রসায়নঃ বাতেন স্যার অধ্যায়

সাবজেক্ট হিসেবে রসায়নে খুব একটা ভালো না করলেও কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রায় সবার সাথেই আমার কেমন করে যেন টুকরো টুকরো অনেকগুলো স্মৃতি জমা হয়ে আছে। ক্লাস ইলেভেনের প্রথম দিকে একদিন ক্লাস করার জন্য যখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছি তখন বাতেন স্যার এসে গল্প করেই পুরো ক্লাস পার করে দিলেন। সাধারণত স্যার এটা করেন না। কেন যেন স্যারের এইদিনের ব্যাপারটা আমার পছন্দ হল না। কিন্তু সমস্যা এখানে না।

বিস্তারিত»

নর সুন্দর

সানাউল্লাহ ভাইয়ের চুল নিয়ে মন্তব্য ধরে কামরুলের সম্ভুদা’র চুল কাটা’র প্রসঙ্গেই আমার এই লেখাটি লেখার ইচ্ছে জাগলো। ঘটনাটি আমার দুই বন্ধুকে কেন্দ্র করে। দুজনেই ছিলো শরীয়তউল্লাহ হাউসে। ঘটনাটি ছিল বোধ হয় আমরা যখন ক্লাশ নাইনে পড়ি তখনকার। কলেজে আমরা এমন একটা বয়স পার করে এসেছি যেটা হলো কৈশোর এবং যৌবনের সন্ধিঃক্ষন। এই বয়সটা বড়ই জটিল। এই বয়সে সবাই একটু নিজেকে আলাদা করে ভাবার চেষ্টা করে।

বিস্তারিত»

ছাপার আগে-১

[বহুদিন পর আবার অনুরোধে ঢেকি গিলছি। ফলাফল একটি ফান ম্যাগাজিনে আবারো লিখতে শুরু করেছি। ভাবছি লেখাগুলি চামে এই ব্লগে শেয়ার করব, প্রকাশের আগে]

আহা! মেলামাইনের কি সোয়াদ!

১.
ইত্যাদিতে দেখেছিলাম একবার এক ভদ্রলোক কচ কচ করে কাচ খাচ্ছেন। কাচ সম্পর্কে আমার ধারণা সেদিনই কাচের টুকরার মত ভেঙে যায়। কাচ খুবই সেনসেটিভ জিনিস। তার সাথে একটু আধটু ইতরামি করলেই রক্তারক্তি কান্ড ঘটে যায়।

বিস্তারিত»

স্বপ্নের অনেকগুলো দিন

কয়েকদিন ধরেই ভাবছিলাম লিখব, মাগার কি নিয়ে লিখব এইটা বুইঝা উঠতে পারতেছিলাম না। এইমাত্র কামরুল এর সাথে অনলাইন এ কথা হচ্ছিলো। অফিসে বইসা অর ব্লগ পরতাছিলাম আর ভাবতাসিলাম কি লিখি। শেষ পর্যন্ত অর টাইটেলটাই চুরি করলাম (একটু পরিবর্তন কইরা আরকি, আবার কপিরাইট আইনে মামলা না খাই)। তবে উলটাপালটা লেখার সম্ভাবনাই বেশি। পাঠক সাবধান!

কামরুল এর লেখা দেইক্ষা মনে পরলো এমন স্বপ্নতো আমিও মেলা দেহি।

বিস্তারিত»

না বলা কথা……..১

আমার নাড়ি অনেক পাতলা। সব কথা না বলে থাকতে পারিনা। সি.সি.বি পড়ি আর ভাবি….আরে, আমারতো অনেক না বলা কাহিনী আছে। যা কাউকে না বলে, এতদিন কিভাবে থাকলাম? এখনতো ক্লাশমেটদের কে ঠিকমত কাছে পাওয়া যায়না, সবাই অনেক ব্যাস্ত…। তাই এখানেই বলি আর কি…
সর্ষের ফুল দেখা জিনিসটা মুলত দুইজনের কাছে দুইরকম। ১) মৌমাছির কাছে মধুর উৎস, আর ২) মানুষের কাছে মধু বের হয়ে যাবার উৎস(ভাইরা দয়া করে অন্য কিছু ভাববেন না !)।

বিস্তারিত»

টুশকি ৫

টুশকি [১] [২] [৩] [৪] [৬]

১. ক্লাস টুয়েলভে ওঠার পর আমাদের ক্লাসের সবার চিকি নাম্বারিং (!) শুরু হল। এক থেকে তিপ্পান্ন পর্যন্ত সবাইকে নাম্বারিং করা হলে তিপ্পান্নতম হবার গৌরব অর্জন করে মঈনুল। এটা জানার পর বাহান্ন নম্বর স্থান অর্জনকারী আহমেদের বড় বড় হাত পা ইত্যাদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুঃখ দুঃখ স্বরে মঈনুলের বক্তব্য,”…আমারে তোরা তিপ্পান্ন নম্বরে দিলি!

বিস্তারিত»

এক ডজন অনুকাব্য, একটা কম


যাবে যাবে করেও
যায়না তবু বশ করা
আমি বলি ভালবাসি
তুমি ভাব মশকরা


মন কেড়েছে উরমিলাই
ওর গানে তাই সুরমিলাই

বিস্তারিত»

কলেজে পাওয়া প্রথম চিঠি… …

ক্যাডেট কলেজে join করেছিলাম ২০০১ এর ১২মে। আর বাবা-মায়ের লেখা একটা চিঠি পেয়েছিলাম সম্ভবত ১৮ মে। মাঝে মাঝে চিঠিগুলো দেখতে ভালই লাগে…

The 1st Letter

বিস্তারিত»

আমার জীবন আমাদের জীবন : হৃদয় ভাঙ্গার কাল

আমার জীবন, আমাদের জীবন : থমকে যাওয়া মুহূর্ত

১. ক্লাস নাইনের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার প্রায় শেষ মুহূর্তে হঠাৎই একটা শোরগোল, একটা খারাপ কিছুর গুঞ্জন টের পেলাম। পরীক্ষার ইনভিজিলেটর দুইজনের মধ্যে একজন আরেকজনকে বলে হুড়মুড় করে চলে গেলেন। কি হল জানতে না জানতেই মিনহাজ ভাই ক্লাসের দরজার সাথের তালাটা খুলে দিয়ে ফর্ম লিডারকে রিকোয়েস্ট করে গেলেন জানালা আটকে দিয়ে দরজা বন্ধ করে তবেই বের হতে।

বিস্তারিত»

আমার জীবন আমাদের জীবন : থমকে যাওয়া মুহূর্ত

আমার জীবন, আমাদের জীবন : হৃদয় ভাঙ্গার কাল

১. বেলাল স্যারের (রসায়ন) উপস্থিতি আমার জন্য কখনোই আরামপ্রদ নয়। এর কারণ সম্ভবত উনার আনপ্রেডিক্টেবল আচরণ। কখন কোন কথায় মাইন্ড করেন আর কখন কোন কথার উত্তরে যে হাসি আশা করেন বুঝতে পারতাম না। একদিন কি মনে করে যেন স্যার আমাদের ক্লাসের অন্যতম ধার্মিক ক্লাসমেট জামালকে একটা সমস্যা টাইপ প্রশ্ন করে বসলেন। সিরাজগঞ্জের (অথবা পাবনা,

বিস্তারিত»

এথিনা বিষয়ক জটিলতা

বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমিতে আমরা তখন তৃতীয় টার্মে উঠেছি। শামীম, রাজু, রনিসহ কোর্সমেটরা অনেকে ল্যান্স কপোর্রাল, কপোর্রাল র‌্যাঙ্ক পড়ে ক্যাডেট ব্যাটালিয়ন পরিচালনায় অংশগ্রহণ করছে। ওদের সাথে আমরা সাধারণ জিসিরাও (জেন্টলম্যান ক্যাডেট) খানিকটা হাত মকশো করি মাঝে মধ্যে। দুই দুইটা টার্মের সিনিয়র, কম কথা নয়। এরই মাঝে একদিন একটা চিঠি এসে আমার মাথা ঘুরিয়ে দেবার অবস্থা করল।

চিঠিপত্র মোটামুটি ভালোই লিখতাম, পেতামও সমান তালে। বাবা,

বিস্তারিত»

টুশকি ৪

টুশকি [১] [২] [৩] [৫]

১. কোন একদিন গেমস টাইমে ভালো একদফা ঘষামাজা দেবার পর পুরো কলেজকে এ্যাডজুট্যান্ট এর জিজ্ঞাসা, “হাউ ইজ ইওর মোরাল”? আমরা আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বললাম, “হাই স্যার”। রাশভারী এ্যাডজুট্যান্ট এর মুখে তখন মজা পাওয়া চিকন হাসি, “কোন হাই? ম্যাথমেটিক্স এর মিস্টার হাই”?

২. আইসিসি ১৯৯৮এ বাস্কেটবল কম্পিটিশনে খেলা হচ্ছে বরিশাল ও সিলেটের মধ্যে।

বিস্তারিত»

ল্যাখতাম চাই মাগার ল্যাখতাম পারি না

ঘটনা সইত্য। ল্যাখতাম চাই মাগার আমার গনক মহাশয় মৃত্যু পথযাত্রী। তাই ল্যাখতাম পারি না। বাসার ল্যাপ্টপ খানা বছর খানেক আগে এক চিঙ্কু পোলার কাছ থিকা সস্তায় দুইশত টাকা খরচ করিয়া খরিদ করিয়াছিলাম। উহার এখন শেষ দশা। হার্ডডিস্ক খানা পড়ার সময় মনে লয় হাতুড়ি দিয়া খোদাই করিয়া পড়ে। তারউপর চার্জার খানা কয়েকদিন আগে প্রায় ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন। মাঝে মাঝেই কানেকশন ছুটিয়া যায়, তখন পিছনে আঙ্গুল দিয়া (বেয়াদবি নিবেন না ভাই সাবেরা) চাপিয়া ধরিতে হয় বৈদ্যুতিক সংযোগ ঘটাইবার জইন্য।

বিস্তারিত»

RHTDM

তখন ক্লাস ইলেভেনে পড়ি। একবার দিনের বেলা রকিবুল হাসান স্যার(বাংলা) ডিউটিমাষ্টার ছিলেন,ঐদিন ১ম পিরিয়ডে ছিল
উনার ক্লাস। ফর্মলিডার বোর্ডে স্যারে নাম সংক্ষেপে লিখল RH। আমার এক ক্লাসমেট পাশে add করল TDM, হয়ে গেল RHTDM
(ঐ সময় একটা হিন্দী সিনেমা ছিল Rehna Hay Tere Dil Mey(RHTDM))। স্যার ক্লাসে আসলেন, এসে দেখলেন তার নাম RHTDM

ফর্মলিডারকে ঝাড়ি দিয়ে বললেন এসবের মানে কি? ছেলেটার জটিল উত্তর ”

বিস্তারিত»