স্বপ্ন ছিল সৃষ্টিকর্তার সাথে দেখা করবো!!!
কল্পনায় দেখা হলো… …
“তুমি আমার সাথে দেখা করতে চাও?
জিজ্ঞাসা করলেন তিনি।
-যদি আপনার সময় হয়
তিনি হাসলেন।
-“আমার সময় অনন্ত তো তুমি কী জানতে চাও?
-মানুষের কোন দিকটা আপনাকে অবাক করে?
-“এই যে তারা শৈশব নিয়ে বিরক্ত হয়ে পড়ে
খৃব তাড়াতাড়ি বড় হতে চায়
অতঃপর.. .. ..
শৈশব ফিরে পেতে আফসোস করে।
টাকার পেছনে ছুটে তারা স্বাস্থ্যহীন হয়
স্বাস্থ্য নষ্ট করে তারা টাকা অর্জন করে।
তারপর তা ব্যয় করে স্বাস্থ্য পূনঃঅর্জন করতে চায়
ভবিষ্যতের দুঃশ্চিন্তায়
তারা বর্তমান ভুলে যায়
এভাবে তারা কোনটাতেই বাঁচে না।
না বর্তমান; না ভবিষ্যত!!!
তারা এমনভাবে বাঁচে যে কখনো তাদের মৃত্যু হবে না।
এবং মৃত্যুবরণ করে এভাবে যে তারা কখনো বাঁচেনি।
সৃষ্টিকর্তা আমার হাত ধরলেন
কিছুক্ষণ সবকিছু নিঃস্তব্ধ
তারপর আমি জিজ্ঞাসা করলাম
-বাবা-মা হিসেবে সন্তানদের কী শেখানো উচিত?
-এটাই শেখাবে যে,
“জোর করে স্নেহ ও ভালোবাসা আদায় করা যায় না।
শুধুমাত্র তারা নিজেদের ভালোবাসার যোগ্য করো তুলতে পারে।
নিজেদেরকে অন্যদের সাথে তুলনা করা ভালো নয়
এতে শান্তি নষ্ট হয়।
ক্ষমা করতে শিখতে হবে
ক্ষমার অভ্যাসের মাধ্যমে
কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে তার প্রিয়জনদের মনে
কিন্তু এটা তাঁদের মন থেকে মুছতে বছর পেরিয়ে যায়।
সুতরাং ব্যবহারের প্রতি যত্নবান হতে হবে।
এটা যেন জানে যে—তারা ধনী নয় যাদের বেশী আছে বরং যাদের চাহিদা কম!!
এবং অনেক মানুষ আছে যারা তাঁদের আন্তরিকভাবে ভালোবাসে কিন্ত তারা হয়তো শেখেনি
কিভাবে তাদের আবেগ অথবা অনুভুতি জানাতে হয়।
এটা বুঝে নিতে হবে।।।।
দুজন মানুষ একই জিনিসকে দেখলেও
তারা তা দু-ভাবে দেখে।
তাই দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দর হওয়া বাঞ্ছনীয়।
শুধুমাত্র অন্যকে ক্ষমা করতে শিখলেই হবে না
পাশাপাশি নিজেকেও ক্ষমা করতে জানতে হবে।
কৃতজ্ঞতাভরে বললাম ,
-“আপনার সময়ের জন্য ধন্যবাদ
আর কী আছে যা তাদের শেখানো আমার দায়িত্ব?
সৃষ্টিকর্তা হাসলেন…
-“এটুকু যথেষ্ট. . .আর
জেনে রাখ আমি আছি … … … … .. .. .. সবসময়|
কথাগুলি খুবি ভাল্লাগছে।
সুন্দর লাগলো 🙂
😀 ::salute::
:boss: