আমার পিচ্চি দুইটা বিচ্ছু হচ্ছে দিনে দিনে। একটাফোটাও নিজের জন্য টাইম পাইনা। প্রায় ২০/২২ দিন ব্লগের সাথে কোন কথা বলার সুযোগ পাই নাই। এক দিকে অবশ্য কয়েকজনের পেইন ছিল না কয়েকদিন, আমার দুঃখের পেচাল শুনতে শুনতে যারা অস্হির তাদের জন্য দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমি আবারো হাজির। জানেন, আমার বড় ছেলের মোটেও পড়াশুনা করতে মন চায়না আর ছোটটা প্রতিদিন স্কুলে পড়ার জন্য কাঁদে। ইফাজের ক্লাসে ক্লাস করে আর আমি বসে বসে ওদের বাবাকে মিস করি। কাউকে পাইনা যে কষ্ট আর আনন্দগুলো শেয়ার করবো। শত ব্যস্হতার মাঝেও হঠাৎ যখন মনে হয় আমি তো একদম একা, পাগলের মত লাগে। কোন না কোন কথা তো কাউকে বলতে ইচ্ছা হয়, বন্ধুর মত ভাল-মন্দ শেয়ার করতে ইচ্ছা হয়। কিছু শুনতে ইচ্ছা হয়। ওর কথাগুলা বলতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু হায়রে নিয়তি ২৫ বছরে ৫২ বছর বয়সের ভার নিয়ে চলতে হচ্ছে। আমি কিভাবে টিকে থাকবো, কিভাবে এই একাকিত্ব দূর করবো? কেও কি বলতে পারেন?
১৫ টি মন্তব্য : “একাকিত্ব”
মন্তব্য করুন
আগে ফার্স্ট হইয়া লই...। 😀 😀
ভাবী, আমরা কিছু করতে না পারি, অন্তত আপনার দুঃখ শেয়ার করার জন্য আমরা আছি।
২য় 😀 😀
ভাবী.....আল্লাহ এর উপর ভরসা রাখুন
আর পিচ্চিগুলোর দিকে তাকিয়ে হলেও ভাল থাকার চেষ্টা করুন
ভাবী আমি ৩য়। পিচ্চিদের জন্য আদর রইল। :salute: :salute: :salute:
কিপ ইট আপ ভাতিজা :thumbup:
আমারও দুইটা বাচ্চা। বড়টা ছেলে, ছোটটা মেয়ে। ছোটটাকে নিয়ে সমস্যা নাই। কিন্তু বড়টা একদম লেখাপড়া করতে চায় না। ক্লাসের টীচারদের ভাষায় ক্লাসে বসে নাকি দিবাস্বপ্ন দেখে। আবার কোনদিন ক্লাসে সবচেয়ে ভালো পারর্ফম করে। অনেক ডাক্তার বদ্যি সাইকোলজিস্ট দেখানো হয়েছে - কোথায় কোন সমস্যা পাওয়া যায় নাই। আমার শ্বাশুরি বলে ছেলের বাপও নাকি এরকম ছিল। সে কথায় তো আর আমার সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। আমরা আবার বর-বৌ দুজনেই কর্মজীবি। ছেলেটা রেগুলার স্কুলের পর আফটার স্কুলে যায়। ওখানে জোর করে ওরা হোম ওয়ার্ক করিয়ে দেয়। কিন্তু ছেলের যে লেখাপড়ায় মন ফেরা সেটা হচ্ছে না। আমি খেয়াল করে দেখেছি প্রতিদিন নিত্য নতূন পদ্ধতি অবলম্বন করলে ছেলেটা খুব উতসাহী হয়ে লেখাপড়া করে। এখন ঠিক করেছি আগামী বছর থেকে নিজের ইঞ্জিনিয়ারিং কেরিয়ার ইস্তফা দিয়ে ছেলের পিছনে অনেক সময় দেব। জীবনে প্রায়রিটি সেট করাটা অনেক জরুরী। আমার বর বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য ব্যপারগুলোতে অতো সাহায্য করতে পারে না। সে নিজেও খুব ব্যস্ত। জীবনে সমস্যার শেষ নেই। সবার সমস্যাগুলো হয়তো একরকম না, কিন্তু কমবেশি সবারই সমস্যা থাকে।
তোমার একাকীত্ব মূহূর্তে এটা ভেবে দেখ, তোমার দুটো বাচ্চাই সুস্থ - এটা স্রষ্ঠার একটা বড় আশির্বাদ। যাদের বাচ্চা অসুস্থ তাদের মানসিক অবস্থাটা কল্পনা করে দেখ। তবে আমি নিশ্চিত তারাও কোন পজেটিভ চিন্তা করে জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়।
তোমার লেখা পড়ে মনে হয় তোমার হৃদয়ে প্রতিনিয়ত রক্ত ক্ষরন হচ্ছে। আগে রক্ত ক্ষরন বন্ধ হওয়া দরকার। কিভাবে তা সম্ভব তার উত্তরটা নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
:salute:
সময় মানুষকে সবকিছু শিখিয়ে দেয়।
স্মৃতিগূলো রয়ে যায়। কিন্তু মানুষ একসময় নিজেকে ঠিকই সামলে নেয়।
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
i just can one thing............
"TIME IS THE BEST DOCTOR"
* say
শান্তার কথাই আবার বলছি - "জীবনে সমস্যার শেষ নেই। সবার সমস্যাগুলো হয়তো একরকম না, কিন্তু কমবেশি সবারই সমস্যা থাকে। তোমার একাকীত্ব মূহূর্তে এটা ভেবে দেখ, তোমার দুটো বাচ্চাই সুস্থ – এটা স্রষ্ঠার একটা বড় আশির্বাদ। যাদের বাচ্চা অসুস্থ তাদের মানসিক অবস্থাটা কল্পনা করে দেখ।"
তোমার আজকের কষ্ট একদিন কমে যাবে, তখন আবার মনে হবে পৃথিবীটা সুন্দর -
ভাবী, আপনাকে বলার মত ভাষা হয়তো আমার নেই, তবে শুধু এতটূকু বলতে চাই... ভেঙ্গে পড়েন না, পিচ্চিদুটোকে মানুষের মত মানুষ করে দেখিয়ে দিন যে আপনি জয়ী... আর ওদের মধ্যেই ওদের বাবাকে খুঁজে নিয়ে কিছুটা উৎসাহ নেওয়ার চেষ্টা করেন। আমাদের সাথে কষ্টের কথাগুলো শেয়ার করে নিজেকে হল্কা করতে পারলে আপনার ভাল লাগবে, আশাকরি সাথেই থাকবেন, আমরাও আছি।
সবার কথার উদ্দেশ্যে বলতে চাই আল্লাহতালা আমাকে সুস্হ সন্তান দিয়েছেন, এটা আমার প্রতি তার অশেষ রহমত। কিন্তু আমি তাদেরকে নিয়ে যে সূস্হ সুন্দর ও সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারব তার কোন নিশ্চয়তা আমাকে কি সমাজের ভদ্রমানুষজনেরা দিবেন? আর আমার অবস্হানে ও আমার বয়সে আল্লাহ মাফ করুক কেউ যদি থাকতেন তবেই শুধু বুঝতেন দুই চোখে কিছু না দেখে হাতরানো অবস্হায় এত একা হয়ে আগে পিছে কোন সাপোর্ট ছাড়া আমার অবস্হানের সাথে কারো অবস্হানকে ভাইয়া এবং আপুরা প্লিজ মিলাবেন না। শুধু মানসিক মনোবলটা আমাকে দিয়ে যেয়েন। আমার সামনে চলার কোন শক্তি যে নাই। আমার কথায় প্লিজ কেউ হার্ট হয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন।
ভাবী, আপনার সাথেই আছি আমরা সবাই...
আমাদের মতন সুফি চাচা-ফুফু থাকতে ওরা এমন কেন হচ্ছে কে জানে!! 😮
বুঝছি, মায়ের দিক থেকে মনে হয় এইসব পাইছে... :-B
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ