আমার কাজলাদিদিরা – শেষ পর্ব (আপুসোনা)

[সতর্কীকরণঃ এই পোষ্ট অনেক বড় এবং বরাবরের মতই আমার ইমোশনাল লেখা। অনেকের বিরক্তি উৎপাদন করতে পারে তাই নিজ দায়িত্বে পড়ুন। কেউ খুব বিরক্ত হলে কিংবা আমার লেখা ন্যাকামি মনে হলে তাদের জন্য ভাল খবর হচ্ছে এইটাই আমার এই সিরিজের শেষ লেখা। এই সিরিজ আমার অনেক ইমোশনের তাই শেষ করে নিজের খুবই খারাপ লাগছে। ]
আমার কাজলাদিদিরা – ৬
এইচ,এস,সি পরীক্ষার আগের শেষ ছুটিতে কলেজ থেকে ঢাকা আসলাম।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রলাপ – ০০৭

আজও একটা অসম্ভব ঝলমলে একটা দিন। এরকম হলে কেমন যেন আমার বেশ ভাল লাগে। আবহাওয়ার সাথে মানুষের মন এর সম্পর্ক আছে এটা কিছুদিন হল বুঝতে শিখেছি। হয়ত বড় হলাম, আগে এইসব শুনলে মনে হত ভাবের আর জায়গা নাই। গত ১ সপ্তাহ ধরে আমি সারাদিন শুয়ে থাকি। খাওয়ার জন্য ছাড়া উঠি না, মানে উঠতে পারি না। পায়ে ব্যাথাটা বাড়তেই ছিল। গতকাল আমার ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল।

বিস্তারিত»

আমার কাজলাদিদিরা – ৬ ( তন্বীআপু )

আমার কাজলাদিদিরা -৫
তন্বী আপু কিন্তু আমাকে এখনো আপু বানাবার পারমিশন দেয়নি। উনি খুব ভালভাবেই আমার এই আপু বানাবার রোগ সম্বন্ধে অবগত। এবং প্রথম দিন থেকেই ওনার কাছে ওয়ার্নিং পেয়ে পেয়ে এখনো ওনাকে আপু বানানো হয়নি। কিন্তু এই সিরিজের অন্য সবার সাথে ওনার অনেক মিল তাই ওনাকে নিয়েও লেখা যাক।

বিস্তারিত»

আমার কাজলাদিদিরা – ৫ (বনানীদি)

আমার কাজলাদিদিরা – ৪
ও আমাকে রূপাই বলে ডাকে। ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম রূপাই কেন? এই নামটা নাকি ওর খুব পছন্দের নাম। জসীমউদ্দীনের নকশী কাঁথার মাঠ এর নায়কের নাম। সেই থেকে আমি ওর রূপাই। আর ও আমার দিদি। জাপান থেকে সেবার দেশে যাচ্ছি যাওয়ার আগে ওকে ফোন দিয়ে কেমন আছে জিজ্ঞেস করলাম। দেখি ওর মন অসম্ভব খারাপ। আমাদের জাপানে যত পিচ্চিকাচ্চা আছে সবার ও বৌদি।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রলাপ ০০৬

গতকালরাতে আমার ঘুম আসছিল না। শুয়ে শুয়ে কত কথা মনে পড়ে। অনেক আগে একসময় ঘুম না আসলেই একজনকে মেসেজ পাঠাতাম। ভার্চুয়ালি সে এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে যেত। চোখ বন্ধ করলে ঠিক যেন অনুভব করতাম স্পর্শটা। কাল অনেক চেষ্টা করলাম, স্পর্শটা ভুলে গেছি। স্পর্শ মনে করার সেই চেষ্টা আমার ঘুমকে আরো দূরে সরিয়ে নিল। মাথায় হাত বুলানোটা আমার এত্ত পছন্দের।

বিস্তারিত»

আমার কাজলাদিদিরা – ৪ (নিশুআপু)

আমার কাজলাদিদিরা -৩ (চামু)
২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল দেশ ছাড়লাম। কোন রকম এপ্রিলফুল ছাড়াই আমরা জাপানে চলে আসলাম। বন্ধুরা মজা করে বলছিল তোদের নিশ্চয়ই প্লেনে তুলে চিটাগং নিয়ে নামিয়ে দিবে। চিটাগং এর ভাষা না বুঝে তোরা মনে করবি আসলেই জাপানে আসছিস। এরকম আরো অনেক মজার কথা বলে অনেকেই মন ভাল করার চেষ্টা করছিল। যখন আসছিলাম তখন ভেবেছি ৪-৫ বছর মনে হয় আর দেশে আসতে পারব না বন্ধুদের সাথে দেখা হবে না,

বিস্তারিত»

ছবিব্লগ ( ব্যানার ) – ১

ইন্টারনেটে পাওয়া কিছু ব্যানার, পোস্টার, দেয়াল লিখন। অনেকেই মনে হয় নেটে দেখেছে । তাও দিলাম এখানে পোষ্ট করে।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রলাপ ০০৫

জুলহাস ভাইর টানা ৪টা পোস্ট পড়ে বিশাল অনুপ্রাণিত হয়ে গেলাম। আসলেই দেশের জন্য চায়ের কাপে আড্ডা ছাড়া কোনদিন কিছু করেছি বলে মনে পড়ছে না। রাজনীতিতে নামব বলে অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু দেশের বাইরে চলে এসেছি আর বাসায় যখন এটা বলতাম তখন সবাই মিলে ঝাড়ি দিত। জুলহাস ভাইর লেখা পড়ে অনেকক্ষণ ভাবলাম কি করা যায়। সবসময় এইসব নিয়ে কথা হয় কিন্তু কখনই শেষ পর্যন্ত কেউ কোন প্রস্তাবনা দেয় না।

বিস্তারিত»

আমার কাজলাদিদিরা -৩ (চামু)

আমার কাজলাদিদিরা ২
ওর আসল নাম হচ্ছে চামেলী। আমার খালাত বোন। কলেজে ৯ এ উঠার সময় এক ছেলের সাথে আমার বাজি হল পরের টার্মে ওর থেকে আমি বেশি চিঠি পাব। কিন্তু টার্ম শুরু হওয়ার পর বুঝতে পারলাম খুবই অসম্ভব ব্যাপার। আমার বাসা থেকেই আমাকে মাসে একখানা চিঠি লেখে। আর ও প্রতি সপ্তাহে ৩-৪টা চিঠি পেয়ে যাচ্ছে। কি আর করা বাজিতে হারব বুঝে গেলাম।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রলাপ ০০৪

অনেকদিন কিছুই লেখা হচ্ছে না। পড়ালেখার মধ্যে থাকলে ৬ মাস অন্তর অন্তর সবাইকে যে একখানা ঝামেলায় পড়তে হয় আমি এখন সেই ঝামেলায় আছি। সামনে পরীক্ষা ১০ তারিখে শুরু হবে। ক্লাস শেষ হয়ে গেছে, সারাদিন তাই বাসায় বসে বসে পড়ার চিন্তাভাবনা করি কখনো পড়তে বসি আবার কিছুক্ষণ পরেই দেখি পড়া বাদ দিয়ে অন্য কাজ শুরু করে ফেলেছি। এই যাচ্ছে কিছুদিন। তাই বলে অবশ্য আমার অন্য কোন কাজ থেমে নেই এই শনিবারে গিয়েছিলাম এক বড় ভাইর বাসায়।

বিস্তারিত»

অনুঘটনা – ৪

আজ দুটি গল্প বলি একটি ইন্টারনেট থেকে পাওয়া আরেকটি আমার খালাত বোনের ।

এক ব্যস্ত চাকুরীজীবী অনেক রাত করে বাড়ি ফেরেন প্রতিদিন। ছোট্ট ছেলেটির সাথে তাঁর প্রায়ই দেখা হয়না। তিনি আসতে আসতে বাচ্চা ছেলেটি ঘুমিয়ে পড়ে। একদিন সে জেগে বসে আছে বাবার জন্য। বাসায় ফিরার পর ছেলে পাশে এসে একথা ওকথার পর জিজ্ঞেস করল ,” বাবা তোমার ঘন্টাপ্রতি বেতন কত?” । অবাক হলেও তিনি উত্তর দিলেন ২০ ডলার।

বিস্তারিত»

ছোটদি (৩)

[ মাঝে মাঝেই কিছু গল্প উপন্যাস পড়ে আমার খুব ইচ্ছে করে এর পরে কি হল কিংবা এই একই ঘটনা যদি অন্য কারো মুখ থেকে আসত তাহলে কি হত। আমার সাথে যদি লেখকদের চেনা জানা থাকত তাহলে আমি খুব অনুরোধ করতাম তাদের এই থিম নিয়ে লেখার জন্য। অনেকদিন ধরে মনে হচ্ছে নিমাই এর মেমসাহেব উপন্যাস (আমার খুবই প্রিয় একটা বই ) এর কথা। মনে হচ্ছিল সেখানে মেমসাহেবের ছোটভাই খোকন এর একটা গল্প বুঝি লুকিয়ে আছে।

বিস্তারিত»

প্রবাসে প্রলাপ ০০৩

গত সপ্তাহ পুরাটা জুড়ে অসুস্থ হয়ে ঘরে শুয়ে শুয়ে দিন কাটিয়েছি। সেটা থেকে বের হয়ে এই সপ্তাহে কেমন যেন কোথাও যেতে নিলেই খালি মনে হয় অসুস্থ ছিলাম আর যাই ছিলাম গত সপ্তাহ তো কোথাও বের হতে হয়নি শান্তিই ছিল। টার্মের শেষের দিকে এসে এখন পড়ালেখার কথা মাথায় আনতে হচ্ছে ভার্সিটিতেও দেখি বেশ কিছু রিপোর্ট জমে গেছে। যাই হোক কষ্ট করে এক মাস কাটিয়ে দিতে পারলে পরের দেড়মাস ছুটি কাটাব আপাতত সেটাই গিয়ার।

বিস্তারিত»

আমার কাজলাদিদিরা – ২ ( পিয়াপু )

আমার কাজলাদিদিরা – ১
[ঠিক কবে মনে নেই কিন্তু খুব ছোটবেলা থেকেই কেন যেন আমার একটা বড় বোনের শখ হয়ে গেল ( আজো গেল না )।এই জন্যই মনে হয় ছোটবেলা থেকেই আমি আমার আশে পাশে সবসময় বড়বোন খুঁজেছিলাম। সেই খোঁজার ফলে আমার জীবনে অনেক গুলা আপুই এসেছে। কেউ কেউ আমাকে আসলেই ছোটভাইর মত আদর করেছে কাউকে কাউকে আমি নিজেই মনে মনে আপুর আসন দিয়েছি উনি হয়ত জানেই না।সবার সাথে যে আজ যোগাযোগ আছে তাও না।

বিস্তারিত»

আমার কাজলাদিদিরা – ১ ( সুমি আপু )

[ঠিক কবে মনে নেই কিন্তু খুব ছোটবেলা থেকেই কেন যেন আমার একটা বড় বোনের শখ হয়ে গেল ( আজো গেল না )।
” মাগো আমার শোলক বলা কাজলা দিদি কই?”
এই প্রশ্নটা আজীবন খুঁজে ফিরছি। একটু একটু যখন বড় হলাম গল্পের বই পড়া শুরু করলাম তখন এই ইচ্ছাটা দিনকে দিন বাড়তে লাগল। শরৎচন্দ্রের বড়দিদি, মেঝদি, পড়তে পড়তে ছোট্ট আমার কত দীর্ঘশ্বাস বের হল তার খবর কেউ রাখেনি।

বিস্তারিত»