্যাসের (যতটুকুই আছে) বেশির ভাগটাই তার গড়ে তোলা। আমি অনেক অল্পশিক্ষিত নিম্নবিত্ত পরিবারে একটি বই থাকলে সেটি হুমায়ূনেরই দেখেছি। সোমবার, যেদিন তার মরদেহ দেশে আসবে সেদিন ঢাকার রাস্তায় মানুষের ঢল দেখলে সবচেয়ে আনন্দ পাব। একজন লেখক-সাহিত্যিক এরচেয়ে আর বেশি কি চাইতে পারেন?
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
🙁
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ তাদের অনুভূতি প্রকাশের জন্যে। এখানে লিঙ্কটা দিলামঃ