একুশে ফেব্রুয়ারি

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। নানাভাবে উৎযাপন করা হয় এ বিশেষ দিনটি। তাদেরই কিছু অনুচিত্র নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

ক্লাস ৮ থেকেই হাউজের জাতীয় মুরগী হিসেবে যোগদান করলাম (পড়ুন করানো হল) ওয়াল ম্যাগাজিন পার্টিতে। যদিও কোন আর্টিস্টিক প্রতিভা ছিল না, খুচরা কাজকর্মে সাহায্য করতাম আর কি। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে হাউসে ট্রেডিশনাল মুড়ি পার্টি হত। শেষ মুহূর্তের ফিনিশিং টাচ দেয়ার কাজ চলত এদিন। সকল কাজ কোনমতে শেষ করে পাঞ্জাবিটা গায়ে জড়িয়েই দৌর দিতাম মস্কে “বিশেষ নামাজ”এ শামিল হয়ে নিজেকে সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে।

বিস্তারিত»

লক্ষ দার্শনিক

ফেসবুকের কল্যাণে আজ আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ দার্শনিক ! আমি না হয় দর্শক হয়ে এভাবেই দার্শনিকদের কাছ থেকে ক-খ শিখলাম ।

প্রবাদবিশ্বকোষকে ছাড়িয়ে যাওয়া আমার গুরুবিশেষ এহসান ভাই অশ্রুতপূর্ব একটি বিশেষ উক্তি দিয়েছিলেন যা আমার মনে মহামন্ত্র হয়ে আছে । সেটা না বললে সামনের এত কথা পাঠকের মাথার বহু ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ হয়ে উড়ে যাবে ।
কথাটা মনের বুকপকেটে রেখে দিয়েন –

বিস্তারিত»

কি করে অকৃতজ্ঞ হও?

স্বপ্ন দেখে দিন যায়, আধো ঘুমে রাত যায়,
সহজেই ভুলে যাওয়া বেকুব অকৃতজ্ঞ মানুষের কাছে সম্মান পাওয়ার স্বপ্ন ,
দুই দিনের দুনিয়ায় অনেক ধনী হবার স্বপ্ন।

আবার অবাক চোখে তাকিয়ে দেখি 
জেগেও দেখি, ঘুমিয়েও দেখি

একবারও কি স্বপ্নে দেখেছি পালনকর্তার সামনে দাঁড়ানোর মুহূর্তের কথা !!

###

সন্ধ্যার ক্লান্ত ঘরে ফেরা মানুষ দেখি
এবং আয়েশরত মানুষ
সন্ধ্যা-প্রভাত ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ,

বিস্তারিত»

লতাগুল্মের গালগল্প

আমাদের শহরে এখন সন্ধ্যা নামছে। দিনশেষের এই সময়টুকু আমার বড় প্রিয়। এখানে গ্রীষ্মের দিনগুলি অনেক লম্বা। ‘ঠাডাপড়া’ গরমে স্থানীয় লোকজন দেখি কেবল সমুদ্র সৈকতের দিকে দৌড়োয়। মাঝেমধ্যেই তাপমাত্রা একশো ডিগ্রি ছাড়িয়ে যায়। দিনভর তুমুল গরম থাকলেও সন্ধ্যা আসে প্রশান্তি নিয়ে। সারাদিনের প্রচন্ড দাবদাহে গাছেরা তৃষ্ণাতর্ হয়ে থাকে। আমাদের বাড়ির সামনে পেছনে খোলামেলা সবুজ সমতল জায়গা আছে। সামনের চত্বরে আগে কেবল বুনো লাল গোলাপ ছিল, আর দক্ষিণের সীমানা ঘিরে ছিল ঘন সবুজ ফার্ণের ঝোপ ও জেরানিয়াম।

বিস্তারিত»

ABCD অথবা বাংলা শক – ১

বিঃ দ্রঃ ঘটনা গুলো সব সত্য, কিছুটা পরিমার্জিত (নাম, পরিচয়, স্থান উহ্য রেখে)। কাউকে অসম্মান অথবা আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং নিজের চিন্তার শুদ্ধতার লক্ষেই এই অসলগ্ন চিন্তাকে লেখায় রূপান্তর। অন্যকারো অভিজ্ঞতার সাথে মিনিয়ে বিচিত্র মানুষের ততধিক বিচিত্র কর্মকান্ডের ব্যাখা খোঁজার অপচেষ্টা।

 

কালচারাল শক !!! দেশের বাইরে প্রথম যে বিষয়টি ফেস করেতে হয় তা হল, নিজেকে অন্য একটি দেশের/জাতির সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা। 

বিস্তারিত»

ভাল আছি …. ভাল নেই

জীবন বড়ই বিচিত্র। খুব কম সময়ই আমরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে খুশি থাকি, ভাল থাকি। সেই সাথে জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও সদাসংশয়। এই উইকএন্ডে আম্মার কথায় চাপা ঊৎকন্ঠা, অদূর ভবিষ্যতে ভূমিকম্পে ঢাকা দাঁড়িয়ে থাকবে কিনা তা নিয়ে। ক্যান্সার সার্ভাইবার মা আজ অপরিকল্পিত নগরায়ণের ভয়ে নিজেই সদাকম্পিত।

ব্যক্তি আমি হয়তবা ভূমিকম্প হতে নিরাপদ (ভৌগলিক অবস্থানগত কারনে)। কাগজে কলমে জীবনের নিরাপত্তাও আছে।আসলে কি তাই ……

ঘটনা একঃ স্প্রিং ব্রেকে ০৪ দিনের ছুটিতে আমার স্ত্রী বেড়াতে এসেছে।

বিস্তারিত»

বিভক্তি

আমাদের সীমাবদ্ধতা, আমরা সবকিছুতেই দুটি দিক খুজে পাই।
ঠিক যেন মুদ্রার দুই পিঠ, মাথা আর লেজ।
মানুষ খোঁজতে যাই, নারী আর পুরুষ।
ধর্ম বুঝতে যাই, আস্তিক আর নাস্তিক।
আস্তিকতার কথা বলবেন, একইশ্বর কিংবা বহুইশ্বর, অইত মুসলমান আর হিন্দু।
কেবল একইশ্বরের কথা শুনাতে চাচ্ছেন, হুম তাও জানি ইসলাম এবং ক্রীশ্চান।
বাদদিন ধর্মের কথা, বর্ণের কথা বলেন, অহ্ সাদা আর কালো।

বিস্তারিত»

জ্বর মস্তিষ্কে অনুর্বর কিছু ভাবনা……

এই ছোট আয়তনের শহরে,
বড় বড় দালান গুলো আকড়ে ধরে থাকে
বড় বড় কর্তা ব্যক্তিরা,
তারা এ শহর ছেড়ে আর অন্যকোন নোংরা মফস্বল শহরে যেতে চান না।
আর তাদের কে ঘিরে হু হু ঢল নামে মানুষের দলের।
সেই মানুষের জন্য আরো গড়ে উঠে দালান-কোঠা, দোকান-পাট
প্রয়োজনে বাড়িয়ে তোলে আরো প্রয়োজনীয়/অপ্রয়োজনীয় স্থাপনা।
আয়তনে ছোট্ট শহর হয় জনসংখ্যার হিসেবে অন্যতম।

বিস্তারিত»

Too much Water in Wrong Place (চীনা বিড়ম্বনা, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা – ১)

আমেরিকা আসার পর সবচেয়ে বেশি যা দেখেছি আর মাঝে চাইনিজ মানুষজন অন্যতম। তাদেরকে নিয়ে মনেহয় সবারই কম-বেশি অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি আমার কিছু শেয়ার করলাম।

 ক্লাস শুরুর আগে একটা ইন্টারন্যাশনাল ষ্টুডেন্ট অরিয়েন্টশন হয়। তা অরিয়েন্টশনের দিন, আমার পাশে বসেছিল এক চাইনিজ ছেলে, জনি (ইংরেজি নাম)। তা কথায় কথায় জানতে পারলাম সে পরিবেশ বিজ্ঞানে ০২ সেমিষ্টারের জন্য এসেছে, ট্রান্সফার ষ্টুডেন্ট বলে যাকে। তা নিজের ফীল্ডের কাছাকাছি বলে ভাবলাম কথা চালিয়ে যাই।

বিস্তারিত»

বাঁচতে হলে লিখতে হবে!

অনেক বছর হয়ে গেছে লিখিনা, আমিও যেন লেখা ভুলে গেছি! বারবারই লেখার কথা ভাবলে আমার হারানো ডায়েরী টার কথা মনে পড়ে, স্ট্যান্ডিং অ্যাট দি এজ পার্ট ২ এর কথা মনে পড়ে, এখকারশনের সাত দিনের যত গল্লপ মনে পড়ে। আমার মনেও নাই কি কি লিখেছিলাম। এগুলা ভাবলে আর লেখার ইচ্ছে হয় না। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এক অজুহাত দিয়ে কত বছর নিজের থেকে পালানো যায়? সবাই নাহয় বিশ্বাস করছে,

বিস্তারিত»

টুবিতা মালা

১। (ভূমিকা)
আপন মনে,  গেলাম  বুনে, টু-লাইনের কবিতা
– আদর করে নাম দিয়েছি ‘টুবিতা’।।

 

২। (গৌরচন্দ্রিকা)

আমি বলি, আমারেও ধরিলো কি ও রোগে?
ছড়া কেটে ঘুরি কেন কবিদের সড়কে!

 

৩। (হুমায়ুন আহমেদ স্মরণে)
গল্প থেকে মানুষগুলো নামিয়ে দিতেন বাস্তবে,
হঠাত বলে গেলেন চলে, ‘আজ এখানেই থাক তবে’

 

বিস্তারিত»

পরগতিশিল

ইদানিং আমার চারপাশে এক জাতের মানুষ খুব বেড়েছে। খুবই উচ্চ ফলনশীল জাতের জীব এরা। মশা-মাছি-তেলাপকার চেয়েও এদের বিস্তার (মাশাল্লা) অনেক দ্রুত। পথে ঘাটে, হাটে মাঠে, চায়ের দোকানে, নর্দমায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কিলবিলিয়ে বাড়ছেই এরা প্রতিদিন। বাস্তবে বা ভার্চুয়াল জগতে, ঘরোয়া আড্ডা কিংবা সিরিয়াস ” টক শো ” সর্বত্রই এঁদের দৃপ্ত পদচারণায় বাংলাদেশ আজ মুখরিত ; রীতিমতো ধন্য। জে, আপ্নে ঠিকই ধরেছেন- এরাই আগামী দিনের কান্ডারী, দেশের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার,

বিস্তারিত»

দিবা সপ্ন

দোষ  কি  যদি  হই  ক্ষুদ্র  পাখির  মতো

ঠিকানাবিহীন  আকাশজুড়ে  ভবঘুরে

ক্লান্ত  পরিস্রান্ত  ঘরে  ফিরি , কে  বা

দেবে  এমন  ঘরের  খোঁজ

নাম  না  জানা  নানা   রঙের  দুঃখ

পেয়েও  ঘুম  আসে  না  , দুঃখের  সাথে  আড়ি

আমি  সারথপর,

একলা  ঘরে  নিজের  মুখোমুখি , অবসাদে   এলিয়ে

পড়েও  সুখের  পেছন  ছুটি ,

বিস্তারিত»

প্রথম পোস্ট: নিজেকে উপস্থাপন

অনেক দিন হয়ে গেল সিসিবিতে নীরব পাঠকের ভুমিকায়। সাহসের অভাবে কোন পোস্ট করা হয়ে উঠেনি। তবে কালে ভদ্রে দুই-একটা মন্তব্য করেছি। আর এই সাহসের অভাবটা আমার চিরদিনই ছিল। প্রতিটি ব্যাচে ভেজাবেড়াল টাইপের দুই-একটা ক্যাডেট থাকে। তদেরই মতো আমি একজন। ভেজাবেড়াল কি রকম? ধরেন, নিচে নিচে বহুত দুষ্টামি ফাজলামি করবে কিন্তু সিনিয়রদের সামনে গেলে, বেটা কিছুই বোঝে না। স্যারদের সামনে গেলেতো অবস্থা আরো বেগতিক, ছাইড়া দিলো দিলো অবস্থা।

বিস্তারিত»