বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাও্য়া নানান ঘটনা্র দ্বারা প্রভাবিত বা অনুপ্রানিত হয়ে কবিতাগুলি লেখা হয়েছিল। ২০১৫র একুশে বইমেলায় একটি আবৃত্তির অডিও সিডি প্রকাশিত হয় সেই ১২ টি কবিতাকে নিয়ে। দেশসেরা আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় খুব বেশী সময় পাননি অনুশীলনের। তারপরেও তাঁর কন্ঠের যাদুকরী স্পর্শে এই অ-কবির ভাবরসের পাত্র যেন কানায় কানায় উপচে পড়তে চাইছে!
২৬ টি মন্তব্য : “দাম্পত্যের সীমারেখা!”
মন্তব্য করুন
১ম B-)
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
কেমন আছ মাহমুদ? ফেসবুকে এসো একবার।
:clap: :clap: :clap: :clap: :clap: :clap:
ওয়েলকাম টু সিসিবি, ওমর!
আমার গুণীজন কবি বন্ধুকে বহু অনুনয় বিনয়ের পর পাওয়া গেল সিসিবিতে। তোমার লেখা মুগ্ধ হয়ে পড়ি আমি। তোমার গভীর জীবনবোধ এবং কবিতা ভাবনায় সতত ঈর্ষান্বিত হই।
জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়ের কন্ঠের যাদুতে কবিতার দার্শনিকতা আর দাম্পত্য প্রেমের দৈনন্দিনতা চমৎকার প্রকাশিত হয়েছে তোমার এই লেখাতে।
আমাদের সাথেই থেকো। এমন সুস্বাদু কবিতার জন্য মুবারক হো, ওমর!
ধন্যবাদ সাবিনা তোমার স্বভাবসুলভ আস্কারার জন্য। তোমার অনুরোধে কত রকমের ঢেঁকি যে গিলতে হচ্ছে! দোয়া ক'রো যেন হজম করতে পারি। অনেক শুভেচ্ছা।
অনেকদিন পর।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
কেমন আছ রাজীব? এবার ছবিটা চেঞ্জ করো তো। রাত বাড়ছে, ঘরে আমি একদম একা...
ভালো আছি ভাইয়া।
আপনার কি অবস্থা?
এতো সুন্দর রামেসিস এর ছবি দিলাম।
ভয় পাবেন না ভাই।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হায় হায় ওমর! তুমিও অকবি দেখি 😛 শেষমেশ আমার অকবির টাইটেলখানাও চুরি হয়ে গেল B-)
তোমাকে অ-কবি বলে কার সাধ্য? আমি অন্তত কু-কবি নই।
ওয়াও!
প্রথমবার শোনা শেষ করেই ফের ছুটলাম শুরুর থেকে শুনবো বলে।
এই এলবামের সবগুলো কবিতা এক এক করে শেয়ার করুন প্লিজ!
আর কবিতাটাও কি লিখে জুড়ে দেবেন সঙ্গে? তাহলে কবিতাটির রূপও 'দেখে' নেয়া যাবে।
ওমর ভাই, আপনার লেখা খুব গভীর। দুর্দান্ত নাটক বেরুতে পারে আপনার হাত থেকে। ইতোমধ্যেই হয়তো লিখেও ফেলেছেন দু'একটা। B-)
নূপুর, একবার ফেসবুকে এসোতো। কথা আছে। স্কাইপেও কথা বলা যাবে। আমার নাম দিয়ে ফেসবুকে সার্চ মারলেই পাবে। অনেক শুভকামনা।
শব্দচয়ন ও গাথুনি যে খুবই আবৃত্তি-বান্ধব, তাতে কোন সন্দেহ নাই।
এক কথায় 'কান জুড়ানিয়া'।
আচ্ছা "স্বামীর সামান্য শাসন" - জিনিষটার সংজ্ঞা কি?
টার্মটা কিন্তু বেশ ভেগ।
উষ্মা প্রকাশ থেকে শুরু করে ভাল রকমের মারধর করাটাকেও নির্যাতনে অভ্যস্ত স্বামীরা যেখানে "সামান্য শাসন" বলে অবিহিত করে থাকেন, সেখানে চড়-থাপ্পড় দেয়াটাকে তো অতি "সামান্য শাসন" হিসাবেও গন্য করতে পারেন কেউ কেউ।
তবে এ জাতিয় যেকোন সামান্য শাসনেই কিন্তু আমার ঘোর আপত্তি আছে আমার।
সেটা জানিয়ে গেলাম।
স্ত্রী কোন অধস্তন ব্যক্তি নয় যাকে সামান্য হোক বা অসামান্য - শাসন করার কোন অধিকার রাখে স্বামী।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
সালাম পারভেজ ভাই। কি খবর? কেমন চলছে সব? অনেকদিনবাদে যোগাযোগ ঘটলো আবার। সিগ্রেট হাতে দারুণ মানাচ্ছে, তবে অত সাহস আমার নেই ভাই, বড়ভাইদের দেখলে এখনো সিগ্রেট লুকিয়ে ফেলি। কবিতাটা শুনে আপনার ‘কান জুড়লো’ জেনে আনন্দিত হলাম। তবে যেটা জানান দিয়ে গেলেন, সেটার দরকার ছিলো না, কারণ সেসবের ধারেকাছেও আমরা কেউই ছিলাম না। কি আর করা ভাই, একটু রি-অ্যাক্ট করতেই হচ্ছে।
আপনার প্রতিক্রিয়াটা পড়ে আমার যেটা মনে হলো, আপনি শ্মশান ঘাটের রচনা লিখতে গিয়ে গরুর রচনা লিখে দিয়ে গেলেন! লেখাটার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়বস্তুর সাথে আপনার প্রতিক্রিয়াটা অসামঞ্জস্যপূর্ন। মনে হলো একটা সহজ স্কোপ একরকম জোড় করেই তৈরী করে নিলেন। জানবাজী রাখতে না পারলেও, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘোরবিরোধী আমরা। আর এ নিয়ে সমস্ত পৃথিবীটাই তো সোচ্চার। ‘স্বামীর সামান্য শাসন’ কি বস্তু আর সেটার পরিণাম যে কেবল অমধুর নয়, বিধ্বংসীও হতে উঠতে পারে, সেটা ‘নির্যাতনে অভ্যস্ত’ অন্তরালের সেইসব স্বামীদের কাছে গেলে শুনতে পাওয়া যায়। আমি এরকম দুএকজন কে জানি। যে স্বামীরা স্ত্রীর ওপর নির্যাতন ক’রে স্বামীগিরি ফলায়, তারা তো অ-মানুষ বা কুমানুষ। তাদের নিয়ে সারাক্ষণ তো চর্চা হচ্ছেই। আর সেসবের প্রতিশোধ, প্রতিকার বা প্রতিরোধে আইনানুগ ব্যবস্থাও কাগজে কলমে রয়েছে হয়তো। কিন্তু প্রতিদিন প্রতিরাত আড়ালে-আবডালে যে পুরুষগুলো তাদের স্ত্রীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয় বা হচ্ছেন, সংখ্যালঘু হলেও, তাদের কথাও তো কাউকে না কাউকে ভাবতে হয়।
স্বামীও কোনো ‘কলুর বলদ’ নয় যে তাকে সন্নাসী হয়ে মুখবুজে সব সয়ে যেতে হবে। পুরুষত্বের নয়, পৌরুষের অপমানকে নিরবে মেনে নিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে যারা কাঁদেন, সম-অধিকার তো সেই হতভাগাদেরও প্রাপ্য।
আমি নিজে অকবি মানুষ তাই কবিতার সমালোচনা পড়ি মনোযোগের সাথে এবং নিজের ভাবনার সাথে মেলাই। তোমার মন্তব্য পড়ে মনেহলো আমিও কিছু লিখি 😀
স্বামীর শাসন শব্দটি কিন্তু আজই প্রথম শুনছিনা, পারভেজ ভাইয়া। টার্মটি ভেগ সন্দেহ নাই কিন্তু সমাজে প্রচলিত। এটি যে পুরুষের অন্যায় ঔদ্ধত্য সেটি মানি আমরা সবাই এবং জোর প্রতিবাদ জানাই। আমি ভাবছিলাম, এখানে কি শাসনকে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে? মেনে নেয়া হয়েছে জুলুম? কবিতার স্বামী চরিত্রটি হয়তো এখানে নিজের যাপিত জীবনের কথা বলছে, অন্য কিছু নয়! দিনশেষে এটি কবিতা বৈ তো নয় ভাইয়া, সো চিয়াসর্!
অটঃ জয়ন্ত চট্টপাধ্যায় বেশ তাড়াহুড়োর মাঝে এই লেখাটি পড়েছেন বলে মনেহলো।
মন্তব্যটা বেশ ভালো হয়েছে।
সালাম পারভেজ ভাই। কি খবর? কেমন চলছে সব? অনেকদিনবাদে যোগাযোগ ঘটলো আবার। সিগ্রেট হাতে দারুণ মানাচ্ছে, তবে অত সাহস আমার নেই ভাই, বড়ভাইদের দেখলে এখনো সিগ্রেট লুকিয়ে ফেলি। কবিতাটা শুনে আপনার ‘কান জুড়লো’ জেনে আনন্দিত হলাম। তবে যেটা জানান দিয়ে গেলেন, সেটার দরকার ছিলো না, কারণ সেসবের ধারেকাছেও আমরা কেউই ছিলাম না। কি আর করা ভাই, একটু রি-অ্যাক্ট করতেই হচ্ছে।
আপনার প্রতিক্রিয়াটা পড়ে আমার যেটা মনে হলো, আপনি শ্মশান ঘাটের রচনা লিখতে গিয়ে গরুর রচনা লিখে দিয়ে গেলেন! লেখাটার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়বস্তুর সাথে আপনার প্রতিক্রিয়াটা অসামঞ্জস্যপূর্ন। মনে হলো একটা সহজ স্কোপ একরকম জোড় করেই তৈরী করে নিলেন। জানবাজী রাখতে না পারলেও, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘোরবিরোধী আমরা। আর এ নিয়ে সমস্ত পৃথিবীটাই তো সোচ্চার। ‘স্বামীর সামান্য শাসন’ কি বস্তু আর সেটার পরিণাম যে কেবল অমধুর নয়, বিধ্বংসীও হতে উঠতে পারে, সেটা ‘নির্যাতনে অভ্যস্ত’ অন্তরালের সেইসব স্বামীদের কাছে গেলে শুনতে পাওয়া যায়। আমি এরকম দুএকজন কে জানি। যে স্বামীরা স্ত্রীর ওপর নির্যাতন ক’রে স্বামীগিরি ফলায়, তারা তো অ-মানুষ বা কুমানুষ। তাদের নিয়ে সারাক্ষণ তো চর্চা হচ্ছেই। আর সেসবের প্রতিশোধ, প্রতিকার বা প্রতিরোধে আইনানুগ ব্যবস্থাও কাগজে কলমে রয়েছে হয়তো। কিন্তু প্রতিদিন প্রতিরাত আড়ালে-আবডালে যে পুরুষগুলো তাদের স্ত্রীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয় বা হচ্ছেন, সংখ্যালঘু হলেও, তাদের কথাও তো কাউকে না কাউকে ভাবতে হয়।
স্বামীও কোনো ‘কলুর বলদ’ নয় যে তাকে সন্নাসী হয়ে মুখবুজে সব সয়ে যেতে হবে। পুরুষত্বের নয়, পৌরুষের অপমানকে নিরবে মেনে নিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে যারা কাঁদেন, সম-অধিকার তো সেই হতভাগাদেরও প্রাপ্য।
Pride kills a man...
"কিন্তু প্রতিদিন প্রতিরাত আড়ালে-আবডালে যে পুরুষগুলো তাদের স্ত্রীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয় বা হচ্ছেন, সংখ্যালঘু হলেও, তাদের কথাও তো কাউকে না কাউকে ভাবতে হয়।" - তা হয় বৈকি! তা না হলে বেচারারা যাবে কোথায়?
আহা ! অনবদ্য !
এর সবগুলো যে শুনতে চাই।
এখানে সেই সিডিটির প্রাপ্তি স্থলটুকু আমাদের জানালে ভালো হতো, আরো ভালো হতো কিছু এখানে পোস্ট করলে।
অনেক ধন্যবাদ লুৎফুল ভাই, আপ্নি এটা শুনেছেন এবং আপ্নার ভাল লেগেছে জেনে ধন্য হলাম। আরেক খানা দিয়েছি কদিন আগে। আরো পোষ্ট দেবার ইচ্ছে আছে। তবে একজন বন্ধু পরামর্শ দিলো, অডিও পোষ্ট নাকি গ্যাপ দিয়ে দিলে ভাল। আপ্নি ভাল থাকবেন।
Pride kills a man...
লুৎফুল ভাই, আপনার ফেসবুক থাকলে আমাকে জানান তো একটু।
Pride kills a man...
আহা! কেবলি দেখলাম।
ইতিমধ্যেই তুমি ... 🙂
স্বাগতম হে দার্শনিক। নেট খুব শ্লথ। তাই এখনও শোনা হয়নি। ডাউনলোড করে পরে জানাবো কেমন?
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
সেই পর্যন্ত তাহলে অপেক্ষায় রেখে দিলে? বেশ তবে, অপেক্ষায় থাকলাম।
Pride kills a man...
:awesome: :boss: :hatsoff:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
কবিতা ভালো লেগেছে, তবে আবৃত্তিটা নয়। নূপুরের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে বলছি, কবিতাটাও এখানে দেখতে চাই, শুধু শুনতে নয়।
সংসার জীবনে স্বামীর 'সামান্য শাসন' যেমন থাকে, বিভিন্ন ব্যাপারে এদিকে সেদিকে স্ত্রীদেরও সামান্য অসামান্য বহু ধরণের শাসনের নজির রয়েছে। এগুলোর কোনটাই সামন্তবাদী পেষণের সাথে তুল্য নয়। তবে নির্যাতিত হিসেবে স্বামীদের চেয়ে স্ত্রীদের প্রতি আম জনতার পক্ষপাতিত্বটা 'মোর প্রোনাউন্সড'।
জি খায়রুল ভাই, অবহেলিত সেই দিকটার দিকেই সামান্য অংগুলি হেলনের চেষ্টা করেছি মাত্র। যা বলতে চাওয়া হলো সেইটিকে বুঝাতে যতটুকু সক্ষমতার দরকার পড়ে সেইটি পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়তো অনুপস্থিত লেখাটায়!
Pride kills a man...