বেশ কঠিন সময় পার করছি ইদানীং। রাতে ঘুমাতে পারি না , যাও বা ঘুম আসে দেখি এক-দুই ঘন্টা পরেই ঘুম ভেঙ্গে যায়। এরপর আর ঘুম আসে না। ঘুম আসার জন্য আমি ভেড়া গুনে শেষ করে ফেলি ১০হাজার কিংবা তার চেয়েও বেশি।
বিস্তারিত»স্বপ্নেরা মর্ত্যে নেমে আসে
আকাশের উপরে ভিত্তিহীন ভাবে ভেসে থাকা স্বপ্নেরা হুড়মুড় করে মর্ত্যে নেমে আসে। অতিকষ্টে আকাশের পরে আজন্ম দুলতে থাকা সংশয়পূর্ণ স্বপ্নেরা সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে শাসন না মেনে ফিরতে না চাওয়া দুষ্ট ছেলের মত, লুটোপুটি খায় কাঁদামাটিতে। আমি চেয়ে চেয়ে ওদের ভূলুণ্ঠিত উচ্ছল চেহারা দেখে ভাবি কিভাবে এতদিন ওরা এত উপরে ছিল। হর্ষধ্বনিতে উন্মাতাল এই পতন দেখে শঙ্কিত আমি বিষ্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে থাকি আমার আশৈশব লালিত স্বপ্নগুলোর দিকে।
বিস্তারিত»আমার আপুসোনা – ৫
[ এইটা আমার কাল্পনিক সিরিজ। আমার একটা বড় বোন এর অনেক শখ। সেটা নিয়ে প্রায়ই কল্পনা করি। সেটার বহিঃপ্রকাশ এই সিরিজ। খুব মজা পেলাম মাহমুদ ফয়সালের কথা শুনে ও নাকি বুঝতেই পারেনি এইটা কাল্পনিক সিরিজ। ইশশ খুব ভাল হত এইটা যদি কাল্পনিক না হয়ে সত্য হত ]
এই সিরিজের আগের পার্ট আমার আপুসোনা
ক্রিংক্রিংক্রিং………
ধুর ঘুমের মধ্যে রিং ভাল লাগে না।
অভিমান
আমি এবার বদলে যাব
কাউকে আর চাইব না,
কাউকে ভাল বাসব না,
মা
মা দিবসে আম্মুকে একটা চিঠি লিখেছিলাম। সময়ের অভাবে সেটা পোস্ট করা হয়নি। তাই আম্মুকে স্ক্যান করে পাঠিয়ে দিতে হল। ছোট ভাইকে বলেছি ওটা প্রিন্ট আউট করে আম্মুর হাতে দিয়ে দিতে। ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল চিঠি। e-চিঠি। দিতে গিয়ে মনে হল সিসিবিতে ও আপলোড করে দেই।
সকল মা কে মা দিবসের শুভেচ্ছা।
আয় আরেকটি বার আয়রে সখা, প্রাণের মাঝে (০১)
[ডিসক্লেমারঃ কবিগুরু থেকে লাইন চুরি করলাম। এই লোক যে কি যে কোন লেখায় ওনার থেকে কোট করে নাম দেওয়া যায়। কলেজের বন্ধুদের নিয়ে এই লেখা। ]
১।
কলেজের দ্বিতীয় দিনেই ফুটবল খেলতে গিয়ে নিজেকে জাহির করার তাগিদ অনুভব করলাম আমি। প্রথম দিনেই সবার দৃষ্টি কাড়তে হবে এমন একটা ভাব নিয়ে ২১-২১ জনে খেলা এ ফর্ম, বি ফর্ম খেলার মাঝেই আমি প্রচুর দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিলাম।
প্রবাসে প্রলাপ ০০৯ – মনঘড়ি
১
আমার মনের মধ্যে একাধিক ঘড়ি থাকে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে যখন দেখি সকাল ৯টা বাজে সাথে সাথে আমার মনের একটা ঘড়ি বলে এখন ৬ টা বাজে দেশে আম্মু ঘুমাচ্ছে। মোবাইল হাতে নিয়ে তাই আর ফোন করা হয় না।
হারিয়ে গেলাম
অনেক আগে লেখা একটি কবিতা । সবাই কবিতা দিচ্ছে দেখে আর নতুন কবিতা লেখতে না পেরে। আগে সচলায়তনে পোষ্টিত ।
হারিয়ে গেলাম
কেউ খুঁজলনা ,কেউ খুজেঁনা,
তাই হারিয়ে গেলাম।
বিশ্বসংসার তন্নতন্ন করে খুজঁলাম
কেউ নেই আমার অপেক্ষায়।
বাবা কতদিন দেখি না তোমায়…
১
অনেক বছর হল, আর ২ মাস পার হলে ১২ বছর হবে। আব্বুকে নিয়ে কখনো কোথাও কিছু লেখা হয়নি। শেষ যখন আব্বুকে দেখেছি সেই দৃশ্য এখনো চোখে ভাসে। অল্প একটু চেষ্টা করলেই দেখতে পাই ক্যাডেট ড্রেস পড়ে আমার ঘর থেকে মামার সাথে বের হয়ে যাওয়া দৃশ্য। আমার আব্বু বসে আছে বারান্দায়। আমি অনেকদুর এগিয়ে গিয়ে একবার দাঁড়িয়ে ছিলাম এরপর পিছনে তাকিয়েছিলাম।
দ্বন্দ্ব
-ভাইয়া তুই কি বের হচ্ছিস?
-কেন কিছু বলবি আপু। আয়নায় শার্ট ঠিক করতে করতেই বললাম।
-তোর সাথে আজ বের হব ঠিক করেছিলাম বিকেলে।
আমার এই জমজ বোনটা কখনো আমাকে কিছু বললে আমি না করতে পারি না কিন্তু আজ আমার এমন একটা কাজ যে সেটাও বাদ দেয়া যাচ্ছে না কি যে করি।
প্রবাসে প্রলাপ ০০৮
আজ আসলেই আমার প্রলাপ শোনাব সবাইকে। কিচ্ছু লেখা আসছে না। ইচ্ছে করছে সব ছেড়েছুড়ে চলে যাই দেশে। কি হবে পড়ালেখা করে কি হবে নামের পাশে ডিগ্রী লাগিয়ে। সব কিছু ছেড়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাই , প্রতিদিন বাসায় ঝাড়ি শুনব বেকার ছেলে হয়ে, কেউ পাত্তা দিবে না ঘরের টুকটাক কাজ করে দিব বিনিময়ে একরাশ অবসর, আফসোস , পাশের বাড়ির ছেলের গাড়ি দেখে ঈর্ষা , রাস্তায় অপ্সরীদের দেখে বুকে চিনচিন ব্যাথা।
বিস্তারিত»আজ রবিবার
আজ রবিবার , খুব সুন্দর একটা দিন হবে হবে করেও দিনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল। সকালে উঠে মুখ ধুয়ে এসে দেখি মোবাইলে মিসকল। কার কল হতে পেরে ভাবতে ভাবতে মোবাইল হাতে নিয়েই দেখি আমার আপুসোনার। আমার মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল। দুমিনিট আগে ফোনটা আসতে পারত কিংবা আমিও ২ মিনিট পরে মুখ ধুতে যেতে পারতাম। মোবাইলের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতে থাকতে মনে হল আমি কল দেই।
বিস্তারিত»আমার অসুস্থতা ( একটি সাময়িক পোষ্ট )
সিসিবিতে অনেক বড় ভাই ছোট ভাই কমেন্টে আমাকে অনেক বার জিজ্ঞেস করছেন আমার শরীর এখন কি অবস্থা। কমেন্টে উত্তর দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু অনেক মানুষকে একসাথে জানাবার জন্য এই সাময়িক পোষ্ট। সবার প্রথমে সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্লগে কমেন্টে কিংবা পার্সোনালি মেইল করে আমার খবর নেওয়া, উপদেশ, সাহস দেওয়ার জন্য।
আমি আজ গিয়েছিলাম সিলেক্টিভ নার্ভ ব্লক করার জন্য। আমার ডিস্ক প্রোলাপস হচ্ছে L5-S1 ডিস্কে মূলত,
স্টেরিওগ্রাম ১
আমাদের এখানে প্রতিবছর একইরকম ভাবে মনবুশো স্কলারশীপ নিয়ে কয়েকজন আসে। আমরা সবাই একই জায়গায় ভাষা শিখি একই রকম পথ পাড়ি দেই। এবং আমাদের মধ্যে প্রচুর ক্যাডেট। সেই হিসেবে এখানে আমাদের সবার মাঝে ক্যাডেট কলেজের মত একটা ট্রেন্ড চালু আছে। প্রতিবছর নতুনরা আসলে আমরা ওদের গিয়ে রিসিভ করি ওদের ভাল মন্দ দেখার চেষ্টা করতে গিয়ে অনেক সময় ওদের অনেক জ্বালাই। আমার এই পোষ্টের ব্যাপারটা সেটা নিয়ে না।
বিস্তারিত»শুভ জন্মদিন, ভাইয়া
আমার ছোটভাই কনক। ওর পিচ্চি বেলার কথা এখনো আমার মনে আছে। আমি ওর অল্প বড় হলেও ওকে নিয়মিত গল্প শোনাতাম। কখনো গল্পের বই থেকে কখনো বানিয়ে বানিয়ে। সেও ছোট্টবেলা থেকে ও আমার সাথে সাথে থাকত। ৩ ভাইয়ের মাঝে আমরা দুজন থাকতাম সবসময় একসাথে। পিচ্চিটাকে নিয়ে চলত আমার সারাদিনের সকল কাজ। খেলাধূলার ব্যাপারে ওর প্রায় সব খেলার হাতেখড়ি মনে হয় আমার হাতেই। পিচ্চিবেলায় ও যখন মাত্র পড়ালেখা শুরু করে তখন একবার নিজের বানান করেছিল এইভাবে cng কনইক্যা।
বিস্তারিত»