লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা…

ক্ষমতার অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীরা এখন আজ্ঞাবহ, ভারবাহী, মেরুদন্ডহীন মানুষে পরিণত হয়ে গেছেন। আমাদের চারপাশে তিন শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা আপাত-প্রগতিশীলতার মুখোশে প্রতিক্রিয়াশীলতাকেই লালন করে চলেছেন। কেউ কেউ পরিশীলিত বাচনভঙ্গীর সুকৌশলে, কেউবা নির্লজ্জ-নগ্নতার বেশে, আবার কেউ কেউ আছেন অনেকটা “হতভম্ব-বোকার” মত এই প্র্যাকটিসটি করে চলেছেন…

“আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল
তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল
কারণ তিনি ক্রীতদাস ছিলেন” *।

আমি সাম্প্রতিক কালের কথা বলছি,
আজ্ঞাবাহী দাস, আইনজ্ঞ-বুদ্ধিজীবি,
আমার অগ্রজ রাজনৈতিক নেতানেত্রী,
শিক্ষক আর সাংবাদিকদের কথা বলছি,
যাদের করতলেও মোহরের মুষ্টিবদ্ধ প্রলোভন ছিল
যাদের পিঠেও রক্তজবার মত ক্ষত ছিলো-
কারণ তারা কাপুরুষ ছিলেন।

কাপুরুষ কি সহজেই সহসাই আজ ক্রীতদাস বনে যান!
ক্রীতদাসের ক্রূর হাসি আর আস্ফালন
বিদীর্ণ করে জাতির বিবেক!

লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা।
তোমরা কেউ আমাকে একটা আধার দিতে পারো?
যাতে আমি আমার এই লজ্জা লুকোবো…

*প্রথম অনুচ্ছেদটি প্রখ্যাত কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ রচিত “আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি” কবিতা থেকে উদ্ধৃত।

১,৮৬৫ বার দেখা হয়েছে

৮ টি মন্তব্য : “লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা…”

  1. লুৎফুল (৭৮-৮৪)

    যথার্থ সময়োপযোগী পোস্ট।
    আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর এই কবিতাটি একখানা অতি প্রিয় কবিতা।
    আর তার সাথে মিশে গেছে যেনো পরের স্তবকগুলো।
    ভালো লাগলো খুব।
    :clap: :clap: :clap:

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।