১
অনেক বছর হল, আর ২ মাস পার হলে ১২ বছর হবে। আব্বুকে নিয়ে কখনো কোথাও কিছু লেখা হয়নি। শেষ যখন আব্বুকে দেখেছি সেই দৃশ্য এখনো চোখে ভাসে। অল্প একটু চেষ্টা করলেই দেখতে পাই ক্যাডেট ড্রেস পড়ে আমার ঘর থেকে মামার সাথে বের হয়ে যাওয়া দৃশ্য। আমার আব্বু বসে আছে বারান্দায়। আমি অনেকদুর এগিয়ে গিয়ে একবার দাঁড়িয়ে ছিলাম এরপর পিছনে তাকিয়েছিলাম। সেই দৃশ্য আমার চোখে ভাসে, আব্বু বারান্দায় একটা চেয়ারে বসে আছে। তারপর আমি উঠে পড়েছিলাম রিকশায়। ক্লাস ৮ এ পড়ি তখন , জুনিয়র আসেনি তখনো। জুনিয়র আসার ৫ দিন আগে আবার যখন বাসায় এসেছিলাম তখন আর আব্বুকে পাইনি, সিলেট থেকে আমি আসতে আসতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল তার আগেই আব্বুর কবর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আব্বুর স্মৃতি স্মরণ করলে তাই আমার সেই চেয়ারে বসে থাকা দৃশ্যটা সবার আগে মনে পড়ে। আমাদের সেই বাসায় আমরা এখন আর থাকি না তবে সেই বাসার সেই বারান্দায় আমি আজো তাকাই সেদিক দিয়ে গেলেই।
বাবা কতদিন কতদিন দেখি না তোমায়…
২
আমার আব্বু একেবারেই একজন পারিবারিক মানুষ ছিলেন। নিজের পরিবার ছাড়া তার কোন বড় আদর্শ ছিল না। আর ১০ জন সাধারণ মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবীদের মতই তিনি সংসার চালাতেন আর মনে একটা বিশাল আশা নিয়ে রাখতেন তার ছেলেগুলা পড়ালেখায় অনেক বড় হবে। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাওয়ার আগে এবং বিকেলে বাসায় ফিরে সন্ধ্যার পর থেকে ৯ টা পর্যন্ত নিজেই আমাদের পড়াতেন। অঙ্ক আর ইংরজি ছাড়া আর কোন সাবজেক্ট তার কাছে পাত্তা পেত না। এই দুইটা পড়তে পড়তে জান কাহিল হয়ে যেত আমাদের। অন্য সাবজেক্টের হোমওয়ার্ক ও আমাদের অনেক কষ্ট করে করতে হত। তার কাছেই জেনেছিলাম আমাদের যেহেতু আর কিছু নেই এই পড়ালেখাই আমাদের একমাত্র পুঁজি। একে সম্বল করেই এগুতে হবে জীবনে উপরে উঠতে হলে। সবচেয়ে কষ্ট হত যেদিন এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিত। সবসময় বৃহস্পতিবারে রেজাল্ট দিত আর শুক্রবারে আব্বু বাজার থেকে পেপার কিনে আনত। সেটা পড়তে পড়তে আমাদের উপর চলত অবিরাম গালিগালাজ। আমরা কেন কিছু পারিনা এই দেখ কত ছেলেপিলে স্ট্যান্ড করে ফেলতেছে। তখন মনে মনে সেইসব স্ট্যান্ড করা ছেলেদের কত গালিগালাজ করেছি। নিজে করে দেখাব এইরকম ভাবার সাহস তখনো পাইনি কারণ স্ট্যান্ড করে তো টিভি, পেপারের ছেলেরা তারা কি মর্ত্যে বাস করে নাকি। আমার বাবাও কোনদিন মনে হয় এইরকম স্বপ্ন দেখেনি। কারণ আব্বু তখন তার অফিসে কলিগদের ছেলেরা স্টার মার্ক্স পেয়ে গোল্ড মেডেল পাচ্ছে এইসব গল্প শোনাত আমাদের। আমরাও সেটার আশা করতাম। স্টার মার্কস পাব গোল্ড মেডেল পেলে আব্বুর অফিসে বসরা বলবে, ” জয়নাল সাহেবের ছেলেটা তো অনেক ব্রেইনি”। আমার আব্বু বিগলিত হাসি দিবে। এরচেয়ে অনেক বেশি আনন্দ দেওয়ার ক্ষমতা আল্লাহ যখন আমাকে দিল তখন আব্বু এসবের অনেক ঊর্দ্ধে। ওপার থেকে কি এপারের কিছু দেখা যায়? আনন্দিত হবার ক্ষমতা কি থাকে? ২০০২ এর সেই দিন আমার খুব বলত ইচ্ছে করছিল , ” আব্বু স্ট্যান্ড করা ছেলেদের শুধু যে পত্রিকার পাতায় দেখা যায় তাই না , আপনার ছেলের ছবি আজ পত্রিকার পাতায়”।
৩
ছোটবেলা থেকেই আমার ধারণা আমার আব্বু আমাকে কম আদর করে। এখনো এই ধারণা বদলায়নি। এরকম হতেই পারে এক ঘরে সব ছেলেকে সমান আদর করবে এরকম হয় না। আমিও অনেক ঘাউরামি করতাম। শুক্রবারের দুপুরের খাবারটাই শুধু সপ্তাহে একদিন আমরা আব্বুর সাথে খেতে পারতাম। সেদিন বাজার হত হয়ত মাছ কিনে আনা হত , সেটা থাকত আর আমার আব্বুর বাতিক হিসেবে একগাদা সবজি। সবজি আমি কোনকালের পছন্দ করতে পারি নি বিশেষ করে করলা। এই তিতা জিনিস মানুষ কেমন করে খায় আমি আজও বুঝিনা। আব্বুর সামনে খাওয়া তাই সবাইকেই ওটা খেতে হবে। কিন্তু আমি খাব না তাই প্রথমে ভাত নিয়েই অন্য তরকারী নিয়ে নিচ্ছিলাম। চোখে পড়ে গেলাম আব্বুর। কেন আমি সবজি খাব না সেই জন্য তখনই আমাকে কান ধরে ১০ বার উঠবস করতে বলল। রাগে অপমানে আমি সেদিন শুধু করলা দিয়েই ভাত খেয়েছিলাম। আমাদের বাসায় এখন আর করলা রান্না হয়না বুঝি যে তখন সবাই অনেক কষ্ট করে অপছন্দের খাবার খেত। এখনো কোথাও করলা দেখলে আমার চোখে সেই দিনের দৃশ্য ভেসে উঠে। মানুষের এই ফ্ল্যাশব্যাক সিস্টেম বড়ই অদ্ভুত অন্তত ১৫-১৬ বছর আগের ঘটনা এখনো চোখ বুঝলে সাথে সাথে চোখে ভেসে আসে।
৪
তখন ক্লাস ৫ এ পড়ি মনে হয় বন্ধুদের সাথে অন্য স্কুলের ছেলেদের সাথে ফুটবল ম্যাচ ফেলা হয়েছে। সকাল থেকে আম্মুকে ঘ্যানঘ্যান করছিলাম আব্বুকে বলার জন্য। আব্বুর কাছে সরাসরি আবদার জানাবার সাহস ছিল না আমার তার উপর শুক্রবার সারাদিন আব্বুর প্ল্যান থাকে আমাদের পড়াবার। অনেক কষ্টে আব্বুকে আম্মু রাজি করাল ১১টা পর্যন্ত মন দিয়ে পড়লে আমাকে খেলতে যাবার অনুমতি দেওয়া হবে। শুধু মন কেন আমি মন দেহ সব ঢেলে দিলাম পড়ায় ১১টা বাজার সাথে সাথে উঠে বাইরে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছিলাম হঠাৎ আব্বুর কি মনে হল কি জানি বলল আমার খেলতে যাবার দরকার নেই। এ কথা শুনে তো আমার প্রাণ ফেটে যাচ্ছিল এই ভেবে যে তাহলে এতক্ষণ কষ্ট করে পড়লাম কেন। রান্নাঘরে গিয়ে আম্মুর সাথে ঘ্যানঘ্যান করার শাস্তি পেয়েছিলাম সাথে সাথেই।
মনে হচ্ছে খুব কষ্টের স্মৃতি কিন্তু এখন ভাবতে ভাল লাগে। আমি সবার সাথে আমার আব্বুর কথা যখন বলি খুব সাধারণ ভাবেই বলি খারাপ ভাল রাগ একেবারে সাধারণ ভাবেই বলে যাই। আব্বু নেই দেখে কোন রকম আবেগ তুলে আনিনা তাই অনেকে ভাবে আব্বুর উপর আমার রাগ আছে। আসলে একেবারেই তা না। আব্বুর সাথে আমার বাপ-ছেলের সম্পর্কই ছিল। ছোট ছিলাম তাই শাসন খেয়েছি বড় হলে হয়ত সম্পর্কটা অনেক মধুর হত সেই সুযোগ পাইনি। আর আনন্দের স্মৃতি থেকে এইসব শাসনের স্মৃতিই বেশি মনে থাকে। কলেজে যাবার সুবাদে ৩ ভাইয়ের মধ্যে আমিই একমাত্র আব্বুর চিঠি পেয়েছিলাম। সব জমানো ছিল। প্রায় ১৭ খানা চিঠি যক্ষের ধনের মত জমিয়ে রেখেছিলাম। আমার বড় ভাই সেগুলা কোথায় যেন গুছিয়ে রাখল অনেকদিন দেখিনা। দেখি দেশে গেলে খুঁজে দেখতে হবে।
তপু,
মন খারাপ করোনা।পান্থ ভাইয়াকে দেখি নাই।রায়হানকে কাছে থেকে দেখেছি আর তোমার কথাতো সব সময় শুনি।তোমরা ৩ ভাই যার ছেলে তার পরিচয় আসলে তোমরা ৩ জনই।আমি সবাইকে বলি তোমাদের মত ছেলে যাদের আছে তাদেরর কিছুই দরকার নেই।ভাল থেক সবসময়।
লেখাটা একেবারেই মন খারাপ থেকে আগত না আপু। ৩ ভাই এর মধ্যে আমারই আব্বুর সাথে বেশি দেখা হয়। আগে তো প্রতি সপ্তাহেই স্বপ্ন দেখতাম। স্বপ্নে এসে আমাকে হেভি শান্টিং দিত। ইদানিং একটু ঝাড়ি কম মারতেছে। একটু আদর হইছে মনে হয়।
রায়হান বেশি আদর পাইছে আব্বুর আমরা ইত্যাদি কিংবা কোন বিশেষ নাটক দেখার বায়না সবসময় ওকে দিয়েই করাতাম।
আঙ্কেল নিশ্চয়ই আজ তার ছেলেদের দেখে অনেক গর্ব বোধ করেন। আর তুমি নিশ্চয় জানো আঙ্কেল এখনও যেসব জিনিস থেকে সওয়াব পাবেন তার একটা হল তার সন্তানেরা। শুভকামনা রইল
গর্ব বোধ করার মত এখনো তেমন কিছু হতে পারিনি ভাইয়া তবে আমার বাপ মনে হয় এতটুকুতেই খুশি হতেন। শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি কিছু লেখেন না কেন।
তপু ভাই, ইনশাল্লাহ আঙ্কেল এখন যেখানেই আছেন.....আপনাদের দেখে নিশ্চয়ই গর্বিত.......লেখাটা মনটা নাড়া দিয়ে গেল
🙂
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।
আঙ্কেলের জন্য সমস্ত শুভেচ্ছা।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
বেশ কয়েকবার লেখাটা পড়লাম, কিন্তু মন্তব্য করার মত কিছু আসছিল না। ভাইয়া, আঙ্কেল নিশ্চই আজ গর্বিত।
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
..........................কি লিখব বুঝতে পারছি না, পিতা হারানোর বেদনা বা কষ্ট কেমন হয় জানি না, কিন্তু বেপারটা যখনই ভাবি, বুক্টা মোচড় দিয়ে উঠে...... আল্লাহ যেন আপনার পিতাকে সুখে অ শান্তিতে স্বর্গে নেন, এই দোয়াই করি।
ধন্যবাদ।
সবগুলো কথাই মিলে গেল, শুধু করলা ছাড়া। আমাদের বাসায় করলাভাজি ছাড়া খাওয়া শুরুটাই বে-মজা, আর ডাল ছাড়া খাওয়ার শেষটাই অসম্ভব!!
সব মিলে গেল?? তাহলে চিমটি।
ভাইয়া এই আব্বুগুলাকেই সবথেকে খারাপ মনে হত এক সময়।কিন্তু জীবনের এক টা পরজায়ে এসে মনে হয় তারা না থাকলে অনেক আগেই থেমে জেতে হত।
আল্লাহ আপনার আব্বুকে ভাল রাখুন।আমিন।
এক্কেবারে ঠিক কথা বলেছ আপু। আমি তো ছোট থাকতে ভাবতাম আব্বু কেন আমাকে দেখতে পারে না খালি ঝাড়ির উপর রাখে ।
তোমার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।
তপু : আবার নাড়া দিয়ে গেলে। আমাদের সময় বাবারা এমনই ছিলেন। তাদের শাসনটাই দেখতাম। আদরটা তারা লুকিয়ে রাখতেন। বাবাকে হারিয়েছি আমিও আজ আঠারো বছর হয়ে গেল। তবু সব, সব চোখে ভাসে।
তোমার বাবার জন্য গভীর শ্রদ্ধা। ভালো থেকো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ভাইয়া,
বাবারা মনে হয় ভাবত আদর দেখালে ছেলে নষ্ট হয়ে যাবে আর ছেলে মানুষ করার সবচেয়ে প্রথম দরকার হল আদর লুকিয়ে রেখে শাসন করা। আমার আব্বুও এই গোত্রেরই ছিল মনে হয়।
শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনি নিজেও ভাল থাকবেন শরীরের যত্ন নিয়েন।
আংকেলকে আল্লাহ ভালো রাখুন। উনি আমার মনে হয় ভালোই আছেন, তিনি যা করতে চেয়েছিলেন, তা তো হয়েছেই। তাঁর সবক'য়টা ছেলেই তাঁর স্বপ্ন পূরণ করেছে।
তারপরেও দোস্ত মনটা খারাপ হয়ে গেলো।
মৃত্যুর পরেও বাবা মা রা কোথাও যান না, সন্তানদের পাশেই তাদের আত্না ঘুরে বেড়ায়। আঙ্কেল নিশ্চয় করে তোদের তিনভাইকে নিয়ে অনেক খুশি আছএন।
তোর শরীরের অবস্থা কী এখন???
সহমত
:hug: :hug:
তুমি তো দেখি আমার বাপের কথা কইয়া ফেলছ। চড়ের কথা অবশ্য কও নাই। আমরা কইতাম "চান-তারা" চড়। একটা চড় গালে পড়লে চোখে চান-তারা ভেসে উঠত জন্য সব ভাই-বোন মিলে এই নাম দিয়েছিল।
বাবার কথা লিখব আমি। তবে আরও পরে। লেখালেখিটা আরেকটু পোক্ত করে নেই।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
লেখালেখি আরো পোক্ত করবেন এখন কি অবস্থায় আছে তাইলে। কি যে কন না ভাইয়া।
আব্বুর চড়ের কথা পরে আবার লেখব ভাইয়া মনে পড়তেই মাথা ঘুরে গেল।
কামরুল,
তোর কথা অনেক শুনেছি। কখনো দেখা হয়নি। ক্যাডট কলেজ ব্লগে আমি নতুন। (১৯৯৬-২০০২) দেখেই তোর ব্লগে ঢুকলাম। প্রথম লেখাটা পড়েই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। আঙ্কেল এর জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।
দেশে ফিরবি কবে? ভাল থাকিস। আমি আইভোরি কোস্টে আছি। ইনশাল্লাহ জুলাই এ ব্যাক করব। দোয়া করিস।
আমিও তাই ভাবতেছিলাম তোরে কোনদিন দেখি নাই শিউর হইলাম তোর ছবি দেখে। দেখা না হইলেও প্রবলেম নাই আমরা আমরাই তো।
৯৬-০২ ব্যাচ হিপ হিপ হুররে...
সাম্প্রদায়িক মন্তব্যের জন্য আমার ব্যাঞ্চাই।
:thumbup: :thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
ভাইয়া তুই হয়ত কষ্ট পাস যে তুই আব্বুর শেষ দেখিস নাই। এইটা অনেক ভাল। তোর কাছে শেষ যে স্মৃতি আছে আব্বু চেয়ারে বসে আছেন কিন্তু একটা প্রচন্ড রাগী মানুষ কিভাবে অসহায় হয়ে মৃত্যুর কাছে চলে যায় তা খুব কাছে থেকে দেখলে হয়ত খারাপ আরো বেশি লাগত। আমি সবসময় চেষ্টা করি আব্বুর স্মৃতি ভুলে থাকতে। কেন জানিনা। আজ আসলেই খুব মনে পড়ছে। ................ আর কান্না সেটা তো উপরওয়ালা আমাদের বাবা নিয়ে আমাদের গিফট করেছে ............ ভাল থাকিস।
অনেকদিন থেকে তোমার এই লিখাটা পড়া থেকে বিরত রেখেছি নিজেকে, জানি পড়লেই মন খারাপ লাগবে, আজ পড়লাম। তোমার বাবা নিশ্চয়ই অনেক গর্ব বোধ করত আজ তোমাকে নিয়ে। আল্লাহ উনাকে বেহেস্ত নসীব করুক।
বাবারা সন্তানদের জীবনে অনেকটা দখল করে রাখে, এই বিদেশে বসে প্রতিটা মুহুর্তে আমি আমার বাবা কে মনে পড়ে কিভাবে উনি আমাকে কত কিছু থেকে ছায়া দিয়ে রাখত। সামনে আমার বাবার জন্মদিন আসছে একট কার্ড কিনলাম তাতে লিখা (বাংলায় অনুবাদ করলে যা দাঁড়ায়)--
"একজন ভালো বাবার সহজাত গুন হচ্ছে সে একজন ছোট্ট মানুষকে একজন বড় মানুষ হিসাবে গড়ে তোলে। তারপর একদিন সেই ছোট্ট মানুষটি বড় হয় সে তা ভুলে না..."
কথাগুলো খুব পছন্দ হয়েছে তাই এখানে লিখে ফেললাম।
ভালো থেকো।