কি করে অকৃতজ্ঞ হও?

স্বপ্ন দেখে দিন যায়, আধো ঘুমে রাত যায়,
সহজেই ভুলে যাওয়া বেকুব অকৃতজ্ঞ মানুষের কাছে সম্মান পাওয়ার স্বপ্ন ,
দুই দিনের দুনিয়ায় অনেক ধনী হবার স্বপ্ন।

আবার অবাক চোখে তাকিয়ে দেখি 
জেগেও দেখি, ঘুমিয়েও দেখি

একবারও কি স্বপ্নে দেখেছি পালনকর্তার সামনে দাঁড়ানোর মুহূর্তের কথা !!

###

সন্ধ্যার ক্লান্ত ঘরে ফেরা মানুষ দেখি
এবং আয়েশরত মানুষ
সন্ধ্যা-প্রভাত ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ,

বিস্তারিত»

নব্বইয়ের কাসুন্দি

ইতালিয়া নাইন্টি টিভি রুম ভর্তি
সাদা বুক পেট উরু
বিশ্বকাপের শুরু।

বুঝেনা ফুটবল
নাম জানে ম্যারাডোনা
আর্জেনটিনা।

বুঝে ফুটবল
আর ব্রাজিল
বাকি সব আঁতেল।

ফাউলও একটা কলা
বুঝে ম্যারাডোনা
ধরা ক্যামেরুনে।

গোলমুখে ছিল ব্যান
মার্কো ভ্যান
হল্যান্ড আর বাস্তেন।

সাম্বা ছন্দ হয় বন্ধ বলে আর কৌশলে
উড়ায় নীল সাদা
পলি ব্যাগ আমোদে।

বিস্তারিত»

“বেদনার রং নীল আর আর্জেন্টিনার জার্সির রং ও নীল”– তাই মাঝে মাঝে কাঁদায়

যে কোন দল সমর্থন করার পিছনে উপযুক্ত কারন থাকে,আমি তাই মাঝে মাঝেই মনে করার চেস্টা করতাম আসলে কি কারনে আমি আর্জেন্টিনা সাপোর্ট করি।সবুজ হাউজের ক্যাডেট হয়ে নীল রঙের প্রতি আমার এই তীব্র দুর্বলতা সম্ভবত নিজে্রও মেনে নিতে কষ্ট হয়,তাই হয়ত। 😛 (কলেজে থাকা অবস্থায় ক্রিকেটে ইন্ডিয়া ও সাপোর্ট করছি – খামু গালি এখনই, যাই হোক এখন করি না)।
যাই হোক মুল বক্তব্যতে ফিরে আসি।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি – বিশ্বকাপ ‘১৪

তেঁতুলগোলা পানিটার দিকে আমার ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকা দেখে খিলখিল করে হেসে দিলো পৃ। ‘ভাই, আরেক প্লেট দেন।’
‘ভাইজানরে দিমু না?’ আমার বিরক্তিকে আরেক দফা উসকে দিয়ে জানতে চায় ফুচকাঅলা।
আমারো যদিও জিভে ভালো মতোই পানি চলে এসেছে, তবু প্রাণে ধরে সেটা স্বীকার করতে পারিনা আর। একবার না করে ফেলেছি, প্রেস্টিজ কে খসাবে।
পড়ন্ত বিকেলে একটা মস্ত লালমতন সূর্যকে আড়াল করে মুগ্ধ চোখে পৃ-র মুগ্ধতা দেখি,

বিস্তারিত»

এইবার কিছু স্মৃতিচারণ: ১৯৭৪ – ১৯৮২

চুয়াত্তরের বিশ্বকাপ ফলো করার সময়ে দুচারটা নতুন দলের নামের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম তাদের অনেক গোল হজম করার কারনে। যেমন: জায়ার, হাইতি। পড়ে ঐ জায়ারে মোহম্মদ আলী ফোরম্যানকে হারালে সবাই কে বলতে পেরেছিলাম, “জায়ার চিনো না? ওয়ার্ড কাপে নয় গোল খাওয়া দলটা।

ফাইনালের আগ পর্যন্ত অল্প কিছু প্লেয়ারকে নামে চিনতাম বিচিত্রার কারনে। তখন বাসায় বিচিত্রা রাখা হতো তাই। এঁরা হলেন ফ্রাঞ্জ বেকেন বাওয়ার, রবার্টো রিভোলিন আর য়ুয়ান ক্রাউফ।

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপ নিয়ে আরেক কিস্তি

অনেকেরই ধারনা, ৮২-তে ২৪ দল অন্তর্ভুক্তির পর থেকে বিশ্বকাপটা বদলে গেছে। কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। বিশ্বকাপের প্রতিযোগিতার থিমে সবচেয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে ৮৬ থেকে। ৮২-তে দল বেড়ে কলেবর ও নক আউটের পরিধি (সেমিফাইনাল অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়) খানিকটা বাড়লেও প্রতিযোগিতা মূলতঃ রয়ে গিয়েছিল রাউন্ড রবিন লীগ কেন্দ্রিক। প্রথম ও দ্বিতীয় দুইটা রাইন্ডই হতো রাউন্ড রবিন লিগে। ৭৮ পর্যন্ততো সেমিফাইনালও ছিল না। ৮২-তেই প্রথম সেমি ফাইনাল হয়।

বিস্তারিত»

জ্বরে পুড়ে ফুটবল জ্বরঃ প্রথম প্রেমে পড়িনি।

শেষ বিকেলের রোদ এসে পড়ছে চোখে। বাবার কোল থেকে নেমে দাঁড়ালাম। গাজীপুর সেনানিবাসের ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে বেশখানিকটা গাড়িবারান্দার শেষ প্রান্তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ভাইয়া। লনে হাঁটছে শফিক মামা। ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকিয়ে দেখি দোতালার বারান্দায় বসে মা হাসছে। লজ্জায় পা নড়াতে পারছি না। আমার পায়ের সামনে বলটা ছেড়ে দিল বাবা। আজকে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার খেলা হবে। আজকে আমি ব্রাজিল, কারণ গতকাল ভাইয়া ছিল ব্রাজিল। বল নিয়ে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ভাইয়ার সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেললাম।

বিস্তারিত»

একটি পারিবারিক ফুটবলীয় গল্প

বিশ্বকাপ/ফুটবল প্রসঙ্গে আমার লেখাটি কতোটুকু প্রাসঙ্গিক তা জানিনা।বিশ্বকাপ এর শুরুতে প্রচণ্ড ফুটবল প্রেমিক একজন মানুষের কথা শুনতে হয়তো সবার ভালোই লাগবে

ক্যাডেট কলেজের ফুটবলের কথা আশাকরি সবারই মনে আছে। আহ!কি রোমাঞ্চকর দিনগুলি। নভিসেস ড্রিল এর আগে হাড় ভাঙা পরিশ্রমের মধ্যে মাঝে মাঝে যখন বিকেলে ড্রিলের জায়গায় গেমস করার সুযোগ পাওয়া যেত,মনে হতো “এত সুখ কি আমার কপালে সইবে?” নাহ! সুখ বেশীদিন সয়নি।

বিস্তারিত»

প্রথম প্রেমের গল্প

শুনেছি মানুষ নাকি তার প্রথম প্রেমকে ভুলতে পারেনা। আর সেখানে যদি থাকে বেদনার গল্প, তাহলে তো আরো ভুলার কথা না। আজকে প্রথম প্রেম এর গল্প বলতেই বসলাম।

না, কোন মানবীর গল্প বলছিনা। বলছিলাম “রোনাল্ডো-দ্যা ফেনোমেনন আর ব্রাজিল” এর কথা।

গল্পের শুরুটা ১৯৯৮ এর কোন এক পড়ন্ত দুপুরে। পড়ি তখন চতুর্থ শ্রেনীতে। বাড়িওয়ালাদের ছেলে রিমন এর সাথে আমাদের ভাই-বোনের খুব ভালো সম্পর্ক।

বিস্তারিত»

আন্তর্জাতিক ফুটবল অনুসরণ: শুরুর স্মৃতি

জীবনে প্রথম যে আন্তর্জাতিক ফুটবলটা ফলো করেছিলাম, সেটা বিশ্বকাপ না, মিউনিখ অলিম্পিকের ফুটবল।

৭২ সালে ক্লাশ টুতে পড়ি। একটি ক্লাশ টু-এর ছেলে অলিম্পিক ও তার ফুটবল ফলো করেছে, এখনো তা মনে করে রেখেছে, এটা অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবে না। কিন্তু কি করার, আমরা যে স্মৃতিধারী তরুনতম মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। আমাদেরকে পুরনো অনেক কথা কষ্ট করে মনে রাখতে হয়েছে / হচ্ছে ভবিষ্যতে জীবন্ত ফসিল রোল প্লে করার জন্য।

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপ দেখোয়াড়

হোসে মরিনহোর মত নিজেকে স্পেশাল ওয়ানই মনে করি।বিশ্বকাপের নিচে কোন খেলা দেখিনা।সেই হিসেবে আমাকে বিশ্বকাপের খেলোয়াড় থুড়ি দেখোয়াড় বলতে পারেন।আমার মিতা, প্রয়াত টিটো ভিলানোভা বেশ ভাল খেলতেন।আমি যে খুব খারাপ খেলতাম তা কিন্তু নয়।প্রাইমারীতে গোল্লাছুট আর বদন দুই খেলাতেই ছিলাম বাগুন লচপচি! সেইরাম খেলতাম।না হলে কি আর দুই দলেই খেলা যায় ? কালেভদ্রে ফুটবল খেলতাম বটে।সাদা রংয়ের বলটাকে লাথি মারে।বড্ড মায়া হত আমার।হঠাৎ বলে পা লাগলে মনে মনে ছালাম করতাম আর গুনে রাখতাম কয়বার পাপটা করা হলো।

বিস্তারিত»

বিশ্বকাপ ৯৮ আর কিছু ভোল পাল্টানোর গল্প

১। ‘৯৮ এর বিশ্বকাপ। বয়স দশও হয়নি, তারপরও বিশ্বকাপের আমেজটা পেয়ে বসেছিলো ভালো মতোই। প্লেয়ার বলতে যদিও এক রোনালদোকেই চিনতাম, তারপরও আমার মাথায় খালি বিশ্বকাপই। বিশ্বকাপ বলতে খাতায় সারাদিন একটা বেল মাথা ৯ নম্বরের রোনালদো আর নীল রং এর উডিউড পেকার টাইপের বিশ্বকাপের মাসকট ফুটিক্স আঁকা !

২। বিশ্বকাপ শুরু হলো। বাসার ছাদে ব্রাজিলের পতাকা লাগলো, কারণ ফ্যামিলিগত ভাবেই সবাই ব্রাজিলের কড়া সমর্থক।

বিস্তারিত»