ক্লাশ নাইনে আমাদের ব্যাচের একজন ছুটিতে বাসায় গেছে, যথারীতি পরদিন তার মা, তার খাকি ড্রেস নিয়ে ধুতে গেল, তার মা শার্টের পকেটে হাত দিয়ে একটা ভাঁজ করা কাগজ পেল, কাগজটা খুলে তার মা চোখ কপালে তুলে ” কি রে …… এটা তোর পকেটে আসলো কিভাবে?”
ও: ভাজা মাছ না খেতে পারার ভান করে” মামনি, ছুটিতে আসার সময় আব…… এটা আমার পকেটে ঢুকিয়ে দিল। আসি পড়ার সময় পায়নি,
মেজর ম্যাক্স : শুভকামনা
মেজর ম্যাক্স : অভ্যস্ততা ও অন্যান্য
মাকসুদ স্যারের সাথে আমাদের ইন্টারএ্যাকশনটা বেসিক্যালি হত সায়েন্স গ্যালারিতে। অন্যান্য কলেজে কিরকম জানিনা তবে আমাদের সায়েন্স গ্যালারি হল একটা বড় ক্লাসরুম যেখানে দুটো ফর্মই একত্রে বসে ক্লাস করতে পারে। এখানে স্যার আমাদের দুটো ফর্মকেই একসাথে নিয়ে বসিয়ে আংফাং নানান বিষয়ে বকবক করতেন। আমাদের আগ্রহটা বেশি ছিল সামনের আইএসএসবি নিয়ে।
বিস্তারিত»মেজর ম্যাক্স : অভ্যস্ততা ও অন্যান্য
দিন যায়, আমরা স্যারের সাথে অভ্যস্ত হতে থাকি।
ইত্যবৎসরে স্টাফদের রুমের চারপায়ার নিচটা ভাঙ্গা গাছের ডালে ভর্তি হয়ে গেছে। ওগুলো ক্যাডেটের পশ্চাৎদেশে প্যাদানির কাজে চাহিবামাত্র সরবরাহ করা হত মাকসুদ স্যারকে। একদিন আমাদের কয়েকজন দুপুরের কড়া রোদ্রে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে শুয়ে মাছ ভাজা হল (পরে বিএমএ’তে শুনেছি এটাকে বলে “জিসি ফ্রাই”)। ফুটবল খেলতে নেমে কিছু হলেই ফ্রন্টরোল দেয়া অভ্যাস হল।
বিস্তারিত»আবহাওয়া খারাপ!
দ্যাশের আবহাওয়া মনে লইতাছে সত্যিই খারাপ। ব্লগএ এত পোলাপাইন/মাইয়াপাইন আগে দেহি নাই।
অনলাইনে আছেন
সদস্যঃ 15 জন অতিথিঃ 3 জন
মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)
মাহমুদুল আলম
মেজর ম্যাক্স : নাম রহস্য
ক্লাস টুয়েলভে আমাদের যখন এ্যাপয়েনমেন্ট দেয়া হয় তখন এ্যাক্টিং এ্যাডজুট্যান্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন মনোয়ার স্যার। তার দিন কয়েক পরেই আমাদের টার্মএন্ড লিভ শুরু হয়। ছুটি থেকে এসে হাউসের সামনে যাবতীয় ফর্মালিটিজ পুরা করার সময় দেখি স্যারদের সাথে এক অপরিচিত ভদ্রলোক বসে বসে তামাশা দেখছেন। কোন কথা বলছেন না। তাকে আলাদা করে খেয়াল করার কোন কারণই ছিল না। খালি যেটা নজর কেড়েছিল তা হলো সামনের দিকে চোখ পর্যন্ত নেমে আসা লম্বা চুল।
বিস্তারিত»সিয়াটলের শীত – ১
ধুর হালা, শুইয়া শুইয়া থাকতে থাকতে পিঠ ব্যাথা হয়া গেল মাগার তাও বিছানা ছাড়তে ইচ্ছা করে না। কিন্তুক কিছুক্ষন আগে মনঃস্থির করিয়াছি, আইজকা কিছু একটা লিখুম ই লিখুম। পরথমে ভাবছিলাম ইকটু আতলামি কইরা টেকনিক্যাল কিছু লিখুম নাকি, পরে ভাব্লাম, ধুর কি না কি লিখুম পরে পোলাপাইন আবার ভুল ভাল ধইরা ফালাইব, শেষে ইজ্যত নিয়া টানাটানি। ব্লগে টেকি পোলাপাইনের তো অভাব নাই। জাউজ্ঞা, আপাতত অই বিষয় বাদ।
বিস্তারিত»বৃষ্টি ও মেঘমালা (গান)
ধরি কোনো সোনারোদ বিকেলে
মেঘ করেছে তোমার পিছু ধাওয়া
পালাবার পথ খোঁজ তুমি
মেঘ পাঠালে বসন খোলা হাওয়া
আমাদের বুড়া চিকি
সায়েদ ভাইয়ের চিকি নাম্বারিং এর কাহিনী শুনে আমার একটা কথা খুব মনে পড়ে গেল।
কলেজে দেখতাম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার কয়দিন, কিছু ক্যাডেটকে নির্বাচন করা হতো ভলেন্টিয়ার ক্যাডেট হিসাবে। যারা একটু অন্যদের থেকে একটু আলাদা(!) ছিল আরকি…. ক্লাশ সেভেন আর এইটের ক্যাডেটদের এই ভাবে সিলেক্ট করা হতো। তারা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার কয়দিন, টাই টুই পরে ফুলবাবু হয়ে ঘুরে বেড়াতো ।
আমাদের ব্যাচের শান্তশিষ্ট একজন ছিল।
বিস্তারিত»টুশকি ৬
১. বিএমএ’তে প্রথম চার সপ্তাহ পর গেস্ট ডে’তে তানিমের গুল্লু গুল্লু চেহারা দেখে ওর আর্মি অফিসার আব্বার ঠোঁট উল্টানো মন্তব্য, “কি রে তোর গাল টাল তো একেবারেই ভাঙ্গে নাই। কি ট্রেনিং দেয় তোদের”?
২. আমাদের ক্লাসমেট অলমোস্ট সবাই বিয়ে করে ফেললেও একজন এখনও বিয়ে করছে না।
বিস্তারিত»সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র ভাবনা
১.
মাত্র দু’বছর আগেও এদেশের তরুণ প্রজন্মেরর একজন কবি লিটল ম্যাগ কিংবা দৈনিকে তার কবিতা ছাপা হবে কিনা এই চিন্তা নিয়ে ঘুমাতে যেতেন। এবং মোটামুটি একটা স্বপ্নমিশেল কাব্যবন্দী ঘুম হতো। এদেশের তরুণ প্রজম্ন এখনও ঘুমাতে যান। তবে আবহটা একটু ভিন্ন। এখন তাদের চোখের স্বপ্ন রূপালী, এখন তাদের ফ্রেমবন্দী ঘুম। দেশে একটি নিরব বিপ্লব ঘটে গেছে। সেলুলয়েড বিপ্লব।
যিনি গান লিখছেন, যিনি সুর দিচ্ছেন,
বিস্তারিত»বাংলা গু ফে
লাইবেরিয়ার জনগনের ভাষা ইংরেজি। কবে কিভাবে এখানের ছোট বড় অনেকগুলো গোত্রের ভিতর ইংরেজি স্থান করে নিয়েছে তা জানতে হলে বিস্তর ঐতিহাসিক ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে। তবে সাধারণ হিসেবে যেটা বলা যায় সেটা হলো, তুলা চাষের জন্য এখান থেকে যাদেরকে দাস হিসেবে অ্যামেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দাসপ্রথা বিলুপ্তির পর তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমেই বোধকরি ইংরেজির আধিপত্য।
আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছি তাদের জন্য এটা একটা আশির্বাদ।
বিস্তারিত»দুঃখের কথা-১
অনেক দিন পর কলেজ এ গেলাম খুব খুশি মনে। সব কাগজ পত্র নিয়া আসব সে জন্য কিন্ত গিয়া শুনলাম আজ প্রিঞ্চিপাল স্যার ১০ টার মাঝে চলে যাবে কি আর করা সব কাজ তাড়াতাড়ি করলাম। তার পর প্রিঞ্চিপাল স্যার যাবার সময় সাইন করে যায়নাই বলে গেলেন যে আমি এসে সাইন করে দিব…কিন্ত তখন সাইন করে গেলেন না…সব কাজ শেষ কিন্ত প্রিঞ্চিপাল স্যার এর জন্য অপেক্ষা করতে হচ্চে এবং করতে হল ৩ টা পর্যন্ত আমরা ৯ জন না খাওয়া।এর মাঝে আমাদের ২ জন গেল adjutant স্যার এর সাইন আনতে attested করাতে হবে কিন্ত adjutant স্যার বললেন উনি কারতা attested করেননা কিন্তু তিনি কিছুদিন আগেই কলেজ prefect এরটা করে দিলেন…।।…।।কি আর করা ওদের সেদিন ফরম জমা দেয়া হলনা ঢাকায় চলে আস্লাম পরে আবার গিয়ে বরিশাল মেডিকেল জমা দিতে হল =((
বিস্তারিত»ছাপার আগে-২
নতুন টাকার পাঁচকথা
১.
ভাই টাকাটা ভাংতি হবে?
দোকানদার রাগত দৃষ্টিতে প্রশ্নকর্তার দিকে তাকালনে। তারপর গর্জন করে উঠলেন, ইস! শখ কত? পাঁচশ টাকাই ভাংতি হয় না আবার উনি এসেছেন এক হাজার টাকা নিয়া।
আসলেই। ভাঙতির বড় আকাল। ভাংতি নিয়ে কত যে হয়রানির মধ্যে পরতে হয় তা আমাদেও প্রত্যেকেরই জানা। আপনি একটি নোটের পরিবর্তে কয়েকটি নোট নিয়ে যাবেন এটা য়েন কারোই সহ্য হয় না।
ক্যাট ক্যাট
ক্যাম্পে এসেই প্রথম যেই জিনিসটা চোখে পড়ল তা হলো অনেক অনেক বিড়াল। গাড়ি থেকে নেমে একটা বিড়ালকে দাবড়ানি লাগাতেই আমার এক সৈনিক হা হা করে বলে উঠল, “স্যার এগুলো তো পালা বিড়াল। ইঁদুর মাইরা সাফ কইরা রাখে”। বুঝলাম যেখানে ইঁদুর বাহিত লাসা ফিভারের প্রচন্ড ভীতি (যাতে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তির মৃতদেহ দেশে ফেরত নেয়া হয় না পর্যন্ত এবং স্টিলের কফিনে কমপক্ষে ৪০ ফুট নিচে সমাধিস্থ করা হয়) সেখানে এই বিড়াল সম্প্রদায় জামাই আদরেই আছে।
বিস্তারিত»রসায়নঃ বাতেন স্যার অধ্যায়
সাবজেক্ট হিসেবে রসায়নে খুব একটা ভালো না করলেও কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রায় সবার সাথেই আমার কেমন করে যেন টুকরো টুকরো অনেকগুলো স্মৃতি জমা হয়ে আছে। ক্লাস ইলেভেনের প্রথম দিকে একদিন ক্লাস করার জন্য যখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছি তখন বাতেন স্যার এসে গল্প করেই পুরো ক্লাস পার করে দিলেন। সাধারণত স্যার এটা করেন না। কেন যেন স্যারের এইদিনের ব্যাপারটা আমার পছন্দ হল না। কিন্তু সমস্যা এখানে না।
বিস্তারিত»