পঞ্চাশ বছর পর…

অনলাইনে বিবিসি ম্যাগাজিনের একটি প্রবন্ধ পড়ছিলাম। শিরোনাম ছিল ‘১০০ বছর পরের কুড়িটি ভবিষ্যদ্বাণী’। শিরোনাম দেখে মনে হলো এমন প্রবন্ধ অনেকেই লিখতে পারে। তবে একনিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। চমৎকার লাগলো। তারপর গুগলের কাছে গিয়ে জানতে চাইলাম বিশ্বের কোথাও কেউ ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করছে কিনা। দেখলাম, সেখানে চার কোটিরও বেশি বিভিন্ন রকমের লেখা আছে। তাহলে অন্যান্য দেশে প্রায় সবাই এ নিয়ে ভাবছেন। মনে হলো দেখি বাংলাদেশে কে ভাবছেন।

বিস্তারিত»

বিবিধ উপলব্ধি – প্রথম পর্ব

এক
সত্য নির্মোহ। তাই তা থেকে অর্জন আসে ধীর গতিতে।
নির্মোহ সত্যের চেয়ে বরং চটকদার মিথ্যা দিয়ে মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করা যায়।
এ দিয়ে তাৎক্ষনিক জনপ্রিয়তা অর্জন ও শর্টরানে স্বার্থসিদ্ধি করাও সহজ।
কিন্তু শেষপর্যন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিথ্যার ব্যবহারে শেষরক্ষা করা যায় না।
যখন চটকদার মিথ্যার মুখোস উম্মোচিত হয়, তখন তা থেকে করা যাবতিয় অর্জন মুহুর্তে মূল্যহীন হয়ে পড়ে……

দুই

“বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক”

বিস্তারিত»

নান্দাইল দিঘী – জয়পুরহাট

সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে জুড়ে অসংখ্য নাম জানা-না জানা পুকুর-দিঘী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সব দিঘীই আবার সকলের কাছে সমানভাবে পরিচিত বা জনপ্রিয় নয়। সাধারনতঃ বিনোদন, বনভোজন আর বৈকালিক ভ্রমণের সুবিধা-সম্বলিত অল্প কিছু দিঘীই এই তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের নান্দাইল গ্রামের ‘নান্দাইল দিঘী’র যেমন রয়েছে ঐতিহ্যময় ইতিহাস তেমনি রয়েছে এর অপরিসীম প্রত্ন-মূল্য। নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার আলতা দিঘী কিংবা দিনাজপুরের রামসাগর আজ যেমন সকলের কাছে সুপরিচিত তেমনি ‘নান্দাইল দিঘী’ সকলের মনে এখনো তেমনভাবে স্থান করে নিতে পারেনি।

বিস্তারিত»

বাংলাদেশের প্রাচীনতম পাথরের সেতু – জয়পুরহাট

আটাপুর-উচাই-মহীপুর জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ৩টি প্রাচীন গ্রাম। আটপাড়া/আটাপুর/আতাপুর ইউনিয়নের আতাপুর/নোয়াপাড়া মৌজার দক্ষিণে উচাই মৌজা। আটাপুর ও উচাই মৌজাদ্বয়কে পূর্ব ও দক্ষিন দিক দিয়ে তুলশীগঙ্গা নদী ইংরেজী Y অক্ষরের মাথার ন্যায় জড়িয়ে ধরে আছে। উচাই মৌজার দক্ষিণে, তুলশীগঙ্গা নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে মহীপুর/মাহীপুর মৌজা। পরস্পরের সাথে জড়াজড়ি করে থাকা গ্রামত্রয় বাংলাদেশের সভ্যতার অনন্য পাদপীঠ। আনুমানিক ৮-১০ বর্গকিলোমিটারের বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খ্রীষ্টপূর্বাব্দ থেকে নিদেন পক্ষে সুলতানি আমলের প্রাচীন নিদর্শনের অস্তিত্ব বাঙলায় এক উন্নত নগর সভ্যতার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।

বিস্তারিত»

ওবেসিটির প্রতিকার – দ্বিতীয় পর্ব

ওবেসিটির প্রতিকার – প্রথম পর্ব

চার
একসময় বলা হতো, স্বাভাবিক সুস্থ্যতা ও দেহ সৌষ্টব বজায় রাখার জন্য সারাদিনে ১০ হাজার স্টেপস হাটা উচিৎ।
এখনকার গবেষকরা বলছেন, দশ না, ছয় হাজার স্টেপই যথেষ্ট।
আরও খুশির খবর এই যে, এই ছ’হাজার স্টেপসের চারহাজারই আমরা হেটে ফেলি ২৪ ঘন্টার অন্যান্য দৈনন্দিন কর্মকান্ড করার ছলে।
বাকি যে ২০০০ পদক্ষেপ, সেটা শুধু কোনো একফাকে হেটে নিলেই হলো।

বিস্তারিত»

রোম্যান্টিক মুভি বিড়ম্বনা

ভারতবর্ষের অধিকাংশ মুভিগুলোই রোম্যান্টিক ভালোবাসাকে সম্বল করে এর পটভূমি তৈরি করে। এখানকার গানের কথাগুলোর ক্ষেত্রে একই বিষয় প্রযোজ্য। হলিউড বা পাশ্চাত্য কিন্তু এই ব্যাপারে বাতিক্রম। তারা আমাদের পরিচালক অথবা গীতিকারদের মত ভালোবাসা নিয়ে এতটা আচ্ছন্ন নয়। জানিনা আমাদের এরকম প্রবণতা কেন।
মুভিকে যদি একটি দৃষ্টিকোণ থেকে কল্পনা বিলাস বলা যায়,যেখানে অপূর্ণ ইচ্ছাগুলোর বহিঃপ্রকাশ ঘটে তাহলে বলা যেতে পারে এখানকার মানুষগুলো বড়ই ভালোবাসা বঞ্চিত।
মুভি নামক কল্পনার জগতে নিজের অপ্রাপ্তিগুলোকে পূরণ হতে দেখে চাপা পড়া ব্যাথাগুলো কিছুটা উপশম হয় আরকি।

বিস্তারিত»

বাস্তবমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা : কিছু ভাবনা

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে খুব সাধারণ একটা অভিযোগ হল, এখানে যা শেখান হয়, বাস্তব জীবনে তা কাজে লাগে খুবি কম। আর বাস্তব জীবনে যা কাজে লাগে, সেগুলো সবাই শেখে ঠেলায় পড়ে। কথারটার মধ্যে সত্যতা আছে বলেই মনে করি। আমার মতে এই ব্যাপারগুলো আমাদের স্কুল সিলেবাসে থাকা উচিত যেগুলো বাস্তব জীবনে কাজে লাগবে-

রান্না ও পুষ্টি: সাধারণ রান্নার নিয়ম-কানুন জানা ও অভিজ্ঞতা থাকা সবারই দরকার।

বিস্তারিত»

বারো শিবালয় মন্দির – জয়পুরহাট

জয়পুরহাট জেলা সদরের হেলকুন্ডা গ্রামে বাস করতেন কান্ত মন্ডল ও তার পরিবার। পেশায় গন্ধ-বনিক কান্ত মন্ডল নবাবী আমলে (১৭০৭ – ১৭৫৭ খ্রীঃ) অর্থ-বিত্ত-ঐশ্বর্য্যে এতটাই সম্মৃদ্ধি অর্জন করেন যে, তাকে মূর্শিদাবাদের তৎকালীন ধন্যাঢ্য ব্যাক্তি জগৎশেঠের সাথে তুলনা করা হতো। এই বংশেরই অন্যতম সফল পুরুষ রাজীব লোচন মন্ডল।

সম্ভবতঃ অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে অথবা উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে রাজীব লোচন মন্ডল জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার বেল আমলা গ্রামে ‘বারো শিবালয় মন্দির’ নামে একটি মন্দির নির্মাণ করেন।

বিস্তারিত»

জয়পুরহাট

বাংলার পাল সাম্রাজ্যের (৭৫০ – ১২০০ খ্রীঃ) দ্বিতীয় নৃপতি ধর্মপালের (৭৭০ – ৮১০ খ্রীঃ) ভাই বাকপালের পুত্র জয়পাল। অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, ধর্মপালের অপর ভাই দেবপাল (৮১০ – ৮৫০ আনুঃ খ্রীঃ) তার শাসনামলে জয়পালকে তার প্রধান সেনাপতি হিসাবে নির্বাচিত করে। জয়পাল পরবর্তী কালে এই অঞ্চল শাসন করার সুযোগ/অধিকার পান। স্থানীয়রা খঞ্জনপুরের দক্ষিণ দিকে আনুমানিক ২.৪ কিলোমিটার দূরে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপত্যের নিদর্শনকে জয়পালের রাজবাড়ি বলে চিহ্নিত করে থাকেন।

বিস্তারিত»

বিয়ে বিচ্ছেদ, বিশেষজ্ঞ মতামত ও আমাদের সমাজবিজ্ঞানীরা-১

সম্প্রতি বাংলাদেশে বিশেষ করে শহরাঞ্চলে বিয়ে বিচ্ছেদ মহামারী আকার ধারণ করেছে যা কয়েকমাস আগে মিডিয়াতে এসেছিল। অনেকগুলো পত্রিকা এবিষয়ে সাম্প্রতিক তথ্য ও উপাত্তের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সেইসব প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আমি এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে, বিয়ে বিচ্ছেদকে রোধ করার জন্য বাংলাদেশকে তালেবানী আফগানিস্তান বানাতে হবে। পাশাপাশি, সমাজবিজ্ঞান এমন একটি বিষয়, যেখানে বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য সামজবিজ্ঞান না পড়লেও চলে। কিভাবে এইসব অনুসিদ্ধান্তে আসলাম,

বিস্তারিত»

কেন প্রয়োজন ভিন্নপাঠ?

দারিদ্র্য নিরসনসংক্রান্ত যে-কোনো বৈশ্বিক সম্মেলনে আফ্রিকার প্রসঙ্গ উঠতে বাধ্য। কিন্তু আফ্রিকা কি সত্যিই দরিদ্র ও যুদ্ধ-কবলিত নাকি তাকে দরিদ্র করে রাখা হয়েছে? গুণীজন কহিবেন, উহারা দরিদ্র না হইলে ধনী দেশগুলো অকাতরে হাজার হাজার কোটি ডলার সাহায্য বা সহজ শর্তে ঋণ দিতেছে কেন?

নরওয়েজিয়ান স্কুল অব ইকোনমিকস পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ধনী দেশ কর্তৃক দরিদ্র দেশকে সাহায্য প্রদানের প্রচলিত এ ধারণার মধ্যে রয়েছে শুভঙ্করের মস্ত ফাঁকি।

বিস্তারিত»

রংপুর

ঘাঘট নদীর তীরে অবস্থিত রংপুর বাংলাদেশের একটি অতি প্রাচীন অঞ্চল। রংপুর জনপদের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য বাংলাদেশের তথা ভারতীয় উপমহাদেশের বিশেষ করে কুচবিহার-কামতা, প্রাগজ্যোতিষ-কামরূপ-কামাক্ষ্যা বা আজকের আসাম ও বিহার অঞ্চলের প্রাগৈতিহাসিক যুগের স্মারক বহন করে চলছে।

জেলার নামকরণ নিয়ে আছে নানা মতবাদ। পৌরানিক যুগে রাজা নরক শ্রীকৃষ্ণের সাথে যুদ্ধে বিজিত হলে তার ছেলে ভগদত্ত প্রাগজ্যোতিষ তথা কামরূপ রাজ্যের রাজা হন। প্রাগজ্যোতিস্বর ভগদত্ত (খ্রীঃপূর্ব ১৫০০ অব্দ) কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কুরুপক্ষ অবলম্বন করে নিহত হবার পূর্বে অবসর যাপন,

বিস্তারিত»

আঙ্গারপাড়া বড়বাড়ি/আঙ্গোরা মসজিদ-নীলফামারী

নীলফামারী জেলার দারোয়ানী ও দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলা সড়ক ধরে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার পথ চললে রাস্তার দক্ষিন পাশে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে আঙ্গারপাড়া বড়বাড়ি/আঙ্গোরা/আঙ্গরার মসজিদ অবস্থিত।

মসজিদে প্রবেশের জন্য রাস্তা সংলগ্ন একটি প্রবেশ তোরন আছে যা সাম্প্রতিককালে নির্মিত। প্রবেশ তোরন অতিক্রম করে মসজিদ আঙ্গিনায় ঢুকলে সরাসরি দক্ষিনে একটি মাযার ও পশ্চিমপাশে মসজিদে যাওয়ার রাস্তা।

বিস্তারিত»

নটখানা – নীলফামারী

সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ও অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে তৎকালীন নীলফামারীর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অর্থাৎ সাকামাছাবন্দরকে কেন্দ্র করে নীল বাণিজ্যের বেসাতি গড়ে তুলেছিল বৃটিশ উপনিবেশকারীরা। বাণিজ্যের লক্ষী ভেবে অন্যান্য ভাগ্যান্বষণীদের মতই ইংরেজ ‘নট’ নামের এক ব্যাক্তি এখানে নীলের পসার সাজিয়ে বসে। নীলফামারী – ডোমার সড়কের যেখানে Danish Bangladesh Leprosy Mission অবস্থিত তার দক্ষিণ সীমানার প্রাচীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্থাপনা আজও মানব ইতিহাসের কলঙ্কিত সেই অধ্যায়ের স্বাক্ষী বহন করে চলছে।

বিস্তারিত»

নীলফামারী

উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গার মতো বাংলাদেশের নানা স্থানে পাট গাছের মতো দেখতে নীল গাছও জম্মাতো। ভারতীয় নীল গাছ থেকে উৎপাদিত নীল ইউরোপের নানা দেশে রপ্তানী হতো বলে ইউরোপীয়রা একে ইন্ডিগো নামে চেনে। বৃটিশ উপনিবেশ আমলে বিশেষ করে কোম্পানী আমলে (১৭৫৭ – ১৮৫৭ খ্রীঃ) সারা বাংলায় (বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) নীল চাষের ব্যাপক আবাদ শুরু হয়। ১৭৯৫ খ্রীঃ পরপরই এর মাত্রা তীব্রতর আকার ধারন করে যশোহর, খুলনা, কুষ্টিয়া,

বিস্তারিত»