ভালবাসার দেড়যুগ!

কাল রাতে তোমাকে স্বপ্নে দেখবো বলে
সারামাস অপেক্ষার প্রহর গুনেছি।

আজ ২৬শে মে,
বহু প্রতিক্ষিত সেই দিন!
অতিক্রান্ত হলো আমাদের বিয়ের ১৮টি বছর!

চারচক্রযানে চেপে নিঃসঙ্গ আমি বেড়িয়ে পড়েছি,
আজ কোনো দিক নির্দেশনার প্রয়োজন নেই আমার।
চলমান বর্তমানকে সযত্নে পাশ কাটিয়ে,
স্মৃতি-বিস্মৃতির প্রশস্ত মহাপথ ধরে
দ্রুত এগিয়ে যাই আমি সামনের দিকে;
তারপর, সহসাই এক আলোড়িত ঘুর্ণিমোড় নিয়ে
অতীত স্মৃতির মহাকালকে সামনে রেখে
পেছন ফিরে রওনা হই আমি।

বিস্তারিত»

মোহ, ভালবাসা নয়…

যখন থেকে বুঝলাম
ওসব তোমার প্রেম নয় –
মোহাক্রান্ত কালের উচ্ছ্বাস ছিল,
আমার কাছে তুমি আর
প্রেমিকা নয়, ধীরে ধীরে
এক “যেকোনো নারী” হয়ে উঠতে থাকলে।

নারী আর প্রেমিকা এক নয়,
জান তা নিশ্চয়?
পুরুষের অত্যুৎসাহে
নারী বিরক্ত হয়,
প্রেমিকের অত্যুৎসাহে
প্রেমিকা উদ্বেলিত হয়।
বিরক্ত? কখনো নয়…

মোহাক্রান্ত কালে
যেসব অত্যুৎসাহে তুমি
উদ্বেলিত হয়ে উঠতে,

বিস্তারিত»

অভিশাপ….

শক্তিমান লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর নির্মম আক্রমণের পরপরই লেখা এই কবিতাটি। আমার হাতে তখন  “আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম”? ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকার সাহিত্য পাতায় প্রকাশিত হয়েছিলো এই কবিতাটি, তখনও তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন। সেই হত্যাকান্ডের মডেলেই সাম্প্রতিক আর সব চাপাতি হত্যাকান্ডগুলি বাংলাদেশে এখনো জারি হয়ে আছে। কাপুরুষোচিত এই কর্মকান্ডগুলির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে শক্ত অবস্থান নেয়ার সময় এখনিই।

অভিশাপ

হুমায়ুন আজাদ, আমি আপনার দিকে আর তাকাতে পারিনা;

বিস্তারিত»

লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা…

ক্ষমতার অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীরা এখন আজ্ঞাবহ, ভারবাহী, মেরুদন্ডহীন মানুষে পরিণত হয়ে গেছেন। আমাদের চারপাশে তিন শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা আপাত-প্রগতিশীলতার মুখোশে প্রতিক্রিয়াশীলতাকেই লালন করে চলেছেন। কেউ কেউ পরিশীলিত বাচনভঙ্গীর সুকৌশলে, কেউবা নির্লজ্জ-নগ্নতার বেশে, আবার কেউ কেউ আছেন অনেকটা “হতভম্ব-বোকার” মত এই প্র্যাকটিসটি করে চলেছেন…

“আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল
তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল
কারণ তিনি ক্রীতদাস ছিলেন” *।

বিস্তারিত»

নোনাজল

এই পুষ্পনগরীতে

একদিন বিচরণ ছিলো আমাদেরও।

সন্ধ্যার মেঘমালায়

বুকে মাথা রেখে

কান্নায় ভাসাতাম

কত রাত!

রাতজাগা দুটি পাখি

অনায়াসেই নির্ঘুম অপেক্ষায়

গুনতো ক্লান্তিহীন প্রহর।

ভোরের অন্ধকার মাড়িয়ে

একরাশ আলো নিয়ে সাথে

ফিরতাম রোজ  তার কাছে –

পথ চেয়ে থাকা

নিষ্পলক চোখের নোনাস্রোত তার

যখন যেতো শুকিয়ে!

বিস্তারিত»

দাম্পত্যের সীমারেখা!

বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাও্য়া নানান ঘটনা্র দ্বারা প্রভাবিত বা অনুপ্রানিত হয়ে কবিতাগুলি লেখা হয়েছিল। ২০১৫র একুশে বইমেলায় একটি আবৃত্তির অডিও সিডি প্রকাশিত হয় সেই ১২ টি কবিতাকে নিয়ে। দেশসেরা আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় খুব বেশী সময় পাননি অনুশীলনের। তারপরেও তাঁর কন্ঠের যাদুকরী স্পর্শে এই অ-কবির ভাবরসের পাত্র যেন কানায় কানায় উপচে পড়তে চাইছে!

বিস্তারিত»

অনুগল্প : আরেকটি “ব্লক-কাহিনী” নিয়ে অডিও-ভিডিও ব্লগ

তিন মাস আগে……

ছেলেটি:
“ওগো তুমি যে আমার কতো প্রিয়
কেমন করে বোঝাই বলো
তুমি তো বোঝো না
জেনেও না, জানো না………”

মেয়েটি:
“যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে
মনেহয় এ দেহে প্রান আছে
বাকিটা সময় যেন মরন আমার
হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আঁধার………”

তিন মাস পরে……

ছেলেটি:
“তুমি নিজের মুখে বললে যেদিন
সবই তোমার অভিনয়
সত্যি কোন কিছু নয়
আমি দুঃখ পেলেও খুশি হলাম জেনে………”

বিস্তারিত»

পাঠ প্রচেষ্টা ঃ আবার সৈয়দ হক

দিনপঞ্জী থেকে/
গাজী ইস্টিমারে বরিশালের পথে সন্ধ্যায়
সৈয়দ শামসুল হক

কাল সকালে যখন তুমি জেগে উঠবে,
যখন অমাবস্যার অন্ধকার চুল সরিয়ে প্রকাশিত হবে
ধবল পর্বতের মতো তোমার মুখ,
তখনই তো দেখতে পাবে এই বদ্বীপের প্রকৃত মানচিত্রটি;
এবং দেখতে পাবে সকলেই আমার সব কিছু —
দিনের ভেতর দিয়ে গলে যাওয়া আয়নার মতো বয়ে চলেছে নদী,
তার স্রোতে ভাসমান সব নৌকো
এবং সেই নৌকোর পাল আমাদেরই জীবনের গল্পের মতো
টুকরো টুকরো সংঘাতময় রঙের কাপড়ে সেলাই করে গড়া।

বিস্তারিত»

হেই জ্যুড!, তোমার এপিটাফে দ্যাখো Ode to Joy!

সো ফ্রেন্ডস, কালকে যেমনটি বলেছিলাম, আমার মাথার উপর পাহাড়সম কাজ উঠে বসে আছে। সেই ব্যাটা আজকেও বসে আছে আগের মত পা ঝুলিয়ে। আর আজকেও তাকে ঘাড় ধরে কিছুক্ষণের জন্য নামিয়ে রাখলাম। তবে আজকে আর ব্লগ লিখার বেদনা না, রেকর্ডানোর বেদনা উঠেছে। ভুলেভালে তিনটি গান হারমোনিকা বাজিয়ে রেকর্ড করে ফেললাম। ১০০তম পোস্ট হোক ভুলেভালে ভরা গান ডেডিকেট করে। To err is Human. মানুষ মাত্রই মরণশীল।

বিস্তারিত»

আমার লেখা একটি ড্যাশিং কবিতা

স্বর্ণলতা সেন
কবি তারক নারায়ণ ঠাকুর।

স্বর্ণলতা, হাজার বছর ধ’রে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে
তুমি প্লিজ, বোলো নাকো কথা অই যুবকের সাথে
এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান,
না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।

কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার চাঁদ
স্বর্ণলতা, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ,

বিস্তারিত»

অডিও ব্লগঃ কে সে মোর

চার দেয়ালের ঘুলঘুলিতে বসে অনন্তের সন্ধান করে মানুষ। এন্ড্রোমেডার পথ ছাড়িয়ে আরো দূরের মহাজাগতিক হাতছানি রবিকবির মনের কুঠুরিতে কত যে সুর তুলেছে! গানের টানে, কবিতার মায়াজালে অথবা কল্কা পাড়ের লাল আঁচলে অনন্তের সাথে চির অচেনাকেও চিনতে চেয়েছেন রবি ঠাকুর। আলো আঁধারের কুয়াশায় মোড়া গহনস্বপনসঞ্চারিণীর রূপসুধার সন্ধান তো কবিকেই মানায়।

ন’টা পাঁচটার গোলকধাঁধায় জারবিলের মত ঘুরছে মানুষ। দিগন্তের ওপারে জোনাকের লেজে জ্বলা সন্ধ্যারাগের উৎসব ক’জনই বা দেখতে পায়!

বিস্তারিত»

একটি স্ট্যাটাস থেকে জন্ম নেয়া কবিতার কাহিনী…

আগে তো আবৃত্তিটা শুনুন, তারপরেই না হয় পিছনের গল্পটা শোনাবো…

এবার তাহলে এই আবৃত্তির পিছনের গল্পটা শুনাই…

এক স্নেহাষ্পদ ফেবু বন্ধুর অনুগল্পধর্মি একটা অসাধারন স্ট্যাটাস দেখলাম দিন দুই আগে।
দ্বিতীয় বার মনে মনে তা পড়ার সময় কেমন যেন একটা ছন্দ ছন্দ ম ম গন্ধ পাচ্ছিলাম। আর সেই গন্ধের টানেই সশব্দে তা পড়া শুরু করলাম, তৃতীয়বারে এসে।

এবার বুঝলাম,

বিস্তারিত»

নতুন ঠিকানা


গত বছর সামারে ঘুরতে গেছি ইউসেমিটি ন্যাশনাল পার্কে। পাহাড়, বনানী, ঝর্ণা, নীলাভ লেক আর গ্ল্যাসিয়ারের চাপে পাথুরে মাটি দিয়ে শিল্পীর এক অপূর্ব ভাস্কর্য। তো একদিন যাচ্ছিলাম বগা লেকের (পড়তে হবে তেনাইয়া লেক) পাশ দিয়ে। মে মাসেও সেই লেকের উপরিভাগ বরফ জমে স্থির-শীতল। ভাবলাম যাই কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখি বরফের ঘনত্ব কতখানি। পরিবারসহ, মানে স্বামী আর আণ্ডাবাচ্চা, লেকের পাশে গাড়ি থামিয়ে একটু জলকেলির ভাব নিলাম।

বিস্তারিত»

আমি, আমরা হারিয়ে যাবো

অমরত্বের নিদান যেহেতু এখনো আসে নি তাই নিশ্চিত করেই বলা যায় আমি, আমরা সবাই মারা যাবো। কয়েক সপ্তাহ আগেই আমার প্রথম শিক্ষক যিনি আমাকে অ আ ক খ শিখিয়েছিলেন সেই লাভলু ভাই মারা গেলেন (মামাতো ভাই) । আরেক মামাতো ভাই জানালো ফেবু তে যে লাভলু ভাই নেই। ওনারা চার ভাই ছিলেন। মেজ জন এখন জীবিত। ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যেই সবাই মারা গেলেন। বছর দুই হল মা মারা গেছেন।

বিস্তারিত»

মণ্ডল থেকে সরকারঃ জেনারেল উবাচ

“দ্যাশের অবস্থা খুব খারাপ। সাবধানে যাও ব্যাটা। বিজয়ী হয়া ফিরি আসো। যদি খারাপ অবস্থা চলতেই থাকে বা আরো অবনতি ঘটে, আয়সো না।ইচ্ছা করলে বিয়া করি ওখানে থাকতে পারো। তুমার মা, ভাই বোনদের লিয়া ভায়বিনা। অরে আমি দেখি রাখব।” কথাগুলো বলছিলেন আনসার বাহিনীর প্লাটুন কমাণ্ডার মতিউর রহমান সরকার।অনেক কষ্টে মানুষ করা প্রথম সন্তানকে যুদ্ধে পাঠানর সময়।

তখন মে মাস, ১৯৭১ সাল।ফুফাতো ভাই রফিক মাসখানেক আগেই ভারতে চলে গেছে।

বিস্তারিত»