লক্ষ দার্শনিক

ফেসবুকের কল্যাণে আজ আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ দার্শনিক ! আমি না হয় দর্শক হয়ে এভাবেই দার্শনিকদের কাছ থেকে ক-খ শিখলাম ।

প্রবাদবিশ্বকোষকে ছাড়িয়ে যাওয়া আমার গুরুবিশেষ এহসান ভাই অশ্রুতপূর্ব একটি বিশেষ উক্তি দিয়েছিলেন যা আমার মনে মহামন্ত্র হয়ে আছে । সেটা না বললে সামনের এত কথা পাঠকের মাথার বহু ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ হয়ে উড়ে যাবে ।
কথাটা মনের বুকপকেটে রেখে দিয়েন –

বিস্তারিত»

কথা

#
“স্যার, বাইরে একজন মহিলা বসে আছেন। উনাকে কি ভেতরে আসতে বলব?” এই নিয়ে তিনবার তার বস, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জাহিদুল হাসানকে বলল । প্রায় দুই ঘণ্টা হয় প্রৌঢ়া মহিলাটি বসে আছেন। বস জাহিদুল হাসান ভাল মনের একজন মানুষ । গতানুগতিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের মত ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাউকে বসিয়ে রেখে নিজের পদের ভার বুঝানোর চেষ্টা করেন না। আজকে বসের রুমে কেউ নেই তারপরেও বস কেন যে মহিলাকে ভেতরে ডাকছেন না কে জানে।

বিস্তারিত»

পুষ্প তুমি কার

এক.
রাজশাহী। নতুন জায়গা এবং বিরক্তিজনকভাবে প্রচণ্ড গ্রীষ্মপীড়ীত এলাকা। আমার এখানকার কর্মস্থলের প্রথম দিন। প্রচন্ড গরম আর এখানকার অফিসের যাচ্ছেতাই অবস্থা আমার মেজাজটা এমনিতেই অনেক গরম করে রেখেছে। মানুষ হিসেবে আমি যথেষ্ট রূঢ় প্রকৃতির বিশেষত যখন আমার মেজাজ অনেকটা চড়ে থাকে। হয়ত আজকে একটু বেশিই হয়ে গেছে। অফিসের কম্পিউটার সেকশনের মেয়েটা নাকি আমার ঝাড়ি জাতীয় কথাগুলো শুনে তার টেবিলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল। খুব একটা খারাপ হয়েছে ব্যাপারটা তা আমার মনে হচ্ছে না।

বিস্তারিত»

মসজিদে মোবাইল বন্ধ রাখুন

১ম পর্ব
মাগরিবের নামাজের আযান হয়ে গেছে অনেকক্ষণ আগেই । হতদন্ত হয়ে অজু করে মসজিদে ঢুকেই দেখি মুসুল্লীরা ততক্ষণে রুকুতে চলে গেছেন । আমি যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি শরীক হলাম জামাআতে । সিজদায় গিয়ে হঠাৎ মনে হল “মোবাইলটা কি সুইচ অফ করেছি?”
আমি ঘামতে শুরু করলাম কারণ রিংটোন দেয়া ছিল হাই ভলিয়ম “তেরে নাম”

আমার তো নামাজ থেকে মন উঠে গেল ।

বিস্তারিত»

এক্সট্রা ড্রিল

ব্লগের শুরুতেই ডিসক্লেইমার দেওয়ার স্টাইলটা জমে উঠেছে আর তাই আমিও লোভ সামলাতে পারলাম না
সতর্কীকরণঃ ক্যাডেট কলেজ লাইফে কেউ যদি কোন দিন এক্সট্রা ড্রিল না খেয়ে থাকেন তাহলে ক্রেডিট নেওয়ার জন্য বলার দরকার নাই কেননা তাতে প্রোপার ক্যাডেট হিসেবে টিজ খাওয়ার সম্ভাবনা আছে

আমি তখন সবেমাত্র ক্লাস টেনে উঠেছি :-B
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই আকাশ যথেষ্ঠ মেঘলা ছিল ।

বিস্তারিত»

ফেল রেকর্ড

“ক্যাডেট কলেজে ছয় বছর থেকে যারা পাক্ষিকে ফেল করে নাই এই পোস্টটি তাদের জন্য নয়”
আমি সেই ক্যাডেট, যে প্রথম পাক্ষিকে অংকে ডাবল জিরো পেয়েও পরের পাক্ষিকে ২৪ পেয়েছিলাম :just:
ক্যাডেট কলেজে চান্স পাওয়ার আগে আমি মোটেই খারাপ ছাত্র ছিলাম না । তাই বলে কিন্তু আমি কলেজকে দোষারুপ করছি না 😛 😛
আসলে সবসময় মজা করতে গিয়ে পড়াশুনা থেকে খানিকটা ছিটকে পড়েছিলাম ~x(

ছয় বছরে সেভেন ছাড়া প্রত্যেক ক্লাসের ফার্স্ট টার্ম ইন্ডে আমার ফেল করার বিরল রেকর্ড রয়েছে :just:
নতুন ক্লাসে উঠে আমি খুব ফুর্তিতে থাকতাম :tuski:
মনে হত সারা বছর কষ্ট করে কেবল নতুন ক্লাসে উঠলাম,

বিস্তারিত»

ক্যাডেট আইডি কার্ডের ফায়দা

আমার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল স্টেডিয়ামে গিয়ে লাইভ ক্রিকেট খেলা দেখব :dreamy:
কলেজ থেকে ভ্যাকেশনে বাসায় এলে সাধারণত খেলা থাকত না, আর থাকলেও সময় সুযোগ বের করা কিছুটা কষ্টকর ছিল :bash:

ছয় বছরে ক্যাডেটের আইডি কার্ড দিয়ে কোন ফায়দা লুটতে পারি নাই, না সিএমএইচ, না ছাত্র ভাড়া, না অন্য কোন ডিসকাউন্ট :frontroll:
অথচ ক্লাস সেভেনে যখন আমাদের প্রথম আইডি কার্ড দেয়া হল তখন কার না মনে হয়েছিল এই কার্ড দিয়ে বিশ্ব জয় করা যাবে :just:

১১ অক্টোবর ২০০৮
বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের ১০-১২ জন বন্ধু মিলে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হলাম বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের ২য় ওয়ানডে ম্যাচ দেখার জন্য :-B
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল আর সেজন্যই সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ছিল সবার চোখে :gulti:
স্টেডিয়ামে দর্শকদের একটা বাড়তি চাপও ছিল চোখে পড়ার মতো কারণ এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ আমাদের :clap:

যেহেতু ঢাকায় ছিলাম সেহেতু ম্যাচটি দেখার লোভ সামলাতে পারি নাই :no:
অগ্রিম টিকিটের জন্য অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু কাজ হল না ।

বিস্তারিত»

বাসে একদিন

ছাত্র ভাড়া দেয়ার অভ্যাস আমার কোন কালেই ছিল না :clap:
২০০১ সালের ঘটনা :-B
আমি ক্যাডেট কোচিং করছিলাম টাংগাইলে । আকস্মিক ছুটি পেয়ে ৩ দিনের জন্য বাসায় যেতে হল । ছুটি শেষে টাংগাইল ফেরার পথে এলেঙ্গা থেকে বাসে উঠলাম । মাঝামাঝি একটা সিট পেয়ে বেশ ভাল লাগল :guitar:

মাঝে মাঝে কিছু স্মার্ট কন্ট্রাক্টর আছেন যারা ছাত্র ভাড়া দিতে গেলে আইডি কার্ড চেয়ে বসেন ।

বিস্তারিত»

আশার কাছে খোলা চিঠি

দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র
“মেয়েটির সৌজন্যে একটি চিঠি লিখেছিলাম কিন্তু আজো সেটা পোস্ট করা হয় নি”
এর পর থেকে শুরু করছি…
ব্লগের শিরোনামটি মাসরুফ ভাইয়ের দেওয়া । আমি আর পরিবর্তন করার দুঃসাহস দেখাই নি । হাজার হলেও বড় ভাই 😀
আদনান ভাই, তানভীর ভাই, মাসরুফ ভাই, রকিব ভাই এবং মাহমুদ ভাই এর নির্দেশে আমার পোস্ট না করা চিঠির অজুহাতগুলো লিখছি :-B

আমি ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার পর থেকেই চিঠি লিখতে এবং পেতে খুব ভাল লাগত ।

বিস্তারিত»

দিনবদলের হাওয়াঃ ক্যাডেট কলেজে প্রেমপত্র

আমি তখন ক্লাস সেভেনে । এক ফ্রেন্ডের কাছে কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স দেখে কি মনে করে যেন স্কুল কুইজটা পুরণ করে পাঠিয়ে দিলাম :-B
একরাতে প্রেপের পর সানি ভাই আমাকে বললেন যে আমার একটি পার্সেল আছে । পার্সেল খুলে দেখলাম কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ২০০২ সালের আগস্ট সংখ্যা । প্রথমে ভেবেছিলাম আব্বু হয়ত বাসা থেকে পাঠিয়েছে । পরবর্তীতে ১০ জন কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় নিজের নামটি ১ নাম্বারে দেখে কতটা আনন্দিত এবং বিস্মিত হয়েছিলাম সেটা আমার স্পষ্ট মনে আছে :dreamy:
ক্লাস সেভেন থেকে টেন পর্যন্ত মোট ২৯ বার কুইজ বিজয়ী হয়েছি :clap:
এর মধ্যে ২০০৪ সাল মানে ক্লাস নাইন খুবই ভাল কেটেছে :hug:
যেহেতু প্রায় মাসেই একটি কমন নাম কুইজ বিজয়ীদের তালিকায় থাকত সেহেতু আমি বেশ পরিচিতি লাভ করেছিলাম অচিরেই :shy:
তারপর থেকে শুরু হল আমার চিঠি আসা :chup:

দিনবদলের হাওয়ায় এখন তো সব কলেজেই মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে ।

বিস্তারিত»

গোল্লাছোটঃ এক্স-ক্যাডেট বনাম ভিপি স্যার

বাসায় খুব বোরিং সময় কাটছিল 🙁
কোন কাজ নেই, শুধু খাওয়া, ঘুম আর টিভি দেখা ~x(
জোবায়ের ফোন করে জিজ্ঞাসা করল আমি কলেজে যাব কিনা । আমার মনটা নেচে উঠল কারণ এর চেয়ে মজার আর কি হতে পারে :guitar:
আমি ভাবলাম কলেজে গিয়ে সবার সাথে দেখা করে সার্টিফিকেটগুলো নিয়ে আসি । প্রায় ১১ মাস পর কলেজে যাচ্ছি, বেশ ফুর্তিতেই ছিলাম :tuski:
রাজশাহী শহর আমার বেশ ভাল লাগে কারণ এটি অনেক গোছানো :boss:

২৮ মে ২০০৯
সকাল আটটায় চিরচেনা সেই পদ্মাপাড়ে আসলাম :awesome:
ঝলমলে রোদ আর পদ্মার বুকে বয়ে চলেছে ছোট ছোট নৌকা ।

বিস্তারিত»